আমরা মানুষ জাতি হিসেবেই সৃষ্টিকুলে পরিচিত। সারা বিশ্বে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সকল সৃষ্টির সেরা হিসেবেই সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীর সকল ভাষা বুঝার ক্ষমতা বা অধিকার আশরাফুল মাক্লুকাতকে দিয়েছেন। তারপরও আমরা অবুঝ। সকল সৃষ্টির মাঝেই আছে অমিল দ্বন্দ ও ফ্যাসাদ মানুষ তা থেকেই আলাদা নই, মনুষ্য হয়েও।
ইচ্ছা বা সাধ বা আকাংখ্যা মনে জাগ্রত হলেই কি সব পুরন করা সম্ভব?
বিশ্বে দেশভেদে আবহাওয়া, ধর্মভেদে, বিভিন্ন নিয়মকানুন, পোশাক পরিচ্ছেদ, চালচলন, সম্পূর্ণই আলাদা। কিন্তু আমরা অনেক প্রগতিশীল ও আধুনিকবাদিরা সকল দেশের নিয়ম বা কালচার যেকোন দেশে আমদানী করলেই কি স্বাভাবিকতা থাকবে??? আমার মনে হয় না। না না।
আমার কলেজ জিবনের হোস্টেলের একটি কথা শেয়ার করি। সেই ছেলে ইংরেজিতে অনার্স পড়ে। তাঁর ইচ্ছা ইংরেজি পড়ি আমি ইংরেজ জীবনযাপন করব।
যে ইচ্ছা সেই কাজ। হোস্টেলে ডাইনিং টেবিলে হাফ প্যান্ট ও সেন্টু বা বগি হাতা গেঞ্জি ব্যাবহার করবে। এটা তাঁর অধিকার। গনতন্ত্র মতে!!! তা কি ঠিক?
কমন রুমে তাঁর ইচ্ছআই হরেক রকম। মেয়েরা আসবে গায়ে হাত দিয়ে কথা বলবে!ঠ্যাঙ্গের উপর পা তুলে কথা বলা, তা কি সম্ভব! এই গুলি কি আমাদের ধর্ম আমাদের আদব কায়দায় আমাদের কালচারে মানায়?
রাস্তায় অনেক সুন্দরি মেয়ের সঙ্গে মা খালা বেড়াতে আসে। অনেক সময় দেখি মায়ের থেকে মা ই বেশি আলগা মডার্ন। তা পোশাকের প্রদর্শনেই বুঝি বা অবলোকন করা যায়। এই গুলি নিয়ে অনেক মহিলারাও হাসাহাসি করে। আবার অনেক বলে এরাই আধুনিক। বাকিরা আধুনিক হতে পারলনা। এটা জাতির জন্য কত ব্যারথতা। কি আক্ষ্যাপ!
এবার আসি পুরুস্তান্ত্রিকতায়। একজন পুরুষ এবং একজন মহিলায় পরিবারের চাবিকাটি কিন্তু অনেক স্রিধান্ত গ্রহনে পরিবারের একনিষ্ঠ সদস্য গিন্নির মতামতের মুল্যয়ন করেন না এটা আমার নিকট খুবই খারাপ লাগে। দুইজন মিলে পরিবারের মৈলিক ব্যাপারে ডিসিশন নিলে সমস্যা কোথায়? নারী সব জানবে তাও না। জিবনে যখন যেখানে ঘরের গিন্নির আপত্তি আছে সেই ক্ষেত্র গুল আলাদা। কিন্তু ছেলে-মেয়ে, ঘরের অনেক কিছুই দুইজন মিলে করা যাই, যাইনা?
