আমার কোন দায় নেই,
পাখিডাকা-ভোর কাকডাকা-জ্যোৎস্না
নির্ঘুমের রাত গোনা;
নির্ঘাত বিভ্রান্ত হচ্ছে হুশ
সরোষে ছুঁড়তেও পারে জুতো,
খড়ম পায়ে বরাবর হেঁটে যায়
নির্ঘুমের খটখটে রাত;
বখে-যাওয়া বাচাল-রাতের আঁতলামো
শুধুই দাঁত-চেপে সহ্য করে যাওয়া,
মূক-কে-বাচাল, বাচাল-কে-মূক
সবই ঈশ্বর-লীলা,
হোক-না তা হাত-ছোঁয়া দূরত্ব!
রূপালী কাঁটায় বেঁধা রাতগুলো
আকাশের মতই অচেনা, এখনো,
২৪টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
আজকাল কি রাতঘুম নির্ঘূমতায় যাচ্ছে? তবে একাকী নিঃসঙ্গতা যদি এমন কবিতা লেখাতে পারে, তাহলে নির্ঘূম রাত ভালো আমাদের পাঠকদের জন্য।
কবিতা জব্বর হইছে। বোঝা-না-বোঝার অস্পষ্টতার ভেতর থাকার মধ্যেও দেখি বেশ আনন্দ পাওয়া যায়! 😀
ছাইরাছ হেলাল
জব্বর হলেই তুমুল আনন্দ,
রাত-ঘুম-নির্ঘুমতার সাথে লেখালেখির কোন যোগ নেই, এ নিতান্ত ল্যাহা মাত্র!!
আপনাদের জন্যই-তো লিখি (হি-হি!!), সবই বিধাতার কৃপা!!
শুন্য শুন্যালয়
রাত খরম পায়ে খটখট করে হাঁটে? বাপ্রে বাপ কিসব কথাবার্তা। হুশ বিভ্রান্ত হলে যা হয় আর কী!
আমার কোন দায় নেই তবে দায় থেকেই যায়। অদেখা অচেনা এই রাতগুলো ভীষণ শব্দ করে ইদানিং, ঝড়ের মতো চিৎকার ভাসে,
বখাটে বলবেন না মোটেও, বাঁচাল বলেই এখনো থামেনি কথা। কবির মতো এমন লিখতে পারলে রাতজাগার প্র্যাকটিস শুরু করতাম, কিন্তু গ্যারান্টি দেবে কে?
ছাইরাছ হেলাল
আপনি কবির-কবি,
রাত জাগতে হয়-না আপনার লিখতে, সামান্য লেখার ইচ্ছে হলেই কাফি!!
দেখুন রাতের দিকে চোখ ফেলবেন-না, আচুক্কা ভোর-ফোর-ই ভাল আপনার,
দেখুন ভালু না ল্যাক্তে পারলে হুশের বিভ্রান্ততা আসে, আসতেই পারে।
অনেকদিন লেখালেখি করেন-না!!
শুরু করে দিন।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
বখে-যাওয়া বাচাল-রাতের আঁতলামো
শুধুই দাঁত-চেপে সহ্য করে যাওয়া,
মূক-কে-বাচাল, বাচাল-কে-মূক
সবই ঈশ্বর-লীলা, (y)
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
মেনে নিতে হয় অনেক কিছু
মানতেও হবে আমৃত্যু
কি আর করা।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক বলেছেন,
উপায়হীন হলে যা হয় আর-কী।
শিপু ভাই
কবির মনে নিগূঢ় অক্ষম বেদনা, একাকিত্বের হাহাকার এবং একই সাথে বিদ্রোহী হওয়ার এক বিমূর্ত চিত্র এই কবিতা।
++++
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, একদম লেখার কাছে চলে এসেছে মন্তব্য।
অনেক দিন পর দেখলাম এখানে।
শিপু ভাই
কবিতা সব বুঝতে পারি না তাই মন্তব্য করার ধৃষ্টতা দেখাই না মামা। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
আসলে আমি নিজেই-তো কত অজানার মধ্যে থাকি,
তাই এসব কোন ব্যাপার না।
মিষ্টি জিন
কুবিরাজ, কিছু কিছু ব্যাপার আমরা জানি কখনই ঠিক হবার নয়, তারপর ও আশায় থাকি । কারন মন যে মানে না।
যা মানতে বাধ্য বা না মেনে উপায় নেই তা নিয়ে আজকাল কথা বলাই ছেডে দিয়েছি।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে সব জেনে বুঝেও কিছু একটা থেকে যায় অজানায়,
পাওয়া, না পাওয়ার মাঝে ঝুলতে থাকে, উপায়হীন হয়ে।
নাসির সারওয়ার
আমি প্রায়শই কবিতার মন্তব্যে (বিশেষ করিয়া এই কবির কবিতায়) “কিছুই বুঝিলাম না” লিখিয়া নিজেকে আতেল ভাবিয়া তৃপ্ত হইতাম। আমার এই তৃপ্ত যে কত হাস্যকর তাহা আজই আবিষ্কার করিলাম কবিগুরু এক বানীতে।
