বহু আগে শাহবাগ যাদুঘরে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তবতার ভিত্তিতে একটি সর্ট ফিল্মস দেখেছিলাম।নামটি তেমন একটা মনে নেই তবে পাত্রপাত্রী ছিল জাহিদ হাসান এবং টিসা।তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী এবং ভাল বন্ধু।জাহিদ গ্রাম থেকে উঠে আসা প্রতিভাবান ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে ভর্তি হয়।কিন্তু হোষ্টেলে সিট পাননি যদিও তার নামে সিট বরাদ্ধ ছিল সেই ছিটটি দখল করে রাখে ক্ষমতাবান একটি রাজনৈতিক দলের গুন্ডা-পন্ডেরা।অনেক চেষ্টা করেও বিশ্ববিদ্যালয়ের হোষ্টেলে সে কিছুতেই তার থাকার যায়গা এ্যারেনজ করতে পারছেনা।প্রেমিকা টিসার সাথেও আলাপ আলোচনা করে।ঘন ঘন একে অপরকে সঙ্গ দেয়।হঠাৎ একদিন জাহিদের সাথে পরিচয় হয় তারই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া রাজনৈতিক কর্মীর সাথে ।জাহিদ তার সাথে কথা বলে...-কি খবর?কোন হোষ্টেলে উঠেছেন?জাহিদ মন খারাপ করে হোষ্টেল না পাওয়ার কষ্টটুকু বলে।লোকটি জাহিদকে বলে...-আমাদের দলে এসে পড় দেখবে আর কোন সমস্যা নেই সিটতো পাবেই বরং বুক ফুলিয়ে ভার্সিটিতে রাজত্ত্ব করবে।জাহিদ তার প্রস্তাবে সায় দেয় না।সে এসেছে গ্রাম থেকে এখানে পড়তে রাজনিতী নামে টেন্ডারবাজী করতে নয়।মনকে জাহিদ বুঝাল কিন্তু মন কি বলবে এভাবে পরের বাসায় কতদিন আর থাকবে।যদি সিটের জন্য গ্রামে চলে যায় তবে তো জীবনের উদ্দ্যশ্য সফল হবেনা।শেষ পর্যন্ত আর কোন উপায় না পেয়ে সেই ছেলেটির প্রস্তাবে রাজি হতে হয় নাম লেখান সন্ত্রাসী টেন্ডারবাজী রাজনৈতিক দলে।সেই দিনই সাথে সাথে ভার্সিটির এক হোষ্টেলে তার দখল করা সিট অস্ত্রের মুখে দখল করে। শুরু হয় জাহিদের অন্ধকার অপরাধ জীবনের ইতিহাস।আজকাল প্রেমিক টিসার প্রেমও যেন তাকে এ পথ থেকে সড়াতে পারেনা।সে হয়ে যায় ভার্সিটির ত্রাস বনে যায় বড় ভাই নামক সন্ত্রাসী।টেন্ডার বাজী আর চাদা বাজী যেন তার হাতের ময়লা।একদিন দু'পক্ষের টেন্ডার বাজীর যুদ্ধে তার সব স্বপ্ন ভেস্তে যায়।মৃত্যুকে সাথী করে চলে যায় তার গ্রামের বাড়ী আশাহত বৃদ্ধ মা-বাবার কাছে.......................এখানে আমাদের পরাজয়। 🙂
মোটামুটি এই হল কাহিনী কিন্তু বাস্তবতা কি?বাস্তব হল একটি দেশের প্রতিভা বিনষ্ট,একটি মায়ের আশার মরন,আর মানুষ হিসাবে ক্ষনস্হায়ী জীবনের অকালে প্রস্হান।এর জন্যই কি আমাদের মহান নেতারা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছিলেন?যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময় সারা বিশ্বে পরিচিত ছিল একটি সুশৃংখল এবং উন্নত শিক্ষার স্হান।দলে দলে বিদেশীদের ভর্তির হিরিক পড়ে যেত সেই বিশ্ববিদ্যালয় আর আজকের এই বিশ্ববিদ্যালয় ভাবতে বড় কষ্ট লাগে।রাজনৈতিক কালো থাবায় আমাদের শিক্ষা অঙ্গন আজ কলুষিত।যাকে আমরা মানুষের মত মানুষ গড়ার স্হান বলি,যেখান থেকে বের হয়ে আসবে খাটি দেশপ্রেমিক। দুঃখ জনক হলেও সত্যি যে সেখানেই আজ প্রশিক্ষন হয় কি ভাবে টেন্ডারবাজী আর বোমা বাজী করা যায়।এর বিস্তার আজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়িয়ে স্কুল কলেজেও পৌছে গেছে আর এসব লালন পালন করছেন আমাদের সমাজে রাষ্ট্রের তথাকথিত নোংরা রাজনৈতিক নেতারা।যার ফলে বার বার পরীক্ষার সময় পরিবর্তন করতে হয় আর এর ভুক্তভুগি হন আমাদের ভবিষৎ প্রজম্ম কোমল মতি সন্তানেরা।অসৎ আর অস্ত্রবাজীতে ছেয়ে গেছে পুরো শিক্ষাঙ্গন।ভর্তি পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ফাস হয়ে যায় এর কোন প্রতিকার নেই নেই কোন পানিসম্যান্টস।মাঝ পথে অসাধুরা লুফে নেয় মুনাফা আর বিকলাঙ্গ করে দেয় প্রার্থীদের।