বেওয়ারিশ ঘুড়ির মায়াকান্না শুনেছ কখনো?
দেখেছো কখনো শেকলের গায়ে লেগে থাকা গোঁড়ালির কেটে যাওয়া ক্ষতর রক্ত!
জানতে চেয়েছ কখনো গাঙচিল কেন ওড়ে মধ্যদুপুরে সাগরের বুকে?
তৃষ্ণাদের কখনো তৃষিত হতে শুনেছ কখনো?
এইসব যাবতীয় জানা না জানা প্রশ্নদের কখনো দেখেছো ভাতঘুম দিতে?
রোদ পাখায় ভর করে ওপাড়-এপাড়ের সাঁকোতে ঝুলে থাকে প্রাচীন মাকড়সার জাল!
সেখানে গেঁথে থাকে জীবনের মানে........
ভালবাসা বা প্রেম অ-প্রেমের দ্বন্দ্বেরা তখন নিপাট পরিপাটি শীতল পাটির মধ্যভাগে শতিয় বছরের দিবা-রাত্রির নিদ্রাগত থাকে নিশ্চিন্তে!
সে তুমি যাই বলো; কল্পিত স্বপ্নের ধরাবাঁধা কোনো সত্যতা নেই: অগোছালো কল্পিত স্বভাবের মতই ঘুমভাঙা সকালে ব্যাথাভরা নীলের বুক চিড়ে -রোজ ওঠে জাগতিক বাস্তবতার আগুণ রঙা সূর্য়গোলকটা!
কিইবা জানি আর কিইবা জানো তুমি?
# ইদানীং কিচ্ছু লিখতে ইচ্ছে করেনা।ক্রমশ ভাবনারা ফুরিয়ে যাচ্ছে। একটা দু'টো ভেসে আসা শব্দ বড্ড হাতুড়ি পেটায় মগজে; - বেশ তো আছো! তোমার আর ভাবনা কি? আনেছে, রাঁধছো, খাচ্ছো, ঘুমাচ্ছো.... আবার কত ব্যাস্ত থাকো তুমি! দেখিতো সবই! অথচ, আমার প্রচন্ড মন খারাপ:হতাস, বিষণ্ণ, আশাহত..... কোথায় যাচ্ছি বা এগুচ্ছি আমরা????
সেই থেকে....... কি যেন কি হয়েছে মগজের ভেতরে! কি হবে এসব লিখে টিখে????
১৯টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
আপনার মননশীল ও সৃজনশীল লেখাটা
বন্যা লিপি
আপনাকে ধন্যবাদ। মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
বাহ্॥ আসলেই কি এসব করে দেখেছি।?
ইচ্ছে বোধহয় সবারই হয় কিন্তু দরির টানে ভাবনাগুলো এলোমেলো হয়,কিংবা ফুরসত পাই না।
ভালো লাগলো।
বন্যা লিপি
ধন্যবাদ জানবেন রুকু।
তৌহিদ
জীবনের মানে খুঁজতে গিয়ে কত সৃষ্টি ধ্বংস হয়ে গেলো তার খবর আমরা কতজনাই বা রাখি। জীবন এগিয়ে চলেছে জীবনের নিয়মে। আমরা এই সাজানো রঙ্গমঞ্চের অভিনেতা অভিনেত্রী ছাড়া অন্য কিছুই নই।
চমৎকার ভাবনা আপু। শুভকামনা রইলো।
বন্যা লিপি
সবচে বড় নাটুকে চরিত্রে নিয়ত অভিনয় করে যাচ্ছি সবাই কোনো না কোনোভাবে! মাঝে মাঝে জ্যামজট লেগে যায় ভাবনাদের অঙ্গনে। ওখান থেকেও উঠে আসে কিছু অক্ষরের পঙ্তি।
ভালো থাকবেন ভাই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত আমাদের শিক্ষার, জানার, কৌতুহল এর শেষ নেই। হাজার হাজার প্রশ্ন মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে সারাক্ষণ কোন না কোনভাবে। সব প্রশ্নের উত্তর মেলেনা বা মিলানো যায় না। তাই জীবনের মানে খুঁজতে যাওয়া মানে সময়ের অপচয় । একটা জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও এর সীমানা খুঁজে পাবেন না। জীবনের স্বাভাবিক ছকেই চালিয়ে নিতে হবে জীবনসংসার। ভালো থাকবেন শুভ কামনা রইলো
বন্যা লিপি
ভালো থাকবেন ছোটদিভাই।
রেজওয়ানা কবির
সুন্দর লেখা আপু।শুভকামনা।
বন্যা লিপি
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন।
নিতাই বাবু
চাল থে ভাত। ভাত খেয়ে জীবন বাঁচে। লেখালেখি মনের খোরাক। তাই না খেয়ে থাকলে চলে। আপনার সুলিখিত কবিতায় আমার নিজের ব্যক্তিগত অনুভূতি!
