
একজন ডাক্তার নারী একজন নরসুন্দররে বিয়ে করেছে বলে পুলিশ তাদের আটক করেছে সন্তানসহ। ডাক্তার হয়ে নরসুন্দর বর বেছে নেওয়া নাকি অপরাধ! এইটা কোন আইনে অপরাধ হলো আমি বুঝলাম না। এদিকে লোকে মেয়েটার রুচি নিয়ে গালি দিচ্ছে। যে সংসার করবে সে কাকে বিয়ে করবে তা তোমরা ঠিক করে দিবা নাকি? আবার তোমাদের দেশে মুভি হয় চৌদ্রী সাহেবের কন্যা পাশের বাড়ির রহিমের লাগি পাগল হয়, সেই প্রেমের মিলন দেখতে তোমরা টিভির সামনে বসে থাকো!
কদিন আগে একটা কম বয়সী সুন্দরী মেয়ে একটা বয়স্ক লোককে বিয়ে করলো বলে খুব হাউখাউ। বেচারীদের নিয়ে কি হাসাহাসি। কোনো এ্যাডাল্ট মেয়ে যদি নিজের ইচ্ছেয় কোনো বয়স্ক লোকেরে বিয়ে করে তাতে কার কি? হ্যাঁ যদি বাবা মা জোর করে দেয় সেইটা প্রতিবাদের কথা, কিন্তু কেউ নিজের ইচ্ছেয় করলে জাতির সমস্যা কি? তারা আবার সুখী সুখী ছবি দিলে আরও জ্বলে? আবার বউ বয়সে বড়,বর বয়সে ছোট হলে যারা ইহা প্রগতিশীলতা বলে তারাও এই বিয়ে দেখে হিহি করলো!
মানে মানুষ এখন বিয়ে করতে গেলেও জাতির অনুমতি নিয়ে করবে। তা না হলে আছে তোমাদের ফেবু মানুষরে নিয়ে খিল্লি করো, ওই দম্পতির এসব পোস্ট দেখে কেমন লেগেছিলো তাতে কার কি! আর এই ডাক্তার আর তার বররে তো পুলিশই ধরে আনলো!! মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ঢুকে নাচানাচি না করলে তো শান্তি নেই।
৭টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
কয়েকদিন নেটের বাইরে থাকায় এই খবরটি পড়া হয়নি।
আসলে আমাদের সমাজব্যবস্থা এই মনোভাবের জন্য দায়ী।
মানুষ হিসেবে আমরা সবাই সমান, এই কথা আসলে কাগজে এবং মুখে। এর বাস্তব প্রয়োগ নেই।
আমাদের দেশে মেয়েদেরকে তাদের বিয়ের বিষয়ে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে দেয়া হয় না। বিয়ে একটি সামাজিক বিষয়ও বটে। ভালো পাত্র পাত্রী, বংশ ইত্যাদি দেখে বাবা মা সন্তানের বিয়ে দেন। সামাজিক অবস্থানের কারনেই এ ব্যবস্থা দেশে চালু আছে।
এমন বিয়ে মেনে নেয়ার মন মানসিকতা, সামাজিক অবস্থা আমাদের দেশে সম্ভব হবে না আদৌ বলে আমার বিশ্বাস।
ফেসবুকের কল্যানে সমালোচনার মাত্রা অনেক বৃদ্ধিই পেয়েছে। ফেসবুক আসলে আমাদের দেশের জন্য ক্ষতিকর হবে, এটি এক সময় উপলব্দি করবে বলেই আমার আমার ধারনা।
নিয়মিত লিখুন।
শুভ কামনা-
কামাল উদ্দিন
এ্যরেষ্ট করার পর কি হলো? বিচারক কি ওদের জেল ফাঁসীর হুকুম দিলো নাকি? বিস্তারিত জানতে চাই।
নাজমুল আহসান
আমিও জানতে চাই ভাই 😀
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমরা পরশ্রীকাতর। অন্যের নিয়ে ঘাটতে পছন্দ করি।
শুভ কামনা রইলো।
তৌহিদ
প্রেমের মরা জলে ডোবেনা, কিন্তু কেউ কেউ এটাকে সহ্যই করতে পারেন না। তারা হিংসেয় জ্বলে পুড়ে মরে।
ভালো থাকুন আপনিও।
আরজু মুক্তা
ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানো আমাদের অভ্যাস। এসব বাদ দেয়া উচিত
সুপর্ণা ফাল্গুনী
কারো ব্যক্তিগত বিষয় এখন আর ব্যক্তিগত থাকছে না ফেবুর কল্যানে। হায়রে কি জমানা আইলো আগে ছিল পরিবার , সমাজ ; এখন পুরো জাতির জন্য ভাবতে হবে। চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করার জন্য এক ফেবুই যথেষ্ঠ। কে স্বর্গ/নরকে যাবে, কে ভালো/মন্দ করলো,কে কি করবে/করবে না সব এসব উপদেষ্টা/আলেমরাই ঠিক করে দিচ্ছে। সব পীরের আখরা এখানে জমায়েত আছে।
আজ দেখলাম শিশু শিল্পী দীঘি তার মায়ের মৃত্যু বার্ষিকীতে স্ট্যাটাস দিয়েছে তার মাকে মিস করে বলে আর তাই নিয়ে একেকজনের মন্তব্য দেখে মনে হলো তারা তাদের মা-বাবা মারা গেলে আল্লাহ বিল্লাহ করে, মন খারাপ করে সারাবছর পড়ে থাকে, কোনো আনন্দ/ফুর্তি করেনা, তারা সবাই বেহেস্তের টিকেট কনফার্ম করে বসে আছে। এই হচ্ছে আমাদের পরনিন্দা, পরচর্চা সংস্কৃতি।