দুই মাতালের কথোপকথন, এবং সতীন কাঁটা বা ফুল।

উর্বশী ২৭ আগস্ট ২০২০, বৃহস্পতিবার, ০২:১৯:৩১পূর্বাহ্ন বিবিধ ৩০ মন্তব্য

আসসালামুআলাইকুম।

সম্মানিত এডমিন গন,মডারেটর গন,শ্রদ্ধেয় গুনীজন,অন্যান্য প্রিয় লেখক,লেখিকাগন এবং সকল সদস্যবৃন্দ , দীর্ঘ বিরতির পরে  নীড়ে ফিরে এলাম।আশা করছি যার যার অবস্থানে আল্লাহ পাক সবাইকে ভাল রেখেছেন।অসুস্থতার জন্য অনিয়মিত ছিলাম।সেজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আবার নিয়মিত হওয়ার  ইচ্ছা প্রকাশ করছি ইন শা আল্লাহ।

দুই মাতালের কথোপকথন ঃঃ--------

১ম মাতালঃ---- তুই যদি বলতে  পারিস এই ব্যাগে কি আছে,তাহলে এই ব্যাগের সব ডিম তোর।আর যদি বলতে পারিস  মোট কয়টা ডিম আছে,তাহলে ব্যাগের  ছয়টা ডিমের ছয়টাই তোর।এবং  যদি তুই আরও বলতে পারিস যে,ডিম গুলো কিসের  তাহলে এই ডিম গুলো পাড়া মুরগিটাও তোর।

২য় মাতাল ঃঃ----- দোস্ত কোনো একটা ক্লু  দে...

সতীন কাঁটা বা ফুল ঃঃ-----

সেই ছোটবেলার প্রাইমারী স্কুলের বান্ধবী  প্রভাকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কেঁদে চলেছে মনিদীপা।  দীর্ঘ দিন ধরে   মনের আকাশে  জমে থাকা মেঘমালা আজ যেন বৃষ্টি রুপে  অঝোরে ঝরে   পড়ছে গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে  প্রভা। বিক্ষিপ্ত মনটাকে  শান্ত করতেই  প্রভার বাড়িতে এসেছে মনিদীপা।

মনিদীপা

নআর কাঁদিস নে,, কি আর করবি বল! যা হবার তাতো হয়েই গিয়েছে। বিয়ের আগে যখন কিছুই হুঝতে পারিস নি, এখন আর কেঁদে কি লাভ? সেই ডাইনিটার হাত থেকে  অনন্তকে কিভাবে ছাড়িয়ে আনবি সেটা নিয়ে ভাব।

নারে প্রভা,আমি অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিছুই হচ্ছেনা।অনন্ত আমায় বলে দিয়েছে ও আমায় যেমন ছাড়তে পারবেনা, তেমন ওই হতচ্ছাড়ীকেও ছাড়তে পারবে না।

প্রভা চিন্তা করছে,এটা কিভাবে সম্ভব হচ্ছে, মনিদীপা যথেষ্ট সুন্দরী। কলেজে,ইউনিভার্সিটিতে  পড়ার সময় কত সুন্দর সুপুরুষ    প্রেম নিবেদন করে ওকে। কিন্ত কোনোদিন কাউকে দেখে মনিদীপাকে  টলে যেতে দেখেনি প্রভা।   সে সময়  প্রভা কত বলতো এত সুন্দর, স্মার্ট ছেলেটিকে যা তা বলে দিলি দোস্ত।

