করোনায় আক্রান্ত পুরো পৃথিবী, হাতে গোনা কয়েকটি দেশ বাদে পুরো পৃথীবি এখন লকডাউন, বদলে গেছে এই বিশ্বের চরিত্র, মানুষ এখন বাঁচার তাগিদে ঘরে, হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলেছে সারা বিশ্ব, সব কিছুই থমকে গেছে করোনার ভয়াল রুপে, যানবাহন হিন রাস্তা, শিল্প কারখানার কালো ধোয়া নেই এখন আকাশে, সব কিছুই এখন বন্ধ, পৃথীবির অর্থনীতি এখন করোনার করালগ্রাসে, জানিনা কবে আবার সব সচল হবে?
করোনা আক্রান্ত বিশ্বকে বাঁচাতে ভ্যাকসিন আসতে এখনো বারো থেকে ষোলো মাস লাগবে, ততদিনে এই বিশ্ব ভ্রম্মান্ড এক তৃতীয়াংশ মানুষ করোনার কবলে হয়ত আক্রান্ত হবে, যার অনেকাংশ মারা যাবে।
কিন্তু লক্ষণীয় ভাবে বদলে গেছে আমাদের এই পৃথীবি, বায়ুদূষণ কমে গেছে উল্লেখযোগ্য হারে, ডলফিনরা ফিরে আসছে লোকালয়ের কাছাকাছি, আমেরিকার আকাশ এখন ৫০% দূষণমুক্ত, তদরুপ অন্যান্য দেশ গুলোর বায়ু দূষণ কমে গেছে, বায়মন্ডলে নাইট্রোজেনের মাত্রা কমতে শুরু করেছে, মেরুর বরফ গলা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
হয়ত এক বছর পর এই পৃথিবী ফিরে পাবে ৫০০ বছর আগের পৃথিবী, বদলে যাওয়া এই রূপ আমরা যারা বেঁচে থাকবো তারা উপভোগ করবে নতুন আরেক পৃথিবী
এখম বিশ্বের প্রায় দেশ থেকে রাতের আকাশের উজ্জ্বল রূপ দেখা যায়, যা কয়েক সপ্তাহ আগেও সম্ভব ছিলো না।
বিশুদ্ধ বায়ু প্রবাহ শুরু হয়ে গেছে, এই বায়ুতে থাকবেনা কোন রোগ বালাই, থাকবেনা ক্যানসার সহ বিভিন্ন রোগ ব্যাধি কমে যাওয়া শুরু হয়েছে।
ফিরে আসছে পরিযায়ী পাখিরা, বেড়ে যাবে মানুষের গড় আয়ু।
পত্র পল্লবের হাসিখুশি চেহেরা ফিরে আসছে, ধুলি দুষোরিত বায়ুমন্ডল ফিরে পাচ্ছে তার সেই পুরোনো রূপ।
কমে যাচ্ছে পৃথীবির উষ্ণতা, বদলে যাবে মানুষ, বন্ধ হবে গ্লোবাল ওয়ার্মিং।
হে মানুষ, করোনা তোমাদের জন্য অভিশাপ হতে পারে, কিন্তু পরিবেশের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে, এই পৃথ্বী তার প্রতিশোধ নিলো কিভাবে দেখো, দেখো তোমাদের অনাচার গুলো কিভাবে বন্ধ করে দিলো।
এভেবেই পৃথীবি তার প্রতিশোধ নিয়ে ফিরিয়ে আনছে তার পুরোনো রূপ।
কি চিন্তা করতে পারো নতুন পৃথীবিকে, ভাবতে পারো ভেঙ্গেচুরে যাওয়া সেই অর্থনীতির পুরনো রূপ?
আসছে, আসছে সে তার সেই পুরোনো রূপে।
কি বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে?
