ধরেন, একটা নাটক- যেখানে দেখানো হবে একজন নাস্তিক কিভাবে ধীরে ধীরে আস্তিকে পরিনত হয়
অথবা
একটা বিতর্ক প্রতিযোগিতা – আস্তিক বনাম নাস্তিক
তো অই নাটকে যে নাস্তিকের ভূমিকায় অভিনয় করবে সে নাটকজুড়ে ধর্মবিরোধী, ঈশ্বর বিরোধী কথাবার্তা বলবে। যদিও অই অভিনেতা বাস্তব জীবনে আস্তিক।
বিতর্ক প্রতিযোগীতার দুই পক্ষই মূলত আস্তিক। কিন্তু এক পক্ষকে নাস্তিকতার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতে হবে।
তেমনি আমাদের লোকজ যে পালাগান তা তা মূলত এই অভিনয় আর বিতর্কের একটা সম্মিলিত রুপ।
বিভিন্ন বিষয়ে পালা হয় তারমধ্যে একটা হল- জীব ও পরম!!! জীব হইল নাস্তিকতা আর পরম হইল আস্তিকতা!!! গায়কদ্বয় তাদের গান, অভিনয় আর কথা দিয়ে নিজ পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে। আজকের পালায় যে জীব নিয়ে লড়ছে আরেক পালায় সে পরম নিয়ে গাইছে! অর্থাৎ এটা কেবলই একটা পার্ফর্মেন্স!!!
বাস্তবে অই গায়ককে নাস্তিক বা ধর্মবিদ্বেষী ভাবার কোন কারণ নাই।
তেমনি সম্প্রতি জীব ও পরম পালায় জীব এর পক্ষে গাইতে গিয়ে শিল্পি রিতা সরকার আল্লাহকে নিয়ে আজেবাজে কথা বলেছে। সেইটাকে বিরাট অপরাধ ধরে অনেকেই তার কল্লা চাচ্ছে। বেচারা রিতা সরকার পাবলিকের মতিগতি টের পেয়ে পাবলিকলি ক্ষমা চেয়েছেন।
ক্ষমা চেয়েছেন একটা ইউট্যুব চ্যানেলের ভিড্যুতে। ক্ষমা চাওয়ার সময় তার দুই কিশোরী কন্যাও পাশে ছিল। মায়ের করজোড়ে ক্ষমা চাওয়ার সময় তাদেরও কড়জোর ছিল। দেখে খুব খারাল লেগেছে!!!
অভিনয়ের জন্য সাস্তি পেতে হলে হুমায়ুন ফরিদি, রাজিব, মিশা সওদাগর তো হাজার হাজার খুন আর ধর্ষণের আসামী!!!
মুরুক্ষ মানুষ বিপদজনক! আর আমরা জাতি হিসেবে মুরুক্ষের মুরুক্ষ!!!
৮টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অভিনয়ের জন্য সাস্তি পেতে হলে হুমায়ুন ফরিদি, রাজিব, মিশা সওদাগর তো হাজার হাজার খুন আর ধর্ষণের আসামী!!!
মুরুক্ষ মানুষ বিপদজনক! আর আমরা জাতি হিসেবে মুরুক্ষের মুরুক্ষ!!! আমিও সহমত পোষণ করছি। ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভ কামনা রইলো
ফয়জুল মহী
জ্বী, মূর্খ মানুষ বিপদজনক ।
এস.জেড বাবু
বিষয়টিতে সহজভাবে উপস্থাপন করার জন্য সুন্দর যুক্তি উপস্থাপন করেছেন।
চমৎকার ভাবে একটি কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।
সত্যিই মূর্খ মানুষ বিপদজনক। এবং সত্যি কথা হলো, ওইসব পালাগান/যাত্রাগানে যাওয়া বেশিরভাগ দর্শক শ্রোতা এই দলের অন্তর্ভূক্তে।
আরজু মুক্তা
মূর্খের শত্রু বেশি।
সুপায়ন বড়ুয়া
“অভিনয়ের জন্য সাস্তি পেতে হলে হুমায়ুন ফরিদি, রাজিব, মিশা সওদাগর তো হাজার হাজার খুন আর ধর্ষণের আসামী!!!”
সহমত ,
ধর্মকে যারা উপজীব্য করে বেসাতি করে
তারাই সমাজকে অস্থির করে।
শুভ কামনা।
সঞ্জয় মালাকার
বিষয়টিতে সহজভাবে উপস্থাপন করার জন্য সুন্দর যুক্তি উপস্থাপন করেছেন,
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অভিনয়ের জন্য সাস্তি পেতে হলে হুমায়ুন ফরিদি, রাজিব, মিশা সওদাগর তো হাজার হাজার খুন আর ধর্ষণের আসামী!!!”
সহমত ,
সত্যিই মূর্খ মানুষ বিপদজনক।
ছাইরাছ হেলাল
আমরা সবাই এখন মারাত্মক জ্ঞানী!
ত্রিস্তান
আমিও বড় মূর্খ। একেতো সেই ভিড্যু দেখি নাই, তার উপরে আবার পান্ডিত্যে ঝাড়তে আসছি। তবে আমি একটা কথা না বলে পারছি না, বিতর্ক করার জন্য এতো এতো বিষয় থাকতে কেন মানুষের সবচেয়ে বড় বিশ্বাসের জায়গাটায় আক্রমণ করেই বিতর্ক করতে হবে? মৌলিক অধিকার অক্ষুন্ন রেখে আপনি নাস্তিক হন, বস্তুবাদী হন আপনাকে স্বাগতম জানাবো। কেননা ওটা নিতান্তই আপনার এবং স্রষ্টার ব্যাপার। আর অভিনয়ের কথা বললেন ? মিডিয়া এমন একটি জায়গা যার চরিত্রগুলো মানুষের ভেতরে তোলপাড় সৃষ্টি করে। মানুষ খুব সহজেই তাদেরকে আইডল হিসেবে নেয় এবং তার অনুকরণ করতে থাকে। আজকের সমাজব্যবস্থার এমন চরম অবনতি কেবল এই সিনেমার জন্যই সম্ভব হয়েছে। আপনি যদি নব্বই দশকের আগের সমাজের সাথে নব্বইয়ের পরের সমাজ ব্যবস্থা কে তুলনা করেন দেখবেন নব্বইয়ের পর থেকেই কিশোর অপরাধ বেড়ে গেছে। যুব সমাজের মধ্যে ফিল্মি স্টাইল এক্টিভ হয়েছিল। আমার কথা বিশ্বাস না হলে আপনি রিসার্চ করতে পারেন। অসুস্থ বিনোদনের ফলে আমাদের সমাজে অপরাধ প্রবণতা প্রাণঘাতী ক্যান্সারের জীবাণুর মতো ঢুকে গেছে। এখন আর কোন থেরাপিতেই কাজ হচ্ছে না। কেমো কোর্স প্রয়োগ করলেও রোগীর যা কষ্ট হবে তখন তো আবার আপনার আমার মতো চুচিলরাই রাজপথের খাল বাকল তুলে ফেলবো। যাই হোক ভাই, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না, অন্যায়ের পক্ষে সাফাই গাওয়া যাবে না। তবে অন্যায়কে অন্যায় মেনে নেওয়ার পর যদি কেউ ক্ষমা চায় তখন তাকে ক্ষমা করা অত্যন্ত জরুরি। কেননা মানুষ মাত্রই ভুল করে। আর ক্ষমা হচ্ছে স্বর্গীয়। মহান রাব্বুল আলামীন নিজেই অত্যন্ত দয়াবান ও ক্ষমাশীল।