দুপুর শুয়ে আছে উপুড় হয়ে ঘুমুবে বলে,
পিঠে নিয়ে রাশি রাশি তপ্ত-বোঝা।
অমোঘ নীরবতায় সূচি-সুন্দর বিষজর্জরতা
সাথে নিয়ে ভাবে, জন্ম দেবে জন্ম নেবে
চারপাশ-জুড়ে বয়ে যাওয়া কোন-এক স্বপ্ননদী;
নির্বোধ নির্বুদ্ধিতার মাকরজালফাঁদে ঝুলে থেকে
বৈশাখ ভাবে, এ কোন্ বৈশাখ এলো আচমকা
মেয়াদোত্তীর্ণ ম্লান ভালবাসা নিয়ে;
বিষণ্ণতা কাঁদে এবার সুর করে।
৪৬টি মন্তব্য
নীহারিকা
বিসমিল্লাহ! ম্যাগাজিনের প্রথম খুঁটিটা তবে আপিনিই পুঁতলেন 🙂
ভালো ভালো
😀
ছাইরাছ হেলাল
সবই আপনার/আপনাদের পয়মন্ত আশীর্বাদের ফলাফল,
খুবই নড়নড়ে খুঁটা!!
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
অভিন্দন বৈশাখের ঝড় বৃষ্টি সাথে নিয়ে প্রথম ম্যাগাজিন পোষ্টে।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা আচ্ছা, আপনাকেও ধন্যবাদ, শুরু করে দিন।
মোঃ মজিবর রহমান
মেয়াদোত্তীর্ণ ম্লান ভালবাসা নিয়ে;
বিষণ্ণতা কাঁদে এবার সুর করে।
ভাল বাসার মেয়াদ শেষ আবার নতুন করে বুনন সপতরসী হয়ে জীবন ভরুক আনন্দে মজুক ভরপুর ভালবাসায়।
ছাইরাছ হেলাল
আসুক আসুক, দু’কুল উপচে তাই-তো চাই।
মোঃ মজিবর রহমান
পেয়েছেন অনেক প্রিয় ও অপ্রিয় মানুসের ভালবাসা । আরও পাবেন আশা করি।
জিসান শা ইকরাম
vj চিঠি প্রতিযোগিতায় প্রথম। ম্যাগাজিনেও প্রথম! আপনার জন্য প্রথম স্থানটি দেখছি সংরক্ষন করে রাখতে হপে 🙂
লাইন গুনে লেখাটি ভেবেছিলাম ছোট। লেখার ভার তো বিশাল!
ছাইরাছ হেলাল
সোনার হরিণ কল্পনা করা যায়, ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকেই।
ঠিক ধরেছেন, ভার একটু বেশি-বেশিই!
নীলাঞ্জনা নীলা
“এ কোন্ বৈশাখ এলো আচমকা
মেয়াদোত্তীর্ণ ম্লান ভালবাসা নিয়ে”——চমৎকার! কবিরা জানিনা কেন বৈশাখ মাসকে প্রেমের মাস হিসেবে ধরেনি। বর্ষা আর বসন্তকে নিয়েই টালমাটাল। উত্তপ্ত বৈশাখ কিংবা তান্ডব তোলা কালবোশেখী ঝড়কে বুঝি ভালোবাসা যায়না? শুধু স্বপ্ন তৈরী করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার মাস বৈশাখ।
দারুণ লিখেছেন। খুব বেশী ভালো লেগেছে। :c
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন, লেডিজী!
আপনি বললে অ-কবিরা বা না-কবিরা বৈশাখেও সমান কার্যপোযোগিতা দেখাতে পারে!!
শুধু অনুমতির অপেক্ষা মাত্র,
ভালোলাগা চালু থাকুক।
নীলাঞ্জনা নীলা
দেখুন, কুবিরাজ ভাই!
“আপনি বললে অ-কবিরা বা না-কবিরা বৈশাখেও সমান কার্যপোযোগিতা দেখাতে পারে!!