শুভকামনা থাকলো দিদি।
বন্যা লিপি
আমার লেখায় আপনার ব্যাক্তিগত অনুভূতি খুঁজে পেলেন জেনে, লেখা আমার সার্থক হলো দাদাবাবু। ভালো থাকবেন সবসময়।
সৌবর্ণ বাঁধন
‘রোদ পাখায় ভর করে ওপাড়-এপাড়ের সাঁকোতে ঝুলে থাকে প্রাচীন মাকড়সার জাল!’ খুব সুন্দর লেগেছে লাইনগুলো।
‘বেওয়ারিশ ঘুড়ির মায়াকান্না’ তাদের ক্রন্দন কি ছলনাময় নাকি সত্যি? বেওয়ারিশ ঘুড়ি তো আসলে নিজে বেওয়ারিশ হয়না। আবার হলেও সেটাতেও কি শান্তি পায়?
বন্যা লিপি
সৌবর্ণ বাঁধন/
আপনার মন্তব্যে আমি আপ্লুত। আপনি লেখার গভীরতা নিয়ে ভাবছেন। এটাই চাই আমি আসলে। কোন শব্দ আমি কেন এবং কিভাবে ব্যাবহার করলাম…. কোনো একজন পাঠকও যদি সে নিয়ে ভাবে! আমি ভাবি, আমার লেখা সেই পাঠকের জন্যই।
ঘুড়ি কেন? বেওয়ারিশ কিছুই হয়না কখনো, অজান্তেই কখন কে বেওয়ারিশ হয়ে পড়ে কেউ জানেনা। এখানে মায়া কান্না ছলনা নয়, বরং কষ্টের। কষ্ট কখনোই শান্তির নয়।
আপনার মত পাঠকের জন্য আমি লম্বা ব্যাখ্যা দিতে ক্লান্তি অনুভব করছি না।
নইলে…. সাধারনত আমি অপারগ।
আরজু মুক্তা
জীবন তার প্রতি বাঁকে জীবনের মানে খুঁজে পায়। কৌতূহল তো মরে না। নতুন কোন ক্ষণে, নতুন কিছু সৃষ্টি হয়।
বন্যা লিপি
ফু’আম্মা, কোলডা পাইত্তা দেন, একটু মাতাডা রাইক্খা বিশ্রাম নেই। বড্ড ক্লান্ত লাগছে ইদানীং। মাথায় হাত বুলিয়ে দেবেন একটু? খুঁজে দেখতে চাই নতুন কিছু!
সুপায়ন বড়ুয়া
একান্ত অনুভুতি গুলো ভাবনার অগোচরে
নাড়া দিয়ে যায় হৃদয়ের অন্তরে।
ভাল লাগলো আপু। শুভ কামনা।
বন্যা লিপি
অনেক ভালো থাকবেন দাদা।
শিরিন হক
মায়া কান্না বলতে ছলনাকে বুঝি বাট তোমার নিখায় বুঝতে পাড়ছি এটাকে কষ্ট হিসেবে উপস্হাপন করেছো বাট কেনো?
একবার পড়ে প্রশ্নটা মাথায় এলো তাই লিখে দিলাম দ্বিতীয় বার পড়ে খুব ভালোলাগলো কারন আপার লিখাটা অন্য লিখার চেয়ে একটু ভিন্য ধারার।
শুভ কামনা।