সরকার একটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন। দেশের সমস্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েব সাইট থাকতে হবে। বিদ্যালয় সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য এই ওয়েবসাইটে থাকবে।
* বিদ্যালয়ের ইতিহাস
* আঞ্চলিক এবং জাতীয় পর্যায়ে বিদ্যালয়ের ছাত্র এবং শিক্ষকদের অর্জন
* বিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ে সব তথ্য, ভর্তির আবেদন পত্র
* বিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফলাফল
* জেএসসি/এসএসসি পরীক্ষার যাবতীয় তথ্য-ফলাফল
* বিদ্যালয়ের বার্ষিক সব ধরনের খেলাধুলা, অনুষ্ঠান, শিক্ষা ভ্রমণ
* বিদ্যালয়ের সমস্যা
* উন্নয়ন কর্মকাণ্ড
* ক্লাস পদ্ধতি, মাল্টিমিডিয়া ইত্যাদি
* শিক্ষক/কর্মচারী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
যে কেউ যে কোন বিদ্যালয়ের যাবতীয় তথ্য এই ওয়েবসাইট হতে দেখতে পারবেন।প্রতিটি বিদ্যালয়ের নিজস্ব নামে ডোমেইন,হোস্টিং থাকছে। সব বিদ্যালয়ে একটি করে ল্যাপটপ, একটি মডেম এবং আইসিটির উপর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত একজন শিক্ষক দেয়া হয়েছে।
আপনি যে স্কুলে লেখাপড়া করেছেন, যেখানেই থাকুন দেখতে পারবেন আপনার ছোট বেলার স্কুলটিকে।
কথার প্রসঙ্গে কথা।
কিছুদিন পূর্বে সোনেলার একজন ব্লগারকে হঠাৎ এক অনুষ্ঠানে দেখা গেলো। তিনি আবার একটি ছোট জেলার সবচেয়ে বড় বেসরকারী বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি। অনুষ্ঠানটি যেহেতু তার স্কুলে হচ্ছে, স্বাভাবিক ভাবেই তিনি অনুষ্ঠানের সভাপতি, এতে তার কোন কৃতিত্ব নেই।
অনুষ্ঠানটি কিসের?
পঞ্চাশটি বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট উদ্বোধন। সব বিদ্যালয়ের আইসিটির শিক্ষকগণ,যে সংস্থা এই ওয়েবসাইট প্রস্তুত করে দিয়েছেন তাঁদের একজন ওয়েব ডেভলপার এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে আছেন উপস্থিত। আইসিটির শিক্ষকদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন ওয়েব প্রস্তুতকারী, সমস্যা হচ্ছে শিক্ষকরা কিছুই বুঝছেন না। কথা আর বুঝে সংযোগ স্থাপন হচ্ছে না।
সোনেলার ব্লগার সাহেব দাঁড়ালেন ' আমি একটু বুঝাই? আপনি বসুন ' । খোলস ছেড়ে বেড় হলেন যেন তিনি। প্রায় ৯০ মিনিট বলে গেলেন । ব্লগার মানুষ একটু ভ্যাগরইর্যা ( কথা বেশী বলা) হয়। যার যত প্রশ্ন তার সঠিক ভাবে উত্তর দিলেন। ইন্টারনেট কিভাবে পালটে দিতে পারে মানুষের জীবন এসব আলোচনাও করেছেন তিনি। সবাই খুব খুশী।আর সবাই টাসকিও খেয়েছে এই ভেবে, ' কেউ কোনদিন জানিনি আমরা ইতিপূর্বে, উনি এত কিছু জানেন '। ব্লগার সাহেব তো বিশাল ভাব লইছেন তখন।
কিছু ফটো দেখেন
সবার দৃষ্টি আকর্ষন করছিঃ
এই ব্লগার এর কার্যকলাপ খেয়াল করুণ। প্রতিটি ফটোতে দেখা যাচ্ছে উনি ওনার ডান দিকে তাকিয়ে কথা বলছেন।ওনার সামনেও তো মানুষ আছেন। সামনে না তাকিয়ে সারাক্ষণ ডানদিকে তাকিয়ে কথা বলার অর্থ আমরা বুঝি। ডানদিকে কারা বসে আছেন তা নিচের ছবিতেই স্পষ্ট। যুগে যুগে এরা এভাবেই ধরা খায়। ব্লগার ভাইয়া তুমি কট......... ধরা পইড়া গ্যাছো তুমি রংগিলা জালে :p
পালাবে কোথায় ?