“কবিতা শুনিয়া কেহ যখন বলে, ‘বুঝিলাম না’, তখন বিষম মুশকিলে পড়িতে হয়। কেহ যদি ফুলের গন্ধ শুঁকিয়া বলে, ‘কিছু বুঝিলাম না’, তাহাকে এই কথা বলিতে হয়, ইহাতে বুঝিবার কিছু নাই, এ যে কেবল গন্ধ।” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কবিগুরু যদি আমার দেখা পাইতেন (!), না জানি এই বাণী লইয়া কিই না মুশকিলে পরিতেন। কারন আমার যে কবিতা বুঝিবার মেধা নাই।
ছাইরাছ হেলাল
এবারে আর একটু উদ্ধৃতি দেই,
রবীন্দ্রনাথের লেখা থেকে
“কিছু-একটা বুঝাইবার জন্য কেহ তো কবিতা লেখে না। হৃদয়ের
অনুভূতি কবিতার ভিতর দিয়া আকার ধারণ করিতে চেষ্টা করে এইজন্য কবিতা শুনিয়া কেহ যখন বলে “বুঝিলাম না’ তখন বিষম মুশকিলে পড়িতে হয়। কেহ যদি ফুলের গন্ধ শুঁকিয়া বলে “কিছু বুঝিলাম না’ তাহাকে এই কথা বলিতে হয়, ইহাতে বুঝিবার কিছু নাই,এ যে কেবল গন্ধ। উত্তর শুনি, “সে তো জানি, কিন্তু খামকা গন্ধই বা কেন, ইহার মানেটা কী।’ হয় ইহার জবাব বন্ধ করিতে হয়, নয় খুব একটা ঘোরালো করিয়া বলিতে হয়, প্রকৃতির ভিতরকার আনন্দ এমনি করিয়া গন্ধ হইয়া প্রকাশ পায়। কিন্তু মুশকিল এই যে, মানুষকে যে কথা দিয়া কবিতা লিখিতে হয় সে কথার যে মানে আছে। এইজন্যই তো ছন্দোবদ্ধ
প্রভৃতি নানা উপায়ে কথা কহিবার স্বাভাবিক পদ্ধতি উলটপালট করিয়া দিয়া কবিকে অনেক কৌশল করিতে হইয়াছে, যাহাতে কথার ভাবটা বড়ো হইয়া কথার অর্থটাকে যথাসম্ভব ঢাকিয়া ফেলিতে পারে। এই ভাবটা তত্ত্বও নহে, বিজ্ঞানও নহে, কোনোপ্রকারের কাজের জিনিষ নহে, তাহা চোখের জল ও মুখের হাসির মতো অন্তরের চেহারা মাত্র। তাহার সঙ্গে তত্ত্বজ্ঞান, বিজ্ঞান কিংবা আর কোনো বুদ্ধিসাধ্য জিনিষ মিলাইয়া দিতে পার তো দাও কিন্তু সেটা গৌণ। খেয়ানৌকায় পার হইবার সময় যদি মাছ ধরিয়া লইতে পার তো সে তোমার বাহাদুরি কিন্তু তাই বলিয়া খেয়ানৌকা জেলেডিঙি নয়– খেয়ানৌকায় মাছ রপ্তানি হইতেছে না বলিয়া পাটুনিকে গালি দিলে অবিচার করা হয়।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (জীবন স্মৃতি)
নাসির সারওয়ার
“কিছু-একটা বুঝাইবার জন্য কেহ তো কবিতা লেখে না। হৃদয়ের অনুভূতি কবিতার ভিতর দিয়া আকার ধারণ করিতে চেষ্টা করে…।। আমার আর কিছুই বলিবার নাই। এখন হইতে কবিতায় “কিছুই বুঝিলাম না” শ্লোক রোহিত করা হইলো।
তাহার পরিবর্তে “এই কবিতায় আপনার হৃদয়ের অনুভূতি প্রকাশ পাইয়াছে যাহা আমি গলদ ধারন করিয়া ধন্য হইলাম”
হায় কবিগুরু, কি করিয়া গেলেন আর কিইবা রাখিয়া গেলেন যাহা কোন দিনই মোর উদ্দার হইবে না।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি কুবি মানুষ যা হোক কিছু একটা লিখে দিলেই
বর্তে যাব আমারা,
কুবিতা-টুবিতা ছাড়ুন খান কতক!!
নীহারিকা
ঘুমের অষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লেই হয়। এত কষ্ট করার কি দরকার?
ছাইরাছ হেলাল
ঔষধ দ্যান!!
নীহারিকা
ডাক্তার থাকতে আমি ক্যান?
ছাইরাছ হেলাল
আপনে বড় দাক্তার!!
মেহেরী তাজ
এতো রাত জাগলে তো এমন হবেই। আবার বলেন দায় নেই…..!!!
ছাইরাছ হেলাল
আমি আবার কোন-সুম রাইত জাগলাম,
রাত্রি রাত জেগে ঘুমায়!!