
ফেসবুক ওয়ালে গতবছরের কোনোএক সময়ে আমি আমার বন্ধুদের ( সব পুরোনো স্কুল বন্ধু এবং আমার স্থানীয় পুরোনো স্বজন) সাথে শেয়ার করেছিলাম নাম কথন। ছেলে বেলায় কার কয়টা নাম ছিলো? অনেকেই এখানেও আছেন, স্কুল কিংবা পিতা মাতার আকীকা দিয়া নাম করনের পরেও বন্ধু বান্ধব বা কোনো না কোনো গুণের কারনে, কোনো নির্দিষ্ট কাজের ধরন অনুযায়ী জীবনে কেউ না কেউ উপাধি মূলক নাম আয়ত্ব করে নিয়েছেন বা পেয়েছেন। খুব ছোটবেলা থেকেই জেনে আসছি আমার কয়েকটা নামের পেছনে কারন। জিসান সাহেব সে বিষয়ে লিখেছিলেন একবার এক কাহিনী। ব্লগ বাসী জানেন সে বিষয়ে। আমিও ভেবেছি সে বিষয়ে নিজের মতো কিছু লিখবো। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তি কিছু মাসের মধ্যে যে ঘটনার কারনে আমাকে অনেকেই অনেক কাল পর্যন্ত সে নামেই মনে করত!বেড়ে উঠতে উঠতে লিপি নামটাই সবার মুখে মুখে।
একটা মজার কাহিনী একটুখানি বলি এখানেঃ-
আমি তখন দুই বাচ্চার মা, ছেলের বয়স এক বছরও হয়নি। মেয়েটা প্রায় ৪ বছর বয়স। শশুড় বাড়ির এক আত্মিয়ার বিয়ে হয়েছে আমার বাপের বাড়ির গ্রামে। সম্পর্কে ননদ হয়। অনেকদিন অনেক করে বলাতে একদিন বিকেলে নদী পেরিয়ে ওপারের গ্রামে শেফালীর শশুড় বাড়ি দেখা করতে গিয়েছি মেয়ে আর আমার কজিন বোনকে নিয়ে। প্রচুর খুশি আমাকে আর ভাস্তিকে দেখে। অনেক আপ্যায়ন করলো। সবচে মজার বিষয় হলো, আমি যাওয়াতে ভীড় পরে গেলো শেফালীর শশুড়ের ঘরে। তাঁরা ভাবতেই পারছিলোনা আমি( চাঁদ স্যারের মেয়ে) তাঁদের বাড়িতে যেতে পারি কখনো তাও তাঁদের বাড়ির বউএর ভাবি হয়ে। যাই হোক। এরকম কাহিনী আমার সাথে প্রায়ই ঘটে আমার শশুড় বাড়িতে। -‘ ওমা! বড় মেয়ার (আমার শশুড়কে গ্রামের সবাই বড় মিঞা’ বলে সম্বোধন করতেন/ করেন এখনো। আজিজ বড় মিঞা।) মোগো বাড়ি আইবে বা মোগো বাড়ি আনতেআরমু, এয়া ভাবজি কোনোসময়?’ আমি অবাক হতাম। এমন কইরা কয় ক্যা? আমি কি হাতি না ডাইনোসর? তো যাই হোক, যে কথা বলছিলাম! আচ্ছা- কি যেন বলছিলাম?…………………………. দাঁড়ান একটু উপর থেকে আবার লেখা পড়ে আসি………….. . ওহ্.. হ্যাঁ মনে পড়ছে। শেফালী বসলো আমাকে তাঁর শশুড় বাড়িতে কতটা ভালো আছে সে গল্প শোনাতে। সন্ধ্যার আগেই আমাকে ফিরতে হবে। কিছুতেই সহজে ছাড়বে না। অনেক বলে কয়ে বিদায় নিয়ে রাস্তায় বেড়োলাম। পিছু পিছু অনেকটা এগিয়ে দিলো পুরো একটা দল।
