সেইসব দিন গুলি আসলে কেউ ভুলতে পারেনা যেমন আমিও ভুলিনি, ঈদের দিন সকালে বড়দের সাথে নামাজে যেতাম, নামাজ শেষে বাসায় এসেই তাড়াহুড়ো করে নতুন জামা কাপড় পড়ার ধুম, আম্মা গায়ে পারফিউম ছড়িয়ে দিতো গায়ে, সারা মুখে পাউডার মেখে দিতো এরপর আম্মা আব্বাকে সালাম করে আম্মার কাছে যথারীতি সেলামি আদায় পূর্বক ছোট খাল্লাম্মার সাথে নানার বাড়ী চলে যেতাম কারণ আমার ছোট নানা আমাদের সবাইকে নিয়ে দল বেঁধে বেবি টেক্সিতে করে বেড়াতে নিয়ে যাবে, নানার বাড়ীতে নেমেই হয়ে যেতান রাজা, স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াতাম, দোকান থেকে কিনে নিতাম রঙবেরঙের প্লাস্টিকের চশমা আর বেলুন বাঁশি, আমার পছন্দ ছিলো লাল রঙের চশমা আর তা চোখের উপর দিয়েই উপরে নিচে তাকাতাম, এমন ভাবে হাটতাম যেন আমি নিজেই একটা কিছু, বেলুন বাঁশি বাজিয়ে বাকিদের কান ফাটাতাম বেঁ বুঁ করে এরপর দল বেঁধে রওনা হতাম কয়েকটি বেবি টেক্সি নিয়ে বিভিন্ন আত্বীয়র বাসায়, সবাই দল বেঁধে লাইন দিয়ে সালাম করতাম আর ঈদি নিতাম, তখনকার সময় সেলামি দিতো পাঁচ থেকে দশ টাকা আর বেশি হলে বিশ টাকা আর সেই টাকা দিয়ে আমরা কিনে খেতাম আচার, কটকটি (মিষ্টি জাতিয়), বরফের আইস্ক্রিম আর এগুলো খেয়েই সেমাই সিড়নি খাওয়া আর হতোনা, দুপুরে চলে যেতাম আমার মেঝ খালার বাসায় যেখানে দুপুরের খাওয়া অবশ্যই হতো, বিভিন্ন পদের পোলাও, গরু, মুরগি, গরু কলিজা, ফেফরা সহযোগে রান্না আর খাসীর কোরমা ইত্যাদি খেয়ে এরপর আবার বিভিন্ন বাড়ী বাড়ী যাওয়া হতো। তখনকার সময় বেশ মজা আর আনন্দ নিয়ে আমরা ঈদ উদযাপন করতাম যা এখন শহুরে জীবনে প্রায় দেখায় যায়না, সবাই আছে নিজকে নিয়ে, এখন সবাই আলাদা আলাদা ঘুরেফিরে আগের মত দল বেঁধে নয় কিন্তু ঈদের মজা আসলে সবাই মিলে হয় আলাদা ভাবে নয় তা এখন কেই বা বুঝে।

বন্ধুরা আসুননা দল বেঁধে ঘুরি আর ঈদের আনন্দকে মহিমান্বিত করি, উপভোগ্য করে তুলি এই উৎসবকে।

ঈদ মুবারাক।।

0 Shares

১৭টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