জীবন একটা গতির নাম। গতির মৌলিক ধারা রয়েছে। জন্ম লাভের সাথে সাথে মানুষের জীবন শুরু হয়ে যায়। মানুষ আস্তে আস্তে বড় হয়। তারপর একসময় তাকে জীবনের দায়িত্ব গ্রহন করতে হয়। মানব জীবন সংক্ষিপ্ত হলেও গতির হিসেব মতে মানুষকে কয়েকটি পর্যায় অতিক্রম করতে হয়। মানুষের জীবন হল সজীব শক্তি, মূল্যবান এক অপার শক্তি। গতিময় জীবনে মানুষ শিশু থেকে ছাত্রজীবন তারপর কর্মজীবন এবং অবসর, মানে বার্ধক্য। মানুষ যখন হাঁটে, তখন তার একটি পা থাকে মাটির সাথে লাগানো আর একটি পা থাকে গতিশীল। স্থিতি ও গতি দুয়ে মিলে চলে বলেই সে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে সমর্থ হয়। যদি শুধু স্থিতি থাকত বা শুধু গতি থাকত তা হলে বারবার চলা সম্পূর্ণ হতে পারত না। শুধু স্থিতি থাকলে মানুষ জড় পদার্থে পরিণত হত। পৃথিবীর এই কর্মমুখর জীবন থেকে মানুষের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হত। আর যদি শুধু পা এগিয়ে যেত, হয় হুমড়ি খেয়ে পড়ে হাড় পাঁজর ভাঙত, না হয় পাখির মতো আকাশে উড়ত। অন্তত তখন মানুষ তার ধর্ম হারাত। তাই গতিময় জীবনে মানুষের কর্ম জীবন থেকে অবসর নিতে হয়। কিন্তু এই অবসর মানে একেবারেই স্থিতি নয়। মানুষের জীবনটা বৈচিত্রময় আর জীবনের বৈচিত্র আনতেই এই পেশাগত অবসর। পরিবারের চাকা ঘোরানো এই কর্মব্যস্ত মানুষটি দিনের পর দিন ঝড় তুফান উপেক্ষা করে তার কর্মস্থলে উপস্থিত থেকেছে।পরিবার ও সন্তানকে প্রতিষ্ঠা করতে কেটে গেছে তার কর্মময় জীবনটা। ঘূর্ণায়মান চাকরির নিয়মে অভ্যাসগত এই কর্মময় জীবন থেকে একসময় অবসর নিতে হয়। কিন্তু পরিবার সংসার নিয়ম অনুযায়ী তার গতিময়তা বজায় রাখে। তার আঙ্গুল ধরে হাঁটতে শেখা সন্তানরাই আজ কর্মব্যস্ত। গতিময় জীবনে হঠাৎ স্থিতি মানে মরণ।কোনো কারণে নিয়মের বেড়াজালে কর্মময় ব্যক্তি যদি তার গতিশীলতা হারিয়ে ফেলে, তবে বিষণ্নতা তাকে গ্রাস করে ফেলে। আর বিষণ্নতা দুশ্চিন্তা থেকেও মারাত্বক ক্ষতিকর। স্রোত বন্ধ হয়ে গেলে নদী তার গতিশীলতা হারায়। তেমনি হঠাৎ গতিহীনতা মানুষকে বিষণ্নতার বেড়াজালে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলে। ফলে বার্ধক্যের আগেই সে বার্ধক্যে পৌছে যায়। মানুষের জীবন প্রকৃতির মতোই গতিশীল। আর মানুষ প্রকৃতিরই অংশ। পরিবারের দুঃখ কষ্ট লাঘব করতে করতে কর্মময় মানুষটি শেষ জীবনে একটা সুন্দর সাজানো জীবন চায়। সেই জীবনে ও সে থাকতে চায় গতিময়। অবসর জীবনে চার দেয়ালে মানুষ আর কতটুকুই বা কর্মমুখর থাকতে পারে। মানুষ আজ শহরমুখী। সন্তান পালন করতে ও চাকরির সূত্র ধরে মানুষ শহরমুখী হয় কিন্তু পিছনে সেই গ্রামে ফিরে যায় না। তারা শহরের চার দেয়ালের ঘরের এক জীবনে অভ্যস্ত হতে শেখে। অবসরের আগে কর্মমুখর থাকতে তার জীবন বৈচিত্র্যময় থাকে। একসময় কর্মমুখর নয়টা পাঁচটা জীবন তার থেমে যায়। চার দেয়াল বিশিষ্ট ঘরে সকালের খবরের কাগজে আর কতটুকুই বা সময় কাটে !