
আরজু মুক্তা❤️❤️
রাগ করেছেন? খুব জরুরী সময়গুলোতে আমার এমনই হয়। অসুখ বাঁধিয়ে বসি। রেজওয়ানা আইসক্রিম খাইয়েছে; তারপর থেকে ভীষন জ্বর। মাথা ব্যাথায় তুলতে পারিনা।
স্বপ্নে আপনাকে দেখলাম; বকছেন! কি বয়স হয়েছে যে আইসক্রিম খেয়েই জ্বর বাঁধাতে হবে? আমার তো গত তিনবছরে জ্বর হয়নি। করোনা গেল; সবাই জ্বরে উল্টো পিঠ আমার তখনও জ্বর হয়নি। এ বয়সে লোহা খেয়ে লোহা হজম করতে হবে। আমি তো তাই পারি।
ওঠতো; গা ঝাড়া দিয়ে আর একটা আইসক্রিম খেয়ে ব্লগে একটা লেখা দাও। আর গলা বসে হাঁসের মতো গলা হলে আমাকে ফোন দিবে। রাণী মুখার্জি টাইপ গলা আমার ভীষন ভালো লাগে।
ঘুম ভেঙে গেল। বেশ রাত হয়তো। মাথাটা কেমন যেন ঘুরছে। বাইরে ঝলঝলে চাঁদটা তার জোসনার থালা পৃথিবীতে ফেলে দিয়েছে। আর আমি তখন অন্ধকারে হাতরে মরছি। দরজা খুঁজতে গিয়ে হরহর করে বমি করে ঘর ভাসিয়ে ফেললাম।
বারবার মনে হচ্ছে কেন? আমাকেও তো বলতে পারতেন। আপনার আরও তো বন্ধু ছিল; কাউকেই কিছুই বললেন না। একা আপনি কোথায় এতো নীল কষ্ট দলা পাকিয়ে বসে ছিলেন? হঠাত টুপ করে মুক্তা হয়ে আকাশে জ্বলছেন। একবারও ভাবলেন না; আমরা একদমই ভালো থাকবো না আপনাকে ছাড়া।
আপনার প্রিয় নাবা কেমন করে মাছের কাঁটা বাচবে। মিলেনিয়াম স্টারসের বাঘা বাঘা স্টারদের সাথে টক্কর দিয়ে দিব্ব্যি আপনার মতো ইংরেজিতে প্লেস করে বেড়িয়ে আসবে? মোড়ের ফালতু টোকাই ছেলেটা তাকে বিরক্ত করে বলে কষে চড় লাগিয়েছিলেন। এখন কে তাকে চড় লাগাবে? স্কুল ড্রেস ঠিকঠাক আছে কিনা; ইস্ত্রি হলো কিনা কে দেখবে? আপনার বুকে ছাড়া ওর ঘুম হয় না, সেই ছোট্ট মেয়েটা একা বিছানায় কেমন করে ঘুমুবে। পটর পটর মেয়েটা একদমই কথা বলে না। মা যে নেই, নতুন মায়েরা কি এসব করে? কোন কিছু না ভেবেই চলে গেলেন।
আপনার জন্য আচার রেখেছি। আপনি খেতে চেয়েছিলেন। ভাবলাম আগে দুরে পাঠাই তারপর আপনাকে দিবো। আপনি তো কাছেই আছেন। আপনি শর্ত দিলেন, বাড়িতে না গেলে কুরিয়ারে নিবেন না। আমি ভীষন খারাপ; কারও সামনে যেতে চাই না। আর সময় যে কারও নয়; বুঝতে পারিনি। জানেন, গত এক বছর আমি আচার বানাইনি। কেন যেন ইচ্ছেই হয়না। কনা কতোবার বলেছে, আমি বানাতে পারিনি।
একদিন আপনার বাড়ির সামনে দিয়ে গেলাম। অনিচ্ছায় গিয়েছিলাম। কারন খেঁজুরতলার ওই রাস্তায় আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। দেখলাম আপনাদের বাড়িটা আর কথা বলে না। আপনার ছোট ভাইটা অনেকদিন চুল কাটেনি। বেচারা খুব কাঁদছিল সেদিন, বুবু বুবু করে।
