একবার এক জোনাকি
হুড়মুড়িয়ে, খামোখা-খুশির আবেশ ছড়িয়ে
কাছে চলে এসে বলে, চলো-না উড়ি,
বুনো ফুলের ঘন-সীমাহীন শরীরী-গন্ধ মেখে
ঐ নীলের দূরাকাশে;
অসম্ভব, বলি তাকে, ভাবি-ও,
কিন্তু, চোখ উল্টে নির্বোধ! তা বলি-না;
আলোজ্বলা-ডানায় ভর করে, এ-আমায়
কোথায় নিয়ে এলে!!
সেই থেকে বুক পকেটেই আছে, জোনাকিটি
প্রজাপতি হয়ে,
মরে গিয়েও জ্বলে আছে, জ্বালাচ্ছে-ও
অনন্তকাল ধরে, উদাসী উদ্বৃত্ততায় নয়,
উদ্ধত-উদ্ভাসিত বৈশাখীর বেশে
বিষয়-আশয়ের দিক ভুলে, নিথর গভীর
কৃষ্ণ-যবনিকা ভেদ করে
কুচিকুচি করা সোনালু হাসিতে;
১৪টি মন্তব্য
মিষ্টি জিন
জোনাকি বুক পকেটে এসে প্রজাপতি হয়ে গেছে। রাতে আলো ছডাবে আর দিনে প্রজাপতি হয়ে ,সৌন্দয্যে মুগ্ধ করবে । বাহ
মরে গিয়েও যে এত মধুর ভাবে জ্বালায় তার স্হান বুক পকেট ছাডা অন্য কোথাও হতেই পারে না।
ভাল হঁয়েছে কবিতা।
বেশ ভাল লাগা নিয়ে পড়েছি ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তো কবি হয়ে গেছেন পুরোপুরি,
আহা, মরি-মরি!!
আর কত লুকিয়ে?
পড়ুন- না
একটু ঝাঁপিয়ে!!
নীহারিকা
এ দেখি জোনাকি পোকার আত্মত্যাগ।
ছাইরাছ হেলাল
কিছু ত্যাগা-ত্যাগি না থাকলে জেপন ত্যানা-ত্যানা!!
নীলাঞ্জনা নীলা
জোনাকির মতো জীবন ক’জনে পায়? মৃত্যু তো চিরন্তন, কিন্তু মৃত্যুর পরে খুব কম সংখ্যক মহান মানুষ বেঁচে থাকে তাঁদের কর্মে।
খুব ভালো লেগেছে কবিতা। কিন্তু মন্তব্য সেভাবে করতে পারলাম না। ভালো থাকবেন। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ভালোলাগা লেখায় যে ভাবে মন্তব্য করতে চান তা করবেন,
অপেক্ষা করতেই আছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
কোথায় হারালেন? এতোদিন পর এসে দেখি কবিতার দুর্ভিক্ষ চলছে।
কবিতার বন্যা চাই, 🙂
ছাইরাছ হেলাল
সুনামি হবে, জলদি আসুন।
জিসান শা ইকরাম
মরে গিয়েও জ্বালাবে অনন্তকাল,
কি আর করা, মেনে নিতেই হবে সুখের জ্বালা পোড়া।
ছাইরাছ হেলাল
সুখ সুখ জ্বালা মন্দ নয়।
শুন্য শুন্যালয়
বুক পকেটে জোনাকি নিয়ে ঘুরছেন? নাকি প্রজাপতি?
জ্বালাচ্ছে, জ্বলছে নাকি আপনি জ্বালাচ্ছেন? এভাবে প্রজাপতি কেউ পকেটে নিয়ে ঘোরে? মরে গিয়েও বেচারা শান্তি পাচ্ছেনা।
স্নিগ্ধ সুন্দর একটা কবিতা পড়লাম, হুম অনেকদিন পরে।
এ আনন্দজ্বালা সবার কপালে কিন্তু সয়না, সাবধান 🙂
ছাইরাছ হেলাল
এখন-ই স্নিগ্ধ-সুন্দর বললে তো হবে না!! প্রিমিয়ামগুলো তো জমে ক্ষীর!!
তখন বলার জন্য নিশ্চয়ই হাতে রেখেছেন!!
আনন্দজ্বালা সইতে হলে কপাল থাকা লাগে, কপাল যাদের নেই, তাদের আর চিন্তা কীসের!!
জোনাকি-ই প্রজাপতি, প্রজাপতি-ই জোনাকি!! এরা মরে না, জ্বলে, জ্বালায়!!
শুন্য শুন্যালয়
বাব্বাহ এর বাইরেও আরো প্রিমিয়াম আছে নাকি? দ্যান দ্যান, বহুত দিন ক্ষীর খাইনা, খেজুরের রসের হইলে তো কথাই নাই। পেটে পুটে সইবে তো? অবশ্য কুবিরাজ থাকতে চিন্তা কী? 🙂
কপাল তো আপনার অনেক বড়ই দেখা যায়, ডিভাইডেশন গন। তাই যতো পারেন জ্বইলা নেন, পরের জন্মে সোনা হইবেন মাস্ট।
ছাইরাছ হেলাল
পরের জন্মের অপেক্ষা সইবে না,
এখন-ই হীরক-হীরক অবস্থা।
আমাদের হাতে দাঁতের ডাক্তার আছে, আপনই পেট-পুট নিয়ে চিন্তাইয়েন না।
পাবেন পাবেন অবশ্যই পাবেন।