সকালের খবরের কাগজ ক্ষনিকের জন্য সময়ের গতিকে চালালেও সারাদিনের গতিশীলতা হারিয়ে স্রোতহীন নদীর মতো জীবনটা অচল অসাড় ও প্রাণশূন্য হয়ে পড়ে। আর এতে সে ভেঙে পড়ে। বিষণ্নতায় ঢেকে যায় তার জীবন। তখন সমস্ত পৃথিবী তার কাছে মনে হয় জঞ্জাল। জীবনটা হয়ে পড়ে ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ। নতুন নতুন রোগ, সমস্যা ও বিপত্তির মুখে পড়ে ক্রমাগত অবনতির দিকে ধাবিত হয় তার জীবন। জীবনের এই স্থবিরতা তাকে ক্রমাগত অন্ধকারের দিকেই ঠেলে দেয়।
জাগতিক সব কিছুই এক সময় ফুরিয়ে যায় এটাই নিয়ম। প্রাণবন্ত শরীর সময়ের আগেই জরাগ্রস্ত হলে, বেঁচে থাকার মানেই ফুরিয়ে যায়।সুখের জীবন বলতে প্রাণবন্ত শরীর ও মন দুটোই আমরা বুঝি।
আমাদের সমাজে অনেকেই চিন্তা করে, আমাদের সময়তো শেষ, ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের জন্য যান্ত্রিক এই শহরের চার দেয়ালের ছোট এক ফ্লাটের মধ্যেই জীবনকে সীমাবদ্ধ রাখতে চায়। তাই সে চাকরি থেকে অবসরের সময় পাওয়া অর্থ দিয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইটের সমন্বয়ে সুবিশাল অট্টালিকার মাঝে ছোট এক ফ্লাটে যেন, তিনি এক কয়েদি। আমার কাছে তখন তাদের এই জীবনটা শিকল পরা বানরের মতো মনে হয়। নাতি নাতনিদের রুটিনমাফিক জীবনে সামান্য সান্নিধ্যে বানরের মতো খেলা দেখিয়েই যেন আনন্দ। আর এই বানরের জীবন কখনোই কাম্য নয়।
আমার অনুভূতি মতে, মেয়েদের থেকে পুরুষরা বেশী অভিমানি। মেয়েরা তার সংসারে একই গতিতে চলে, তাই তার জীবনে অবসর আসে না। জীবনটা তাই তার গতিহীন নয়। তাই সন্তান ও পরিবারের অসংলগ্ন কোনো কথাই তাকে বেশিক্ষণ বিষণ্ন্নতায় আটকাতে পারে না। আর পুরুষরা বয়স হলে একটু অভিমান যেন বেশীই হয়।
আমি তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমি উনার অবসরের পর, গ্রামে প্রকৃতির সজীবতার মাঝে থাকব। ছোট একটা বাড়ি, বাড়ির চতুর্পার্শ্বে প্রচুর গাছ, সবজির বাগান থাকবে। থাকবে পুকুর, কবুতর, মুরগী, গরু। সারাদিন উনি এসব নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। সন্ধ্যার পর দুজনে লাইব্রেরী রুমে, সেই প্রথম জীবনের মতো, সমরেশ এর বাবলি বই পড়ে ঝগড়া করব। ইতিহাস নিয়ে দুজনে আলোচনা করব। আমি আমার নাতি নাতনিদের জন্য কবিতা লিখব। রুমের একপাশের দেয়াল জুড়ে থাকবে আমার ছেলেদের ছোটবেলার সব ছবি ও ওদের প্রাপ্তি। আমি আমার নাতিদের জন্য, আমার হাতে যত্নে গড়া সবজি বাগানের নির্ভেজাল সবজি, পুকুরের মাছ পাঠাব। তারা শহর থেকে আমাদের দুই বুড়াবুড়ির এই সবুজ প্রকৃতির মাঝে বেড়াতে আসবে। ছুটে বেড়াবে সারা মাঠ জুড়ে।
