
সমাজে ঘটে যাওয়া কিছু বাস্তব কথা,
কিছু কলঙ্কের কথা,
তবে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, কিছু অশ্লীল ভাষায় লিখার জন্য।
নববধূর করুন কান্না,,
জীবন কথা লিখতে লিখতে আমি এখন ব্যর্থ,
অর্থহীন শূন্যতা, আমার কাছে ধন্য!
জীবন কথা লিখতে লিখতে জীবন চায় মুক্তি
মাতৃধর্ম- পিতৃ কর্ম – আমার কাছে অন্ধ।
লিখতে বসে সংসার নিয়ে – সমাজ তুলে কথা,
সংসার আর সমাজ দেখি কলঙ্কে গাঁথা
একি স্রোতয় গাঁথা দুজন – দুইজন ‘ই তো মিথ্যা।
নববধূর কান্না শুনে পড়শীর আনা গুনা, বৌয়ের ভাসুর বৌয়ের সাথে মিটায় যৌবন জ্বালা!
ভাসুর শুধু কথায় পেচায়, শ্বশুর দেয় গালি,
শাশুড়ী বলে বৌ লেগে থাকো, তোমার স্বামী নেই তো এখন বাড়ি।
ব্যথার ছুটে নববধূর বুক ভাসে চোখের জলে
বললো শেষে স্বামীর কাছে, কলঙ্কিনী সেজে।
স্বামী শুনে বললো শেষে কি বলছ তুমি
ছয় বর্ষর পরে এখন বলছ কেনো তুমি।
আগে কখনো বিল নিতো এই কলঙ্কের কথা
নিঃস্ব হয়ে বলছ এখন মিটিয়ে যৌবন জ্বালা।
পায়নি স্হান নববধূ, স্বামীর চরণ তলে,
পায়ে ধরে বললো শেষে ক্ষমা করো মোরে
তিন বর্ষরের মেয়ে আমার, সব গুলো ব্যথা বুলায়।
বৌ,
শুনো স্বামী বলছি আমি কেউ শুনেনা কান্না
ইচ্ছে করে মিটাই নিতো আমার যৌবন জ্বালা,
বলছি তোমার পিতার কাছে, বলছি মায়ের কাছে,
দুই জনইতো বলছে আমায় না বলতে তোমাকে।
আমি ছিলা বুকা, তাদের কথায় না বলিয়া
সয়েছি গো ব্যথা।
সব শেষে বলছি তোমায়, লজ্জাদায়ক কথা
প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় করে রূপ নিলো স্বভাবে,
না বলিয়া পারলাম না তাই বলছি তোমার কাছে!
ভাসুর আমার পা ধরিয়া বললো মনে কথা
আমি তখন চোখের জলে মৃত্যু করি আশা,
কথা শেষ ভাসুর তখন, নিলো দেহের স্বাদ,
স্বাদ পাইয়া ভাব ধরিলো পরের দুই রাত-
রাত শেষে দিনের আলোয় নিলো দেহের স্বাদ।
সব খুলিয়া লজ্জা ভুলে, বলছি যখন শাশুড়ি মায়ের কাছে
মা শুনিয়া বললো শেষে কি আর করার আছে,
বললো আমায় বলো না গো তোমার স্বামীর কাছে।
না পারিলাম বলতে তোমায়, না পরিলা সইতে
সব কলঙ্ক বুকে চেপে মরছি ব্যথার দুঃখে।
দুই একদিন গেপ নিয়েছে,
বাঁকি সবদিন স্বাদ নিয়েছে আমার দেহে তোমার বড় ভাই,
আঙ্গুলের চাঁপ দাঁতের কামর কিত্তার মতো স্বাভাব!
