নিম্ন আয়ের মানুষ!
প্রতিদিন যাদের দিন শুরু হয় জীবিকার সন্ধানে পথে নেমে 'দিন আনি দিন খাই' নিয়মে। করোনা এখনও আঘাত হানেনি হয়তো, কিন্তু ক্ষুধার আঘাত ইতিমধ্যে তাদের দুয়ারে কড়া নেড়ে চলেছে।
*স্বল্প আয়ের দিনমজুর
*রিক্সাওয়ালা
*ভ্যানওয়ালা
*মতিঝিল এলাকায় খোলা আকাশের নিচে খাবার বিক্রেতা
*পার্কের কোণে দাঁড়িয়ে চটপটিওয়ালা
*ফুটপাতে বসে জুতোসেলাই চাচা
*গুলিস্তানের ফুটপাতে প্রতিদিন শ'খানেক 'যা নিবেন ১০০ টাকা' হকার।
*শিশুপার্কের সামনে দাঁড়ানো বেলুন বিক্রেতা।
যাদের অনেকেই গ্রামে ফিরে গেছেন খালিহাতে। তাদের কাছে করোনার চেয়ে ভয়ঙ্কর এখন পেটের ক্ষুধা। ক্ষুধা নিবৃতকরণে তারা যখন পাগল হয়ে উঠবে, কী হবে পরিস্থিতি? ভাবছেন কিছু? করোনা থেকে যে একা বাঁচা যাবে না, বুঝেছেন তো? বদ্ধঘরে যতোই তালাবদ্ধ হয়ে থাকুন, নিজ প্রয়োজনেই একসময় বের হতে হবে। ওই ক্ষুধার্ত মানুষগুলো আপনাকে সামনে পেলে কী করতে পারে ভাবছেন?
ভাবুন, আর সাধ্যমতো লকডাউন চলাকালে তাদের খাবার দিন। সবচেয়ে ভালো হয় অঞ্চলভিত্তিক অর্থাৎ যারযার নিজের অঞ্চলে। সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে। রাজধানীতে দেয়ার মতো অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনই কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। ক্ষুধার জ্বালা যে মৃত্যুযন্ত্রণা থেকেও ভয়ঙ্কর।
ভাববেন না, করোনা আমাদের দেশে আঘাত তেমন করছে না বলে আমরা নিরাপদ। যতদিন ভ্যাক্সিন আবিষ্কার না হচ্ছে ততদিন এর তাণ্ডব চলবেই। কতোদিন ঘরবন্দী থাকবেন? একসময় তো বের হতেই হবে। লকডাউন করা হয়েছে হয়তো আক্রান্ত কয়েকজন দেশে ঢুকে পড়েছে বলে তাৎক্ষণিক ছড়ানোটা নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজনে। কিন্তু কতোদিন? নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে আবার সব স্বাভাবিক হবেই। হতে হবে জীবনের প্রয়োজনেই। কিন্তু #করোনা তো একেবারে বিনাশ হচ্ছে না। যদি নিম্ন আয়ের মানুষগুলোকে নিরাপদ না রাখা হয় তবে আমাদের এখানেও এর বিস্তার রোধ করা সম্ভব নয়।
এসব নিম্ন আয়ের মানুষদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেই কেবল করোনা সংক্রমণ রোধে সঙ্গরোধ বা সামাজিক দূরত্ব হয়তো নিশ্চিত হতে পারে।
১৯টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
দারুণ লেখা ,বেশ ভালো লাগলো । ভালো থাকুন। একমাত্র আল্লাহই রক্ষাকর্তা ।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আমাদেরও সচেতন থাকতে হবে।
ভালো থাকুন।
হালিম নজরুল
আসুন আমর সবাই নিরন্নকে অন্নদানের শপথ করি।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
একদম। মহামারি করোনা এই বার্তাই নিয়ে এসেছে, সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
খুব গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো। করোনা যে শীঘ্রই যাচ্ছে না , আটঘাট বেঁধেই নেমেছে তা বুঝতে কারোরি বাকী নেই। সবাইকে সবার পাশে দাঁড়াতে হবে। উৎপাদন বন্ধ হলে মালিকদের ও সমস্যা। তাই সবাই এখন মুখ ফিরিয়ে থাকবেন না। যার যার অবস্থান থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা রইলো। ভালো থাকুন
মারজানা ফেরদৌস রুবা
একা মানুষ মানুষ নয়, সম্মিলিত মানুষই মানুষ।
সম্মিলিতভাবেই বাঁচি এবং বাঁচাই।
ইসিয়াক
মানুষ আরো মানবিক হোক।
মানবতার জয় হোক।
শুভকামনা।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
মানুষই মানুষের জন্য।
শুভকামনা।
ফজলে রাব্বী সোয়েব
চমৎকার। শুভ কামনা রইলো
মারজানা ফেরদৌস রুবা
শুভকামনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
একদম ঠিক বলেছেন আপু
কেউ তো ভাবে নি তাদের কথা।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ভাবতে হবে। সমাজে প্রত্যকের জন্যই প্রত্যকে প্রয়োজন। তাই সকলে মিলেই বাঁচতে হবে।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত আপু। শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
রাজধানী সহ সারা দেশেই কম/ বেশি স্বেচ্ছাসেবকরা নিজেদের কার্যক্রম শুরু করেছে যেটা মানবিকতার পরিচয় বহন করে। আবার পাশাপাশি করোনা নিয়ে বানিজ্যও কম হচ্ছে না। কতিপয় অসাধু ব্যাক্তিরা এটা নিয়ে অত্যন্ত বাজে বিজনেস করছে। অসহায়দের নামে বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদা নিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করার ধান্দায় মেতেছেন অনেকে। আবার কিছু মানুষ দান/ সাহায্য করছেন ঠিকই, কিন্ত নিজের আত্মপ্রচার করতে গিয়ে সেইসব অসহায় মানুষের সম্মানহানি করছেন ফটোসেশান আর সেল্ফি দিয়ে। তারা ভুলেই গেছেন এসব অসহায় মানুষেরা ভিক্ষুক নয়, এরা সাময়িক পরিস্থিতির শিকার।
অযথা মজুদদারী থামানো গেলে সাধারণ মানুষদের এম্নিতেই অনেকটা উপকার করা সম্ভব হতো। দুই/চার/ছয় মাসের বাজার যদি এক ব্যাক্তিই বাজার থেকে নিয়ে যায়, তাহলে আরেকজন চাইলেও ন্যায্য মূল্যে কিছুই কিনতে পারবে না। আর এর প্রভাব পরবেই।
আমাদের মাঝে আরও ধৈর্যশীলতা এবং সহোযোগিতা পূর্ণ মনোভাব তৈরি করতে হবে। সঙ্গরোধ করতে হলে সামাজিক সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই।
শুভ কামনা রইলো রুবা আপু।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
মূলকথা এটাই, “সঙ্গরোধ করতে হলে সামাজিক সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই।”
সুরাইয়া পারভীন
ক্ষুধার থাবা করোনার থাবা থেকেও ভয়ঙ্কর
চমৎকার লিখেছেন। এখনই সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ওদের ক্ষুধার থাবা নিবৃত না করতে পারলে সঙ্গরোধ সম্ভব নয়।
জিসান শা ইকরাম
আমাদের সবার উচিত যার যার সাধ্যমত দুস্থদের প্রতি সাহায্যের হাত প্রসারিত করা।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
তাইই করা উচিত।