
থ্রি ইডিয়টস্ এর নাম শুনলেই তিন বন্ধু,তাদের কর্মকাণ্ড ,রম্য কথন,হোস্টেল লাইফ আর জুবি জুবি ও অলস ইজ ওয়েল গানটার কথা মনে পরে যায়।এর নাম ভূমিকায় অভিনয় করে যিনি নাম কুড়িয়েছেন শ্রদ্ধেয় আমির খান।মুভিতে যার নাম ছিলো রান্জো।।
কৌন বানে গা ক্রোড়পতির এক অনুষ্ঠানে আমির খান অতিথি হয়ে এসে,বলেছিলেন এই মুভির পিছনের গল্প।
জম্মু আর কাশ্মীরের তীব্র শীত আর বরফে আচ্ছাদিত এক শহর লাদাখ। প্রতিকূল পরিবেশকে উপেক্ষা করে ৫টি পরিবার ওখানে বসবাস শুরু করেছিলো।।তারি এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলো যুগান্তকারী পরিবর্তন এর নায়ক সোনম ওয়ানচুক। এই ব্যক্তি ও তাঁর কর্মজীবন নিয়ে তৈরি হয়েছিলো এই সিনেমা ।মুভিতে যার নাম ছিলো ফুংসুখ ওয়ারু।
সোনম ওয়াংচুকের শিক্ষাগুরু ছিলো পাহাড়,বরফ আর গর্ভধারিণী মা।পরে এই ছেলে ইন্জিনিয়ারিং পাশ করে সেই পাহাড়েই ফিরে গিয়েছিলো জীবনের আরাম আয়েশকে তুড়ি মেরে।। সে জানতো লাদাখের কতটা বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয় স্কুল যাওয়ার জন্য।শেষমেষ তথাকথিত কোন বস্তু না চিনে,কানা হাফেজের মতো মুখস্থ করতে হতো
F ফর ফ্যান
S ফর সিপ্
আমাদের আজকালকার শিশুদের ও একই অবস্থা ,ইউনিফরম পড়ে,কাঁধে ৫ কেজি ওজনের ব্যাগ নিয়ে অজানা বস্তুকে গিলছে হাতী দেখার মতো।ছোটদের কাছে পড়াশোনা হবে আনন্দের মতো।পড়াশোনা যদি মঙ্গলই বয়ে না আনবে; তাহলে ইস্পাতসম পড়াশোনা করে কি লাভ?
ওয়াংচুক দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন পাঠ্যপুস্তক হবে নিজস্ব ভাষায়! এতে বাচ্চারা শিখবে বেশি,জানবে বেশি।ছোট পরিবর্তনেই লাদাখের শিশুরা এগিয়ে থাকলো সবকিছুতেই।ছাত্রছাত্রিরা স্কুল থেকেই শিখেছিলো নিজহাতে প্রতিটি কাজ কেমনে করতে হয়! শুধু তাই নয়! কাজ করতে গিয়ে কোনটা ভালো লাগলো,কোনটা ভালো লাগেনি এ বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে দেয়া হতো নিজ হাতে।
ছাত্রছাত্রীদের কোন কিছুই চাপিয়ে দেয়া হতোনা! যার যেটা মন চাইতো করতো।নিজেদের খাবার নিজেরাই চাষ করতো।উদ্ধৃত্ত খাবার বাজারে বিক্রি করে গড়ে তোলা হয়েছিলো ফান্ড। এই ফান্ড থেকে টাকা তুলে তাদের ঘুরতে দেয়া হতো।।নিজের দেশ ও মানুষকে চিনতে।।
ঠিক থ্রি ইডিয়টস্ মুভিটি দেখতে গিয়ে আমরা দেখি যে ছেলেটি ফটোগ্রাফার হতে চেয়েছিলো,,বাবা মা তাকে জোর করে ইন্জিনিয়ারিং পড়াতে পাঠিয়েছিলো। ফলাফল উল্টো----হতাশা,আত্মহত্যা ।আমরা যারা অভিভাবক ,তারা চাই,আমাদের শিশুরা প্রথম হোক। ভালো চাকরী করে গাড়ি বাড়ি করুক।দেই তাদের ক্রিয়েটিভিটি নষ্ট করে।