গ্রামের ভেতর দিয়ে মহাসড়কে উঠে এলাম, যাকে বলে বিশ্বরোড বা হাইওয়ে। একটা বহু পরিচিত স্কুল আছে ওখানে। ইছানীল স্কুল। ও পর্যন্ত আসতেই কোনো এক বাড়ির আঙিনা থেকে একজন বৃদ্ধা এগিয়ে এসে আমার পথরোধ করে দাঁড়ালেন। আমি থতমত!….. কপাল কুঁচকে তাকালাম ব্যাপার কি? চোখ মুখে সটান প্রশ্নঃ ‘ মনু, তুমি কি মৌজালী( মৌজে আলী সরদার) সরদারের নাতী? চানের ( আমার আব্বার নাম শামসুল ইসলাম চাঁদ) মাইয়া স্মৃতী? আমি কি জবাব দেবো এ প্রশ্নের? দাদা বাবা’দের নাম তো ঠিকঠাকই বললেন কিন্তু শেষে আমার নামটাতেই ঘাপলা? কিছু সময়ের জন্য হয়ত বিস্মৃত হয়ে গিয়েছিলাম। পরমুহুর্তেই আচুক্কা মনে পরছে……আরে!! আমার নামই তো সবাই স্মৃতী বলে জানতো! এটা সেই এলাকা, যেখানে এখনো অনেকেই বেঁচে আছেন মৌজে আলী সরদারের নাতী আর তাঁর বড় ছেলের মেয়েকে স্মৃতী নামেই চেনে।
তো যাই হোক—, বড় হতে হতে মজার মজার কত নাম থেকে যে উৎরে এসেছি তার ইয়ত্তা নেই। বহু পর্যায় ভেঙে ভেঙে বহু নাম পাওয়াও ইতিহাসের সামিল। বন্ধুরা কেউ কখনো সুযোগ পায়নি কোনোরকম ব্যাঙ্গাত্বক নাম দেবার। মামা বাড়ি জন্ম আমার। ছোট মামা নাম দিয়েছিলেন শিমুল। তারাও অনেক বছর এ নামেই সম্বোধন করতেন। তারপর সব ভুলে গেছে। বিয়ের পরে কত নাম পেয়ে যাই এমনিতেই, শাশুড়ির ডাক, বউ, দেবর ননদদের ভাবি,ননসের ছেলে মেয়ের মামি, দেবরদের বিয়ের পরে তাঁদের বাচ্চাদের বড় মা, চাচাতো ভাই বোনদের বড় আপু, বুজি। এসব নাম নয়, আমিও জানি, এসব ডাক, সম্পর্কের ডাক / সম্বোধন।
ভালবাসা বা আদরে আমরা প্রিয়জনদের কত নামে ডাকি। তেমনি সোনেলায় ভর্তি হয়ে নিজের নাম লেখাবার পরে এখানেও পেয়েছি এরকম অনেককে। তবে সেই কাহিনীতেই আসি এবার–>>>>
আইডি খোলার পরেও ব্লগে ইন করতে পারিনি বহুদিন। গ্রুপে টুকটাক লেখা ওয়াল থেকে শেয়ার দেই। একদিনের শেয়ারকৃত লেখা পড়া বা লিংক ওপেন না হওয়াতে ব্লগার সাবিনা ইয়াসমিন মন্তব্যের ঘরে জানতে চাইলেন কারন কি? আমি কারন বলবো কি ঘন্টা? কিছু বুঝিইনা! কি দিয়ে কি হয় না হয়! কি ভেবে বললাম, আপনি আমার ওয়াল থেকে পড়ে দেখতে পারেন। তিনি আমার ফ্রেন্ড লিষ্টে যুক্ত হলেন। আমাদের কথা হয়নি তখনো কোনোরকম। একটা ছবিতে মন্তব্য করায় তিনি রিপ্লাই দিলেন……’ কোনো নতুন গল্পের শিরোনাম? ‘ -না, আপনার ছবিটা দেখে ক্যাপসন দিলাম।
— আপনাকে যেটা করতে বলেছিলাম করেছেন?
: আমি আসলে মোবাইল সম্পর্কে এত আপটুডেট না। অনেক কিছুই বুঝি না।
– আচ্ছা, আমি আপনাকে বুঝিয়ে দিচ্ছি।
তিনি অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে ব্রিলিয়ান্ট মাস্টারনীর মতো আমাকে শেখালেন।আরেকদিন আবার বললেন, – আপনার লেখাগুলো ব্লগে দিচ্ছেন না কেন?
: কি না কি লিখি! কিছু হয় কিনা তাই বুঝি না!
–ব্লগে দিলেই বুঝবেন কি হয় না হয়।আপনার আইডি করা নেই?
: আমি ব্লগে ইন করতেই তো পারছি না!
