দুঃস্বপ্ন

অনুশঙ্কর গঙ্গোম্যাক্সিম ২০ নভেম্বর ২০১৩, বুধবার, ০১:৩৪:৪৪পূর্বাহ্ন বিবিধ ১২ মন্তব্য

মাঝ রাতে অগোছালো কিছু স্বপ্নে ঘুম ভাঙে পাঁপড়ির। ফুলস্পিডে ফ্যান চলছে তারপর ও ঘামে ভিজে গেছে পুরো শরীর। পিয়াল সাথে তো রাত বারটার দিকে কথা বলে ঘুমাতে গেলাম এখন এইগুলো কি স্বপ্ন দেখলাম!
পাঁপড়িদের বাড়ির তিনতলায় খালার বাসায় থাকে পিয়াল। অনার্স ফাস্ট ইয়ারের ছাত্র। বাসার ছাদে পরিচয় হয় পাঁপড়ি আর পিয়ালের। পাঁপড়ি বাবার একমাত্র মেয়ে,মা মারা গেছে বছর পাঁচেক আগে। পিয়াল ও মায়ের একমাত্র সন্তান, বাবা মারা গেছে ছোটকালে।
রাগ -অনুরাগে দুজনের সম্পর্ক এগিয়ে যেতে লাগল। অবশ্য পিয়াল একবার গোপনে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে ছিলো কিন্তু পাঁপড়ি রাজি হয়নি,আগে লেখাপড়া শেষ করে তারপর বিয়ে।

স্বপ্নে বিয়ের পরে পিয়ালের বদলে যাওয়া রুপ মানতে কষ্ট হলো পাঁপড়ির। বিয়ের তিন মাস পর দাবি করে বসে বিয়েতে তো তেমন কিছু দেয়নি তোমার বাবা, এখন আমাকে দশলাখ টাকা দিতে বল আমি কানাডা যাব । আর উনি মারা যাওয়ার পর বাড়ির মালিক তো তুমি,না না তোমার মানে তো আমার, তাই বলছিলাম একেবারে আমার নামে লিখে দিলে তো হয়।
মেয়ের সুখের কথা ভেবে দশলাখ টাকা দিয়ে দেয় পাঁপড়ির বাবা। টাকা পেয়ে কিছুদিন ভালো ছিল পিয়াল তারপর আবার তালাকের ভয় দেখাতে লাগল। অনেক কষ্টে দেড় বছর পর পাঁপড়ি নিজেই ডিভোর্স দেয় পিয়ালকে।
স্বপ্নের কথা ভেবে মনটা খারাপ হয়ে যায় পাঁপড়ির,বিয়ের পরে যদি আমার জীবনেও সত্যি যদি এমন কিছু হয়! স্বপ্নের কথা পিয়ালকে কি বলব ..আমি যতটুকু চিনি পিয়াল তো এমন নয়।
জানলা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে দেখে এখনও ভোরের আলো ফুটে নি চারিদিকে নিস্তব্ধ । টেবিলের উপরে রাখা একগ্লাস পানি খেয়ে আবার ঘুমাতে গেল পাঁপড়ি,কিন্তু মনে এখনও জেগে রাত জাগা সেই দুঃস্বপ্ন।

0 Shares

১২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