দুই সতীন আমার কক্ষ নাম্বার।ভাবি নাই নাজেহাল, ক্লান্ত ধরাশায়ী পীড়াতে পর্যদুস্ত কোনদিন হতে হইবেই আমারে ইহা লইয়া। করিয়াছি ভ্রমন কলেজের বা ঐ এলাকায় যত দেখার জায়গা রহিয়াছে।
আমি নরমাল মাথামুণ্ড নাই, যা একটু শারীরিক গঠন রহিয়াছে, একটু তাহাতেই কিছু যায়েগা খুঁজিয়া পাইয়াছি বন্ধু-বান্ধবীদের মাঝে। কেউ ডাকত লম্বু কেউ ডাকত কলা গাছ হাসির পাত্র ভিন্ন কিই বা হতে পারিয়াছি তাহাদের। ঘুরিবার বান্ধবী ছিল মোর একজন সেও ঘুরত নির্দ্বিধায় ভয় নাই মনে ভাবিয়া যে আমি সৎ চরিত্রবান। কোন দৃষ্টি কটু ভাবে তাকিয়া দেখি নাই তাহার পানে ।তাই বলে মনে কইরেন না সে অসুন্দরী আছিল। শ্যামলা বরন হইলেও সে ছিল অনেক স্বাভাবিকভাবে সুন্দরী বেশি ।
সেই হতাম বাহির সকাল ৮ ঘটিকায় আসতাম ফিরে রাত্রি ৮ বা ৯ টায়।
ক্লাসের শিক্ষক কুল বা বন্ধুরা কেউই ভাবে না যে আমরা প্রেমের বাহিরে পদার্পণ করিতেছি।আমরা ঘুরিতাম জ্যামিতিক হারে পুরো শহর কি ক্যাম্পাস সকাল বিকাল ছিল আমাদের পদচারনা। শহর ছেড়েও যাইতাম।
আমরা ছিলাম ধর্মীয় শাসককুলের সীমানায়। কার্ড খেলা ছিল চুপি চুপি নো শব্দ। ডাক ছিল এই তুই কত আংগুলে শো? চার রুমমেট ছাড়া বাহির ভাবনা ছিল ধরা খাওয়ার ভয়ে।
আমাদের জুনিয়র ছিল পঞ্চগড়ের যার সাবজেক্ট ছিল ফিজিকস। তার বড়ই অভিলাস প্রথম শ্রেণী পেতেই হইবে। রীতিমত পরীক্ষা চলছে একদিন এক বিষয় হল খুব খারাপ ফাস্ট ক্লাশ নাম্বার থাকবেনা।
সেই কান্না । থামবেই না, কান্না শুধুই কান্না গেল তে গেল দুই তিন ঘন্টা একভাবে্ কাঁদন। অবস্থা বেগতিক। হোস্টেল ফোন থেকে দেয়া হল ফোন মাস্টারকে প্রধান শিক্ষক প্রাইমারীর। আঙ্গেল আসলেন কিন্তু কান্না একই গতিতে অবিরাম একই ভঙ্গীতে চলিতেছে। শেষ ঘটনা অন্যভংগীতে গেলো। হাজার হলেও শিক্ষক ত। উপায়ন্তর না পেয়ে বললেন "চল বাড়ী যাই। তুই তোর মা , বোন আর আমি মিলে সবাই এক্সংগে কান্দি যাতে তোর রেজাল্ট ভাল হয়।"
আমার ইয়ার ম্যাট বন্ধু প্রেমিক। একদিবসে সেলিব্রেট করল প্রেমিকা বেলুন।
একরজনীতে খেলতেছি অন্য এক বন্ধু মিলিয়া। কাপড় ছোড়ান তারের উপর দিয়া বেশ সময় পার করিয়াছি ইহা লইয়া অত সুখ শয় কি কপাল গেল ফেটে। দুইজন ফ্যাপাচ্যাকা দাঁড়িয়ে রয়েছি। নাহলেও কয়েক মিনিট টেবিল ঘুরে তাকিয়ে দেখে এই অবস্থা। আমরা বোকার মত ঠাই দাড়িয়ে। বন্ধু ফিরে বুঝতে সক্ষম আমাদের কি নাজেহাল হল। বললাম দোস্ত তোরে একটা কিইনা দেব। সেও কিছু বলার শব্দ খুজিয়া না পেয়ে বলা থেকে বিরত থাকল।
বাচলাম হাপছেড়ে, হাজার হলেও নতুন নতুন গিফট বলে কথা!
আমার আর আমার বান্ধবীর কবুতরের মাংস খাওয়ার শখ হইলে কিনিলাম, তো হবে কোথায় রান্না, কথা বান্ধবীর মেসে। খাওয়া কোথায় হোটেলে। গেলাম খেলাম শেষে বেড়ান। সংগে জুটল মেসের আরেক মেয়ে।আমার বন্ধু বলল তুই আজ ওর সংগে সময় দে আমার কাজ আছে।মহা বিপদ আমি আচমকা হিমসিমে ভুগতেছি মুখ দিয়া বাহির হচ্ছে না কথা, অমনি সে বলে আমি কি বলেছি যাবনা আপনার তরে।
মহিলা গেস্ট আসলেই দুই সতীনে কে আছে?