–জিসান সাহেবকে বলুন, শিখিয়ে দেবে।
জিসান সাহেবও ধৈর্য ধরে শিখিয়ে দিলেন। তারপরে ব্লগইন করলাম। সহজে লেখা দেইনা। লেখা পড়ি, মোটামুটি রকম মন্তব্য করার সাহস করি। অনেক পরে কথকতা নিয়ে ব্লগার হয়ে লেখায় প্রবেশ। তখন কয়েকজন ব্লগার ছিলেন যারা ব্লগের মধ্যমনি পরিচয় ধারন করতেন। সাবিনা ইয়াসমিনের কোনো এক পোষ্টে সাবিনাকে ভালবেসে উপাধি মূলক নামে সম্বোধন করলেন। ওই নামটাতে চোখ আটকে গেলো আমার। কি মনে হলো কে জানে? ওখানে টপকে পড়লাম, সাবিনাকে উদ্দেশ্য করে বললাম,’ আপনি ময়না?😊😊 আমাকেও কেউ এ নামে ডাকে। না বলে পারলাম না।’ সাবিনাও উত্তরে বলে উঠলেন ” তবে তো ভালোই হলো – আজ থেকে আপনি ময়না-১ আর আমি ময়না-২” আমরা আপনিতে রয়ে গেলাম বহুদিন। তারপর উপরে উঠে এলো আমাদের বন্ধুত্ব।
আমরা আজো কেউ কাউকে চামরা চোক্ষে দেখিনাই। আমরা কেউ কারো কন্ঠস্বরও শুনিনাই। আমরা খুব বেশি ইনবক্স মেসেঞ্জারে টিকটকও করিনা।
তবু আমরা খুব ভালবাসার দুই ময়না।এই ব্লগবাসী গত একবছর এগারো মাস সতের দিন ধরে আমাদের এই দুই ময়নার ময়না কাহিনী দেখে আসছে। নামকরনের উতপত্তি জানতো না।
আজ আড্ডাচ্ছলে জানিয়ে গেলাম।এবার আপনারা যে যার এরকম ভালবাসায় পাওয়া বা বন্ধুদের থেকে পাওয়া কোনো মজার নাম কথন নিয়ে মন্তব্যে চলে আসুন। আগামী দু’দিন ধরে চলুক এই নামকথনের আড্ডা।
কি বলেন প্রিয় ব্লগবাসী????
* ছবি নেট থেকে।
৩৫টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
আড্ডায় ঠায় দাড়িয়ে অপেক্ষায়। আবার আসিব ফিরে…..
বন্যা লিপি
ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকা তো যাবে না মজিবরদা, বলেছি মন্তব্যে বলে ফেলুন এরকম ছোটখাটো নামের ইতিহাস।
মোঃ মজিবর রহমান
প্রেমের কল্যানে নতুন নামগ গজায় বোন।
সুন্দর উপস্থাপন আপি।
নামের নাম করনে যুগে হাজির দেখি গুড্ডু মামারা কে কি ভাবে আসে।
বন্যা লিপি
প্রেম আপনি কি একক কেন্দ্রে দেখছেন দাদা? তাহলে সেটা অবশ্যই, গোপনীয় এখনো।ভালবাসা সার্বজনীন প্রেম। অন্তত আমার ব্যাখ্যায়। আমি আমার বাচ্চাদেরও ছোটবেলায় একেকজনরে একেক নামে ডাকতাম।আমার ছোট কাজিন ভাইবোনদেরও একেকজনকে একেক নামে ডাকি। না হয় বলেই ফেলুন ভাবি আপনারে কি নামে ডাকে?
সুপর্ণা ফাল্গুনী
নাম নিয়ে মজার মজার ঘটনা পড়লাম। আপনার আর সাবিনা আপুর বন্ধুত্ব দারুন জমেছে নাম নিয়ে। চোখে না দেখলেও কত সুন্দর বন্ধুত্ব হয়। আপনাদের দুজনের জন্যই শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকবেন সবসময়
বন্যা লিপি
ভালো থাকবেন বলে চলে গেলে হবে কেন? আপনারও কোনো নাম থাকলে এখানে বলুন। এটা আড্ডা। তো চলুক না আড্ডা!
প্রদীপ চক্রবর্তী
কী দারুণ বন্ধুত্ব।
ময়না নামটাও অনেক সুন্দর দিদি।
.
শুভকামনা রইলো…!
