
কিছুদিন আগেই আমাদের সোনেলার প্রিয় ব্লগার Shameem Ali Chowdhury ভাই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
ইদানীং ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে, এই জ্বরে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলে এটি নিয়ে ভীতি কাজ করে সকলের মাঝে, গত বছর চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ বেশি ছিল, আর এ বছর দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ। ডেঙ্গু সাধারণত পাঁচ থেকে সাত দিন থাকে। তবে এখন দেখা যাচ্ছে এই জ্বর আরো কম সময় ধরে থাকছে।
ডেঙ্গু জ্বর কীভাবে ছড়ায়ঃ
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাসের দ্বারা এবং এই ভাইরাসবাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে, ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কাউকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে, এবার এই আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশা ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়, এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।’
লক্ষণঃ
ডেঙ্গুতে জ্বর আসবে, জ্বর কম হতে পারে, আবার বেশিও হতে পারে, এর সঙ্গে গায়ে ব্যথা হয়, দেখা যায় যে জ্বর তিন-চার দিন পর ভালো হয়ে যায়, তবে এরপর রক্তের প্লেটিলেট কম হতে থাকে, মাঝখানে একটি বিরতি দিয়ে আবার একটি জ্বর আসে।’
এই জ্বরের সঙ্গে প্রচণ্ড মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা এবং চোখের পেছনে ব্যথা করবে, শরীর এমন ব্যথা করবে যেন মনে হবে কেউ হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছে, জ্বর সাধারণত দুই দিন থাকার পর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় র্যাশ দেখা দেবে।
যদি জ্বর জটিল পর্যায় হয়, তাহলে মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়তে পারে, রক্তবমি হতে পারে, কারো কারো ক্ষেত্রে পায়খানার সঙ্গে রক্ত যেতে পারে, আবার কারো কারো ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হতে পারে, ওপরের পেটে পানি চলে আসতে পারে।’
এই জ্বরে যেহেতু পানিশূন্যতা বেশি হয়, তাই প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যেতে পারে, কিডনি বিকল হওয়ার আশঙ্কা থাকে, ঘাম হতে পারে, বমি বমি ভাব হতে পারে, খাবারে অরুচি হতে পারে, অন্যান্য ভাইরাস জ্বরের যে লক্ষণ, সেগুলো প্রায় সবই ডেঙ্গু জ্বরে থাকবে।’
ডেঙ্গু জ্বরের যে বাহক, তার বায়োলজিক্যাল চরিত্র ও মানুষের বায়োলজিক্যাল চরিত্রের জেনেটিক পরিবর্তনের কারণে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ছাড়াও খুব জটিল অবস্থায় চলে যেতে পারে জানিয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলেন, ‘ডেঙ্গু জ্বরের স্টেরিওটাইপ চারটি, আগে ঢাকা শহরে যে স্টেরিওটাপ দুই ও তিন দিয়ে আক্রান্ত হতো, তবে এখন যেটি পাওয়া যাচ্ছে সেটি হলো এক নম্বর, লক্ষণ উপসর্গ একটু আলাদা হয়ে যাচ্ছে, এর জটিলতা আলাদা ডেঙ্গু জ্বর যার একবার হয়, তার আবার হলে জটিলতা বাড়ে।
চিকুনগুনিয়ায় সাধারণত একবার হলে আর হয় না, তবে ডেঙ্গু একবার হলেও আবার হতে পারে।’
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেনঃ
এখন যেহেতু বাংলাদেশে, ঢাকা শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি, তাই জ্বর আসার সঙ্গে সঙ্গে সচেতন হতে হবে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে, তবে জ্বর এলেই যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে বা আতঙ্কিত হতে হবে, তা নয়, ডেঙ্গু জ্বর হলে একটি বিষয় খুব খেয়াল রাখতে হবে সেটি হলো, এ সময় পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা দিতে পারে, রোগী পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করছে কি না এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে, আর প্রেশার কমে যাচ্ছে কি না এটি দেখতে হবে, যদি এইসব লক্ষণ দেখা যায় দ্রুত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখান এবং হাসপাতালে রোগিকে ভর্তি করান।
মনে রাখবেন যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা, ততই দ্রুত সুস্থতা।
আরো জেনে রাখুন, এডিস মশার জন্ম বদ্ধ ফ্রেস পানিতে, যেমন আপনার টবে দেওয়া পানি থেকে গেলে সেখানেই জন্ম হতে পারে এডিস মশার, আসে পাশে ফেলে দেওয়া ডাবের খোসাতে, বাড়ীর পাশের নালা নর্দমাতে, খালি জায়গাতে বৃষ্টির পানি জমে থাকলে সহ ইত্যাদি ভাবে এই মশার উৎপত্তি হতে পারে, এবং মনে রাখবেন সবচাইতে বেশি দরকার জনসচেতনতা, তাহলেই হতে পারে রক্ষা।
সমাপ্ত।
তথ্যসূত্রঃ Google, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও মেডিকেল জার্নাল।
ছবিঃ গুগল।
২৩টি মন্তব্য
শামীম চৌধুরী
সুন্দর ও সময়পোযোগি পোষ্ট।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ অবিরত ভাই
মনির হোসেন মমি
আপাতত সেয়ার দিলাম।আসছি পরে…
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাই, কমেন্টের অপেক্ষায় আছি।
সঞ্জয় মালাকার
খুব সুন্দর সময়োপযোগী পোষ্ট,
ধন্যবাদ দাদা।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ দাদা
ছাইরাছ হেলাল
ভাই ভয় ভয় করে, তাই সাবধানতার বিকল্প নেই।
চলুক চলুক আপনার লেখা-গাড়ি।
ইঞ্জা
ভয় পাওয়ারই কথা ভাইজান, সাবধানে থাকতে হবে।
শাহরিন
আগেও জানতাম তবে আবার পড়ে ভালো লাগলো। অনেক তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট। ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ অফুরান আপু।
আরজু মুক্তা
সর্তকতা মূলক পোস্ট।।
শুভকামনা আপনার জন্য।।
তৌহিদ
আমাদের সকলেরই সচেতন থাকতে হবে। এখন ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ সমসাময়িক সতর্কতামূলক এমন পোস্টের জন্য।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা ভাই
নিতাই বাবু
ডেঙ্গু নিয়ে সমসাময়িক পোস্টখানা সকলের উপকারে আসবে বলে আমি মনে করি।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ দাদা।
সাবিনা ইয়াসমিন
তথ্যসমৃদ্ধ সময়োপয়োগী পোষ্ট। ডেঙ্গুজ্বরের মৌসুম এখন। তাই আমাদের উচিৎ সাবধানতা অবলম্বন করা। আশা করছি লেখাটি ডেঙ্গু রোগ থেকে সচেতন রাখতে সহায়তা করবে।
ভালো ও সুস্থ থাকুন ভাইজান। শুভ কামনা। 🌹🌹
ইঞ্জা
ধন্যবাদ অশেষ আপু।
জিসান শা ইকরাম
খুবই উপকারী পোস্ট দিলেন ভাইজান,
এমন পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইজান।
মোঃ মজিবর রহমান
সকলের জাকনা প্রয়োজন। স্পবার জানা থাকা দরকার। ভালো পোস্ট।
শুভেচ্ছা রইল ভাইয়া।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাই
মাসুদ চয়ন
সচেতনতামূলক ভালো লেখা
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাই