হাতে কমলা রঙের কাগুজে ব্যান্ডের দিকে অসহিষ্ণু দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা, যেনো স্থির সময়ের সমুদ্রে ভেসে থাকা।স্রোতে জীবনের ডিঙি ভেসে বেড়ালেও সব কিছু কেমন স্থিরচিত্রের মতো ঠাঁয় অপেক্ষায়..
সাদা, আকাশী নীল, কমলা রঙের পোশাকের তাড়াহুড়ো দেখলে এক অদ্ভুত কৃতজ্ঞতায় মিইয়ে যাই, শারীরিক ব্যথা উপশমের অক্লান্ত পরিশ্রম তাদের, অথচ মানবিক দুর্বলতা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বয়ে বেড়ায় নিদারুণ অ-সুখ!!
শিরা উপশিরা বেয়ে রক্তস্রোতে মেশে প্রয়োজনীয় পথ্য, অথচ খুব সচেতনে আমি শুষে নিচ্ছি- ক্লোরোফরমের ঘ্রাণ, অগুনতি আর্তনাদ আর অবসাদজনিত মৃত্যুর গন্ধ যেখানে সমস্ত জীবাণুনাশ ব্যর্থ!!
অসাড়তায় শুষ্ক জিহ্বা,কণ্ঠনালী- নৈঃশব্দে হৃদপিন্ডের জপতে থাকা "তুমি" নাম সশব্দে উচ্চারিত হচ্ছে -
শ্যেনদৃষ্টি ধীরলয়ে ক্ষীণ হয়ে এলে কোন এক অশরীরী রিনরিনিয়ে গেয়ে যায়-
" পথে পথে চলতে চলতে হঠাৎ একদিন থেমে যাবো, মেঘলা রাতে লুকিয়ে থেকে রূপোর আলোয় জ্যোছনা পাবো"
৬টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
যাক, অশরীরীর গান শুনতে পাওয়া একজনকে পেলাম।
লিখুন এবং সবাইকে পড়ুন।
মৌনতা রিতু
ব্যাথা নাকি ব্যাথাকে স্পর্শ করে বলে জানি।
জীবন যদি থেমে যায় জীবনের নিয়মে, সত্যি বলছি আপত্তি তুলব না।
জীবনকে তবু বলতে ইচ্ছে করে,’আর একটু তবু পথ চলি, এখনো হইনি ক্লান্ত।
সুন্দর একটা লেখা। লিখুন বেশি বেশি করে।
মোঃ মজিবর রহমান
পথে পথে চলতে চলতে হঠাৎ একদিন থেমে যাবো, মেঘলা রাতে লুকিয়ে থেকে রূপোর আলোয় জ্যোছনা পাবো”
কথা গুল দারুন।
নীলাঞ্জনা নীলা
শেষ করলেন শ্রীকান্তের গান দিয়ে। যেনো ওখান থেকেই শুরু হলো নতুন করে নতুন কিছুর।
মোহিত হলাম আরেকবার।
মনির হোসেন মমি
” পথে পথে চলতে চলতে হঠাৎ একদিন থেমে যাবো,
মেঘলা রাতে লুকিয়ে থেকে রূপোর আলোয় জ্যোছনা পাবো”
চমৎকার অনুভুতি।
মোঃ মজিবর রহমান
ঠোটের কোনে ঝুলে থাক ম্রিত্যু!! মনের ব্যাথা।