জীবনের এই পরিনত বয়সে আমি, আমরা দুজনে এই একটা সময়ের অপেক্ষায় থাকি। পাওয়া হবে এই আশায় থাকি। জীবন থেকে এক সময় কামনা বাসনা, প্রেম চলে যায়, রয়ে যায় শুধু শ্রদ্ধা, ভালবাসা আর মায়ার টান। এরই নাম জীবন। সেই ভরাট প্রাণবন্ত জীবে বিষণ্নতা আমার কাম্য নয়। তাই অন্তত শেষ সময়টা পর্যন্ত আমি তার পাশেই থাকতে চাই। জীবন তার গতিমত চলবে, সন্তানরা তাদের মত চলবে। তবে আমরা কেন চার দেয়ালে স্থিতি থাকব! জীবনের শেষ মুহুর্ত আসার আগ পর্যন্ত থাকতে চাই প্রাণবন্ত। যে সন্তানদের সুখের জন্য, জীবনের শেষ সম্বলটুকু দিয়ে ছোট ছোট ইটের সমন্বয়ে চার দেয়ালের ফ্লাটে বাস করা, সেই নিজেরই ফ্লাটে তখন বাবা মা সন্তানদের কাছে হয়ে যায় বাড়তি ঝামেলা। সন্তানরা বোঝেই না এই চারদেয়ালের এক ঘেয়েমি জীবনটা তাদের অনেকটা রূঢ় করে দেয়। আর এতে সবারই জীবন দুর্বিসহ হয়ে যায়। সম্পর্কে তিক্ততা বাড়ে। পরিবারে নতুন সদস্য ও বেড়ে ওঠে এইসব তিক্ততার মাঝে। ফলে সেই শিশুটির মাঝে তৈরি হয় হিংস্রতা। সন্তানদের উচিৎ বাবা মাকে তাদের আপন ঠিকানায় মুক্ত পরিবেশে রাখা। সেই তার চিরচেনা প্রকৃতির মাঝে। তাদের চারদেয়ালের মাঝে কয়েদখানায় রাখা মোটেও মানবিকতার পরিচয় নয়।
*এই সোনেলায় আমার দেখতে দেখতে একটা বছর পার হয়ে গেল। সবার ভালবাসা ও স্নেহে এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি। সবাইকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুভকামনা। *
জিসান ভাইয়ার প্রতি কৃতজ্ঞ আজীবন, কারণ এই যাই লিখি ননা কেন, এমন উৎসাহ কম মানুষই দিতে পারে।
Thumbnails managed by ThumbPress
২৫টি মন্তব্য
রুম্পা রুমানা
ভালো বলেছেন আপু। আর শেষ বয়সে প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই । ভাল থাকুন ।
মৌনতা রিতু
শুভকামনা রইল, আপনার প্রতিও।
এই তো চাওয়া এখন। চাওয়ারই তো শেষ নেই।
গাজী বুরহান
সুন্দর ভাবনায় জীবনের চরম বাস্তবতা।
“সকালের খবরের কাগজ
ক্ষণিকের জন্য সময়ের গতিকে
চালালেও সারাদিনের গতিশীলতা
হারিয়ে স্রোতহীন নদীর মতো
জীবনটা অচল অসাড় ও প্রাণশূন্য হয়ে
পড়ে। আর এতে সে ভেঙে পড়ে।
বিষণ্নতায় ঢেকে যায় তার জীবন।
তখন সমস্ত পৃথিবী তার কাছে মনে হয়
জঞ্জাল। জীবনটা হয়ে পড়ে ঝঞ্ঝা
বিক্ষুব্ধ। নতুন নতুন রোগ, সমস্যা ও
বিপত্তির মুখে পড়ে ক্রমাগত অবনতির
দিকে ধাবিত হয় তার জীবন। জীবনের
এই স্থবিরতা তাকে ক্রমাগত
অন্ধকারের দিকেই ঠেলে দেয়।”
আচ্ছা এখন তো তরুণদের মাঝে এ ধরনের ভিষণ্ণতা বিরাজ করে, তাদের সম্পর্কে কি কিছু বলবেন?
