তেতুলিয়া-বাংলাবান্ধা ভ্রমণ

কামাল উদ্দিন ৭ মে ২০২০, বৃহস্পতিবার, ০৪:০৮:৪৪পূর্বাহ্ন ভ্রমণ ২২ মন্তব্য

বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। আর পঞ্চগড়ের সর্ব উত্তর উপজেলা তেতুলিয়া। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া কথাটা শুনে শুনেই তেতুলিয়া দেখার ইচ্ছেটা মনের ভেতর জেগে উঠে। ‘‘তেতুলিয়া’’ চার অক্ষরে একটি নাম যা দেশের সকলের নিকট এক নামে পরিচিত। জনশ্রুতি আছে যে, প্রাচীন কালে তেতুলিয়া ছিল প্রচুর তেতুল গাছ। প্রজাদের মধ্যে যারা সঠিক সময়ে খাজনা দিতে পারত না জমিদাররা তাদেরকে তেঁতুলগাছের গোঁড়ায় বাঁধে রাখতো। আর এ কারণেই নাকি তেতুলিয়ার নামকরণ করা হয়। এখনো তেতুলিয়ার মূল বাজারটায় একটা বিশাল তেতুল গাছ রয়েছে।
তেতুলিয়ার বাংলাবান্ধা বাংলাদেশের একমাত্র স্থল বন্দর যার মাধ্যমে চারটি দেশের (বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভূটান) মধ্যে পণ্য আদান-প্রদানের সুবিধা রয়েছে। বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট একটা দর্শনীয় স্থানও বটে। তেতুলিয়া উপজেলার সদর হতে বাংলাবান্ধার দূরত্ব ১৭ কিলোমিটার। বাংলাবান্ধা থেকে ভারতের শিলিগুড়ি শহর মাত্র সাত কিলোমিটার এবং দার্জিলিং মাত্র ৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আর বাংলাবান্ধা থেকে নেপালের কাকরভিটা সীমান্ত মাত্র ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে। বাংলাদেশের এন৫ মহাসড়কটি বাংলাবান্ধা সিমান্ত এসে শেষ হয়েছে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে উত্তরের উপজেলা তেতুলিয়া যাওয়ার ইচ্ছেটা ছিল অনেক দিনের। কারণ, তেতুলিয়ায় দাড়িয়ে নাকি দেখা যায় হিমালয়, তিব্বত, আর নেপালের অপরূপ কাঞ্চনজঙ্গা। তবে আমার ভাগ্যটা এতো সুপ্রসন্ন ছিলোনা যে আমি ভিসা ছাড়া কাঞ্চজঙ্গা দেখে ফেলবো, শীতের সময় হওয়ার পুরো এলাকাই ছিলো কুয়াশায় ঢাকা।


(২) তেতুলিয়ার আশপাশটা ঘুরে দেখার জন্য এমন বাহনের বিকল্প নাই।


(৩) তেতুলিয়া এসেই প্রথম দেখা পেলাম এই বাসর ফুলের, অথচ আরো ২৩ বছর আগে দেখা পাওয়ার কথা ছিলো।


(৪) এটা তেতুলিয়া সিমান্তের বিজিবিদের ওয়াচ টাওয়ার।


(৫) ওয়াচ টাওয়ার পেরিয়ে পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া আমি এখন ভারতের সিমান্তের ভেতরে।


(৬) তেতুলিয়া ডাকবাংলো পিকনিক স্পট।


(৭) মমতা ফুচকা হাউজে কিছু খেয়ে কিছুটা চাঙ্গা হয়ে নিলাম।


(৮) ফুচকা হাউজের পেছনের এই শক্ত পোক্ত বেঞ্চগুলো থেকে নিচে নামলেই ভারত।


(৯) বেঞ্চগুলোর পাশে এই এঙ্গেলে দাঁড়িয়েই নাকি মহানন্দা পেরিয়ে দেখা যায় নেপালের কাঞ্চজঙ্গা, কিন্তু শীতের সময় হওয়ার পুরো এলাকাই ছিলো কুয়াশায় ঢাকা।


(১০) ওরা মহানন্দা থেকে পাথর তুলে আনে গাড়ির বাতাস ভরা টিউব দিয়ে, এমনটা আগে আর কোথাও দেখিনি।


(১১) টিউবে ভাসিয়ে নিয়ে আসছে মহানন্দার বুক থেকে তোলা পাথর।


(১২) সকাল বেলা তেতুলিয়ার তেতুল তলার বসার আসন গুলো থাকে এমনি ফাঁকা।


(১৩) আবার সন্ধ্যায় থাকে বেশ জমজমাট।


(১৪/১৫) একই কিলোমিটার পোষ্টের দুই পার্শ, এবার যাবো ১৭ কিলোমিটার দূরের বাংলাবান্ধায়।


(১৬/১৭) বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টের প্রায় দুই কিলোমিটার আগে বাসষ্টেন্ড ওখানে বাস থেকে নেমে দার্জিলিং হোটেলে খিচুরী আর ডিম ভাজি দিয়ে ভরপেট খেয়ে নিলাম আগে।


(১৮) সিমান্ত ঘেষে হালচাষ করছে একজন বাংলাদেশী কৃষক।


(১৯) বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের বাংলাবান্ধার শেষ দোকান এটি, এই দোকান থেকে পশ্চিমে কুলি করলে ভারতের সিমানায় পড়বে পানি।


(২০) বাংলাবান্ধার জিরো পয়েন্টে বানিয়ে রাখা বিশাল জিরো এটি। বাংলাবান্ধা থেকে ভারতের শিলিগুড়ি শহর মাত্র সাত কিলোমিটার এবং দার্জিলিং মাত্র ৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আর বাংলাবান্ধা থেকে নেপালের কাকরভিটা সীমান্ত মাত্র ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে।


(২১) পেছনে বাঁশ দিয়ে বাধা বাংলাদেশের শেষ সিমানা, আমাদের ফেরৎ আসার জন্য এই অটো বাইকে চড়তে হবে দুই কিলোমিটার দূরের বাসষ্টেশনে যাওয়ার জন্য।

0 Shares

২২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