-স্যার,আমি তরমুজ বেইচা আপনাগো সব ট্যাকা দিয়া দিমু।খালি আমারে আর পনরোটা দিন সময় দেন,
-তোর গত এক মাসের কিস্তি বাকি। অফিস থেইকা অর্ডার আছে তোর ঘর বেইচা হৈলেও ট্যাকা নিয়া নেওয়ার।
-স্যার!এমুন পাষান ঐয়েন না।আমি আমনের পায়ে পড়ি। আমি আম্নেগো কাছ থেইকা কিস্তি নিছি শুধু এই তরমুজের লাইগা। ফসল বেইচা ই আম্নেগো ট্যাকা আমি দিয়া দিমু।
-আমার পায়ে ধরি কোন লাভ অইবো না।আর কুনু কথা নাই। কাইলকার ভিতর তুই কিস্তির ট্যাকা না দিলে আমরা তোর ঘরবাড়ি ভাইঙ্গা নিয়া যামু,ঐ চল ...
রফিক নিশ্চল হয়ে বসে থাকে।এখন তরমুজ বিক্রি করলে ফড়িয়া দিবে মাত্র ৫০-৬০ হাজার টাকা। ব্যাঙ্ককে দিয়েছে ৩৬ হাজার টাকা। তিন মাসের হাড় ভাঙ্গা খাটুনির দাম মাত্র ১৪হাজার টাকা!!! আর পনেরো দিন বাদে নিজে বেচলে পাবে এক লাখ টাকার মতো। রফিকের চোখ থেকে টপ টপ করে পানি পড়তে থাকে। সে আস্তে আস্তে বাজারের দিকে এগিয়ে যায় ফড়িয়াকে নিয়ে আসতে। তার ঘরবাড়ি যে বাঁচাতে হবে!!!
(এই ঘটনাটা গত পরশু আমাদের ধানক্ষেতে কাজ করতে আসা এক শ্রমিকের। তার লাভটুকু গরীবের রক্তচোষা এনজিও নামের নব্য মহাজনেরা খেয়ে নিয়েছে। দুই কানি জমির মালিক হয়েও শুধু আগামি বর্ষায় পরিবারকে বাঁচাতে সে নোয়াখালীর এই পাশে কাজ করতে এসেছে।)
Thumbnails managed by ThumbPress
১০টি মন্তব্য
সীমান্ত উন্মাদ
এরমকটাই হচ্ছে সবখানে। কৃষকদের জন্য আসলে সরকার বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় কতটা ভাবে তাও সব সময়ই একটা প্রশ্ন। আর নব্য মহাজন ক্ষেত এই এনজিও গুলো গরিব কৃষকের রক্তচোষা আজব প্রানি হিসেবে আপতিত হচ্ছে খুব বেশি।
হোমায়রা জাহান হিমু
গরিবের রক্ত চুষে খেয়ে তো তারা তিরস্কৃত হচ্ছে না,উপরন্তু তারা কেউ নোবেল পাচ্ছে,কেউ স্যার উপাধি পাচ্ছে।এইরকম হলে তারা কিভাবে ভুল বুঝবে?
বনলতা সেন
বাস্তবতা এমন কঠিন ।কৃষক তার উৎপাদনের সঠিক মূল্য পায় না ।
আপনি আগের লেখায় আমি সহ অন্যদের করা মন্তব্যের উত্তর দেন নি ।
একজন মন্তব্যকারী তার মন্তব্যের উত্তর আশা করে এবং আপনি অন্যের লেখা পড়ে মতামত দিবেন তাও আশা করে ।
হোমায়রা জাহান হিমু
দুঃখিত,নেট প্রবলেমের কারনে কালকে আসতেই পারি নি।
খসড়া
বল দি ঘোরে গাড়ির চাক্কা
নারীর চাক্কা স্বামী
আইনের চাক্কা আমারে দেহাও
সে চাক্কা ঘুরামু আমি।
জিসান শা ইকরাম
এরা বেনিয়া মহাজন
এনজিও সহায়তার জন্য আসেনা
আসে রক্ত চোষক হয়ে ।
হোমায়রা জাহান হিমু
এরা হলো জোকঁ,যারা শুধু চুষে নিজের পেট ভরানো ছাড়া আর কিছু ভাবে না।
প্রহেলিকা
এমন লেখাগুলো আসলে মনের মাঝে নিজের প্রতি ঘৃনার জন্ম দেয় আমরা পড়েই শুধু যেতে পেরি কিন্তু এর বেশি আমাদের আর কিছুই করার থাকে না। এমন লিখতে আমি জানি না আসলে কিভাবে মন্তব্য করতে হয়। তারপরও আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সবার চোখের সামনে তুলে ধরার জন্য লিখে যান।
হোমায়রা জাহান হিমু
ধন্যবাদ
হিপনোটক্সিক ইরেকটাস
এটা আসলে একটা চেইনের মতো হয়ে গেছে । আমি, আপনি, আপনারা সবাই নিজেদের আষ্টেপিষ্টে বেঁধে ফেলেছি কিংবা বাঁধা পড়ে গেছি এই চেইনে। কিছু দীর্ঘশ্বাস আর কিছুটা সময় নিথর চিন্তায় নিমগ্ন হয়ে শেষে হতাশার হাসি দেয়া ছাড়া আর কিছুই করবার নেই আমাদের।