কেন করে? এ সময় তাদের কি করা উচিৎ? ( যে কেউ উত্তর দিতে পারেন)
মৌনতা রিতু
তরুনরা বিষন্ন হয় নিজেদের একটা জগৎ তৈরি করে। এরা বাবা মায়ের অপরগতা কখনোই চিন্তা করে না। তারা সারাক্ষন একটা ভাবনাতেই থাকে, অমুক বন্ধুর এই ফোন, আমার নেই কেন, অমুক বন্ধুর এতো সুন্দর বাইক, আমার নেই কেন ! অমুকের এতো সুন্দর গার্লফ্রেন্ড, ইশশশ, আমার যদি হতো! এই ভাবনাতেই গুমরে কাঁদে। প্রতিদিন এ ও উৎসবে চাই তাদের নতুন নতুন জামা কাপড়।
না পাওয়ার হিসেব করতেই এরা বিষন্ন।
উত্তর কি হইছে ?
মিষ্টি জিন
সত্যিই আপু জীবন গতিশীল.। সেই যে জন্মের পর চলা শুরু হয়েছে আর থামা থামি নাই। কোন বাধাই এই চলাকে অটকিয়ে রাখতে পারছে না।
তেনার অবসরের পর এবং মেঁয়েদের বিয়ে দিয়ে আমিও গ্রামে চলে যাবো ।বাকি জীবনটা নদী ,মাটি সবুজকে নিঁয়ে বাঁচবো ।
সোনেলায় আপনার একবছর পূর্তিতে শুভেচ্ছা -{@ এবং শুভকামনা ।
মৌনতা রিতু
একবছরের অবশ্য কয়েকদিন বেশীই হইছে।
হুমম, সত্যি এক সময় সেই দুজনই আবার দুজনের সংগি।
শুভকামনা রইল।
আবু খায়ের আনিছ
লেখাটা পড়া শুরু করা মাত্রই কিছু মানুষের চেহেরা চোখের সামনে ভেসে উঠলো। অনেকগুলো মানুষ আমার সামনে বার্ধক্যে উপনিত হয়েছে, এবার বিদায় বলবে হয়ত, ( আরো অনেক অনেকদিন বেচেঁ থাকুক তাই চাই) ক্ষণিকের বিষাধে হয়ত ভরেও উঠবে মন। কিন্তু ভাবতে গেলে কষ্ট হয়, আমি কি পারবো এই ধাক্কা সামাল দিতে।
জীবনের আরেক অর্থ চলা। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে জীবন এগিয়ে যেতে না চাইলে সময় তাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাবে নয়ত ছুড়ে ফেলে দিবে অন্ধকার আস্তকুড়ে। যেখানে আলোর দেখা পাওয়া যায় না কখনো।
শুভেচ্ছা আপু, আরো দীর্ঘদিন আমাদের সাথে থাকবে, এমন প্রত্যাশা করি।
মনের মাঝে একটা খটকা তৈরি হলো, আমি আগে এলাম কি করে? আমার তো কখনো এমন মনে হয় না। এক বছর দুই মাস হবে মনে হয় আমি আছি সোনেলায়। আমার তো মনে হয় আপু আগে এসেছিলো।
মৌনতা রিতু
একে একে চলে গেছে অনেকগুলো মুখ। আমাদের চলা তবু থামেনি। কিন্তু এই চলা সবারই প্রানবন্ত হোক।
হিসেব করি কে আগে আসল।😊
শুভকামনা রইল।
ভুতের ভয় পাচ্ছি কয়েকদিন। ;(
নীলাঞ্জনা নীলা
জীবনটা অনেক ছোট। কিন্তু আমাদের স্বপ্ন জীবনের থেকেও বড়ো। আপু তোমার গতিশীল জীবনে ভবিষ্যতের স্বপ্নগুলো পূর্ণ হোক। -{@
মন ছোঁয়া আবেগী একটি লেখা।
মৌনতা রিতু
গত কয়েকদিন এই ভাবনাটাই চলে আসছে শুধু। কিছু মানুষের অনেক কিছু আমাদের সত্যি বিচলিত করে।
ভাল থেকো আপু। ছেলেকে আদর দিও।
নীলাঞ্জনা নীলা
অনেক অনেক ভালো থেকো তুমিও। -{@
ছাইরাছ হেলাল
দূর ভাবনার স্বপ্ন নিয়ে লেখাটি অনেক সুন্দর।
সময়ের বিশালতার কাছে আমাদের জীবন সামান্য কনা সম,
এর মাঝে গতিময় আনন্দে শিকড়ে ফিরে যেতে আমরা চাই। সবার ই এমন স্বপ্ন চাওয়া থাকা উচিৎ।
মৌনতা রিতু
সেটাই বড় পাওয়া হবে প্রকৃতির কাছে।
রোগির ফোঁড়ার খবর ঠিক হইছে !
