নিয়তি নির্ধারিত নিয়মের বাইরে যেতে পারি না বলেই হয়তো পেয়েও হারানো যন্ত্রণা গুলো কেবল কথা হয়ে বেরিয়ে পড়ে মুক্ত আকাশে ডানা মেলে উড়তে। একটু শান্তিতে নিঃশ্বাস নিতে। কিন্তু সত্যিই কী শান্তি মেলে এতে?  যন্ত্রণাগুলোকে কথা হয়ে ঝরাতে পারে বলেই কী কথকরা নিজেদের ভুলে থাকতে পারে? ভালো থাকতে পারে শ্রোতাদের আত্মার তৃপ্তি জুগিয়ে?

সেদিন নিয়নবাতির ঝাঁপসা আলোয় দাঁড়িয়ে প্রেমিক এক পৃথিবী শূন্যতা বুকে আঁকড়ে তার প্রিয়তমাকে দূর থেকে হাত নেড়ে বিদায় জানালো।
এক জন প্রেমিকের জন্য তা কতোটা যন্ত্রণাময় তা আপনারা জ্ঞানীগুণী জন জানেন নিশ্চয়ই।

অশ্রু সিক্ত নয়নে প্রিয়তমা চেয়ে চেয়ে দেখলো একটু একটু করে অস্পষ্ট হয়ে যাওয়া তার অবয়বখানি। অসহ্য যন্ত্রণা হলেও ফেলতে পারেনি একফোঁটা অশ্রু বিন্দু। ট্রেনের প্রচণ্ড সাইরেনের শব্দের সাথে সাথে মিলিয়ে গেলো তার শেষ কথাখানি। 'খোদা হাফেজ'।

একজন আজন্ম শূন্য প্রেমিককে আরও আরও শূন্য হতে দেখতে দেখতে আড়াইশো কিলোমিটার দূরে চলে গেলো প্রিয়তমা। আর নিঃসঙ্গ বেদুইন রাত হলো তার সঙ্গী। শূন্য সে প্রেমিক  নিঃসঙ্গ বেদুইন রাতে কথার ঝুড়ি থেকে অজস্র কথা এনে শ্রোতাদের মন মাতাতে থাকলো। এতে কি প্রিয়তমার থেকে দূরে থাকার যন্ত্রণা লুকাতে সক্ষম হয়েছিল সেই প্রেমিক? নিঃসঙ্গ বেদুইন রাত কী পেরেছিলো কাছে পেয়েও তাকে ধরে রাখতে না পারার ব্যর্থতা ঢাকতে।

প্রিয়তমার বুক কালবৈশাখীর ঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হলেও চলে যেতে হয়েছিল দূরে। নিরুপায় প্রিয়তমা পারেনি একছুটে গিয়ে তার বুকে আঁকড়ে পড়তে।  একটা চুমুর টিপ আঁকতে পারেনি তার কপালে। তাকে আলিঙ্গন করতে না পারার যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে চলে যেতো হলো দূরে, বহুদূরে।

0 Shares

৩১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