প্রতি পাচ বছর অন্তর অন্তর আসে জাতীয় নির্বাচন।যে সময় থাকে কোমলমতি সন্তানদের ফাইনাল পরীক্ষা সে সময় ঘটে রাজনৈতিক ক্ষমতা পট পরিবর্তনের আন্দোলন।শুধু শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হলে কথ ছিলনা আন্দোলনের থাকে চমকের পর চমক থাকে হিংস্রতা।২০১৩ সালের ক্ষমতা পট পরিবর্তনের আন্দোলন অতীতের সকল আন্দোলনকে হার মানিয়ে একে উঠে আসে বিশ্বরেকর্ডে।চলন্ত লোক ভর্তি বাস গাড়ীর ভিতরে হঠাৎ গেড়িলা কায়দায় পেল্ট্রোল বোমা মেরে আমজনতাকে পুড়িয়ে আঙ্গার করা।কি বিভৎস যন্ত্রনায় মৃত্যুবরন করেন তা কেবলআগুনে পুড়া মানুষটি সেই অনুভব করতে পারে।আন্দোলনের কারনে বার বার পরীক্ষার সিডিউল চেঞ্জ করতে হয়।আমাদের বাংলাদেশের মাননীয় শ্রদ্ধেয় দুই নেত্রী আপনাদের আমরা সম্মান করে বলতে চাই যাদের জন্য একজন বঙ্গবন্ধু আর একজন শহীদ জিয়ার আদর্শ ধরে রাজনিতী করছেন তাদেরকে মৃত্যুরকূপে ফেলে রেখে আপনারা কাদের জন্য রাজনিতী করছেন?আমজনতাই আপনাদের মসনদে বসাই তারা বাচলে আপনারা মসনদ পাবেন তারা না বাচলে আপনাদেরকেও রাজনিতীতি হতে বিদায় নিতে হবে তাই জোড়ালো অনুরোধ আপনাদের মসনদে বসার সময়টা কি পরিবর্তন করা যায় ?যাতে আমাদের সু-নাগরিক গড়তে ফাইনাল পরীক্ষায় কোন বাধা না হয়।
আজ রাজনৈতিক সহিংসিয়তায় ব্যাবসা প্রতিষ্টান যখন হুমকির মুখে তখন একান্ত বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হলো ব্যাবসায়িক কর্ণধারদের।যদি এভাবে রাজনৈতিক সহিংস চলতে থাকে তাহলে হয়তো একদিন আমজনতাকেও রাস্তায় নামতে হবে তখন দু'জনের একজনেরও কোন জবাব থাকবেনা।সব আদর্শ মাটিতে কবর দিয়ে ছিনিয়ে আনবে নতুন সুর্য্যকে।জেগে উঠবে নতুন বাংলাদেশ।এটা কালের আবর্তে পরিক্ষীত।
একে অন্যের উপর দোষারূপ নয়...কে, কখন -আমার ধারনা আপনারা সকল ঘটনার বিষয়ে অবগত আছেন।সম্ভব হলে হিংস্র হরতাল নামক আমজনতার একমাত্র অধিকার আদায়ের শান্তিপূর্ণ হরতালকে আইন করে রক্ষা করুন।আন্দোল হবে...কোন লাশ পড়বেনা,আন্দোলন হবে কোন সম্পদ ধ্বংস হবে না,আন্দোলন হবে, কোন মা তার অফিস ফেরা সন্তানের অপেক্ষায় চিন্তিত থাকবেন না।
Thumbnails managed by ThumbPress
১১টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
হ্যা , এভাবেই রাজনীতি আমাদের মুল্যবান প্রতিভা নষ্ট করে দেয়।
আমরা ক্রমেই অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছি।
কিভাবে একজন মানুষ পারে অন্য একজন মানুষকে আগুনে ঝলসে দিতে ?
ভালো লিখেছেন ।
মা মাটি দেশ
ধন্যবাদ (y)
নীলকন্ঠ জয়
সময় গেলে সাধন হবে না।। (y)
মা মাটি দেশ
একটি চির সত্য বাক্য….যার পিছনে দৌড়াচ্ছি আমরা সবাই।
শুন্য শুন্যালয়
সুন্দর পোস্ট ভাইয়া.
সত্যি সময় গেলে সাধন হবেনা ..
মা মাটি দেশ
অনেক শুভেচ্ছা (y) সময়ের কাছে আমরা বন্ধী।
তন্দ্রা
আমজনতা খাক মার,
পারবেন দুই দলও যদি
নিরবাচন করে,
ভোট না দিয়ে
প্রচার চালাই কেউ ভোট দেব না,
হয়তবা হব দেশ দ্রোহী, হই একবার।
বর্জন করি, পারবেন?
আসুন সবাই বলি এই দুই দল্কে ভোট দেবনা।
আসুন এক বাক্যে উচ্চসরে বলি তমাদের রাজনিতি আমরা নাই।
দেশপ্রেমিক আজ হয় দেশদ্রহী, আমরা আবার একই কারনে দেশের স্বার্থে হয় দেশদ্রহী তাদের বর্জনের মাধ্যমে।
মা মাটি দেশ
আপনি সত্যিই সাহসী দেশপ্রেমী অনেক সহজেই বলে দিলেন নেতাদের ধিক্কার।না,সম্ভব হবে না হয়তো কিন্তু পরিবর্তন তাদের দিয়েই আনতে হবে।অনেক ধন্যবাদ।
ব্লগার সজীব
দু নেত্রী যদি একটু শুনতেন জনগণের মনের আকুতি , তাহলে দেশটা অনেক অগ্রসর হতো।
মা মাটি দেশ
এখানেই লাল সবুজের হার (y)
খসড়া
আমরা এখন বিবেক বিহিন।