শুধু অনুমতির অপেক্ষা মাত্র,” 😀
ছাইরাছ হেলাল
কপি পেস্ট করা ভালু না,
আপনি লেডিগুরু।
প্রহেলিকা
এবার যদি ফাঁদ ছিঁড়ে পড়ে কৌশলে
ভাঁজ করা রুমালের ঠিক ঠিক গুটিয়ে নিবে নিজেকে,
বিষন্নতার সুরেলা কান্না ভুলে
একলা ফেলে রেখে যাবে স্বপ্ননদী।
(দুপুর শুয়ে আছে উপুড় হয়ে ঘুমুবে বলে,
পিঠে নিয়ে রাশি রাশি তপ্ত-বোঝা।)
অভিভূত! দুপুর বিমূর্ত, তপ্ততাও বিমূর্ত অথচ যেন চোখের সামনে যেন নড়াচড়া করছে।
ঠিক যেমনটি লেখক বলেছে ঠিক তেমনি দেখতে পাচ্ছি দুপুর উপুড় হয়েই শুয়ে আছে।
এটুকুতেই শান্তি, মহাশান্তি। সেরা পাঠ! (3
ম্যাগাজিন সমৃদ্ধ হলো এটিই বলা যায়।
ম্যাগাজিনের প্রথম লেখাটিই যদি হয়ে এমন দিলকাড়া তাহলে এবার প্রত্যাশা কতটুকু বুঝুন।
ছাইরাছ হেলাল
এখন-ই কাড়া-না-কাড়ায় ফেলে দিলে এর-পর দিল কোথায় রাখবেন/ফেলবেন!!
(হাওয়া যেন বেশি হয়ে না যায়),
রুমালে এঁটে যাবে মনে হয় না, অবশ্য সঠিক ভাঁজ জানা থাকলে আলাদা কথা,
প্রহেলিকা
হাওয়া মনে হলো বুঝি! হাওয়া যদি সত্যিই দেয় তখন কি বলবেন।
এ কোথায় আসন গাড়লাম, শুনেছি বটতলায় আসন গাড়লে সত্যি সত্যি হাওয়া না দিলে উপরের উনি ফিরেও তাকান না। শিষ্যও হতে পারলাম না বোধকরি!!
ভাঁজ শেখা চালু আছে। পুরোটা না শেখালে দায় আপনারই।
ছাইরাছ হেলাল
আবার পড়লাম, আপনার হাওয়া পেয়ে,
‘চলে আর-কি’ বা ‘মন্দ-না’ টাইপ, এর বেশি কিচ্ছু না।
তবে লিখতে পারার আনন্দটুকু পুরোটাই নিচ্ছি বা পাচ্ছি,
প্রহেলিকা
এইতো ধরেছেন, পড়ায় যে মন দিচ্ছেন না তার প্রমাণ! একবার পড়েছেন মন্দ না টাইপের মনে হয়েছে। আবারো কি চোখ বুলানো যায় না? এবার কিন্তু আরো একটু মাত্রাটা বাড়বে। পাঠক (অধম পাঠক) কে অবহেলা করতে নেই। করছেন কিন্তু!
ছাইরাছ হেলাল
এখন দুর্মুখ হয়ে বলতে বলছেন নিজের প্রশংসা!!
এটি অনেক সুন্দর,
এত অল্প কয়েক লাইনে যা বলেছি তা প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার!!
হলো এবার!!
প্রহেলিকা
আহা কি মিষ্টিমিষ্ট সত্য কথন!!! মেয়াদোত্তীর্ণ ম্লান ভালবাসা হলেও, লেখালেখির ক্ষেত্রে আপনার ভালবাসা জাজ্বল্যমান।
ছাইরাছ হেলাল
ধ্যাত, মশাই!!
প্রহেলিকা
হাঁটাপথের কথা ভুলে যাওয়া ঠিক না। উঁকি ঝুঁকি কম দেয়া হচ্ছে। খুব খারাপ!
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্য উল্টো করে বললে এভাবেই বলতে হয়, বুঝলাম।
প্রহেলিকা
ভাগ্যিস ডাক পৌঁছেছিল! ট্রাফিক জ্যামে যে পড়েনি এই সৌভাগ্য।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে পড়ার মত কিছু থাকে, তা অনেক নয় অবশ্যই,
আরে না, জ্যাম-জুম কিচ্ছু না।
প্রহেলিকা
ঠিকঠাক মনে না পড়লেও, অনুবাদের কথা শুনেছিলাম ! পেলাম না কিন্তু বসন্ত পেরিয়ে যাচ্ছে! জানিতো ভাঁজের ভেতরেই আছে। পাবো কবে?
