
সোনেলার জন্ম মাসে সবাইকে শুভেচ্ছা। যারা অনেক পরিশ্রম, সময় আর মেধা দিয়ে সোনেলাকে সমৃদ্ধ করে রেখেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা অসীম।
জিসান সাহেব এর নাম লেখাটি আমার জন্য খুবই অস্বস্তিকর বা আমি তার নাম ধরে সম্বোধন করতে চাই না। সে অনেক সম্মানিত একজন আমার কাছে। তাই দাদাই লিখছি।
যখন সামুতে দাদা লিখত চুপি চুপি তার লেখা পড়তাম আর মনে মনে বলতাম পারেও এই লোকটা। হঠাৎ একদিন দেখলাম সোনেলা ব্লগ শুরু করেছেন। পতিদেব কে বললাম দেখো দাদা আবার কি পাগলামি শুরু করেছে। এর পর থেকে টুকটাক লেখা পড়ি কিন্তু সামনে ভাব ধরলাম যে তার এসব আমার মোটেও ভালো লাগছে না। যখনই তার সাথে কথা হতো ৯৯ ভাগ কথাই বলতো ব্লগ নিয়ে। নিজের কথা পরিবারের কথা তার মনেই থাকতো না। মনে মনে বলতাম হায়রে ব্লগ!!! লোকটাকে পাগলই না বানিয়ে ফেলে। কিন্তু পতিদেব বলতো যে তোমার দাদা ছোট বেলা থেকেই লেখালেখি পছন্দ করে ও পারবে এটা ধরে রাখতে। এতদিনে ও মনের মতো কিছু পেয়েছে।
দিন দিন দাদার অপরিসীম চেষ্টায় আর মায়ায় সোনেলা বেড়ে উঠেছে। যখন খারাপ লোকের দৃষ্টি পরলো তখনও মনে সাহস ছিল যে দাদার স্বপ্ন কেউ নষ্ট করতে পারবে না। আল্লাহর রহমতে সবই ঠিক আছে থাকবে।
আমার সোনালায় তেমন কোন ভূমিকা নেই।তাই কিছু লেখার ও নেই। শুধু চাই দাদার পাগলামিটা যেন সবার দোয়ায় আর চেষ্টায় বহুকাল বেচে থাকে। অনেক অনেক শুভ কামনা সবাইকে।
৩০টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
বুঝলাম আপনি আপনার দাদার গুণগ্রাহী ভগ্নি। লেখার শিরোনাম থেকে শুরু করে সমাপ্তি পর্যন্ত দাদা-দাদাই করলেন!!!!! লেখাটি কি সোনেলা নিয়ে ছিলো না দাদা নিয়ে, ভেবে রীতিমত কনফিউজড হয়ে যাচ্ছি। 😟😟
শাহরিন
হুম, দাদাকে ছাড়া তো সোনেলার জন্মই হতো না। এখানে যারা আছেন আমার বিশ্বাস সবাই আমার মতো তাকে ভালোবাসেন। একটু ভালোবাসলে ক্ষতি কি!!! 😁
আর আমি তো লেখক না তাই বেশি কিছু লিখি না ভুল হবার ভয়ে 😌
সাবিনা ইয়াসমিন
তা ঠিক। জন্মদাতা ছাড়া কিছুরই জন্ম হয়না। কিন্ত তারপরেও কিছু কথা থাকেই। যেমন জন্মের পর কে আগে কোলে নিয়েছে?, কে সবচেয়ে বেশি গিফট দিয়েছে… ইত্যাদি।
হাহাহাহা, এটা কিন্তু জেলাসি কমেন্ট না। তাই আপনারা ভ্রাতা-ভগ্নী দয়া করে আক্রমণের চিন্তা ভাবনা করবেন না প্লিজ 😀😀
ছাইরাছ হেলাল
দাদাময় লেখা দিয়ে লেখায় ফিরছেন, ফিরছেন তাতেই ধন্যবাদ।
ছয় ছয়টি দাদাদাদাদাদাদাদাদাদাদাদ!!!!!!!! আহারে আর কিছু চৌক্ষে পড়ে না!!
আপনার দাদা আর সোনেলা দেখছি হরিহর আত্মা!!
“আর আমি তো লেখক না তাই বেশি কিছু লিখি না ভুল হবার ভয়ে”
আপনাকে লেখক হতেই হবে এমন দিব্যি কিন্তু কেউ তো দেয়-নি!
সেই ভুলটুকুই লিখে দিন, পাঠক অপেক্ষায় আছে।
শাহরিন
আরে ভাই একটু দম নিয়া নেই তারপরে আবার বলেন।
আরজু মুক্তা
আপনার দাদা আর সোনেলা একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। আমরাও চাই সোনেলা এগিয়ে চলুক।আর আপনার দাদারও সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।।
শুভ ব্লগিং!
