জোছনা ও জলপরী

সৌবর্ণ বাঁধন ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, সোমবার, ১২:১১:৩২পূর্বাহ্ন কবিতা ১৮ মন্তব্য
এসো মেয়ে জানালার জোছনায় রাখি মুখ, 
ব্ল্যাক পেটুনিয়ার মতো ঈষৎ অন্ধকার হুট করে ফুটলে ফুটুক,
স্নিগ্ধ চুলের মতো ঝিরঝিরে বাতাস, 
দূরদ্বীপে সন্তুরণে ব্যস্ত এখন আমাদের সন্নিহিত নিঃশ্বাস! 
তুমিতো এখানে নেই! আমিও এখানে নেই! 
কথা হোক ছায়াতে ছায়াতে! তুমি এতো পেয়োনা তো ভয়, 
বিসদৃশ কারাগার ঢেকে দিলো আপাদমস্তক, 
ডুবে যাওয়া নরনারী ভাসছে প্রায় অদৃশ্য আলোয়, 
চলে এসো তুমি, আমরাও ভেসে যাব জোছনায়! 
মেয়ে তুমি জলপরী! তুমি ক্ষণিক শব্দের উতলা স্রোত, 
হুহু করে বয়ে যাও শহরের উঠোনে,
ছুঁয়ে দিব ভেবেও সরিয়ে নিয়েছি হাত, 
তুমিতো এখনো রূপালী স্রোতের মতো অকারণে আসো  
অকারণে চলে যাও! যেমন পাগলামি করে উত্তুরে বাতাস,
শুধু আমিই পারিনা ছুঁতে আর! 
অস্বীকৃত অঙ্গীকার নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে মহাবিশ্বের মাঠ, 
মেয়ে তুমি জলপরী হয়ে গেলে জোছনা ছুঁয়েই, 
থামছেনা উত্তর আধুনিক ঝড়! আমাদের বুকের ভিতর!

এখানে এখন স্রোত পুরাতন শঙ্খের শরীরের প্যাঁচের মতোন, 
পরিবাহী তারের গোলকধাঁধায় খায় ঘুরপাক!
মেয়ে তুমি জলপরী হয়ে উড়ো বিনা উছিলায়,
উঁকি দেয় জানালায় জোছনার ঢেউ,
মৃদু ধাক্কার মতো শারীরতাত্ত্বিক নিগূড় গর্জন! 
সব মায়া টেনে নিয়ে নিজস্ব সত্তায় আলোয় আঁধারে হাঁটে 
কেউ কেউ, 
হয়তো সে তুমি! রুপালী পাখার মতো ভাসমান অবয়ব! 
জমাট চাদরে জমে গিয়ে বহুদুর বাস্তুচ্যুত তুলোর মতো 
ভেসে যেতে যেতে ভাবি,
এই শহর একদিন স্বর্গোদ্যান হবে!
মজে যাওয়া আপেলের বিজারিত গন্ধে গুলাচ্ছে বাতাস, 
তুমিও তো জলপরী হয়ে ভেসে গেলে,
মানবের হৃদয়ের জোছনায় কেই আর হয় আপনার! 
হয়তো বিলুপ্ত হবে শিগগিরই বহুকিছু
মানুষ বিলুপ্ত হয়, কফিনে মিশে যায়, ফসিলে মিশে যায়, 
তখনো কি জলপরী তুমি এভাবেই ভেসে যাবে-  
আজন্ম নিঃসঙ্গ জোছনায়?  
0 Shares

১৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