নববধূর করুন কান্না

সঞ্জয় মালাকার ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, ০৬:২৮:২৩অপরাহ্ন কবিতা ১৬ মন্তব্য

সমাজে ঘটে যাওয়া কিছু বাস্তব কথা,
কিছু কলঙ্কের কথা,
তবে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, কিছু অশ্লীল ভাষায় লিখার জন্য।

নববধূর করুন কান্না,,

জীবন কথা লিখতে লিখতে আমি এখন ব্যর্থ,
অর্থহীন শূন্যতা, আমার কাছে ধন্য!
জীবন কথা লিখতে লিখতে জীবন চায় মুক্তি
মাতৃধর্ম- পিতৃ কর্ম - আমার কাছে অন্ধ।

লিখতে বসে সংসার নিয়ে - সমাজ তুলে কথা,
সংসার আর সমাজ দেখি কলঙ্কে গাঁথা
একি স্রোতয় গাঁথা দুজন - দুইজন 'ই তো মিথ্যা।

  1. সংসার চোখে নিত্য দেখে নববধূর কান্না,
    শ্বশুর ভাসুর অনিয়মে, নিত্য ধরে বায়না!
    ননদী বলে বৌদি ভালানা,স্বভাব কেমন কালা,
    শাশুড়ি বলে আবার বউয়ের বড় জ্বালা।

নববধূর কান্না শুনে পড়শীর আনা গুনা, বৌয়ের ভাসুর বৌয়ের সাথে মিটায় যৌবন জ্বালা!
ভাসুর শুধু কথায় পেচায়, শ্বশুর দেয় গালি,
শাশুড়ী বলে বৌ লেগে থাকো, তোমার স্বামী নেই তো এখন বাড়ি।

ব্যথার ছুটে নববধূর বুক ভাসে চোখের জলে
বললো শেষে স্বামীর কাছে, কলঙ্কিনী সেজে।
স্বামী শুনে বললো শেষে কি বলছ তুমি
ছয় বর্ষর পরে এখন বলছ কেনো তুমি।
আগে কখনো বিল নিতো এই কলঙ্কের কথা
নিঃস্ব হয়ে বলছ এখন মিটিয়ে যৌবন জ্বালা।

পায়নি স্হান নববধূ, স্বামীর চরণ তলে,
পায়ে ধরে বললো শেষে ক্ষমা করো মোরে
তিন বর্ষরের মেয়ে আমার, সব গুলো ব্যথা বুলায়।

বৌ,

শুনো স্বামী বলছি আমি কেউ শুনেনা কান্না
ইচ্ছে করে মিটাই নিতো আমার যৌবন জ্বালা,
বলছি তোমার পিতার কাছে, বলছি মায়ের কাছে,
দুই জনইতো বলছে আমায় না বলতে তোমাকে।
আমি ছিলা বুকা, তাদের কথায় না বলিয়া
সয়েছি গো ব্যথা।

সব শেষে বলছি তোমায়, লজ্জাদায়ক কথা
প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় করে রূপ নিলো স্বভাবে,
না বলিয়া পারলাম না তাই বলছি তোমার কাছে!
ভাসুর আমার পা ধরিয়া বললো মনে কথা
আমি তখন চোখের জলে মৃত্যু করি আশা,
কথা শেষ ভাসুর তখন, নিলো দেহের স্বাদ,
স্বাদ পাইয়া ভাব ধরিলো পরের দুই রাত-
রাত শেষে দিনের আলোয় নিলো দেহের স্বাদ।

সব খুলিয়া লজ্জা ভুলে, বলছি যখন শাশুড়ি মায়ের কাছে
মা শুনিয়া বললো শেষে কি আর করার আছে,
বললো আমায় বলো না গো তোমার স্বামীর কাছে।
না পারিলাম বলতে তোমায়, না পরিলা সইতে
সব কলঙ্ক বুকে চেপে মরছি ব্যথার দুঃখে।

দুই একদিন গেপ নিয়েছে,
বাঁকি সবদিন স্বাদ নিয়েছে আমার দেহে তোমার বড় ভাই,
আঙ্গুলের চাঁপ দাঁতের কামর কিত্তার মতো স্বাভাব!
তিন বর্ষরে মেয়ের গলায় দিলো যখন হাত-
বললো আমায় খুলতে কাপড়, না হলে মেয়ে হবে লাশ,
আমি তখন অশ্রু জলে দিয়ে দিলাম, তোমার স্বাদের ভাগ।
প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় করে চতুর্থ দিন এলো,
মেয়ের জীবন ভিক্ষা চাইলা আমায় ক্ষমা করো,
শুনলো না গো করুন কান্না ম মারলো হাতে থাপ্পড়,
পায়ে পড়ি হাতে ধরি, মিনতি করি বারবার
একের পর, এক করেছিলো আমার দেহে আহার।

ক্ষমা কর স্বামী আমায়, আমি এখন পাপি
ভাসুর শ্বশুর সবাই এখন এক হাতে দেয় তালি,
প্রথম তোমায় না বলিয়া ভুল করেছি আমি।

0 Shares

১৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