১০ ই এপ্রিল, রাতে জীবনে অন্য রকমের অভিজ্ঞতা অর্জন।

রাত ১২টায় ২৭ মিনিট। আমি কেবিনে ভিতরে ঘুমান দিছিলাম। হঠাৎ অপারেশন আসি বলল,প্রোগ্রাম ক্যানসেল করে দিছে।সবাই এখন লাইটার করে নামি যাইতে হবে।অপারেশন লোক এমনি ভয় পাওয়া মানুষ। তার উপর তাকে অফিস থেকে বলছে কাল বৈশাখী ঝড় শুরু হবে, এটা শুনার পর অপারেশন আরও তারাতাড়ি করে সবাইকে নামায় পেলছে।না পাড়ছি প্যান্ট পড়তে। পরে লুঙ্গি পড়া ছিলো, লুঙ্গি পরে লাইটারে নামি গেলাম।প্রায় ১ঘণ্টা লাইটারে থাকার পর সীবিচ এবং ১৫ নাম্বার ঘাট বরাবর খাড়ি মুখে আসলাম।তারপর লালবোর্ড করে ১৫ নাম্বার ঘাটে আসলাম।তখন প্রায় রাত ২ঃ৩০ বেশি হবে।এক তো লক ডাউন তার উপর এত রাতে ঘাটে কোনো গাড়ি থাকবে না।পরে অফিসে কল দেওয়াতে ২৭ জন মানুষ জন্য একটা ছোট পিক-আপ পাঠালো।২৭জন কোনো রকম দড়ামোছরা করে বসলাম।তারউপর সবাই বলতেছি পুলিশে পাইলে পোন্দের টিয়া পাটায় পেলবে।কারো কারো মাস্ক আছে কারো কারো মাস্ক নেই।পিকআপ মধ্যে সবাই বলতেছি,পুলিশ দড়লে সবাই মিলে দিবও গণধোলাই।আবার কেউ কেউ বলে এতজন মানুষ পুলিশ ভয়ে দরবে না।সিমেন্ট ক্রসিং আসলাম মোড়ে ৩টা পুলিশ ছিলো।২টা হাতে লাঠি একটা হাতে ছোট্ট পিস্তল। সবাই কে গাড়ি থেকে নামতে বলল,অস্ত্র থাকার কারণে ভয়ে সবাই নেমে গেলাম। সবাই কে লাইন দড়ায় পোন্দের টিয়া বারাই চার, তিন,দুই বাড়ি করে দিছে।একতো লুঙ্গি পড়া ছিলাম। তারউপর পুলিশের লাঠি বারি।পিকআপ ড্রাইভার পিটা খাওয়ার পর বলল, ভাই আমি আর যাবো না।পরে সিমেন্ট হোস্টেল সবাই কে নামায় দিলো।পাই না গাড়ি।পিকআপ ড্রাইভার সামনে আবার পুলিশ হাতে পিটা খাওয়ার ভয়ে আসতে চাই নাই।পরে সমানে হাটি হাটি আসার সময় পাইলাম হিরোনসি খোর একটা।দেখি হাত পা কাপা শুরু হলো আর ভাবতে থাকলাম ধরলে যা আছে দিয়ে দিবো।হেটে হেটে কাস্টম হাউস আসলাম, ওখান থেকে একটা রিকসাওয়ালা কে দেখলাম।বয়স প্রায় ৭০/৭৫ হবে।পরে ওনি জিজ্ঞেস করল বাবা কোথায় যাবে?কিছুক্ষণ চুপ ছিলাম আর ভাবতে লাগলাম এত বৃদ্ধ মানুষ রিক্সা টানতে পারবে নি।পরে আবার ভাবতে লাগলাম রিক্সা না নিলে সামনে আমার জন্য রিক্স হতে পারে।পরে বললাম ফকির হাট যাবো।কত নিবেন? বলল ৪০টাকা।উটলাম রিক্সায়।রিক্সা উটার সাথে সাথে বৃদ্ধ মানুষটি কে বললাম। আপনি আসতে ধীরে চালান। তারাহুরো দরকার নেই।

কিছুক্ষণ পর রিক্সার ড্রাইভার বলে উটলেন

বাবা ঃ-গ্রামের বাড়ি থেকে আসো নাকি

আমি ঃ-না। আউটার থেকে আসতেছি।রাতে প্রোগ্রাম ক্যানসেল করে দিছে তাই।

কিছুক্ষণ পর জিজ্ঞেস করলাম এই বয়সে রিক্সা চালান?ছেলে মেয়ে নাই।

ওনি কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর আমি ভাবলাম হয়ত মনে কষ্ট পাইছে তাই আর কিছু জিজ্ঞেস করিনি।

পরে ওনি জবাব দিলেন না।ছেলে মেয়ে নাই।প্রেম করে বিয়া করছি।আল্লাহ কাছে চাইছি অনেক ওনি দেইনি।তাই বুড়ি কে নিয়ে দুজনে এখনো একসাথে আছি ছেলেমেয়ে হয় নাই যে আসে পাশে লোক অনেক কথা বলল।কিন্তু বুড়ি আর আমি সেসব কথা কান দি নাই।আর দুইজন দুইজনকে ছেড়ে চলে যায় নি।।পরে বাসায় গেটে আসি ১০০টাকা দড়ায় দিলাম।আর বললাম সব রাখি দেন।তার একটা মুসকি হাসি দেখলাম আর পুলিশে টিয়া বাড়ায় দেওয়ার ব্যাথাটা ভুলে গেলাম। বেচেঁ থাকুক পৃথিবীর সব ভালোবাসা গুলো।

0 Shares

৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