সুমন নীলাকে দেখেই পছন্দ করে ফেলে। নীলা স্থানীয় কলেজে ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে। সুমন দেখতে সুদর্শন, শিক্ষিত এবং বেশ ধনী পরিবারের সন্তান। অল্প দিনেই সুমন নীলার প্রেম হয়ে যায়। সুমন বাসায় জানায় নীলার কথা। মেয়েদের ছোট্ট পরিবার, স্বচ্ছল, আর মেয়েও খুব ভাল। দিনক্ষণ ঠিক হয় সুমনের পরিবারের কয়েকজন যাবে নীলাদের বাড়ি।
সুমনের মা, বড় চাচা, মেঝো চাচা, ছোট বোন আর সম্পর্কে নানা হয় এমন একজন যায় নীলাদের বাসায়। সুমনের মা ও দুই চাচা চমকে যায় নীলাদের বাসায় গিয়ে। মধ্যবিত্ত পরিবার নীলাদের। বাবা নেই। ১৫/১৬ বছর আগে মারা গেছেন। মা তার তিন সন্তানকে বহু কষ্টে মানুষ করেছেন, বড় করেছেন। বড় দুই ভাই এর একজন বিদেশ আরেকজন ভালো জব করে। সাজানো গোছানো ছোট্ট বাসা ওদের। সবই ঠিক ছিল কিন্তু এই বিয়ে সম্ভব না। কারণ প্রায় ১২/১৩ বছর আগে নীলার মা সুমনের বড় ফুফুর বাসায় বুয়ার কাজ করেছিল কিছুদিন!!!
১৬টি মন্তব্য
সুরাইয়া পারভিন
কিছু দাগ থেকেই যায়। চাইলেও মুছে ফেলা যায় না। নীলার মায়ের সেই কাজের বুয়ার দাগ এসে পড়লে নিশার জীবনে। তবে সত্যিই যদি ভালোবাসা থাকতো এ দাগটা কে মুছে ফেলার চেষ্টা করতে পারতেন। ভালো লিখেছেন
শিপু ভাই
নীলার সন্তানের এই দাগটা থাকবে না আর। এসব দাগ এক জেনারেশন সাফার করে
সঞ্জয় মালাকার
কিছু দাগ থেকেই যায়। চাইলেও মুছে ফেলা যায় না।
ভালো লিখেছেন দাদা।
শিপু ভাই
ধন্যবাদ ☺
তৌহিদ
এমন অসম সম্পর্ককে সামাজিকতার বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে পারিনা আমরা অনেকেই।
শুভকামনা ভাই।
শিপু ভাই
আরো সময় লাগবে এসব ক্ষেত্রে উদার হতে
ছাইরাছ হেলাল
এমন কঠিন বাস্তবতা উপেক্ষা করার সক্ষমতা আমাদের সমাজে
এখনও তৈরি হয়নি।
এখানে এই লেখককে দেখলে পুরনো দিনের অনেক কথাই মনে পড়ে যায়।
শিপু ভাই
সত্যিই তাই! আরো সময় লাগবে!
আমিও মিস করি মামা
এস.জেড বাবু
সু নিশ্চিত পরিস্থিতি-
এটা মেনে নেবে না কোন পরিবার,
একটাই পথ- দুজনে সিদ্ধান্ত কার্যকর করে মানিয়ে নেয়া।
চমৎকার ছোটগল্প।
এবং বাস্তব।
শিপু ভাই
পরিবারকে অগ্রাহ্য করলেও সুখ হবে না। এটা একটা ভাল ক্রাইসিস!!!
মনির হোসেন মমি
এটা কোন কথা হল!!
মানুষ অমানুষ হলে যা হয় আর কি।
অবাক হলেও এটাই বাস্তব। চমৎকার ।
শিপু ভাই
ধন্যবাদ প্রিয় মমি ভাই
সাবিনা ইয়াসমিন
চরম বাস্তব বিষয়টি তুলে ধরেছেন। আমাদের দেশে মধ্যবিত্ত / নিম্ন মধ্যবিত্ত ফ্যামিলি গুলোতে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটেছে। বাবাহীন পরিবারে বি এ পাশ মেয়ের ভেঙে যেতে দেখেছি, মা গার্মেন্টস এ কাজ করেছে বলে। ছেলে শিক্ষিত ভালো চাকরি করেও পছন্দমতো মেয়েকে বিয়ে করতে পারেনি বাবার দুই বিয়ের কারনে। এছাড়া আরো অনেক বিয়ে ভেঙে যায় শুধুমাত্র পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড এর কারনে। মানুষ শিক্ষায় উন্নতি করতে পারলেও মননে এখনো পিছিয়ে আছে। হয়তো সুদিন আসবে নয়তো না,,,
নিয়মিত লেখা দেয়ার জন্যে এক্সট্রা শুভ কামনা,
পরেরটার অপেক্ষায় রইলাম 🙂
শিপু ভাই
আপনার জন্যও শুভকামনা!
সাথে বিশেষ ধন্যবাদ আমাকে ব্লগিং এ উৎসাহিত করার জন্য।
আপনার এই নিবেদনকে প্রশংসা করি।
জিসান শা ইকরাম
সামাজিক মানসিকতা পাল্টাতে সময় লাগবে আমাদের অনেক।
আমাদের দেশে মানুষকে বিচার করা হয় কাজ এর ভিত্তিতে,
সামাজিক অবস্থানও নির্নয় হয় পেশার ভিত্তিতে।
এই সীমাবদ্ধতা থাকবে আরো দু এক জেনারেশন।
শিপু ভাইকে ব্লগে নিয়মিত দেখে ভালো লাগছে,
শুভ কামনা।
শিপু ভাই
ধন্যবাদ মামা