ছাইরাছ হেলাল
আসলে অনুবাদের ভূত মাঝেমধ্যেই মাথায় ওঠে,
ওটি জটিল এবং শ্রমসাধ্য, আবার এ-ও ভাবি, অনুবাদ নাকি অনুসরণ করে লিখব।
তাই থেমে আছি এবং কী সব আউল-ফাউল কপচাচ্ছি।
প্রহেলিকা
অনুসরণেও লেখা যায়! হাত বলে কথা, যেখানে রাখে সেখানেই সোনা হয়ে ফলে (হাওয়া ভাবা যাবে না)! অনুসরণ, অনুবাদ দুটোই চাই। শ্রমসাধ্য বলেই মিষ্টতার পরিমাণ একটু বেশিই।
প্রহেলিকা
ঝেড়ে কাশুন, হাতে সময় কম। কয়েক ঘন্টাই বাকী! সন্ধ্যানাগাদ পেতেই পারি।
ছাইরাছ হেলাল
অনুবাদ শুরু করিনি, শুধু পড়েছি, তাই এখন ই পাচ্ছেন না,
তবে রাতে অন্য লেখা দিতে পারি, একদম মন্দ না,
ছাইরাছ হেলাল
পৃথিবী বিখ্যাত কবিদের লেখা, পড়লেই ভয় লাগে,
তা নিয়ে কিছু লেখা!! নাম বলতেও ভয় লাগে, এক জীবনে নাকি ছয় না যেন দশটি কয়েক লাইনের কবিতা লিখছে!!
প্রহেলিকা
মন্দ ভালো তা পাঠকের উপরেই ছেড়ে দিন। অনুবাদের অপেক্ষায় থাকলাম।
নিমা ইউশিজ কে একটু তুলে আনলে মন্দ হবে না। আপনিই ভরসা।
প্রহেলিকা
তাইতো বলছি আপনি জানালে কিছু জানা যেত। জিউসের সাথে খাতির বেশ ভাল আপনার। যারা কালজয়ী হয়েছে তাদেরকে কিছুটা না জেনে ওপারে গেলে কি জবাব দিব? সাক্ষাৎ হবেই সেখানে।
ছাইরাছ হেলাল
নিমা ইউশিজ ইংরেজিতে লিখে দিন।
আচ্ছা, আচ্ছা পাঠক লক্ষ্মীর দিকেই চাইয়া থাকমু।
ধুর, এপার-ওপার একই পার
আমরা আমরার!!
প্রহেলিকা
nima yooshij
জীবনী পড়েছিলাম। যদি প্রচলিত ধারার বাহিরে কবিতাকে নিয়ে যেতে এই কবিকে মডেল মানে পরবর্তীকালের কবিরা তাহলে আমাদের পড়ার স্বাধ জাগতেই পারে। অনুবাদ আমার কম্ম নহে। আপনি ভরসা।
ছাইরাছ হেলাল
আগে পড়তে শুরু করি, তারপর হাতি-ঘোড়া সব উল্টে ফেলব!!
বুকমার্ক করে রাখলাম,
মিষ্টি জিন
অলসরা দুপুরে ঘুমায়. আর দিবা স্বপ্ন দেখে।
শেষ দুই লাইন দিয়ে তো সব এলোমেলো করে দিলেন।
ছাইরাছ হেলাল
দিবাস্বপ্ন দেখতে দেখতেই সব এলোমেলো হয়ে গেছে হয়ত!
নীরা সাদীয়া
ধুয়ে যাক মুছে যাক যত বিষন্নতা, দুপুর ঘুমাক রোদের কোলে।
ছাইরাছ হেলাল
বিষণ্নতা মুছে যাক এটি আমাদের সবার ই কাম্য,
আমির ইশতিয়াক
ভালো লাগল। -{@
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ,
ইঞ্জা
বাহ মনোমুগ্ধকর লেখা, খুব ভালো লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা (3
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও।