জীবন বোধ ( ইচ্ছা)

মোঃ মজিবর রহমান ২৩ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, ০৮:৫১:০৭পূর্বাহ্ন অন্যান্য ১৭ মন্তব্য

আমরা মানুষ জাতি হিসেবেই সৃষ্টিকুলে পরিচিত। সারা বিশ্বে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সকল সৃষ্টির সেরা হিসেবেই সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীর সকল ভাষা বুঝার ক্ষমতা বা অধিকার আশরাফুল মাক্লুকাতকে দিয়েছেন। তারপরও আমরা অবুঝ। সকল সৃষ্টির মাঝেই আছে অমিল দ্বন্দ ও ফ্যাসাদ মানুষ তা থেকেই আলাদা নই, মনুষ্য হয়েও।

ইচ্ছা বা সাধ  বা আকাংখ্যা মনে জাগ্রত হলেই কি সব পুরন করা সম্ভব?

বিশ্বে দেশভেদে আবহাওয়া, ধর্মভেদে, বিভিন্ন নিয়মকানুন, পোশাক পরিচ্ছেদ, চালচলন, সম্পূর্ণই আলাদা। কিন্তু আমরা অনেক প্রগতিশীল ও আধুনিকবাদিরা সকল দেশের নিয়ম বা কালচার যেকোন দেশে আমদানী করলেই কি স্বাভাবিকতা থাকবে??? আমার মনে হয় না। না না।

আমার কলেজ জিবনের হোস্টেলের একটি কথা শেয়ার করি। সেই ছেলে ইংরেজিতে অনার্স পড়ে। তাঁর ইচ্ছা ইংরেজি পড়ি আমি ইংরেজ জীবনযাপন করব।

যে ইচ্ছা সেই কাজ। হোস্টেলে ডাইনিং টেবিলে হাফ প্যান্ট ও সেন্টু বা বগি হাতা গেঞ্জি ব্যাবহার করবে। এটা তাঁর অধিকার। গনতন্ত্র মতে!!! তা কি ঠিক?

কমন রুমে তাঁর ইচ্ছআই হরেক রকম। মেয়েরা আসবে গায়ে হাত দিয়ে কথা বলবে!ঠ্যাঙ্গের উপর পা তুলে কথা বলা,  তা কি সম্ভব! এই গুলি কি আমাদের ধর্ম আমাদের আদব কায়দায় আমাদের কালচারে মানায়?

রাস্তায় অনেক সুন্দরি মেয়ের সঙ্গে মা খালা বেড়াতে আসে। অনেক সময় দেখি মায়ের থেকে মা ই বেশি  আলগা মডার্ন। তা পোশাকের প্রদর্শনেই বুঝি বা অবলোকন করা যায়। এই গুলি নিয়ে অনেক মহিলারাও হাসাহাসি করে। আবার অনেক বলে এরাই আধুনিক। বাকিরা আধুনিক হতে পারলনা। এটা জাতির জন্য কত ব্যারথতা। কি আক্ষ্যাপ!

এবার আসি পুরুস্তান্ত্রিকতায়। একজন পুরুষ এবং একজন মহিলায় পরিবারের চাবিকাটি কিন্তু অনেক স্রিধান্ত গ্রহনে পরিবারের একনিষ্ঠ সদস্য গিন্নির মতামতের মুল্যয়ন করেন না এটা আমার নিকট খুবই খারাপ লাগে। দুইজন মিলে পরিবারের মৈলিক ব্যাপারে ডিসিশন নিলে সমস্যা কোথায়? নারী সব জানবে তাও না। জিবনে যখন যেখানে ঘরের গিন্নির আপত্তি আছে সেই ক্ষেত্র গুল আলাদা। কিন্তু ছেলে-মেয়ে, ঘরের অনেক কিছুই দুইজন মিলে করা যাই,  যাইনা?

আর একটি গ্রামের এক মুরুব্বীর বুদ্ধির গল্প বলি। সে খুব মিশুক ও ভাল মনের মানুষ। সব গ্রামেই আত্বীয়স্বজন পাশাপাশি গ্রামেই বাস করে।

একদিন তাঁর গিন্নিকে বলে আজ তোমার বোনের বাড়ী বেড়াতে যাব, কিছু সংসারী জিনিস দাও দিয়ে আসি। বর সালীর বাসায় যাবে, তাঁর মনের মত বেধে দিল। সে গেল বেড়াতে।

তার কিছুদিন পর বলে আজ আমার বোনের বাড়ীতে যাব কিছু সংসারী জিনিস দাও বোনকে দিয়ে আসি। সেও গেল আবার বেড়াতে। তাঁর বউ ঘরে যা আছে বেধে পোটলা। বেড়িয়ে আসল।

একদিন ভাইয়ের বাড়ী বেড়াতে এসে ভাবি র সঙ্গে আলাপ করতে করতে বলে ভাবি তুমি সেদিন এই এই জিনিস গুলি দিয়েছিল খুব ভাল লেগেছে ভাবি। ভাবি যা ভাবার ভেবে নিল। তাঁর বর উলটা উল্টি গেছে। এটা নিয়ে ঘরে বাহিরে কেউ কাউকে বলাবলি আর করেনি। এরাই বুদ্ধিমান আমার নিকট।

আজ এখানেই সমাপ্তি। আগামী পর্বে অন্য বিষয় নিয়ে আসব ।

0 Shares

১৭টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