Thumbnails managed by ThumbPress
২২টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
“চল বাড়ী যাই। তুই তোরংগ, বোন আর আমি মিলে সবাই এক সঙ্গে কান্দি যাতে তোর রেজাল্ট ভাল হয়।”
এটা সব থেকে দারুণ।
মোঃ মজিবর রহমান
পড়ার জন্য ধন্যবাদ বস।
জিসান শা ইকরাম
ভালোই হয়েছে লেখা
কিছু সাধু আর চলিত ভাষা একই সাথে আছে, এটা না হলে আরো ভালো হত।
শুভ কামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
জানি অনেক ক্রুটি ভাইয়া।
কোনদিন এভাবে লিখি নাই ।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
রুহুল
আমার জানি কেমন খাপছাড়া লেগেছে।
মোঃ মজিবর রহমান
একটু খাপছাড়া হয়েই গেল যে।
ধন্যবাদ।
শুভ্র রফিক
অনাবিল লেখা।সাধু চলিতের মিশ্রণ হওয়ায় গুরু চন্ডালি দোষে দুষ্ট।পরীক্ষার খাতা না।কাজেই পরে ঠিক করে নিলেই চলবে।
মোঃ মজিবর রহমান
জানি লেখালেখি কম হয়ত তাই।
চেস্টা করব পরে বার এড়িয়ে চলার জন্য।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
মনপ্রাণ খুলে লিখেছেন বুঝা যাচ্ছে। কিন্তু শেষের লাইন “মহিলা গেস্ট আসলেই দুই সতীনে কে আছে?” ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি।
মোঃ মজিবর রহমান
আপু আমি লিখতে পারিনা না জা করেছি আপনাদের পড়ে ভুল ভ্রান্তি ক্ষমা করবেন।
আর হ্যা ব্যাংগাত্তক ভাবে ডাক্ত ২০৩ না বলে।
অরুনি মায়া
সবাই মিলে একসাথে কাঁদলে বুঝি রেজাল্ট ভাল হয়! 😀
মোঃ মজিবর রহমান
কান্দন না থাম্লে হয় দিদি।
এটা কাজে লাগে মাঝে মাঝে।
অনিকেত নন্দিনী
‘আঙ্গেল আসলেন কিন্তু কান্না একই গতিতে অবিরাম একই ভঙ্গীতে চলিতেছে।’ – আঙ্গেল কে? কোনো বিদেশিনী? ^:^
ফ্যাপাচ্যাকা দাঁড়ায় ক্যাম্নে? ;(
মহিলা গেস্ট আসলেই দুই সতীনে কে আছে মানে? দুই সতীনের মধ্যে এত্ত মহিলা ক্যান? দুই সতীন তো দুইজন মহিলাই হয়, নাকি? ;?
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আমার মনে হয়, মজিবুর ভাই “দুই সতীন” বলতে “দুই’শ তিন” মিন করেছেন। ;?
অনিকেত নন্দিনী
দুই সতীন আর দুইশো তিন এই দুইটার মধ্যে বিস্তর ফারাক। মজিবুর ভাই এইটা বুঝলেননা?
ব্যাপুক চিন্তার বিষয়। ;?
মোঃ মজিবর রহমান
দিদি
ব্যাংগাত্বক ভাবে কল করত যে
আমাদের লজ্জা লাগত
বঝেন না কেন আপনি?
অনিকেত নন্দিনী
আরে ভাই, সেইটা আগে বলবেননা? না বললে বুঝি কী করে? 🙂
অরুনি মায়া
ছোট বেলায় একটা ধাঁধাঁ শুনেছিলাম ,” এক লোক দুইজন মহিলাকে সাথে নিয়ে বাজারে এসে একটা শাড়ি কিনলেন ” | এখন এক কথায় উত্তর দিতে হবে শাড়িটার দাম কত আর দুই মহিলার মাঝে সম্পর্ক কি |
উত্তর ছিল দুইশো তিন/দুই সতীন 😀
অনিকেত নন্দিনী
:D) :D) :D)
আপনার গল্পের সতীনদের শাড়ির দাম কম। আমি শুনেছিলাম ৩০৩। 😀 :v
অজানা এক পথে চলা
ভাবলাম দু সতীনের ঝগড়া নিয়ে কিছু পড়বো। পড়লাম কক্ষ নং ২০৩ 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
হুম ! দিদি ঠিকই পড়েছেন।
হতভাগ্য কবি
😀 😀 হলে আমার রুম ছিল ৩০৩ , অনেক কিছু মনে পড়ে গেলো , ধন্যবাদ লেখক