শাহরিন
অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা দোয়ার জন্য।
রেহানা বীথি
শুভকামনা দাদার সোনেলা আর তাঁর বোনের জন্য।
শাহরিন
অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা দোয়ার জন্য।
ইঞ্জা
ভাইজানের গুণের শেষ নেই, এই সোনেলার সব কিছুই উনার, উনিই আমাদের সবাইকে হাত ধরে নিয়ে এসেছেন এই গ্রুপে, হাতে কলমে শিখিয়েছেন ব্লগিং করা, উনার গুণের কথা বলে শেষ করা যায়না, এমনি আমাদের প্রিয় ভাইজান।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর এক পোস্ট দিলেন। 😊
শাহরিন
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, উনি অনেক মমতা দিয়ে সবাইকে আগলে রেখেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
শতভাগ সত্য বলেছেন আপু, ধন্যবাদ। 😊
মনির হোসেন মমি
আপনার সাথে পুরোপুরি সহমত। দাদা যদি গাগলামী না করত তবে কি কেউ নিজের পয়সা খরচ করে অন্যকে লেখায় প্রতিষ্ঠিত হবার সুযোগ দেয়! আবার দরদী দেখিয়ে দুধ কলা খাইয়ে সাপ পুষেন! দাদা’র সাথে আমার যে দিন থেকে পরিচয় সেদিন হতেই দাদা আমার কাছে বড় ভাই তুল্য।ব্লগের চেয়েও বেশী চিন্তিত থাকি দাদাকে নিয়ে।মাঝে মাঝে অসুস্থতার খবর শুনলে বুকের ভেতর কি যেন এক শুন্যতা অনুভব করি।দাদা সুস্থ হয়ে আবারো আমাদের মাঝে আগের মত ফিরে আসুক।
লেখায় ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম।
শাহরিন
মমি ভাই সেই ব্লগের শুরু থেকে আমি এটাই ভাবছিলাম যে এখানেও কিছু কাল সাপ আছে যারা সময় মতো ছোবল দিবে। আর ঠিকই তা করেছে। কিন্তু সবার ভালোবাসায় সোনেলা ঠিকই দ্যুতি ছড়িয়েছে। জন্ম মাসের অগনিত শুভেচ্ছা।
মনির হোসেন মমি
তবে কষ্ট লাগে কি জানেন আপু..এর বেশ কয়েক মাস আগে যারা ওদের সাথে হাত মিলিয়েছে তাদের মধ্যে কিছু ডায়নীও ছিলেন যাদের সাথে ঐ গ্রুপেরই মেইন নেতাগো লগে একজনের বোনের ছবি পোষ্ট করায় ব্লগে বেশ ক্যাচাল হয়। সে সময় ডায়নীদের পাশে থেকে ছায়া দিয়েছিলো সোনেলা।অথচ সেই ডায়নীরাই সেসব নোংরা মনের অকৃতজ্ঞদের সাথে হাত মিলায়।অথচ এ সব ডায়নীদের পরিবারের সাথেও আমাদের বেশ সখ্যতা ছিলো।
যাক এখন শুধু বোনদের দোয়া চাই আমরা আছি সোনেলার অতন্ত্র প্রহরী।
শাহরিন
এটা দাদার অনেক বড় একটি সমস্যা সে মানুষ চিনতে পায়ই ভূল করে। আর এমন ভাবে মিশে যে কেউ কিছু বলতে গেলেই সে মন খারাপ করে। তার ভূলের জন্য সে অনেক কষ্ট পেয়েছে। কিন্তু জানি শুধরায়নি এখনো ☺
মোঃ মজিবর রহমান
দাদার খুব ভক্ত বুজলাম। আপনাকে স্বাগত।
শাহরিন
জ্বি ভাইয়া ভক্ত বললেও কম হবে। অনেক ধন্যবাদ
নিতাই বাবু
সোনেলা ব্লগের জন্ম মাসে আমিও একটা পোস্ট করেছিলাম। পোস্টের লেখনীতে ব্লগ এব ব্লগের সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সোনেলার দীর্ঘায়ু কামনা ☛করেছিলাম☚। কিন্তু ভুলবশত শ্রদ্ধেয় জিসান শা ইকরাম দাদাকে তাঁর কৃতিত্বের জন্য আলাদাভাবে শুভেচ্ছা জানানো হয়নি। এটা আমি একরকম ভুলই করেছি বলে মনে করছি৷ সত্যি আমি ভুল করেছি। কেননা, আমি নিজেও শ্রদ্ধেয় জিসান শা ইকরাম দাদার সহায়তায় এই স্বনামধন্য ব্লগে এসেছি। তা কিন্তু মিথ্যে নয়, সত্যি। যাক, আপনার পোস্টের মন্তব্যেই আমার পোস্টের ভুল শুধরে নিলাম। আশা করি শ্রদ্ধেয় জিসান শা ইকরাম দাদা আমার ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পরিশেষে জয়তু সোনেলা। বলে ব্লগের সকলের জন্য মঙ্গল কামনা করছি। শুভ ব্লগিং।