বন্যা লিপি
আলসেমী ছাড়ো প্রদীপ। আড্ডায় বলে ফেলো এমন কোনো নামের ইতিহাস।
ইঞ্জা
আপু আসছিইইইই
ইঞ্জা
বাহ ময়না 1 আর ময়না 2 নামের মহত্ব বুঝলাম আপু, এই যে নামের বিষয়টি প্রথম আমিই এনেছিলাম ব্লগে কয়েক মাস আগে, আমাকে কেন ইঞ্জা ডাকে, আব্বা কেন বল্লম ডাকতো এইসব নিয়েই আমার লেখা অবতারণা, এরপর লিখলেন জিসান ভাইজান, এরপর লিখলেন তৌহিদ ভাই, আজ লিখলেন আমার প্রিয় বোন, জগতের ভাতিজি 😜।
খুব ভালো লাগলো আপু, আপনি সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজ লেখা দিলেন, আশা করি অন্যরাও আপনার দেখাদেখি নাম বিষয়ক লেখা দেবেন।
ধন্যবাদ আপু।
বন্যা লিপি
জগতের ভাতিজি😊 ওরে রে আবার প্রিয় আপু😁 মজার ব্যাপার কি জানেন? আমার পাঁচ নম্বর চাচি সম্পর্কে আমার আবার ঘুরানো পেচানো খালাত বোন। যখনই কোনো আন সেন্সর্ডটাইপ কথাবার্তা বলার দরকার মনে হয়, আগেই বলে বসে- দেখো লিপি, এখন তুমি খালাতো বইন, এহন ভাসুর কন্যা না😆 পরিবারের বড় মেয়ে বলে আমার সব চাচি আমার বন্ধুর মতো। চাচি মনে হয় কেবল একজনরে,মেজো চাচি, তাও সব বিষয়ে আলাপ আলোচনা মায়ের চেয়ে মেজো চাচির সাথে বেশি হয় বা হতো। বাবা মায়ের কাছ থেকে কখনো কোনোরকম উপাধি মূলক নাম পাইনি। আমার আরো এক বান্ধবি আমাকে আগে থেকেই ময়না ডাকে। তারও আগে থেকে ময়না আরো একজন ডাকে😊…..সেইটা টপ সিক্রেট থাকুক😊😊😊😊
ইঞ্জা
আসলে এমনই হয় আপু, নিজের এলাকার মধ্যেই যদি আত্মীয়সজন থাকে, তাহলে সম্পর্ক গুলো হয় ছ্যাড়াব্যাড়া টাইপের, ময়না নামটা কিন্তু সেই রকমই।
বন্যা লিপি
আসেন ভাইজান, জমুকনা আড্ডা!
ইঞ্জা
আছি আপু
আলমগীর সরকার লিটন
না ভাল ও বাস্তবতার ছুঁয়েছেন লিপি আপু
বন্যা লিপি
বাস্তবতায় ছুঁয়েছি মানে? সবই তো বাস্তব লিটন ভাই!
সুরাইয়া নার্গিস
লেখাটা বেশ ভালো লাগলো বড় আপু। ময়না নামটা শুনছিলাম জিসান ভাইয়ার মুখে আজ তার উৎপত্তিস্থল জানলাম।
দোয়া রইল মিষ্টি আপু সাবিনা ইয়াসমিন, বড় আপু বন্যা লিপির দুজনের জন্য, এমন বন্ধুত্ব বেঁচে থাক যুগযুগ ধরে।
বন্যা লিপি
এই যে দিলেন তো আপনিও বড় আপু বানাইয়া😊 বেশ তো! এখন তাইলে বড় আপুই সই। বড় আপুরা ছোটবোনদের আপনি করে বলে না। আমিও বলি না। আজ থেকে সুরু-২ হলো তো?
