
আমি কারাগার পাহারা দিই,
অথচ আমার ভেতরে ও আছে এক ভয়ঙ্কর প্রিজন,
রাতের অবধারিত স্বল্প মেয়াদি মৃত্যুর পর,
জেগে উঠি সূর্যের সাথে শান্তিচুক্তি মোতাবেক।
প্রতিটি অনাহুত ভোরের সাথে দেখা হয় কথা হয়,
সে এগিয়ে দেয় একটি সমন,
তাতে লেখা থাকে আমার ডেথ সেন্টেনস!
ডেথ সেন্টেনস ঘাড়ে নিয়েই আরো কিছু জীবন পাহারা দিই,
অদ্ভুত এই মেলানকোলিয়ার জীবনচক্র।
মৃত্যুর রায় লিখে জজসাহেব অট্রহাসে!
তিনি জানেন এ মৃত্যুর শেষ নেই।
দেহের ক্রোধ-অভিশাপ জন্ম দেয় অগ্নুৎপাত!
একদল মূর্খ নীতি নির্ধারক তখনো কপচায়-
তারা বড় ধার্মিক।
আরে ডেথ সেন্টেনস ঘাড়ে নিয়ে,
আগ্নেয়গিরি পুষে দেখ্!
একশত বার তওবা পাঠের মুসলেকা দিয়ে-
নেমে পড়বি পাঁকে।
কাকে কি বলছি বিষন্নতার ঝোঁকে?
আমিই যার পাহারাদার সে আমার মৃত্যদন্ড লিখে!
Thumbnails managed by ThumbPress
১০টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
জীবন মৃত্যুর পর হিসাব বড়ই নিদারুন করুণ পরিণতি। আমি ভাবিনা কারো কথা নিজে ভাবি কি দিলাম ধরায়। নিজের মনুষত্য মানুষের মাঝে বিলান। এটা ভালো, ভাবি।
খাদিজাতুল কুবরা
ধন্যবাদ মজিবর ভাইয়া।
অনেক শুভেচ্ছা রইল
মো: মোয়াজ্জেম হোসেন অপু
জেগে উঠি সূর্যের সাথে শান্তি চুক্তি মোতাবেক। দারুণ লিখেছেন ভালো লাগলো।
খাদিজাতুল কুবরা
অশেষ ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
ভালো থাকবেন কবি
হালিমা আক্তার
তবু ও কি হয় শান্তি চুক্তি। দিন শেষে সূর্য নিজেই হারিয়ে যায় আঁধারের বুকে। চুক্তির দস্তখত হাতে নিয়ে , নিজেই নিজের পাহারায় থাকি বসে। খুব সুন্দর লিখেছো।
খাদিজাতুল কুবরা
অশেষ ধন্যবাদ আপা। ভালো থাকবেন নিরন্তর শুভেচ্ছা রইল
আলমগীর সরকার লিটন
শুভ সময় কবি আপা
কবিতা পাঠে মন ভরে গেলো
ভাল থাকবেন———–
খাদিজাতুল কুবরা
অনেক ধন্যবাদ লিটন দা। শুভেচ্ছা জানবেন
হালিম নজরুল
চমৎকার চিত্রকল্প। অসাধারণ বুনন। সুন্দর কবিতা।
খাদিজাতুল কুবরা
অসংখ্য ধন্যবাদ সুহৃদ।
শুভেচ্ছা জানবেন।