Thumbnails managed by ThumbPress
৩৬টি মন্তব্য
অরুনি মায়া
বাম দিকের গুলো শুধু মানুষ আর ডান দিকের গুলো মহামানব,,,
তাই এমন টা হচ্ছে।
বুঝতে হবে তো,,,,, 🙂
জিসান শা ইকরাম
উনি কি বাম দিকে তাকাতে পারেন না? 😀
অরুনি মায়া
তবে সরকার যে পদক্ষেপ টা নিয়েছে এটা বেশ ভাল হয়েছে। সব স্কুল কেই এই তালিকায় আনা উচিত,
অরুনি মায়া
উনি ঘাড় তেড়া। তাই তাকাতে পারছেন না
জিসান শা ইকরাম
ঘার ত্যরা তো বাম দিকেও হতে পারতেন,ডানদিকে কেন?
জিসান শা ইকরাম
সব স্কুলই এই পদক্ষেপের আওতায় এসেছে। এটি বাধ্যতামূলক।
অরুনি মায়া
এই আই সি টি ভবনের নির্মাণ কাজের মধ্যে পড়েই তো আমি স্কুলে গিয়ে পা ভাঙলাম,,,,, 🙁
ইতিহাসে লিখে রাখা দরকার,,,
জিসান শা ইকরাম
হায় হায়,কিন্তু কোন স্কুলের ইতিহাসে লিখবে এটা?
আপনি আপনার পা ভাঙ্গা নিয়ে একটা কিছু লিখে ফেলুন
সোনেলার ইতিহাসে উঠে যাক সব।
অরুনি মায়া
আমার ই বাল্যকালের স্কুল। 🙁
সোনেলায় লিখলে সবাই জেনে যাবে।
যদি আমারে ল্যাংড়া বলে ডাকে তখন কি হবে।
থাক এই ইতিহাস ধামা চাপা দেওয়া থাক,,,,
জিসান শা ইকরাম
কার এতবড় সাহস আমাদের কাউকে ল্যংড়া ডাকার?
আমরা আমরাই তো এখানে সব।
অরুনি মায়া
আমার পা ভাল হয়ে গেছে। কেও জানেনা 🙂
তবে হাটি হাটি পা পা 🙂
জিসান শা ইকরাম
সাবধানে চলাচল করবেন
একটি কথা আছে- ব্যাথা জায়গায় লাগে ব্যাথা।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা যারা এভাবে দেখে, তারা ডুবে ডুবে জল খায়। কেউ কিছুই জানতে কিংবা বুঝতে পারেনা। :p
“গোপন কথাটি রবেনা গোপনে।” 😀
জিসান শা ইকরাম
এতো ডুবে ডুবে খায়নি,প্রকাশ্যে
সে হয়ত ভেবেছিলো,ক্যামেরা ম্যান নেই কোন,কোন স্বাক্ষী থাকবেনা
আজকাল রাডারে কত কিছু ধরা পরে তা এই ব্লগারের ধারনা নেই 🙂
“গোপন কথাটি রবেনা গোপনে।” 😀 প্রকাশ হয়ে যাবেই 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
ব্লগার এতো কিছু জানে, আর এটা জানেনা!!!
নানা এই কথাটা একটা ছোট বাচ্চাকে বললে সেও বলবে, “ওই ব্লগার মিছা কথা কইতে নাই।” 😀
জিসান শা ইকরাম
অনেক সময় অনেকের সাধারন সেন্স কাজ করেনা
এটাও বিবেচনায় রাখতে হবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
সাধারণ সেন্স কিসে ব্যস্ত থাকে শুনি!!! :p
শুন্য শুন্যালয়
যেহেতু ইহা ফাইটিং এর ক্লাস এবং তা নারীদের কে শেখানোতে তিনি বেশি আগ্রহী, অতএব এই ব্লগার অত্যন্ত নারী অধিকারে বিশ্বাসি। তবে জনাব, ঘরে কিন্তু আপনার আরেক বড় ব্লগার আছে, একটু সামলাইয়া 🙂
নি:সন্দেহে সরকারের চমৎকার একটি উদ্যোগ এটি, এগুচ্ছে দেশ, এভাবেই হবে। এতে করে আইসিটির উপর আরো আগ্রহী হবে সবাই। আর হাজার মাইল দূরে বসে নিজের স্কুল দেখতে পাবার চাইতে আনন্দের আর কি আছে?
