নানা বাড়ি

চাটিগাঁ থেকে বাহার ১৫ অক্টোবর ২০১৯, মঙ্গলবার, ০৮:০৮:৪৮অপরাহ্ন কবিতা ১৯ মন্তব্য

নানা বাড়ি

শোকনা জমিনে নাড়া মাড়িয়ে যাচ্ছি নানার বাড়ি
সেকালে যেতাম স্কুল পালিয়ে পড়ালেখা সব ছাড়ি।
নানী বলতেন ভাত যে খাবি চাল এনেছিস চাল,
নানীর কথায় অভিমান করে ফুলাতাম আমি গাল।
বাইন্না পুকুরে বটের শিখড়ে বসে থাকত নানা
দুপুরের পর নামাজ পড়ে খেতে আসত খানা।
আমারে দেখে নানার মুখে ফুটত ফুলের হাসি
পুকুরের বড় মাছটি ধরত পাইলে জবাইত খাঁসী।

নানার ছিল দুটি ঘোড়া সৌখিন ছিলেন বটে
মিয়াজান বলীর ছেলে ছিলেন দশগ্রাম রটে।
আরব থেকে মুসাফির এসে নানার ঘরে থাকত
দশ গ্রামের হাদিয়া নিয়ে আরব দেশ ফিরত।
নানা ছিলেন দাদার বন্ধু উভয়ের ছিল ঘোড়া
দাদার ভগ্নী নানাকে দিয়ে কুটুম্ব করেছিল থোঁড়া।

আমার বাড়ির অদুরে রাস্তায় হেটে বাজারে যেত নানা
ফিরবার কালে দাঁড়াতাম নানায় প্যাকেটে আনত খানা।
নানার যেন মুখস্থ ছিল নাতীরা সদলে দাঁড়াবে পথে
কোনদিন খালি ফিরত না নানা নাস্তা না নিয়ে হাতে।
আমার নানার মতন নানা কারো ছিলো না কারো
নানা হারিয়ে গেলেন যখন আমার বয়স বারো।

0 Shares

১৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