চেষ্টা করো বেঁচে থাকার, যদি বেঁচে যাও তাহলে এই নতুন পৃথীবি অপেক্ষা করছে তোমাকে স্বাদর সম্ভাষণ জানাতে।
বাঁচতে শিখো, বাঁচতে শিখাও, অপেক্ষা করো নতুন পৃথ্বীর রূপ আস্বাদন করতে।
সমাপ্ত।
ছবিঃ গুগল।
৩২টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসাধারণ লাগলো লেখাটি। আমি ও তাই বলি মানুষ এতটাই অমানবিক আর নোংরা হয়ে গেছিলো যে পৃথিবীকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে যার জ্বলন্ত প্রমাণ কিছুদিন আগের দাবানলের ঘটনা। তবুও তখন কিছুই থেমে যায়নি। শুধু পাতার পর পাতা লেখা হয়েছে, শেয়ার হয়েছে এতো টুকু ই। এক করোনা ই পারলো এই অনিয়ম অত্যাচারের বদলা নিতে। প্রকৃতি ও সময় সব ফিরিয়ে দেয় সৃষ্টিকর্তার ইশারায় তা আজ সারাবিশ্ব দেখলো। যারা বেঁচে থাকবে তারা পাবে এক নতুন পৃথিবী, নতুন জীবন। ধন্যবাদ আপনাকে। স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
ইঞ্জা
সত্যি তাই, পৃথীবি নিলো তার নিষ্টুর প্রতিশোধ, ফিরিয়ে দিচ্ছে তার অনন্য এক মতুন পৃথীবিকে, বেঁচে থাকলে নিশ্চয় সেই নতুন পৃথীবির বাসিন্দা হবো আমরা।
আপনাকেও শুভেচ্ছা আপু।
ফয়জুল মহী
নিজে সচেতন হই। অন্যকে সচেতন করি।
ইঞ্জা
অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে, বেঁচে থাকতে হবে আমাদেরকে।
জিসান শা ইকরাম
নতুন একটি ধারনার জন্ম নিল আমার মধ্যে আপনার এই লেখা পড়ে।
নতুন এক পৃথিবী দেখতে পাবো বেঁচে থাকলে।
আশা জাগানিয়া এমন পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
এ ধারণা নয় ভাইজান, বেঁচে থাকলে সত্যই এক অন্য এবং অনন্য পৃথীবি পাবো।
এখন শুধু আমাদের যুদ্ধ বেঁচে থাকার।
ধন্যবাদ।
সুরাইয়া পারভীন
অনবদ্য উপস্থাপন।
নতুন পৃথিবী অপেক্ষা করছে করোনার কবল থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষগুলোকে নতুন করে স্বাগতম জানাতে। নতুন পৃথিবীর বিশুদ্ধ বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পারবো কি না জানি না তবে ভীষণ ভাবে ইচ্ছে করছে।
ইঞ্জা
এখন আমাদের চেষ্টা থাকবে নিজেদের রক্ষা করা, করোনাকে পরাজিত করতে পারলেই সম্ভব হবে নতুন পৃথীবি দর্শন, আল্লাহ ভরসা।
ধন্যবাদ।
সুপায়ন বড়ুয়া
“বাঁচতে শিখো, বাঁচতে শিখাও,
অপেক্ষা করো নতুন পৃথ্বীর রূপ আস্বাদন করতে।”
আমরা আছি সেদিনের অপেক্ষায়
ভাল থাকবেন। শুভ কামনায়।
ইঞ্জা
নিজে বাঁচলেই পারবেন অন্যকে বাঁচাতে, নতুন পৃথীবির অপেক্ষায় আমরা, শুভকামনা দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
প্রকৃতি নিজের মত করে সাজে/সাজায়।
এটিই -ই হয়ত অলিখিত নিয়ম, এ নিয়ম কাউকে তোয়াক্কায় রাখে-না/থাকে-না।
ইঞ্জা
অতি সত্য বলেছেন ভাইজান, প্রকৃতি নিজেকে নিজের মতোই সাজায়।
ধন্যবাদ।
সুরাইয়া নার্গিস
চমৎকার লেখা পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা রইল ভাইয়া।
ইঞ্জা
আপনাদের ভালো লাগা মানেই আমি আনন্দিত, নিরন্তর ধন্যবাদ আপু।
প্রদীপ চক্রবর্তী
বাঁচতে শিখো, বাঁচতে শিখাও, অপেক্ষা করো নতুন পৃথ্বীর রূপ আস্বাদন করতে।
সেই দিনের অপেক্ষায়..
.