শুভ কামনা।💕💕
তৌহিদ
নাম কাহিনী জেনে ভালো লাগলো আপু। ইঞ্জা ভাইয়ের লেখার ধারাবাহকতায় আপনিও আপনার জীবনের গল্পে নাম কাহিনী লিখে ইঞ্জাভাই সহ সোনেলাকে সম্মানিত করলেন। আপনার এ ভাবনাকে স্যালুট জানাই।
আপনার এবং সাবিনা আপুর জন্য শুভকামনা সবসময়। ভালো থাকুন আপু।
বন্যা লিপি
সেদিনকার জিসান সাহেবের স্টাটাসের পরই মনে হলো এমন লেখা লিখতে। এলোমেলো ভাবে লিখে ফেললাম। ধন্যবাদ সহ শুভেচ্ছা আপনাকে।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
সুন্দর আর প্রাণবন্ত লেখা। নাম কথন —ভালবাসা বা আদরে আমরা প্রিয়জনদের কত নামে ডাকি। তেমনি সোনেলায় ভর্তি হয়ে নিজের নাম লেখাবার পরে এখানেও পেয়েছি এরকম অনেককে।
শুভ কামনা রইলো।
বন্যা লিপি
ধন্যবাদ আপনাকে।
জিসান শা ইকরাম
সারাদিন একটি গ্রামে কাটিয়ে বাসায় ফিরলাম কিছুক্ষন আগে। মিলাদ এ গিয়েছিলাম। ক্লান্তিতে শেষ। এরপর চোখের পুরাতন সমস্যা ফিরে এসেছে। রাতে মোবাইল বা ল্যাপটপের দিকে তাকাতে পারিনা।
ক্যামনে আড্ডা দেই!!!
বন্যা লিপি
আহারে! চোখের যত্ন বেশি জরুরী।
সাবিনা ইয়াসমিন
তোমার স্মৃতি নামটা আমার বেশ পছন্দ হয়েছে।
সব গুলো নামের সাথেই তোমার কাজ কর্মের মিল খুঁজে পাই।
বন্যা -প্লাবন, যখন অবিরত ভালোবেসে যাও তখন আমরাও প্লাবিত হই
লিপি- অক্ষর, অক্ষর নিয়ে তুমি যেভাবে খেলো, একটার সাথে আরেকটা মিলিয়ে অক্ষরের শোভা বাড়িয়ে তোলো তখন মনে হয়, তোমার লিপি নামটাই সার্থক!
শিমুল- শিমুলের মতোই রঙ মাখানো তোমার উপস্থাপন। হয়তো দেখতেও তেমন লাল টুকটুককে। ( স্বচক্ষে দেখিনি তাই *হয়তো* উল্লেখিত)
স্মৃতি – অতীতের কথা জড়িয়ে, ছড়িয়ে মেলে দিবে বলেই হয়তো আগেভাগেই তোমার নাম স্মৃতি রাখা হয়েছিলো।
ময়না – আবৃত্তি শুনেছি, ময়নার মতোই কন্ঠ তোমার। শুধু পারমিশন ছিলো না বলে আবৃত্তি আমার ইনবক্সেই
আটকে আছে।
ভালো থেকো, যেখানেই থাকি মনে রেখো।
অনন্ত ভালোবাসা তোমাকে ❤❤❤❤
বন্যা লিপি
তোমার শেষ লাইনটা মন ভেঙে দিলো। তবু বললে না, আমাদের দেখা হবে ইনশাল্লাহ্ এ যাত্রা বেঁচে যদি যাই।
স্মৃতী নামটা রাখা হয়েছিলো যে কারনে, সেটা কিন্তু জিসান ইকরাম এক পোষ্টে উল্লেখ করেছেন! আমি যদি বেঁচে থাকি আগামীতে কোনো একদিন আমার মতো করে লিখবো বলে নিয়ত আছে।
মোটেই ভুল ধারনা নিয়ে থেকো না। মোটেই শিমুলের মতো দেখতে নই।
আর কন্ঠ? ওইটারে তোমার ময়নার কন্ঠ বলে মনে হয়েছে😃😃😃ময়নার কন্ঠ কিন্তু ভীষণ বাজে😊😊
লিপি নামটা রেখেছিলেন আমার সেজো চাচা। বন্যা রেখেছিলেন আব্বা। বুঝলে এবার, এই একজীবনে কত কতজনার দেয়া নাম পেয়েছি আমি?
