দণ্ডপ্রাপ্ত সুখগুলো অবিরত গেছে, যাচ্ছে, যায় মুছে অশ্রুধারা শোকাচ্ছন্ন

শরীর কাঠামোয় বাংলার, যায় মুছে গোপনে গোপনে, যায় মুছে

এই নিদ্রিত শহরে, যায় প্রত্যন্ত  গ্রামাঞ্চলেও ! অবিরত যায়, যাচ্ছে

বৈধব্যের ক্রুশবিদ্ধ ফাটলে মুছে, আর নিদারুন অসহায় চেয়ে চেয়ে

কেবলই দ্যাখে, সেঁটে আছে আর দাঁড়িয়ে গেছে এখানে

সেখানে, জারজ সত্যে প্রনয়ন করা রাষ্ট্রনীতির অবৈধ স্তম্ভ একেক !

অসহায় মায়ের বৈধব্যে সেঁটে গেছে আজ, আহারে, সেঁটে যাচ্ছে ক্রমশই !

 

মূলত জারজ সত্যের ঘোমটায় সাজিয়ে নিলো যারা রাষ্ট্রনীতি, নিলো যারা

ক্রমাগত, অতঃপর ওদের ভয়ানক গ্লানিমাখা আকাঙ্ক্ষাগুলো

কুৎসিত স্বপ্নগুলো ঠেসে দিলো ধমনীতে, দিলো অভিনব সব কৌশলে

আর শকুনের মত ঠুকরে ঠুকরে দিলো, দিচ্ছে আমাদের স্বপ্নগুলো

এবং গলে পরা পিচের মত রক্ত ঝরালো কলজেয়-

আহ ! বড় অসময়ে ভ্রষ্ট সভ্যতার

অইসব নষ্ট শুয়োরই দুঃস্বপ্নের দীর্ঘ রাতের দিকে নিয়ে গেলো ক্রমাগত ।

 

আহারে আমার মা, আমার দেশ, রক্তে কেনা মানচিত্রের অমূল্য কাঠামো

দুঃস্বপ্নের রাত্রি হয়ে ভেসে ওঠে বারবার, আহারে, কেবলই ওঠে

গণতন্ত্রের পোশাকে আসে শ্বাপদ শকুন কেবলই

দুঃস্বপ্নের নগ্ন নৃত্য, ফিরে আসে অন্ধকারবেলার নষ্ট নগ্ন বেদনা !

আহারে আসে দুর্যোগ দূর্ভাগ্য কেবলই । স্বাধীনতা, তবে কী সে

মেকি প্রসাধনী কেবল নাকি স্ব স্ব অধিকার কিংবা স্বপ্নের নিশ্চয়তা ?

আহারে, কী আজ বীভৎস রূপ, চোখ বন্ধ হয়ে আসে সীমাহীন আড়ষ্টতায় ।

 

মায়ের গ্রীবায় আমার ঠোঁট বসিয়ে গেছে কিংবা ক্ষমতাকে আঁকরে আছে যারা

পৈত্রিক সম্পত্তি ভেবে

গণতন্ত্র বেশধারী সেসব স্বৈরাচারী শকুন কিংবা সিরামিক ইটের

দালান থেকে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার স্বপ্নে বিভোর যেসব কাপুরুষ

তাঁরা আর তাঁদের ভ্রষ্ট অনুসারিরা

বহমান অপরাধ কাঁধে চেয়ে দেখুক, দেখুক চেয়ে একবার

ওদের প্রনয়ন করা রাষ্ট্রনীতির সংকীর্ণতা চিরে

এই সবুজাভ নিসর্গে ফুটে উঠছে ১৬ কোটি উন্মুখ গ্রেনেড

চেয়ে দেখুক চোখ মেলে, জ্বলে উঠছে ক্রমশই রক্তাক্ত মাটির এই পবিত্র মানচিত্রে !

 

(আজকের প্রেক্ষাপটের সাথে বর্তমান সময়কাল বিবেচনায় ননে হলো এই কবিতাই দেয়া যায় আজকে । তবে ইচ্ছে ছিলো বিদ্রূপমূলক অন্যকোনো কবিতা পোস্ট দেয়া ।)

 

 

0 Shares

১০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