সাতসকালে যদি মহুয়ার ফুল ফুটে তবে আমি তোমায় নিয়ে যাব সুকৃতি গ্রামে।
এখানকার মাটি লাল।
নদী বহতা।
আছে গোয়ালভরা গরু।
আছে মাঠভরা শস্য।
সে গ্রামের নরত্তোম ঘোষ ভরদুপুরে দইয়ের ভার কাঁধে নিয়ে এ পাড়া থেকে অন্য পাড়ায় ছুটে বেড়ায়!
মনু মাঝি নদীর কলকল ধ্বনিতে ভাটিয়ালি গান ধরে।
দূরের শালবন থেকে ভেসে আসে রাখালিয়া বাঁশির ভৈরবীরাগ।

এ সুযোগে পাড়ার মেয়ে মতি চুলের খোঁপায় চন্দ্রমল্লিকা গুঁজে।
সর্বাঙ্গে তার ফাগুন হাওয়া।
চোখে মাখে কাজল।
তার এ দু- চোখ গত হওয়া শরতের নয়,
দুরন্ত ফাল্গুনের।
যে চোখের চাহনিতে লুকিয়ে আছে সুনীলের একশত আটটি নীলপদ্ম!

কেবল অপেক্ষা পূর্ণিমার রাতে গায়ে মাখবে সে দোলের আবির।
প্রাঙ্গণে রাখবে আলতো পায়ের চিহ্ন।
প্রজাপতি এসে বসবে তার চুলের খোঁপায়।
তার অনিন্দ্যসুন্দর মুখখানি দেখে শতশত কবিতার জন্ম হবে।
মুগ্ধ হবে বনের সমস্ত হরিণ শাবক!

যাবে তুমি এ সাত সকালে সুকৃতি গ্রামে?
তুমি গেলে মহুয়ার ফুল ফুটবে।
রঙিন প্রজাতি এসে বসবে তোমার গ্রীবায়!
আমি দেবতার পদতল থেকে তোমার সর্বাঙ্গে ছিটিয়ে দেবো পবিত্র দোলের আবির।
তুমি কেবল অভিমান ভুলে সম্মতি প্রকাশ করো।
আমি তোমায় নিয়ে প্রণয় প্রার্থী হবো!

ছবিঃ সংগৃহীত।

২৩৫জন ১৪৪জন
0 Shares

১০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