ক্রিস্টাল শামীম
আমার বয়স যখন ৬ তখন থাইকা আমি গ্রামে থাকতাম, আমার আব্বা আম্মা, ভাই, বোন সবাই ঢাকা থাকতো তাই সারাটা জীবন গ্রামে কেটেছে, প্রকৃতি আর দাদীমা আমার খেলার সাথী ছিল। (3
একবার একটা মাইয়ার প্রেমে পড়ছিলাম, মেয়ে আমাকে প্রশ্ন করছে তুমি সবচাইতে কাকে বেশি ভালোবাসো ? আমি বলেছিলাম আমাদের ঘড়ের পিছনের আম গাছটারে। মাইয়া তো আমাকে গাদা বইলা সেইযে গেলো আর এলোনা। আমার ও প্রেম করার স্বাদ চইলা গেলো। ^:^
এখন প্রকৃতিই আমার জীবন মরণ। :v
পরম করুনাময় আল্লাহr কাছে প্রার্থনা আপনার জন্য , শেষ বয়েসে যেন আল্লাহ আপনাকে প্রকৃতি ছুঁয়ে দেখার স্বাদ পুরুন করে…. আমীন।…………
মৌনতা রিতু
ঘরের পিছনের আম গাছ ! :D)
প্রেম ফিরে আসুক এই কামনা।
ধন্যবাদ।
ব্লগার সজীব
জীবন মানেই গতিশীলতা, একে থামতে দেয়া যাবেনা। জীবনের শেষ দিনগুলোতে সজীবতার মাঝে জীবন যাপনের ইচ্ছেটি আমারও মনে ধরেছে আপু। আমিও এমন থাকব বেঁচে থাকলে। সাধারণ গল্প কবিতার চেয়ে ভিন্ন ধরনের লেখায় আপনি বরাবরই ভাল। এই লেখাটি জীবন সম্পর্কে আলাদা করে ভাবাবে আমাদের।
এক বছর হয়েছে মাত্র আপনার? সোনেলায় আপনার আন্তরিকতা আর একাগ্রতা দেখে মনে হয় সোনেলার জন্মলগ্ন হতেই আছেন আপনি। শুভেচ্ছা আপু আপনাকে -{@ -{@
মৌনতা রিতু
মন্তব্যের উত্তর ভুল যায়গা গেছে।
সজীব ভাই, শুভকামনা রইল।
মৌনতা রিতু
এই এমন ভালবাসাগুলোই আমাকে এতো উৎসাহিত করে।
সত্যি, খুব ইচ্ছে আমার এমন একটা পরিবেশে থাকার।
একটা গাড়িও থাকবে, তখন বুড়োর সাথে রাগ হলে ছেলের বাড়িতে চলে যাব। তবে রাস্তা থেকেই ফিরে আসব।
যদি কেউ আবার অন্যপথে ঢুকে পড়ে,,,,,,,,
শুভকামনা রইল।
ব্লগার সজীব
যদি কেউ আবার অন্যপথে ঢুকে পড়ে,,,, ;? কেউকে ঢুকতে দিলে তো, আমরা আছি না? দরজায় লাঠি নিয়ে পাহাড়া দেব। আপুর ঘরে অন্য কাউকে ঢুকতে দেয়া হবে না 🙂
শুন্য শুন্যালয়
আপু এক বছর হয়ে গেলো এসেছেন? মনে হচ্ছে এই সেদিন, সময় আসলেই গতিময় আপনার লেখার মতই।
পুরুষরা বেশি অভিমানী হয়, কথাটা খুব মনে ধরেছে। কথাটা সত্যি, নারীর সংসার জীবনটাই গতি, তার থেমে থাকা হয়না আর।
