
সম্পর্কে কখন জুড়ি!
কেউ বলে জ্ঞান-বুঝ হবার পরে, আবার কেউ বলে জন্মের ঠিক আগে-আগে যখন মায়ের গর্ভে নিজ- স্বত্তা আপনাধিকারে, ঠিক তখুনি বেঁধেছি সম্পর্কের সুঁতো!
বাবা আমার ভিত্তি মা বাসস্থান!
অতঃপর পৃথিবী’
দুনিয়ার আলো-বাতাসে প্রতি নিঃশ্বাসে অক্সিজেনের মতোন যুক্ত একেকটা সম্পর্ক।
ধর্ম- বংশ- পরিবার- রক্ত- আভিজাত্য- শিক্ষা- সংস্কৃতি
যা আছে তা আগলে রাখা, না রাখা-ও;
যা নেই তা’র অন্তহীন চেষ্টা.. প্রচেষ্টা আমৃত্যু।
কে প্রিয়- কার বিহনে মন অসুখী?
যে সব ছেড়ে গেলো তাকে ছাড়াই পৃথিবী চলছে। তেইশ ঘন্টা ছাপ্পান্ন মিনিট চার সেকেন্ড/
নিয়ম করে চলছি থমকে যাওয়া’র প্রাণহীন দেহ নিয়েই, আমি -আপনি নিজ নিজ বলয়ে!
ঠিক যেমন নিয়মে এই গ্রহটা ঘুরছে সূর্যের চারদিকে। ঘুরছে সব-সবাই।
আদর মায়া শ্রদ্ধা ভালোবাসা অধিকারের দাবী প্রত্যেক বন্ধনে! সম্পর্কে- সম্পদে-সময়ে;
অধিগ্রহণ হয় দুর্জনের পরাক্রমে-ও
যার কারণে মন কাঁদে- প্রানপ্রিয় হারিয়ে গেলে আত্মঘাতী নিজে, অথবা কারো মৃত্যু কামনায় প্রতিমুহূর্ত নিজ অক্ষে আবর্তিত যে-কেউ
সে-কী জানতে পায় ক্ষয় হয়েছে তার-ও!
আমার মা- দুনিয়ার প্রথম বাসস্থান
বাবা- যিনি আমার ভিত্তি প্রতিষ্ঠাতা
প্রথম কোলে নেয়া নানা-নানী দাদা-দাদী,
প্রথম খেলার সাথী- ভাই-বোন
শপথের সাথী-পতী-পরমেশ্বর!
নাড়িছেঁড়া ধন…
জুড়ে থাকি, জড়িয়ে রাখি তেইশ ঘন্টা ছাপ্পান্ন মিনিট চার সেকেন্ড.. প্রতিদিন।
আফসোস, সম্পর্ক গুলো এখানে-ই
অজানা পরকালে কে কোথায় আর কে কার!
* অ-কবিতা
*ছবি -নেট থেকে।
১২টি মন্তব্য
বোরহানুল ইসলাম লিটন
সম্পর্কের এই বিনে সুতার টান বুঝা সত্যিই মুশকিল আপু!
সুখের সায়রে কখনো এ মন
ঢেউ হয়ে পড়ে আছড়ে,
দুখের পাহাড়ে কখনো বা বসে
কেঁদে মরে হাহাকারে।
তবুও ঠিকই আপন গতিতে চলে ‘তেইশ ঘন্টা ছাপ্পান্ন মিনিট চার সেকেন্ড’ প্রতিদিন।
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানবেন সতত।
মো: মোয়াজ্জেম হোসেন অপু
আসলে তাই,সম্পর্ক গুলো এখানে-ই,
এতো সব সম্পর্ক ছিন্ন করে একদিন চলে যেতে হবে একা একা-ই
রেজওয়ানা কবির
তবুও ছুটে চলি সম্পর্ক ধরে রাখতে,সম্পর্কের যত্ন নিতে আগলে রাখতে সে যে সম্পর্কই হোক আত্নার বা রক্তের। কিন্তু কোথায় যেন একসময় সব সম্পর্কের তার খানিক ছিড়ে যায় হয়ে পড়ে একেবারে আলাদা নয়ত বা যেগুলো থাকে মেনে নিয়ে থাকতে হয়,, তবে চেনা সম্পর্ক অচেনা হলেই আমার বার বার মনে হয় এই দুনিয়ায় ই এইসব সম্পর্কের মূল্য দিতে পারি না তবে যখন সেই দুনিয়ায় যাবো যেখানে কাগজের,রক্তের আত্নার কোন মানুষকেই চিনব না তাই সবসময় চাই এই দুনিয়ায় অন্তত ভালো লাগার, ভালো বাসার,রক্তের,আত্নার,কাগজের সব সম্পর্ক কে আগলে রাখতে চেষ্টা করি তবুও অনেক সময় অনেকেই হারিয়ে যায় এই সম্পর্ক ছেড়ে। তবুও ২৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট চার সেকেন্ড অনুভব করি সম্পর্কগুলো অন্তত যতদিন বেঁচে আছি। অ কবিতা ভালো লাগল। শুভকামনা ।
