দ্বৈবিধ্য

মেহেরী তাজ ২৩ মার্চ ২০১৬, বুধবার, ০৭:১১:৪৯অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৫৩ মন্তব্য

= ও মেয়ে ঘুমাচ্ছ ?

// কে?  কে ওখানে? অন্ধকারে ঘাপটি মেরে ভূতুড়ে গলায় আমায় ডাকছে?

= আমি!  আমি!  আমায় ভয় পাচ্ছো না কি?

// ওহ তুমি?! ভয় পাবো কেনো? আমি তো ভাবলাম কে না কে? তা অন্ধকারে ডাকছ কেনো আমায়?

= অন্ধকার?  কই অন্ধকার?  বাহিরে জোৎস্না বৃষ্টি হচ্ছে! মনে হচ্ছে সারা রাজ্য আজ জোৎস্নায় ভেসে যাবে! আর তুমি কি না পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছ! আর উলটা আমায় ভূতুড়ে বলছো?

// শুরু হয়ে গেলো?  ^:^

= আহা রাগ করছো কেনো? এখন কি তোমার সেই কমন ডায়ালগ কি যেনো " দূর হও তোমার মুখ দেখতে চাই না" এটা বলবে না কি?

// হ্যা বলবো! " চোখের সামনে থেকে দূর হও তোমার মুখও দেখতে চাই না"।

= আহা শোনই না!

// নাহ ! এতো দিন পরে কোথা থেকে এলে হে?  কই ছিলে এতো দিন সে কথা আগে বল?

= বুঝেছি ভিশন রাগ হয়েছে! কিন্তু কেনো এতো দিন পরে এলাম তা শোনার আগে চল বাহিরে টুল পেতে জোৎস্না স্নান করবে!

// নাহ যাবো না! একা একা জোৎস্না স্নানে মজা নেই!

= এই যে আবার ভুল বললে.................

// হুম তাই তো!  আমি তো ভুলের ডিব্বা। সারাক্ষণ ভুল বলি,ভুল করি! আর তুমি হলে গিয়ে মি: পারফেক্ট!

=আহা আমাকে শেষ তো করতে দাও!

// আচ্ছা বলো!

= পৃথিবীর প্রতিটা কাজেই মজা আছে! যখন যেটা যে ভাবে পাচ্ছো তখন সেটা উপভোগ করে নাও। তাহলে ভবিষ্যতে তুলনা করার সুযোগ পায়ে। 🙂

// তবুও সাথে কেউ একটা থাকলে ভালো হতো! 🙁

= হয়তো বা হতো! কিন্তু যখন তুমি দোকলা হতে তখন যদি চাঁদটা আজকের মত বড় না হয়? আজকের মত আলো না ছড়ায়? আকাশ টা যদি মেঘে ঢাকা থাকে? তোমার গায়ে জ্বর হয়? কিংবা তোমার দোকলা যদি জ্যোৎস্নার চেয়ে ঘুমটাকেই বেশি ভালোবাসে তখন কি করবে?

// থাক বাবা থাক। যাচ্ছি আমি। কিন্তু এতোদিন পরে আসার কারন টা ব্যাখ্যা কর!

= তোমাকে একটা  ব্যপার হাতে কলমে শিখানোর ছিলো বলে!

// কি ব্যাপার?

= আমি না থাকাতে তোমার কতটুকু সমস্যা হয়েছিলো? সত্যি করে বলবে!

// সে হয়েছে অনেক সমস্যা! বলে বুঝাতে পারবো না!

= হ্যা তো, তাই হবে!

// মানে?

= মানে প্রায়োরিটি!  একটা জিনিস সব সময় মনে রাখবে এতোটা প্রায়োরিটি কাওকে দিও না যার থাকা না থাকাতে তোমার অনেক কিছু নির্ভর করে! বুঝলে কিছু?

// বুঝলাম! কিন্তু এখন আমার কি করতে ইচ্ছে করছে জানো?

= না বললে জানবো কি ভাবে? কি সেটা?

// তোমাকে কঠিন শাস্তি দেই!

= কি রকম শাস্তি?

// এই ধর টানা ৫, না ৬, নাহ ১০, হ্যা টানা ১০ মিনিট ধরে আমার সুনাম করবে! নো ব্রেক,নো রিপিট!

= ওরে বাবা এবারের মত মাফ কর। এমন লজিক আর জীবনেও শুনাবো না! মাফ কর প্লিজ প্লিজ প্লিজ.....

// আচ্ছা যাও মাফ করে দিলাম!  আজকের চাঁদটা বড্ড সুন্দর বলেই মাফ পেয়ে গেলে!

= যাক বাবা বাঁচা গেলো........  :v

// আচ্ছা গ্রামের চাঁদ আর শহরের চাঁদ কি একই রকম অহংকারী আর সুন্দর হয়? দুই চাঁদের আলোয় কি একই রকম মাতালতা, মুগ্ধতা থাকে?

= হা হা হা.... সে আমি জানি না। তবে জানার একটা উপায় আছে অবশ্য!

// রাক্ষসের হাসি। শুধু মাত্র উপায় টা জানার জন্য এবারেও মাফ পেয়ে গেলে! উপায় বল!

= আজকের দিনটা মনে রেখো! যখন তুমি দোকলা হবে তখন তোমার দোকলা জন যদি শহুরে হয়ে থাকে তবে তাকে প্রশ্ন করে জেনে নিও!

// আবার????????  :@

= বুঝেছি আজ আমার চলে যাওয়ায় ভালো! ভালো থেকো!

// ভূতুড়ে হাসিটা বাদ দাও। তুমিও ভালো থেকো!

0 Shares

৫৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ

Thumbnails managed by ThumbPress