সেই ছেলেটি বিভিন্ন আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় ছবি পাঠিয়ে অনেক পুরস্কার ও অর্জন করেছিলো।
এই ওয়াংচুক আর আমাদের মধ্যে পার্থক্য হলো চিন্তা করার ক্ষমতা এবং প্রয়োগবিধিতে। আমাদের ছাত্রছাত্রীরা শিখে ক্লান্তি নিয়ে।ওখানে আগ্রহের সাথে।তিনি সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছেন।তা্র কর্মকান্ড আমাদের মনে সৃষ্টি করবে বিশাল আবেগ,আদর্শ ও অণুপ্রেরণা।।
থ্রি ইডিয়টসের গানের মতো জীবনকে যেনো ব্যঙ্গ করে বলতে না হয়"All izz well"
শিক্ষা ক্ষেত্রে একটা পরিবর্তন আসুক।।
এটি আমার প্রথম মুভি রিভিউ লেখার চেষ্টা। আমি জানিনা এটি মুভি রিভিউ হয়েছে কিনা। মুভি রিভিউ সম্পর্কে আপনাদের পরামর্শ পেলে পরবর্তীতে সঠিক ভাবে লেখার প্রেরণা পাবো।
তথ্য সুত্র: গুগল ও তামিম ভাই।।
Thumbnails managed by ThumbPress
২৪টি মন্তব্য
মাছুম হাবিবী
মুভির রিভিউটা অনেক সুন্দর হইছে। আর এই মুভিটা দেখিনি হয়তো তবে এখন থেকে দেখা অনুপ্রেরণা পেলাম।
আরজু মুক্তা
আমিও অণুপ্রাণিত হলাম!ধন্যবাদ আপনাকে।
তৌহিদ
চমৎকার হয়েছে মুভি রিভিউ। সোনেলায় অনেকদিন পরে আপনি মুভি রিভিউ নিয়ে আসলেন। ধন্যবাদ অবশ্যই আপনার প্রাপ্য।
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ গৃহিত হলো।
আর অণুপ্রাণিতও হলাম
শাহরিন
বন্ধুদের দ্বায়িত্ব বোধটা মনে হয় আসেনি এই রিভিউতে আপু।
পরিচালকের নিজস্ব ছাত্র জীবনের ঘটনাও ছবিতে যুক্ত করেছেন।
র্যাগিং এর ফলে মানসিক ভাবে একটু ভেংগে পরেছিলেন সে সময়। মিলি মিটার এর চরিত্রটি ও বাস্তবে ছিল তার স্টুডেন্ট লাইফে।
লেখাপড়ার নিয়ে অভিভাবকরা বেশী চিন্তিত হয়ে পরে। তাদের চিন্তা পরে বাচ্চাদের উপর প্রভাব পরে।
আরজু মুক্তা
আমি টাইটেলই বলেছি,অণুপ্রাণিত।।যে অংশটা দ্বারা শিক্ষা ব্যবস্থা উৎসাহ পাবে, সেটুকু নিয়ে রিভিউ করেছি।।পাশে থাকবেন।আপনার সুচিন্তিত মতামত আমাকে আরও লিখার উৎসাহ যোগাবে।ধন্যবাদ।।
মাসুদ চয়ন
খুব সুন্দর রিভিউ
আরজু মুক্তা
শুভকামনা।।
ছাইরাছ হেলাল
এই সিনেমা আমার দেখা হয়নি, তাই বুঝতে পারছি না।
তবে আপনি রিভিউ লিখতে চাইলে আর একটু প্রস্তুতি লাগবে বলে মনে হয়।
লেগে যান, এবার থেকে।
আরজু মুক্তা