জিসান শা ইকরাম
এর থেকে সাবধানে থাকবেন।
হ্যা অবশ্যই এটি সরকারের ভালো একটি কাজ।
শুন্য শুন্যালয়
ইনি মনেহয় আমাদের সেই ড্যাস ড্যাস ব্লগার। 90 মিনিট ধরে ভ্যাগইররা ডানদিকে কি এতো বুঝাইলো জানতাম চাই। আমরাও ফাইটিং শিখতাম চাই।
জিসান শা ইকরাম
বরিশালে ছিলেন এক সময়, শব্দটা বুঝতে পেরেছেন মনে হয়।
কত যে ভ্যাগর ভ্যাগর করলো সে, ভাবলে মাথা ধরে যায় আমার।
অডিও রেকর্ডার ছিল না, তাই জানানো গেল না দুঃখিত।
নীতেশ বড়ুয়া
১। উনি আসলে ডানপন্থী
২। উনার চোখে চশমা আছে
৩। উনার একখানা প্রমাণিত ভুঁড়ি আছে।
উপরের তিনটি পয়েন্ট পর্যবেক্ষণ করে প্রমাণিত হইলো ইনিই সেই ড্যাসড্যাস মডু ^:^
জিসান শা ইকরাম
ডানপন্থী টা পছন্দ হৈসে 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
ড্যাস ড্যাস মডু বলে কথা :p
জিসান শা ইকরাম
কিন্তু এনার যে খোঁচা খোঁচা দাড়ি আর উস্কোখুস্কো চুল নাই
ডানপন্থী হবার বাসনায় আগেই কি ফিটফাট হয়ে আসছিলো?
পুরাই লুল নাকি? :p
মরুভূমির জলদস্যু
ঘাড়ে সমস্যা আছে, দুই একটা নাটবল্টু ঢিলা বা টাইট আছে, দুই-একটা হাড় বা রগও তেড়া থাকতে পারে।
নয়তো প্রজেক্টরের স্কিনটা ঐদিকে হওয়ার কারনেও হইতে পারে। :p
জিসান শা ইকরাম
ধুরো, আপনি খুবই খ্রাফ, প্রজেক্টরের স্কিনের কথা এত দ্রুত বলে দিলেন কেন?
মজাও লইতে দিলেন না।
মেহেরী তাজ
আমি উনাকে চিনে ফেলছি। 🙂
আমার আগে থেকেই সন্দেহ হয়েছিলো ইনি হয়তো বা এমন। কিন্তু আজ তা ছবিতে ছবিতে প্রমান পাইলাম। :p :p
জিসান শা ইকরাম
তোমাদের কথা ভেবেই ছবি সহ প্রমান দিলাম
সাবধানে থাকবা 🙂
ছাইরাছ হেলাল
এ সরকারী উদ্যোগকে অবশ্যই ধন্যবাদ।
যাক আমরা একজন ভ্যাগর ভ্যাগর বুড়ার কথা জানতে পারলাম তার নিজের ঢোলের মাধ্যমে।
জিসান শা ইকরাম
সরকারের এটি অবশ্যই একটি ভালো কাজ।
বাচ্চা না কাঁদলে মা দুধ দেননা
জন্মের সময়েই শিশুকে আল্লাহ্ শিক্ষা দিয়ে দেন,
শব্দ করো,নইলে চিড়া ভিজবেনা
এ শিক্ষা হতে বাইরে যাওয়া ঠিক না।
মোঃ মজিবর রহমান
বুঝতে হবেনা সনেলার ব্লগারটি কে
ইয়াহ! দারুন কইলেন ভাই সাব হা হা আহা আহা আহ
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ মজিবর ভাই,
অনেকদিন যাবত কিছু লিখছেন না।
ইমন
বাহ! শুভেচ্ছা ভাইয়া আপনাকে। আর ডান বাম নিয়া আর কত ভাববেন। এবার আমাদের কথা চিন্তা করে একটু ছাড় দেন :p :p :p
জিসান শা ইকরাম
যোগ্যতরাই টিকে থাকে
স্থান করে নিতে হয় 🙂
Arnob
এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। হয়েছে ডিজিটাল। এখন আমরা সরকারি যেকোনো তথ্য পেয়ে যাই এই সরকারি ওয়েবসাইটগুলো থেকে। এমনকি সরকারি অনেক কাজও করে ফেলতে পারি এই ওয়েবসাইট গুলো দিয়ে। এমন ভাবেই এই ডিজিটাল জুগে আপনার ব্যাবসা এমনকি আপনার নিজের বাক্তিগত একটি ওয়েবসাইট থাকাটা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। আপনার ব্যাবসা বা নিজেকে সবার সামনে তুলে ধরার সবচেয়ে সহজ মাদ্ধম হল একটি ওয়েবসাইট। যেখানে আপনি আপনার ব্যাবসা বা আপনার নিজের সম্পর্কে সবকিছু তুলে ধরতে পারবেন। তাই এখনই খুলে ফেলুন একটি ওয়েবসাইট। তার আগে দেখে নিন ওয়েবসাইট তৈরির আগে কি কি বিষয় জানা প্রয়োজন?