নার্গিস রশিদ
‘ আসলি একা যাবি একা পথে পথে পেলি সখা, আসলে তো সবি ফাঁকা’ এই হলো মানব জীবন । সুন্দর হয়েছে লেখা। শুভ কামনা।
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ বাস্তবতার সাথে মিল আছে কবি আপু ভাল থাকবেন——-
নিতাই বাবু
একালের হিসেব-নিকেশ নিয়েই সারাক্ষণ তো ভেবে মরি! তাই আর পরকাল নিয়ে ভাবার সময় নেই, দিদি। সত্যি বলতে কি, যারা সত্যি সত্যিই ইহকালে পরকাল নিয়ে ভাবে, তারাই সত্যিকারের মানুষ! তাই আমি আজও মানুষ হতে পারিনি।
খাদিজাতুল কুবরা
“আদর মায়া শ্রদ্ধা ভালোবাসা অধিকারের দাবী প্রত্যেক বন্ধনে! সম্পর্কে- সম্পদে-সময়ে;
অধিগ্রহণ হয় দুর্জনের পরাক্রমে-ও”
লাইনগুলো চুম্বকের মতো টেনে ধরলো। জন্মের আগে স্থির হওয়া সম্পর্ক এবং পরে আত্মার মাঝে খুঁজে পাওয়া সম্পর্ক! যে নামেই আখ্যায়িত করিনা কেন কোনো সম্পর্কই একই রুপে বহমান থাকে না। বরং পুরো একটি দিনের মত কখনো মিষ্টি রোদ,কখনো প্রখর, কখনো গোধুলির মত আকাঙ্খিত আবার কখনো মেঘাচ্ছন্ন, ধূসর! তবুও দিনশেষে –
“জুড়ে থাকি, জড়িয়ে রাখি তেইশ ঘন্টা ছাপ্পান্ন মিনিট চার সেকেন্ড.. প্রতিদিন।”
হালিমা আক্তার
সম্পর্কের বাঁধন গুলো কি যেন এক অদৃশ্য মায়ায় জড়িয়ে থাকে। সে রক্তের হোক আর আত্মার হোক। এই বাঁধন গুলো শক্ত করে বেধে রাখার অক্লান্ত চেষ্টা সত্ত্বেও একটুখানি ভুল হলেই ছিঁড়ে যায়। সাত সুরে বাঁধা ছন্দের মতো। একটি সুর ভুল হলেই ছন্দের অপমৃত্যু ঘটবে। শুভ কামনা রইলো।
প্রদীপ চক্রবর্তী
আফসোস, সম্পর্ক গুলো এখানে-ই
অজানা পরকালে কে কোথায় আর কে কার!
সমস্ত লেখার সারাংশ যেন এ দুটো লাইন।
এখানে এসে সবাই থমকে যায়।
তবুও মানুষ মায়া,ভালোবাসা, দায়বদ্ধতা, প্রতিশ্রুতি এসবকিছুর জন্য ছেড়ে আসতে পারে না সমস্ত বন্ধন থেকে।
অথচ এ বন্ধন থেকে সে একদিন মুক্তি পায়।
তখন কেউ পাশে থাকে না।
খুবি ভালো লিখেছেন।।
মনির হোসেন মমি
চক্রাকার জীবন
অবশেষে নশ্বর।
ভাল লাগল আফা।
হালিম নজরুল
“আমার মা- দুনিয়ার প্রথম বাসস্থান
বাবা- যিনি আমার ভিত্তি প্রতিষ্ঠাতা
প্রথম কোলে নেয়া নানা-নানী দাদা-দাদী,
প্রথম খেলার সাথী- ভাই-বোন
শপথের সাথী-পতী-পরমেশ্বর!
নাড়িছেঁড়া ধন…
জুড়ে থাকি, জড়িয়ে রাখি তেইশ ঘন্টা ছাপ্পান্ন মিনিট চার সেকেন্ড.. প্রতিদিন।
আফসোস, সম্পর্ক গুলো এখানে-ই
অজানা পরকালে কে কোথায় আর কে কার!”
———— এই অংশটুকু সবচেয়ে ভাল লেগেছে।
রোকসানা খন্দকার রুকু
যে নাকি সাথে যার, হাসর নাসরও হবে তার সাথে তার।। জানিনা তা যদি সত্যি হয় তাহলে সম্পর্ক এখানেই শেষ নয়!!পরেও কিছু রয়ে যায়,,,,