যুক্তিপটিয়সী মনিদীপা তখন বলেছে,স্মার্ট ছেলেরা টাইমপাস করে রে,ভালোবাসেনা।  শেষে কিনা ইউনিভার্সিটির প্রথম বেঞ্চে বসা ভারী লেন্সের  চশমাওয়ালা রোগা টাইপের লম্বা ছেলেটা যখন  এক বন্ধুর মাধ্যমে তার ভাল লাগার কথাটি বলে,  তখন মনিদীপা একটু ভাব নিয়েছিল বটে । পরে অবশ্য ছেলেটিকে  হ্যা বলে দেয়। সেই ছেলেটি এখন  মনিদীপার স্বামী অনন্ত। সেই সময় ওদের সব বন্ধু বান্ধব এক বাক্যে বলেছিল অমন  ছেলে এই  বিশ্ব বিদ্যালয়ে আর নেই। মনিদীপা ই অনন্তের জীবনে প্রথম নারী, যার দিকে চোখ তুলে তাকিয়েছে। তার আগে কখনোই  কোনো মেয়ের দিকে চোখ তুলেও তাকায় নি অনন্ত। সেই ছেলেটি কিনা  এখন না ছাড়তে পারবে মনিদীপাকে,আর না ছাড়তে পারবে সেই ডাইনিটাকে। পুরানো কথা ভাবতে ভাবতে  মনিদীপার মাথায় হাত বুলাতে  লাগলো প্রভা।

এই, মনিদীপা, অনন্ত কোথায় রে?

আবার কোথায়,আজ অফিস যাবার সময় বলে বেরিয়েছে, অফিস শেষে সন্ধ্যা বেলায় ওই ডাইনিটার কাছে যাবে।

ডাইনিটা কোথায় থাকের রে?

স্টেডিয়ামে থাকে,আর নয়তো আমার বাড়িতে।রাগের মাথায় স্টেডিয়াম শব্দটি মিস করে গেছে প্রভা

বলিস কি রে? বাড়িতেও আসে তোর সতীন?  কিন্তু আসেটা কখন ওই হতচ্ছাড়ীটা?

সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা,রাত যখন খুশি অনন্ত তখন ই তাকে নিয়ে আসে। আর নয়তো বাইরে সময় কাটায়। আমার জন্য  ওর কোনো সময় নেই, অথচ ওই ডাইনিটার জন্য সময় আছে।

চুপ কর! মনিদীপা চুপ কর। আমি আর সহ্য করতে পারছিনা।  এবার তোর সতীনের নাম টা বল তো?

ফুটবল।

উফ, মনিদীপা তুই আর শোধরাবি না!  সামান্য একটি খেলাকে সতীন বানিয়ে ফেললি।?

কেন?  ফুল ও তো  বানাতে পারি হিহিহি

প্রভার বুঝতে বাজি নেই মনিদীপা সেই আগের মতই ছেলে মানুষী ভাব ই রয়ে গিয়েছে।

বিঃ দ্রঃ--- যাপিত জীবনে আমাদের এ ধরনের কিছু না কিছুর সমুক্ষীণ  কম বেশী হয়ে থাকি হয়তো। সেটা লেখা লেখির বিষয় হতে পারে।টিভি দেখা নিয়েও হতে পারে। সব নির্ভর করে যার যার সখের উপর ভিত্তি করে। তবে সেটাকে কোনো কাঁটা নয়।  আসুন আমরা তাকে সুবাসিত ফুল  হিসেবেই মূল্যায়ন করি।

সকলের মংগল কামনা করি।

এস,এম,এস ঃঃঃঃঃ--+

এস ( S) স্যানিটাইজার

এম (M) মাস্ক

এস( S) সোস্যাল ডিস্ট্যাঞ্চ

চলমান সময়ে আমরা  এক অস্থিরতার মাঝেই দৈনন্দিন  সব কিছুই  জীবনের প্রয়োজনে করে চলেছি। মহামারী চলে যায়নি, পরিবেশ তাকে নীরব করে রেখেছেন।যদি  আক্রান্ত হই, গননা করা হয়  , তাহলে শুধু মাত্র একটি সংখ্যায় পরিণত হবো।  কিন্তু পরিবারে  অন্যান্য সদস্যদের কাছে আমরা এক একজন পুরো পৃথিবী। তাই আসুন, " এস এম এস এর সঠিক ব্যবহার ও তার মূল্যায়ন করি।

ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বলে আশা রাখি।  সোনেলা ভালোবাসা  ও শুভ কামনা সবার জন্য।

0 Shares

৩০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