হাটতে না পারা শিশুটি আজ অনেক বড় হয়ে গেছে। কিন্তু সে জানে না বড় হয়ে সে কি ভুলটা করেছে। সে শুধু এখন জানে,তাদের আশা পূরণ করতে হবে। সে কেমন আছে সেটা ভাবার সময়ও এখন তার নাই, সামনে তাদের ভালো রাখতে হবে এটা ভাবতেই তার দিন শেষ। সে বেঁচে আছে সেটা সে ভুলে গেছে আজ, কারন বাকি সবাইকে যে বাঁচাতে হবে তার জীবন দিয়ে!
সন্তান বড় হলে বাবা মা বড় অবুঝ হয়ে পরে। তারা তখন বুঝে না তার সন্তানের এতো চাপ ভালো লাগে না। তারা বুঝেনা তার সন্তানের এটা ভালো লাগে না। তারা এখন অবুঝের মতো প্রতিদিন বলতেই থাকে,তোকে এটা হতে হবে,নয়তো এই জীবনের মূল্য নাই।
ঐ আকাশে তাকিয়ে থাকার সময় নাই আজকে, অথচ তাকে কোলে নিয়ে আকাশ দেখার অভ্যাসটা তারাই করিয়েছিলো। জীবন কি জানে,এই জীবন এখন অন্যের বেঁচে থাকার জন্য নিজেকে বিভিন্ন দরে মানুষের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে।
দিন দিন সব স্বপ্ন কমতে শুরু করছে। বেঁচে থাকার কারন কমতে শুরু হয়েছে। অন্যের আশা দেখে তাকে স্বান্তনা দাওয়ার অভ্যাসটা অধিক বেড়ে গেছে, একদিন সুখে থাকবো ভাবনাটা কোথায় যেন হারিয়ে গেছে, আমি যেন মরে গেছি, বেঁচে আছি জোর করে!
কাল কি হবে ভাবতে ভাবতে ভুলে গেছি আমি আজকে কি হবে। অতীত আমার কেমন ছিলো এ কথা ভাবতে ভাবতে রাত কাটে আমার চোখের জলে। ভালো আছি আমি বলা মানুষটা যেন আজ ভুলে গেছি ভালো থাকার কারন। মানুষ কিভাবে ভালো আছে সেটা দেখে আজ মনে হয়, আমি কি পাগল হয়ে গেছি। হ্যাঁ, এখন হয়তো আমি পাগল হয়ে ভালো আছি।
শেষ হওয়া জীবনটাকে আবার শুরু করতে হবে। আবার ভাবনাটাকে শুরু করতে হবে। কিন্তু কিভাবে, হচ্ছে না তো। কিছুতেই কিছু হচ্ছে না তো,আর হবেই বা কি করে, আমি তো মরে গেছি আমার মাঝে।
[ আজকের ভালো থাকার মানে সেদিনের ভালো থাকা নয়!]
১০টি মন্তব্য
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
হুম,
একেবারে মনের কথা গুলা বলছেন,
এতো এতো চোখের তৃপ্তি কি ভাবে মিটাবো ভাবতে গেলেই নিজের মাথার চুল নিজের ছিরতে ইচ্ছে করে।
আসলেই বড় হয়ে খুব ভুল করেছি।
ভালো লাগলো লিখাটি।
রাফি আরাফাত
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন ।
সুরাইয়া পারভিন
নিজের জীবন নিজের হলেও কি ভালো থাকতে পারতেন? পারতেন না।কারণ নিজেকে স্বার্থপর মনে হতো। কাছের মানুষ গুলোর চোখের জলে সারাজীবন ভাসতে থাকতেন। বিশ্বাস করুন এক মুহূর্ত ভালো থাকতে পারতেন না।
সুন্দর প্রকাশ
অনন্য অর্ণব
আসল কথা হলো- শেষ হওয়া জীবনটাকে আবার শুরু করতে হবে। আবার ভাবনাটাকে শুরু করতে হবে। জীবন তার নিজের গতিতেই চলবে। আপনি আমি কেবল সেই গতিটাকে একটু ত্বরান্বিত করতে পারি। এর বাইরে কিছু সম্ভব বলে মনে হয় না।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
এতো হতাশ হলে চলবে? না আমাদের কোন অবস্থাতেই হতাশ হওয়া চলবে না।
আমাদের বাবা মায়েরা আমাদেরকে বাতাস খাইয়ে বড়ো করেননি! তাদের কষ্টটা বার বার ভাবুন। আপনার কোন আবদার অপূর্ণ রাখেননি। তাহলে আমরা কেন তাদের প্রতি বিরক্ত হবে!
বরঞ্চ আল্লাহর উপর ভরসা করে মা-বাবার দোয়া নিয়ে তাদের চাওয়ার চেয়ে আরো দশগুন বেশী যেন অর্জন করা সেই চেষ্টা করতে হবে। জীবন চলে গেলেও মা-বাবাকে কটু কথা বলে তাদের মনে কষ্ট দেয়া যাবে না।
ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
মাছুম হাবিবী
বড় হলে দায়িত্বটা একটু বেশিই নিতে হয়। তবে বেশি হতাশ হলে চলবে না ভাই। কষ্ট করে ধৈর্য্য ধরে এগিয়ে যেতে হবে।
ছাইরাছ হেলাল
জীবনের এ এক কানা গলি,
এর শেষ কোথায় আমরা তা জানি না।
নিতাই বাবু
[ছবি মুছে ফেলা হয়েছে]
বড় না হলে তাঁদের দেখতো কে?
এস.জেড বাবু
জন্মের পর যা যা পেতে পেতে মানুষ বড় হয়-
একটা সময়ের পর তা তা পরিশোধ করতে করতে ইতিরেখার দিকে হাঁটতে হয়।
সে কেমন আছে সেটা ভাবার সময়ও এখন তার নাই, সামনে তাদের ভালো রাখতে হবে এটা ভাবতেই তার দিন শেষ। সে বেঁচে আছে সেটা সে ভুলে গেছে আজ, কারন বাকি সবাইকে যে বাঁচাতে হবে তার জীবন দিয়ে!
প্রতিটি মানুষের জীবনের চরম বাস্তবতা।
ভিক্ষন ভাবায়।
মনটা ভিন্নদিকে টেনে নিলেন লিখার মাধ্যমে।
জিসান শা ইকরাম
অনেক ভাবনার একটি পোষ্ট,
আমরা পিতা মাতা সন্তান কি চায় তা না দেখে, আমরা কি চাই তা চাপিয়ে দেই সন্তানের উপর।
এমন পোস্টের জন্য ধন্যবাদ রাফি।
শুভ কামনা।