সোনেলা ব্লগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী নিয়ে আপনার কতো প্ল্যান ছিলো। কবিতারবই নিয়ে। বেড়াতে গিয়ে জিসান দাদাকে খুব ভাঙ্গাবেন; কিপটুস তাই! দাদার কাছে যা চাইবেন উনি কিন্তু দিয়ে দেবেন। আপনি এসে চেয়ে দ্যাখেন।
জানেন, আমরা আর আগের মতো নেই। সবাই কেমন ঝগড়া করি; রাগ করি। ভালোবাসা হারিয়ে গেছে। ব্লগও শুকনো ভালোবাসাহীন। আপনার মাথা গরম করে দেয়া দু- লাইনের কমেন্টের আজ ভীষন অভাব।
চলে যাওয়ারও তো একটা সময় থাকে না কি? এভাবে কেউ হুটহাট যায়; আর যেখান থেকে ফেরেনা কোনদিন! ভালো থাকুন; অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
১৬টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
চলে যাই রেখে যাই সৃতি
মন ভুলেই জাগে অন্তর মম গীতি
পুরণে ফ্রেমে বাধা স্বপ্ন শাখা
ঘুর ঘুরে বেড়ায় মমতা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
দেরীতে আসার জন্য দুঃখিত। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। আমিন।
মোঃ মজিবর রহমান
আমিন।
মোঃ মজিবর রহমান
সকল কাজ সাম্লিয়ে আসা লাগে আপু। বুঝি। ভালো থাকুন।
মোঃ মজিবর রহমান
বেচারা খুব কাঁদছিল সেদিন, বুবু বুবু করে। বুবু ডাকটাই বড় মধুর।
রোকসানা খন্দকার রুকু
জী ভাই।
রেজওয়ানা কবির
এই প্রথম মন্তব্য করতে গিয়ে হাত কাঁপছে আর কিচ্ছু লিখতে পারছি না। আল্লাহ আপুকে জান্নাত নসিব করুক,আমিন। এমনভাবে চিঠি লিখলে 😭😭😭। ওপারে ভালো থাকুক আরজু মুক্তা আপু।।।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমিন।
হালিমা আক্তার
আল্লাহ আরজু আপাকে জান্নাত বাসী করুন। সময় কতো দ্রুত চলে যায়।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমিন
বোরহানুল ইসলাম লিটন
সিক্ত হলাম আপু!
হারিয়ে গিয়েও কেউ কেউ এভাবেই অন্তরে আজীবন জেগে থাকে।
ভোলা যায় না স্মৃতি
এ যেন আজব নিয়ম তৈরী করেছে এই ক্ষিতি।
দয়াময় যেন উনাকে জান্নাতের শান্তি দান করেন, কামনা অনন্ত।
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা রেখে গেলাম আপনার জন্য।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমিন।
আলমগীর সরকার লিটন
আসলে ভালবাসার কোন সীমা নেই
মৃত্যুর আগপযর্ন্ত ভালবাসা রয়েই যায়!
মাঝে মাঝে আরজু মুক্তা আপাকে খুব মনে করি;
দোয়া করি আপাকে জান্নাত বাসি দান করেন আমিন
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমিন।
ছাইরাছ হেলাল
ব্লগে তাঁর অবদান কখনও ভুলে যাওয়া যাবে না, যায়-নি।
আল্লাহ সহায় থাকবেন, তিনি যেখানেই থাকুন না কেন।
আমরা ভাবি এক, হয় অন্য কিছু।
আপনি ও ভাল থাকবেন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
অশেষ কৃতজ্ঞতা। আপনিও ভালো থাকুন।