অন্যরকম লেখনী দাদা।
ভালো লাগলো।
ইঞ্জা
সত্যি আমি যখন নিউজ গুলোতে এমন খবর পাচ্ছিলাম, তখন মনে আশা জাগলো, ভাবলাম পৃথীবির সাথে শেয়ার করি।
ধন্যবাদ দাদা।
এস.জেড বাবু
প্রতিটি ধ্বংস এক একটি বিশাল পরিবর্তন এনে দেয়।
এক একটি স্থবিরতা সুবিশাল পরিবর্তন রেখে যায়।
একদিন এই মহামারী থেমে যাবে-
ততদিন যদি জীবনগুলো টিকে থাকে, তবে এই পরিবর্তনের সুফল তারা পাবে।
বিধাতা রক্ষা করুন-
আজকের পৃথিবী নতি-স্বীকার করতে শিখেছে।
আপনার লিখায় আশার আলো জ্বলে উঠলো যেন।
শুভকামনা।
ইঞ্জা
হাঁ ভাই অতি সত্য কথায় বলেছেন, আজকের পৃথীবি নতি স্বীকার করতে শিখেছে।
ধন্যবাদ অবিরত।
হালিম নজরুল
কিন্তু লক্ষণীয় ভাবে বদলে গেছে আমাদের এই পৃথীবি, বায়ুদূষণ কমে গেছে উল্লেখযোগ্য হারে, ডলফিনরা ফিরে আসছে লোকালয়ের কাছাকাছি, আমেরিকার আকাশ এখন ৫০% দূষণমুক্ত, তদরুপ অন্যান্য দেশ গুলোর বায়ু দূষণ কমে গেছে, বায়মন্ডলে নাইট্রোজেনের মাত্রা কমতে শুরু করেছে, মেরুর বরফ গলা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
হয়ত এক বছর পর এই পৃথিবী ফিরে পাবে ৫০০ বছর আগের পৃথিবী, বদলে যাওয়া এই রূপ আমরা যারা বেঁচে থাকবো তারা উপভোগ করবে নতুন আরেক পৃথিবী
——-চমৎকার
ইঞ্জা
সত্যি চমৎকার ভাই, এমন চমৎকার এই প্রকৃতিই পারে।
ধন্যবাদ।
তৌহিদ
করোনা আমাদের জন্য অনেক শিক্ষণীয় বিষয় সামনে নিয়ে এসেছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনযাপনের মান কিভাবে সুন্দর রাখা যায় তা করোনা শিখিয়ে দিয়েছে। সারা পৃথিবীব্যাপী কল-কারখানা বন্ধ থাকায় গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমে এসেছে। পৃথিবীর বাতাস এখন ধুলোবালি মুক্ত তবে করোনা মুক্ত পৃথিবী আমাদের সামনে অচিরেই এবং দ্রুত আসুক এটাই কাম্য। এমন একটি লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা।
কাভার ফটোটি খুব সুন্দর হয়েছে।
ইঞ্জা
সত্যি তাই, করোনা আমাদেরকে অনেক কিছুই শিখিয়েছে এবং শিখাচ্ছে, করোনা মুক্ত বিশ্ব দ্রুত ফিরে আসুক আমাদের জীবনে, সাথে সাথে এও চাই করোনার মতো যেন আর কিছু না আসে এই পৃথীবিতে, ধন্যবাদ ভাই।
তৌহিদ
ভালো থাকবেন দাদা।
ইঞ্জা
শুভকামনা ভাই।
রেজওয়ান
আক্ষরিক অর্থেই সকল প্রাণীই সুন্দর ও সুস্থ পৃথিবী আশা করে। অসাধারণ একটা লিখা ভাইজান🥰
ইঞ্জা
রেজওয়ান নিজেদের সেফ রেখো।
রেজওয়ান
জি ভাইজান। শুধুমাত্র কাঁচাবাজার করার জন্য বের হই। তাও মাস্ক গ্লাভস পরে। সেনিটাইজারও সাথে থাকে।
আপনারাও সাবধানে থাকবেন, ভাল থাকবেন❤
ইঞ্জা
গুড, খুশি হলাম, আমরাও সাবধানতা মেনে চলছি, দোয়া রাখবে।
রেহানা বীথি
আসুক নতুন পৃথিবী। আমরা না পারি, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন উপভোগ করতে পারে নতুন সেই পৃথিবীর রূপ-রস-গন্ধ।
ইঞ্জা
সত্যি তাই, কিন্তু মাত্র তো বছর খানেক, তাই আমাদের বাঁচতে হবে, নিশ্চয় আমরাও উপভোগ করবো।
সঞ্জয় মালাকার
বাঁচতে শিখো, বাঁচতে শিখাও,
অপেক্ষা করো নতুন পৃথ্বীর রূপ আস্বাদন করতে।”
সে-ই দিনের অপেক্ষায়
ইঞ্জা
হাঁ দাদা, বেঁচে থাকলেই দেখতে পাবো সেই রূপ, ঘরে থাকুন, সবাইকে সেফ রাখুন, ধন্যবাদ।