আমাদের শেখার সক্ষমতা দিনকে দিন কমে যাচ্ছে। এটি এক ধরনের ভয়ংকর রোগ, ইংরেজিতে যাকে বলা হয় ‘ডিসলেক্সিয়া’।
সকল প্রকার ডিজিটাল যন্ত্রের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসনের ফলে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ডিসলেক্সিয়ার বিস্তার ঘটছে। বিশ্বময় যে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও নলেজ–ইকোনমির বিকাশ প্রত্যাশা করছে, তা হতাশায় পর্যবসিত হচ্ছে।
মার্কিন রম্য লেখক, সাহিত্যিক ও প্রভাষক মার্ক টোয়াইন বলেছিলেন; ‘যে লোক পড়তে জানে কিন্তু বই পড়ে না, তার সঙ্গে যে লোক পড়তেই জানে না, তার কোনো তফাত নেই।’
অতিরিক্ত ডিজিটাল মিডিয়ার আসক্তিতে মানুষের ‘অ্যাটেনশন স্প্যান’ কমে যাচ্ছে। আমরা পড়ছি কম, দেখছি ও শুনছি বেশি। আমাদের মহামূল্যবান মস্তিষ্কটিকে অকর্মণ্য করে তোলার বিশাল একটি ষড়যন্ত্র কাজ করছে।
পৃথিবীর অন্য দেশে যা কিছু হতে থাকুক আমরা কি আমাদের ছেলেমেয়েদের অন্যভাবে বড় করতে পারি না, যেন তার সঙ্গে দেখা হলেই জিজ্ঞাসা করতে পারি ‘তুমি এখন কী বই পড়ছ ?’
১৫টি মন্তব্য
খাদিজাতুল কুবরা
শিক্ষনীয় পোস্ট!
খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন বর্তমান প্রেক্ষাপট। আমাদের মধ্যে পড়ার আগ্রহ কমে যাচ্ছে দিনকে দিন।
সার্ভারে পড়লে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হয়, যা বই পড়লে হয়না।
জানিনা উত্তরণের পথ কী?
সাফায়েতুল ইসলাম
লেখাটি মন দিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদিও আমরা এমন মারাত্মক সমস্যার উত্তরণের পথ ঠিকই জানি, কিন্তু মানি না।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
শিক্ষনীয় লেখা, চমৎকার উপস্থাপন। আমরা এখন যে কালচারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি এ থেকে বেরনো খুব কঠিন, সময় লাগবে। তবে এরজন্য সবথেকে বেশি দরকার পরিবারের একাত্নতা, পারিবারিক বন্ধন, বড়দের টাকার পেছনে ছোটার রশি টেনে ধরতে হবে, সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে, নিয়ম-শৃঙ্খলে গড়ে তুলতে হবে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো।
সাফায়েতুল ইসলাম
আপনি খুব যুক্তিযুক্ত কথা বলেছেন, পরিবারের একাত্মতা, পারিবারিক বন্ধন এই সময়ের সবচেয়ে গুরুত্ব বহন করছে। দুঃখজনক হলেও সত্যি; আধুনিক সমাজের বাবা-মায়েরা সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত সময় দিচ্ছে না কিংবা সময় দেওয়ার মত পর্যাপ্ত সময় তাদের হাতে নেই।
আপনার এতো গুছানো মন্তব্যে আমি অভিভূত। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
‘যে লোক পড়তে জানে কিন্তু বই পড়ে না, তার সঙ্গে যে লোক পড়তেই জানে না, তার কোনো তফাত নেই।’
আসলেই তাই। জানাশোনার গন্ডি বাড়াতে হলে বই পড়ার বিকল্প নেই।বেশ ভাবনাময় পোস্ট দিলেন। আমরা পারবো কিনা জানি না, কিন্তু চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
সাফায়েতুল ইসলাম
আমরা এই সময়ে এসে পড়তে শিখেছি, নিরক্ষর থেকে অক্ষর জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়েছি। খুব খারাপ লাগে যখন দেখি; কেউ বই পড়তে চায় না, সাহিত্যের প্রকৃত রসবোধ উপভোগ করতে চায় না। আমাদের সবার বই পড়ার প্রতি আগ্রহ আসুক সেই কামনা করছি।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
এ যেন এক কালের বিপর্যয়।
আধুনিক সভ্যতার তলে চাপা পড়েছে
অজানাকে জানার আকাঙ্খায় অপেক্ষয়মান হৃদয়।
সুন্দর উপস্থাপনায় মুগ্ধতা ও ভালোলাগা একরাশ।
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানবেন।
সাফায়েতুল ইসলাম
খুব মনের মত কথা বলেছেন, আমরা প্রত্যেকে এক মহা কালের বিপর্যয়ের পথ ধরে হাটছি। ডিজিটাল যন্ত্রের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসনে মহামূল্যবান মস্তিষ্কটিকে অকর্মণ্য করে দিচ্ছি।
এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা রইলো।
আরজু মুক্তা
এখন ভাববার সময়। সব শিক্ষা ঘর থেকে শুরু হোক
সাফায়েতুল ইসলাম
শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়ুক প্রত্যেকের ঘরে ঘরে। সবার বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ুক সেই কামনাই করি।
আপনার প্রতি শুভ কামনা রইলো।
মোঃ মজিবর রহমান
আমিও ভাবি কিন্তু প্রকাশে আনিনাই। সুন্দর এবং সময়পোযোগি পোষ্ট কিন্তু এইখান থেকে বাহির হওয়া খুব দুরহ। ঘর আজ পতিত শিক্ষা থেকে প্রাইভেট ও ডিজিটালে।
সাফায়েতুল ইসলাম
আপনাদের মত যারা বুদ্ধিদীপ্ত চিন্তায় অভ্যস্ত তাদের প্রতি শুভ কামনা রইলো, আপনাদের লেখার শাণিত যুক্তিতর্কে উঠে আসুক শক্তিশালী ভাবনা গুলো। আপনার লেখনীতে ছড়িয়ে পড়ুক জ্ঞানতত্ত্বের ভাণ্ডার।
এতো চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনার মত সুন্দর লিখিবার শক্তি বা চিন্তাশক্তি আমার নাই। তবে নিজের ঘর ঠিক রাকাহ্র চেষ্টা করে যাই অবিরত।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ভাই।
রোকসানা খন্দকার রুকু
যুগটা ডিজিটাল তাই সমস্যা। সুন্দর পোস্ট।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
সাফায়েতুল ইসলাম
যুগটা ডিজিটাল, আমরা আরও ডিজিটালের দিকে অগ্রসর হতে থাকবো। আধুনিক সমাজ বিনির্মাণে ডিজিটাল প্রযুক্তির বিস্তার অপরিহার্য, তবে হুশ থেকে নিজের সুস্থতা বজায় রেখে অগ্রসর হওয়া উচিৎ।
আপনার প্রতি অসংখ্য শুভ কামনা রইলো।