তিন বর্ষরে মেয়ের গলায় দিলো যখন হাত-
বললো আমায় খুলতে কাপড়, না হলে মেয়ে হবে লাশ,
আমি তখন অশ্রু জলে দিয়ে দিলাম, তোমার স্বাদের ভাগ।
প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় করে চতুর্থ দিন এলো,
মেয়ের জীবন ভিক্ষা চাইলা আমায় ক্ষমা করো,
শুনলো না গো করুন কান্না ম মারলো হাতে থাপ্পড়,
পায়ে পড়ি হাতে ধরি, মিনতি করি বারবার
একের পর, এক করেছিলো আমার দেহে আহার।
ক্ষমা কর স্বামী আমায়, আমি এখন পাপি
ভাসুর শ্বশুর সবাই এখন এক হাতে দেয় তালি,
প্রথম তোমায় না বলিয়া ভুল করেছি আমি।
১৬টি মন্তব্য
নিতাই বাবু
মুগ্ধ হলাম!
সঞ্জয় মালাকার
ধন্যবাদ শ্রদ্ধে দাদা কেমন আছেন আপনি,
একুশের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা নিবেন।
ভাষা শহীদ সকল ভীরদের বিনম্রশ্রদ্ধা ও শ্রদ্ধা অঞ্জলি ।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা 🌹🌹
সুপায়ন বড়ুয়া
“ক্ষমা কর স্বামী আমায়, আমি এখন পাপি
ভাসুর শ্বশুর সবাই এখন এক হাতে দেয় তালি,
প্রথম তোমায় না বলিয়া ভুল করেছি আমি।“
সুন্দর তো শব্দ চয়ন।
শুভ কামনা।
সঞ্জয় মালাকার
ধন্যবাদ শ্রদ্ধে দাদা, সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধতা,
আপনিও ভালো থাকবেন সব সময় শুভ কামনা /
ফয়জুল মহী
অপূর্ব শব্দশৈলিতে চমৎকার সৃষ্টি
সঞ্জয় মালাকার
ধন্যবাদ দাদা পড়া জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,
ভালো থাকবেন সবসময় নিরন্তর কামনা।
শুভেচ্ছা জানাবে দাদা!
আরজু মুক্তা
ভালো লাগলো
সঞ্জয় মালাকার
ধন্যবাদ দিদি ভালো লাগা অফুরন্ত,
ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা 🌹🌹
হালিম নজরুল
“সংসার চোখে নিত্য দেখে নববধূর কান্না,
শ্বশুর ভাসুর অনুয়মে, নিত্য ধরে বায়না!
ননদী বলে বৌদি ভালানা,স্বভাব কেমন কালা,
শাশুড়ি বলে আবার বউয়ের বড় জ্বালা।”
—————চমৎকার
সঞ্জয় মালাকার
ধন্যবাদ শ্রদ্ধে দাদা,
মন্তব্যে একরাশ মুগ্ধতা ও ভালোবাসা
ভাল থাকুন সবসময় শুভ কামনা 🌹🌹
দালান জাহান
নারীর দুঃসহ জীবনচিত্র। খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই
সঞ্জয় মালাকার
ধন্যবাদ প্রিয় কবি, কৃতজ্ঞতা, মন্তব্যে মুগ্ধতা ও ভালোবাসা । ভালো থাকুন সবসময় নিরন্তর কামনারইল।
কামাল উদ্দিন
এমন ঘটনা ঘটা তো প্রায় অসম্ভব। আর ঘটতে চাইলে আগেই সবাইকে জানানো উচিৎ ছিলো।
সঞ্জয় মালাকার
দাদা এক সময় অসম্ভব ছিলো ছিলো পূর্ব পুরুষের আধিপত্য , কিন্তু বর্তমান সময় তেমন একটা অসম্ভব না ।
প্রতি দিন ঘটে যাওয়া স্বভাবের রূপ।
তবে স্ত্রী, স্বামীকে বলাটা প্রয়োজন ছিলো কিন্তু বলেনি।
সেজন্য তো সে-ওঅপরাধী।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধে দাদা ভালো থাকুন সব সময় নিরন্তর কামনা রইল।
ইসিয়াক
ভালো লাগলো ভাইয়া।
শুভকামনা।
সঞ্জয় মালাকার
ধন্যবাদ দাদা ভালো থাকুন সবসময় শুভ কামনা।