আপনার ইচ্ছেটা অসম্ভব সুন্দর। ছোট একটা বাড়ি, কবুতর, পুকুর, ভাগাভাগি করে বই পড়া। সব যেন কেমন স্বপ্নের মতো অথচ সত্যির কত কাছাকাছি। ইচ্ছেটা ভাইরাস হয়ে আমাকেও আক্রান্ত করলো।
অভিনন্দন প্রিয় আপু, অভিনন্দন আমার ভাবীজান। বছর বছর ফি বছর আমাদের দেখা হোক সোনেলায়, চমৎকার এমন লেখার মাঝে। -{@
মৌনতা রিতু
তাইতো শত ব্যস্ততায় আমরা সোনেলায় এক ঘন্টা কাটিয়ে দেই।
তোমার ভাইর সাথে ভাগাভাগি করে বই পড়লে আর বই পড়া হইছে ! উনার পরেই যদি কোনো বই নিয়ে পড়তে বসি, সেই বইয়ের আদ্যপান্ত জিজ্ঞেস করবে।
এক পর্যায়ে ঝগড়া হবে।
তোমার ভাই এর কবুতরের নেশা আছে, ওটা নিয়ে থাক।
দেশে আসলে অবশ্যই দেখা হবে। আমিই যাব, না ডাকলেও যাব।
শুন্য শুন্যালয়
দেশে এলে সত্যিই দেখা হবে? উহ, আমিতো এখনই গাট্টি বাঁধতেছি। ঝগড়া বলছো কেন ভাবীজান,? অইটা অনুরাগ। হা হা গল্পের বইএর ও পরীক্ষা দিতে হয়? 😀 কতো ভালো একটা মনোযোগী ভাই আমার, তার সাথে ঝগড়া করো ক্যান মনু?
কবুতরের নেশাতো খুব ভালো, দেইখ্যো ভাই জানি কাউরে আবার চিঠি না লটকায় দেয় কবুতরের পায়ে। :p
মৌনতা রিতু
সেই চিঠির কথা আর নাইবা ফাঁস করি ননদিনী।
হয়, সত্যি পরীক্ষা দিতে হয়। জিজ্ঞেস করবে, কি বুঝলাম। একবার তো বাবলি নিয়ে তুমুল ঝগড়া।
তাড়াতাড়ি আইসা পড়, একদিন সবাই জমিয়ে আড্ডা হবে।
ইলিয়াস মাসুদ
ছোট একটা বাড়ি, বাড়ির চতুর্পার্শ্বে প্রচুর গাছ, সবজির বাগান থাকবে। থাকবে পুকুর, কবুতর, মুরগী, গরু। সারাদিন উনি এসব নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। সন্ধ্যার পর দুজনে লাইব্রেরী রুমে, সেই প্রথম জীবনের মতো, সমরেশ এর বাবলি বই পড়ে ঝগড়া করব। ইতিহাস নিয়ে দুজনে আলোচনা করব।
আমার ইচ্ছা গুলো মনে হচ্ছে চুরি গেছে, এ সব আমার ইচ্ছা কিন্তু ………।।
জীবন নিয়ে ভাবতে খুব ভয় হয়,বাবা চাচা সবয়াই খুব কম বয়সে চলে গেছেন,বংশের ধারা টাই যেন কেমন, তার পর ও যদি ভাবি কখনো তবে তা এমনি, খুব ভাল লেখেছেন ইচ্ছা গুলো আপু, আমার তো একবছর ও হলো না সোনেলায়, কিন্তু আমার তা মনে হয় না, আমার মনে হয় এখানে সবাই আমার পুর্ব পরিচীত
মৌনতা রিতু
তবুও জীবনের সেই দিনগুলো উপভোগ করার খুবই ইচ্ছে আমার।
কতো যে স্বপ্ন বুনি ! এটা, ওটা কতোকিছু।
সত্যি সোনেলা এমনি উঠোন। সবাই আপন।
শুভকামনা রইল ভাই।