ছুটে চলা

শাহরিন ১৯ মে ২০১৯, রবিবার, ০৯:২৬:১৩পূর্বাহ্ন গল্প ১৬ মন্তব্য

কি খেয়েছিলে তোমরা?

আরে! ওখানের খাবার দাবার খুবই ভাল, অনেক ভালো ভালো খাবার দেয় আমি জানি।

কি হয়েছে? এখন কেমন আছে?

আরে তেমন কিচ্ছু না, শুধু হাত পা কেটেছে আর মনে হয় কোমড়ে ব্যাথা!! এই বয়সে সবারই একটু এমন হয়। তাছাড়া ওর এলোমেলো জীবনযাপন এর জন্য ও শরীর আর শরীর নেই। অল্প কিছুতেই কাবু হয়ে যায়।
এবার একটু ওকে বোঝাও, অনেক তো তোমরা এটা সেটা করলে, এবার একটু আল্লাহর নাম নাও।

তোমার দেবর গিয়েছে দেখতে অসুবিধা নেই।

আরে আমি যেতে চাইলাম কিন্তু সেই যে কোমড় ব্যাথা, অনেক কষ্ট হয় এখন থেকে ওখানে যেতে। কিছু খেলেই এর পরে আর নড়তে পারি না, কালও অসুধ খেয়েছি ব্যাথার জন্য। এর মাঝে ঘরের কাজ!! আর বাড়ির কে না গিয়েছে, তারপর নাম ধরে ধরে বলা শুরু....

ছোট জা এর কথা শুনে খুব খুশীই লেগেছিল, এই প্রথম বিগত ১০ বছরে একটু আন্তরিকতা দেখালো আপনের মত। কিন্তু ও জবাব দেয়ার আগেই যখন বড় জা উত্তর দিয়ে দিল তখন আর কথা বাড়ায় না পুস্পিতা। কি বলবে! মেয়ের বাবা টাকে হাসপাতালের বিছানায় রেখে এসেছে। অনেক এলোমেলো ভাবনা জড়িয়ে রেখেছে ওকে। কত কিছুই হতে পারতো! তেমন কিছু হয়নি এটা ভেবে খুশী হবে নাকি কত বড় বিপদ এসেছিল সেটা ভেবে বিচলিত হবে বুঝতে পারে না। ছোট্ট মেয়েটি যখন জিজ্ঞাসা করে কে ব্যাথা দিয়েছে বাবা কে? বাবা বাসায় কবে আসবে? চল বাবাকে নিয়ে আসি নয়তো ডাক্তার আবার ইঞ্জেকশন দিয়ে দিবে বাবাকে....তখন তো ওর জবাব কিছু থাকে না।

অথচ মনে মনে অন্য রকম সংলাপের আসায় ছিল সে, ভেবেছে সবাই মেয়ের বাবাটার কথা জিজ্ঞাসা করবে। কেন ৪ বছরের বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে রাতে থেকেছে এর জন্য কিছু বলবে বা বলবে আজ আর যেও না, অন্য কাউকে বলি থাকার জন্য। হয়নি ওরকম কিছু। প্রতিবারই এমন হয় সে আর নতুন কিছু নয়।
বাসায় ফিরে মেয়ের আর মেয়ের বাবার প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে আবার ছুটে চলা শুরু ।

একটা শ্লোক আছে,বাপেরা চৌদ্দ ভাই, বাপ না থাকলে কেউ নাই।
মানুষের একা চলার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিৎ। বাবা মায়েদের উচিৎ সন্তানদের স্বাধীন ভাবে চলার অনুপ্রেরণা দিয়ে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তোলা। তাহলে জীবনের কঠিন পথও সহজে পাড়ি দেয়া যায়।

0 Shares

১৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