আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন থেকে বঞ্চিত এক সময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা যুবলীগ নেতা মাহমুদুল হক খান মামুন প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করেও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লড়বেন। খানের মিডিয়া মুখপাত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বলেছেন, দলের জন্য নিবেদিত মাহমুদুল হক খান মামুনকে বার বার বঞ্চিত করা হচ্ছে। দলীয় অবমূল্যায়নের শিকার তিনি। বলেন, দলীয় সমর্থন না পেলেও নগরবাসী খানকে পছন্দের প্রার্থী হিসাবে মনে করছে। সাধারন নারী পুরুষ খান মামুনকেই সমর্থন দিচ্ছেন। আর দলের একটি অংশ মাঠে প্রকাশ্যে খানের প্রচারনায় অংশ নিবেন। মুখপাত্রের বক্তব্য, খান মামুনের নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিরব ভোট বিপ্লব ঘটবে। এরকম সাড়া মাঠ থেকেই মিলছে। এজন্য তিনি এবার আর নির্বাচনী মাঠ ছাড়ছেন না। রক্তের বন্যা বয়ে গেলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন খান এরকমই বলেছেন সংগঠনের এক নেতা। ওদিকে, নগরীতে একটি কথা বাতাশে বয়ে বেড়াচ্ছে যে বরিশাল আওয়ামী রাজনীতির অভিভাবক সাবেক চীফ হুইপ আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে খান মামুনকে বিরত থাকতে বলবেন। ফলে নির্বাচন থেকে খান সরে দাড়াতে পারেন। বিভিন্ন মহলে বিষয়টি আলোচনায় আলোচিত হচ্ছে। তবে মাহমুদুল হক খান মামুনের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, এসব নির্বাচনী মাঠে শুধুই গুজব ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে। নির্বাচনী মাঠে কতই না গুজব বেড়–বে। সূত্রের ভাষ্য, এর আগে বিসিসি নির্বাচনে দলের সমর্থন থেকে বঞ্চিত করা হয় খান মামুনকে। এমনকি উপজেলা নির্বাচনের সমর্থন চেয়েও পাননি খান। দলের একাংশের মধ্যে এসব ক্ষোভ নিরবে বিরাজমান। অবমূল্যায়নের শিকার কর্মীদের পুঞ্জিভুত ক্ষোভ বিস্ফোরন ঘটবে ভোট যুদ্ধে।
প্রসঙ্গত : ১৯৮১ সালে বিএম কলেজে ছাত্র লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন মাহমুদুল হক খান মামুন। বিএম কলেজের রাজনীতিতে ছাত্রদের বিভিন্ন দাবী দাওয়ায় সবার আগে ঝাঁপিয়ে পড়া ছিল যেন খান মামুনের নৈতিক দায়িত্ব। ১৯৯০ সালে কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস, ১৯৯৭ সালে ভিপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। ১৯৮৬ সালে সর্বপ্রথম বিএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। একটানা ১৭ বছর সভাপতির দ্বায়িত্ব পালনে সংগঠনের সাংগঠনিক ভীত মজবুত হয়। বিএম কলেজে চারটি বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন এই মেধাবী ছাত্রনেতা। ছাত্রনেতা ও জ্ঞান অর্জনে যা প্রাচ্যের অক্্রফোর্ড খ্যাত দক্ষিন বাংলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন খান মামুন। মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করা বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি,হিসাব বিজ্ঞান ও ইতিহাস। এছাড়া এলএলবিও করেছেন তিনি। খানের ভক্তদের ভাষ্য, সাবেক মেধাবী ছাত্রনেতা যুবলীগ নেতা খান মামুন জাতির জনক ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশের সৈনিক। আর এই মহান নেতার আর্দশকে ভালবাসেন বলেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন তিনি। ক্লীন ইমেজের রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসাবে বেশ পরিচিত মাহমুদুল হক খান মামুন। খানের বাবা প্রায়ত সামছুল হক খান তৎকালীন এডিসি ছিলেন। মা প্রায়ত লুৎফুন্নাহার বেগম ছিলেন সুশিক্ষিতা। তৎকালীন পাকিস্তান আমলে খানের মা ডিগ্রী পাস করেন।

৫০৫জন ৫০৪জন
0 Shares

৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