আর একটি গ্রামের এক মুরুব্বীর বুদ্ধির গল্প বলি। সে খুব মিশুক ও ভাল মনের মানুষ। সব গ্রামেই আত্বীয়স্বজন পাশাপাশি গ্রামেই বাস করে।
একদিন তাঁর গিন্নিকে বলে আজ তোমার বোনের বাড়ী বেড়াতে যাব, কিছু সংসারী জিনিস দাও দিয়ে আসি। বর সালীর বাসায় যাবে, তাঁর মনের মত বেধে দিল। সে গেল বেড়াতে।
তার কিছুদিন পর বলে আজ আমার বোনের বাড়ীতে যাব কিছু সংসারী জিনিস দাও বোনকে দিয়ে আসি। সেও গেল আবার বেড়াতে। তাঁর বউ ঘরে যা আছে বেধে পোটলা। বেড়িয়ে আসল।
একদিন ভাইয়ের বাড়ী বেড়াতে এসে ভাবি র সঙ্গে আলাপ করতে করতে বলে ভাবি তুমি সেদিন এই এই জিনিস গুলি দিয়েছিল খুব ভাল লেগেছে ভাবি। ভাবি যা ভাবার ভেবে নিল। তাঁর বর উলটা উল্টি গেছে। এটা নিয়ে ঘরে বাহিরে কেউ কাউকে বলাবলি আর করেনি। এরাই বুদ্ধিমান আমার নিকট।
আজ এখানেই সমাপ্তি। আগামী পর্বে অন্য বিষয় নিয়ে আসব ।
১৭টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
ইচ্ছা, সাধ বা সামর্থ্য থাকলেও অনেককিছু করা থেকে বিরত থাকতে হয় পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারনে। এটাই নৈতিকতা। একজন সমাজবদ্ধ মানুষ সমাজকে উপেক্ষা করে চলতে পারেনা, চলা উচিৎ নয়। পরিবার স্বামী-স্ত্রী, সন্তান, ছোট বড় সবাইকে নিয়েই তৈরি হয়। অনেক ফ্যামিলিতে ডিসিশন নেয়ার ক্ষমতা শুধু পুরুষদের হাতে থাকে, অনেক ফ্যামিলিতে নারীর। আসলে স্বামী-স্ত্রী মাঝে পারস্পারিক সমঝোতা আর সম্মানবোধ না থাকলে সুন্দর পরিবার গড়ে তোলা যায়না।
পোশাক / সাজগোজের বেলায় নারী, পুরুষের কারোরই কোন বাধ্যবাধকতা নেই। যে যেমন পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সে তাই পরবে। নিজেকে সবাই সুন্দর রাখতে, দেখতে চায়। তবে পোশাক/সাজগোজ আর উগ্রতা এক নয়। উগ্রতা মানুষের ব্যাক্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, হাস্যকর বানিয়ে ফেলে।
আগামী পর্ব জানার অপেক্ষায়,,
শুভ কামনা 🌹🌹
ছাইরাছ হেলাল
কিছু অনিয়মের বেড়াজাল না টপকেই আমাদের চলতে হয়।
হয়ত আমরা তা পারি বা না পারি।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা তা ঠিক।
কামাল উদ্দিন
আমার স্বাধীনতা আছে বলে শালীনতা বিবর্জিত পোষাকে পাবলিক প্লেসে না যাওয়াটাই ভালো বলে আমি মনে করি। তবে মানুষকে মানুষ হিসাবে দেখাটাই সব থেকে জরুরী, ধর্মের জন্য যেন আমরা কখনো কাউকে হেয় না করি সেটা মনে রাখা অত্যন্ত জরুরী।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনার মন্তব্যে আমি সহমত কামাল ভাই। ভাল থাকুন।
কামাল উদ্দিন
আপনিও ভালো থাকুন, সব সময়
নিতাই বাবু
আমরা বাঙালি জাতি। আমারা সমাজবদ্ধ। যে যা-কিছুই করুক-না-কেন, সমাজের নিয়ম ভেঙে কেউ যেন কিছু না করে। আমাদের সকলের উচিৎ সামাজিকতা বজায় রাখা।
অনেক সুন্দর সময়োপযোগী একটা পোস্ট করলেন দাদা। শুভেচ্ছা জানবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা নিতাই দা। আমরা এখন সমাজের অবস্থা মাথায় না নিয়া ইচ্ছা ী চলি কিন্তু সেই ইচ্ছা কতটুকু সমাজ এ স্বস্তিদায়ক তা ভাবিনা। আবার আমরা ধর্মের মতেও চলিনা। যা সমাজে অস্থিতিশীলতা আনতে সক্ষম।
আরজু মুক্তা
নিজ নিজ সংস্কৃতি মেনে চলাই উচিত। না হলে দেশকে উপস্থাপন করা যাবে না।
মোঃ মজিবর রহমান
খাটি সত্য বলেছেন
জিসান শা ইকরাম
জীবনে চলার পথে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকেই,
এ নিয়েই জীবন চালাতে হয় আমাদের।
ভাল লিখেছেন মজিবর ভাই।
শুভ কামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা, জিবনের স্বার্ধেই মেনে নিতে হই ভাইজান। ভাল থাকুন।
এস.জেড বাবু
গণতন্ত্রের আত্মবিশ্বাসে কোন কোম্পানি মালিক যদি মনে করেন যে তিনি চটের প্যাকেটে জুস ভরে বাজারে বিক্রি করবেন তা কি সম্ভব ?
সম্ভব না
আবার তিনি যদি জুসের পাউডার (যেমন গুড়া দুধ) বিক্রয় করেন তাহলে অনেকটা সম্ভব।
স্থান, কাল, পাত্রভেদে গণতন্ত্রের সাংবিধানিক ধারা আলাদা আলাদা দেশের জন্য আলাদা রকম হয়।
সুন্দর লিখেছেন মজিবর ভাই, লিখা চলুক।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনার যথাপযুক্ত মন্তব্য আমাকে খুব আপ্লুত করেছে বাবু ভাই। শুভেচ্ছা অবিরত।
এস.জেড বাবু
আপনাকেও অশেষ শুভেচ্ছা
মনির হোসেন মমি
সব ইচ্ছে সব জায়গায় চলে না। কখনো কখনো পরিবেশ পরিস্থিতির উপর নির্ভর করতে হয় তা না হলে জীবনে প্যাচ লাগবেই।অবশ্যই সাংসারিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে গোল টেবিলে বসা উচিত।
লেখা চলুক।
মোঃ মজিবর রহমান
ঠিক বলেছেন মনির ভাই। ভাল থাকুন।