ভালো থেকো ভালবাসায়💕💕💕💕
নিতাই বাবু
ময়না নামটা খুবই সুন্দর! তবে আপনার ভাতিজিকে নিয়ে নদী পড় হয়ে বেড়াতে গিয়ে যেই ভাষার সম্মুখীন হয়েছেন, সেই ভাষা তো মনে খাঁটি বরিশাইল্লা ভাষা। তাহলে আপনি কি বরিশালের মেয়ে? মন্তব্যে জানাবেন। পরে হয়তো আবার আসা যাবে।
বন্যা লিপি
আঃ…… এতদিন পর এইটা জিজ্ঞাসিলেন দাদা? মুই, জিসান সাইবে, হেলাল সাইবে কোন দেশি মানু হেইয়াই জানলেন না এত্তদিনে? মোরা এক্কালে খাঁডি বরিশাইল্লা😆😆
নিতাই বাবু
ওরে মোর আল্লা, মুই কি আর এত্ত তলের খবর লইছি? মুই তো জানতাম ডাকাইয়া। তয় হুইন্নে লন, মুই কইলাম নোয়াখাইল্লা।
আরজু মুক্তা
এখন দুই ময়না কথা বলতেই থাকেন। আমরা শুনি
বন্যা লিপি
ওয়া কইলেন কি ফু’আম্মা? মোরা মোগো মতো কতা তো কইতেই আছি! হোনেন নাই😊???
জিসান শা ইকরাম
শিমুল নামটা জানতাম আগে, এই প্রথম জানলাম।
ইছানীল এলাকায় পুরানো যারা বেঁচে আছেন, তারা এখনো স্মৃতি নামেই জানে তোমাকে। কয়েকদিন আগে বেশ বয়স্ক একজন জিজ্ঞেস করলেন তোমার কথা।
ময়না এক দুই নামের শানে নজুল তাহলে এই? জানলাম ইতিহাস। সাবিনা ম্যাডাম ব্লগের বিষয়ে খুব ভালো বুঝাতে পারেন।
চোখ নিয়ে খুব সমস্যায় আছি। দোয়া করো।
এত বড় পোস্ট মোবাইলে কিভাবে লেখো! ভাবলেই মাথা ধরে।
পোস্ট খুব ভালো হয়েছে।
শুভ কামনা।
বন্যা লিপি
শিমুল দুদন মামা দিয়েছিলো। বিয়ের আগ পর্যন্ত ওই নামে প্রায় সম্বোধন করতেন। মাঝে মাঝে যখন খুব কম হলেও ঝালকাঠি আসতেন! মামা বলতেন, তোমার নাম আমি রেখেছিলাম শিমুল, তুমি কি তা জানো? মামাটা একটু অন্যরকম ছিলো তো!
চোখের যত্ন নেবেন। অবহেলা চলবে না।
সর্বাত্মক ভালো থাকবেন।
ওহ্ হ্যাঁ কি যেন বললেন? মোবাইলে যখন তখন ব্লগ পেইজে বড় পোষ্ট লিখতে সমস্যা হয়না তো! এ লেখা আগে কপি করে পেষ্ট করিনি। সরাসরি যখন তখন লিখেছি রাত দুইটার পরে।😊😊😊
রোকসানা খন্দকার রুকু।
আসসালামুয়ালাইকুম আপু। ভালো লাগলো।সবার লেখা টুকটাক পড়ছি।জবাবও ছোট ছোট। কিন্ত একটা জিনিস খুব ললক্ষনীয়। ভালোবাসা সব তো সাবিনা সাবিনা সাবিনা।তাকে কাছ থেকে দেখতে ইচ্ছে করছে।আসলে কেমন হলে এত ভালোবাসা পাওয়া যায়!!!!!!!!
বন্যা লিপি
ওয়ালাইকুম আসসালাম রুকু আপু।
এই প্রথম বোধহয় মন্তব্যে কাউকে সালাম দিতে দেখলাম। বিষয়টা ভীষণ ভালো লাগলো। আপনাকে নতুন দেখছি এই উঠোনে। গ্রুপে আপনি বেশ সক্রিয় সেটা কিছুদিন ধরে খেয়াল করছি আমি। আইডি একেবারেই নতুন করে ইন করেছেন বোঝা যাচ্ছে।
এবার বলি, সাবিনা সাবিনা কেন করছি এত। সাবিনা এবং আমার এই ব্লগে প্রবেশ বলতে গেলে একই সময়ে। আর সাবিনা প্রচন্ড সাহায্য করেছে/ করছে অসম্ভব ধৈর্যের সাথে ব্লগীয় সবরকম ব্যাপারে। কেমনে কেমনে জানি আমরা গভীর বন্ধুত্বে জড়িয়ে গেছি। কি লাগে এমন ভালবাসতে তাতো আমিও জানিনারে আপু? জানলে কমুনে আপনারে😊😊
খুব ভালো থাকবেন।
শুভ কামনা।