আমি মুভির শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বলতে চেয়েছি।।এবং তুলনা করেছি আমাদের সমাজের।আর আপনার কাছে অনুরোধ ছবিটি দেখবেন।আর আমি কিন্তু টাইটেলে সারেন্ডার করেছি।।যতটুকু দিয়ে আমি অণুপ্রাণিত হয়েছি,ততটুকু লিখেছি।।সামনে হয়তো আপনাদের মতামত পেলে বিশদ ভাবে লিখবো।
শামীম চৌধুরী
অসাধারন ও সুন্দর একটি মুভি রিভিউ করেছেন। ধন্যবাদ আপু। চালিয়ে যান। সফলতা পাবেনই।
আরজু মুক্তা
শুভকামনা
প্রদীপ চক্রবর্তী
দারুণ খুব রিভিউ।
শুভকামনা দিদি।
আরজু মুক্তা
শুভেচ্ছা অবিরাম
শিরিন হক
খব ভালো লিখেছেন। এভাবে সবাই ভাবতে পারেনা আপনি করিয়ে দেখিয়েছেন। ভালো কিংবা মন্দ কথা নয় চেস্টা করেছেন সেটাই বড় কথা। আমরা সিনেমা দেখি আসলে তা থেকে শিক্ষা নেই কতজন।
বাংলাদেশ বা ভারতে পাশ্চাত্যের দেশের বেশির ভাগ ছবিতে কিছু ম্যাসেজ থাকে। সেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত।
আরজু মুক্তা
প্রথম প্রচেষ্টা।। আপনাদের ভালোলাগা
জিসান শা ইকরাম
মুভিটি দেখেছি আমি,
মুভির মুল ম্যাসেজ,
শুধু পাশ করে সার্টিফিকেট নয়- শিক্ষাটি যেন জীবনমুখি হয়,
জোর করে ইচ্ছের বিরুদ্ধে সন্তানকে বাবা মায়ের ইচ্ছে মত বিষয় পড়তে বাধ্য করা
এবং বন্ধুত্ব
এসব বিষয়কে নিয়েই মুভিটি।
আমির খানের ভক্ত আমি সব সময়ই। এ মুভিতেও তিনি অসাধারন অভিনয় করেছেন।
ভাল লেগেছিল মুভীটি।
আপনার মুভি রিভিউটি ভালোই হয়েছে, কেবল মাত্র অণূপ্রেরণা বিষয়টিকে এনেছেন আপনি।
সফল ভাবেই তা রিভিউতে এনেছে।
অনেক দিন পরে সোনেলায় একটি মুভি রিভিউ আসলো। আশাকরি এমন রিভিউ চলমান রাখবেন।
সোনেলার সমস্ত মুভি রিভিউ এই লিংকে পাবেন। পড়ে দেখতে পারেন।
https://www.sonelablog.com/category/misc/movie_review/
আরজু মুক্তা
আপনার সুন্দর ও উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্য, লিখার অণুপ্রেরণা যোগাবে।।চেষ্টা করবো চলমান রাখতে।।
সাবিনা ইয়াসমিন
ছবিটি দেখেছি। ভালো লেগেছিল। তবে রিভিউ অসম্পূর্ণ মনে হয়েছে। একটি মুভি রিভিউতে আরও বিস্তারিত বনর্ণা দেয়া দরকার। পরবর্তিতে মুভি রিভিউতে এইদিক গুলো খেয়াল রাখলে ভালো হয়।
শুভ কামনা। 🌹🌹
আরজু মুক্তা
জি আপু চেষ্টা করবো।
রেহানা বীথি
মুভিটি যে কতবার দেখেছি তার হিসেব নেই। চমৎকার!!
সত্যিই আমাদের বাচ্চারা বড় অসহায়। কবে আসবে তাদের সুদিন, যেদিন লেখাপড়াতেও আনন্দ পাবে তারা!!
খুব সুন্দর রিভিউ।
আরজু মুক্তা
ভালো লেগেছে তাই আমিও আরও বেশি অণুপ্রাণিত হলাম।এ ধরণের মুভিগুলো বারবার দেখেলেও খারাপ লাগেনা।
শিরিন হক
ভালো লাগলো আপু
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