শাহরিন
দাদা পড়েছি আপনার লেখাটি। আসলে প্রকাশিত বা অপ্রকাশিত সব লেখাই দাদাকে উৎসর্গিত হয়। কারন সব কিছুর মূলে সেই। আশাকরি সে আমাদের ভালোবাসা ঠিকই অনুভব করেন।
মাছুম হাবিবী
গতকাল দাদার আইডিতে দেখলাম উনি ব্যাংকক গেছেন। চিকিৎসা করাতে! দাদার সাথে তেমন পরিচয় নেই, কথাও হয় নি কোনোদিন। তবু একটা টান কাজ করে উনার প্রতি। অনেক ভালোবাসা দাদা, শুভ কামনা অাপনার জন্য।
শাহরিন
জ্বি ভাইয়া, উনি খুব সহজেই মানুষকে অনেক আপন করে ফেলতে পারেন। দোয়া করবেন উনার জন্য।
তৌহিদ
জিসান ভাই সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। তিনি নিজ গুনে মহীয়ান। সোনেলায় তার অবদান অনস্বীকার্য। সোনেলাকে নিয়ে তার উন্মাদনার শেষ নেই। তার চিন্তা ভাবনায় সোনেলাকে নিয়ে নিত্যনতুন আইডিয়া চোখে পড়ার মতন।
জিসান ভাইয়ের মঙ্গল কামনা করছি।
শাহরিন
অনেক ধন্যবাদ, দোয়ায় তাকে স্মরণ করার জন্য। শুভ কামনা।
মোস্তাফিজুর খাঁন
আপনার দাদার সম্পর্কে জানার আগ্রহ ছিলো প্রচুর ।
সবই তো প্রায় জানা হয়ে গেল ।
শুভ কামনা দাদ ও আপনার জন্য । ❤
শাহরিন
এখানে খুবই সামান্য করে লিখা হয়েছে। কখনো সাহস কতে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
এটি দাদা অন্ত প্রাণ একজন বোনের লেখা,
বোনদের কাছে দাদারা এমনই হয়।
তোমার দাদা সোনেলার জন্য প্রচুর সময় এবং শ্রম দিয়েছে ঠিকই,
তবে এই সোনেলাকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসতে সোনেলা সংশ্লিষ্ট সমস্ত ব্লগার, লেখক, পাঠক, শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভুমিকা সবচেয়ে বেশী। সবাই মিলেই এই সোনেলাকে বড় করেছেন। তুমি এবং তোমার পরিবার অন্যতম।
এত দাদা ময় লেখা দেখে দু-একজনের কিন্তু হিংসায় জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে।
প্রথম দুই মন্তব্যকারীর মন্তব্য দ্রষ্টব্য 🙂
ভবিষ্যতে লেখার সময় তাদের কথা না লিখলে কি হয় তোমার বলা যায় না 🙂
শুভ কামনা।
শাহরিন
অবশ্যই এই পরিবারের সবাই অনেক আন্তরিক। কিন্তু একটি শিকড় তো লাগে!! আর সোনেলার শিকড় অনেক মজবুত। আমার সব কথা ঘুরে ফিরে এক জায়গাতেই টিকবে, সেটা হলো দাদা না থাকলে কিছুই হতো না।
আর আমি তো আমার দাদাকে শুধু দাদা নয় অনেক ভালো মানুষ হিসেবে চিনি। সেটার ব্যাখ্যা এখানে নাই বা দিলাম।
** উপর ওয়ালা দুজনই কবি লেখক মানুষ এদের বিষয়ে কিছু লিখতে গেলেও বড়সড় সাহস এর দরকার আছে 😁
হৃদয়ের কথা
লেখাটি ছোট হলেও দাদার প্রতি আপনার অগাধ আস্থা এবং বিশ্বাস দেখে ভালো লেগেছে। কিছু পাগল টাইপের মানুষ থাকেই, যাদের কারণে নতুন কিছু সৃষ্টি হয়। সোনেলা বেঁচে থাকুক অগুনিত কাল।
শাহরিন
সঠিক, ব্যাতিক্রম মানুষরাই ব্যাতিক্রম কিছু বানাতে পারে। অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।