চেঁচানো ভালোবাসা
ভালোবাসি ভালোবাসা হররোজ শুনি এমন কথা,
ভালোই বাসি ভালোবাসা,
ওই সবুজের পাহাড় ছুঁয়ে ঝাঁ-চকচকে রূপালী তলোয়ার হাতে
শেকলে বেঁধা আধুনিক দাস,
মনোরম শারদ সন্ধ্যায় বন্ধ্যা নদীতে রুনুঝুনু মুক্তোর ঢল,
শুকনো কুয়োটার পাশে উঁকি দেয় চাঁদ,পত্রহীন বনরাজি;
প্রতীক্ষার অধীরে ভালোবাসার পদধ্বনি, টিকে থাকে না
বাঁধা বেতনে সদিচ্ছার সাধ্যাতীত চেঁচানো ভালোবাসা।
বেড়াজাল ছুঁয়ে
কখনও ছুঁয়ে দেই না ঝরে পড়া পালক
ঝরে যাওয়া রোদ-বৃষ্টির বসন্ত,
দৃষ্টির পাহাড়ে ডুবে থাকা হৃদয়ে
বসন্ত এলেও গা করি না,
ভুলে যাওয়া গল্পের কঙ্কাল খুড়ে
ফিরতি পথের হিসাব ছুঁই না,
সব কিছু ভুলে খেলার ছলে খেলা
লেখার ছলে লেখা
কৈ! কিছুই তো ছুঁচ্ছি না!
দু'ফোটা কাঁচ গলে গেলেও
নিষেধের বেড়াজাল ছুঁয়ে দিচ্ছে না।
Thumbnails managed by ThumbPress
৪০টি মন্তব্য
অনিকেত নন্দিনী
পত্রহীন বনরাজি নিজে ফাঁকা বলেই হয়তো পূর্ণতার প্রতীক্ষায় থাকে। উঁকিঝুঁকি দিয়ে চাঁদ কাকে দেখে? 🙁
মাটি খুঁড়ে মানব কংকাল বের করা হয় জানি, গল্পের কংকাল খুঁড়ে কী খোঁজে মানুষ? ;?
এত্তো কঠিন সুন্দর কইরা ক্যাম্নে ল্যাহে মানুষ? ব্যাপক হিংসিত। ^:^
ছাইরাছ হেলাল
পরথমে মাস্টারাফারে দেইখ্যা মনে আনন্দ হইল,
মনে হয় চাঁদের মাথাও আউলা, এত্ত উঁকিঝুঁকি দেয়নের কী আছে! ডাইরেক্ট একশনে
গেলেই তো হয়।
গল্পের কঙ্কালে যদি ফেলে রাখা হৃদয়ের আকুপাকু দেখে শান্তি শান্তি ভাব আসলেও আস্তে পারে।
আমিও বিয়াপক হিংসিত এয়াফায় কেমনে সহজে সুন্দর করে লেখে।
পাওনা লেখাটি দিয়ে দিন।
অনিকেত নন্দিনী
আমারে নিয়া হিংসিত হওনের কিছু কি আদৌ আছে? লেখালেখির জগতে আমি ঘুঁটেকুড়ুনি বৈ কিছুইনা। 🙁
পাওনা লেখা আবার কিতা? 😮 কারে দিমু? ;?
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন আপনার ঢোলটি আমাদের হাতেই নিরাপদ, সযত্ন উপস্থাপনে!!
কে কী কুড়াচ্ছে সে খবর হাওয়ায় পাচ্ছি,
না দেয়ার ফন্দি করা ঠিক না।
কারে দিমু মানে?? আমারে দেবেন হ্যা তো কওয়াই আছে,
দিয়ে দিন দিতে হবে।
ইঞ্জা
ভক্তকে বারবার মুগ্ধ করে চললেন, অসাধারণ লেখেন ভাই। (y)
ছাইরাছ হেলাল
আমিও আপনার লেখার ভক্ত,
দেখবেন আমিও আপনার মত সুন্দর করে লিখতে শুরু করে দিব।
ইঞ্জা
এই সেরেছে
হন্ডে (কোথায়) আদ্ধিনাথের পাড় (পাহাড়) আর হন্ডে ছলে (ছাগল) কেঁর (ঘাস) খার (খাইতেছে)
অর্থাৎ কোথায় আপনি আর কোথায় আমি, আমি তো এখনো ওই আদ্ধিনাথ পাহাড়ের নিচে। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ধুরো, কী না কী কন!!
প্রহেলিকা
অলকানন্দা কি কেবলি ফুল?
নাকি ভবঘুরে বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া পলকা রাগ?
ভুলে যাওয়া গল্পের কঙ্কাল খুঁড়া না হোক,
না হোক ফিরতি পথের হিসাব ছোঁয়া
তবুও শব্দেরা হয়ে উঠুক কবিতার নাকফুল।
জলভূমিকে ঘিরে রাখুক নিষেধের বেড়াজাল
নির্ঝরের গায়ে হেলে পড়ুক সুমিষ্ট রোদ্দুর
তাতে আর কারো কি আসে যায়!
আজ তাই খেলার ছলেই হোক খেলা, লেখার ছলে লেখা
গজগামিনীর পিঠে চড়ে একদিন চলে যাবে জানি জলপাইবনে
পেছনে তাকাবে না তাও জানি বিমূঢ় সন্ধ্যার ডাকে।
কি যে লিখেন, বারংবার অদৃশ্য থেকে হাতছানি দেয়, পড়ায়।
ছাইরাছ হেলাল
আমি আর লিখতে পারলাম কই!!
আমিতো আপনাদের দেখে দেখে লিখি, লিখে লিখে দেখি।
এত সুন্দর মন্তব্যের উত্তর দেয়া ঠিক না, মন্তব্য এত্ত ভাল হওয়াও ভাল না।
তবুও শব্দেরা নেচে উঠবে
বিনা হিসাবের রাত-বিরাতে
আনন্দ ঝংকারের সুর তুলে,
বিকেলের পিঠে সোনা রোদ ফেলে
আবনান্ত বীথিপথের বাঁকে বাঁকে;
বিমূঢ় সন্ধ্যার ডাক শুনে।
নাসির সারওয়ার
আপনারা কোন ভাষায় কথা বলছেন!!
ছাইরাছ হেলাল
হিব্রু বলে মনে হচ্ছে বুঝি!!
নীলাঞ্জনা নীলা
অনুভূতি কি ধরা-ছোঁয়া যায়? অনুভূতি কেবল অনুভবেই থাকে। সেটা প্রকাশ করার মতো শব্দের বিনুনী এখনও তৈরী-ই হয়নি। তাইতো চুপ করেই থাকি। আর অপলক দেখি শরতের আগমন। ভালোবাসার সাঁতার কেটে নিমেষেই বসন্ত ছুঁয়ে ফেলা। নাহ! আমায় দিয়ে কাব্য হবেনা।
অবশ্য কাব্য না হোক, তাতে কি! কবিতার ঘ্রাণে নিঃশ্বাস তো নেয়া যাবে। শরতের শিউলীর ঘ্রাণ পাচ্ছি কবিতায়।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি চিরসবুজ কবি, অনুভব দিয়েই না হয় ছুঁয়ে দেবেন অনুভূতিকে,
কবির (আপনি) কাছে অসম্ভব বলে কিছু নেই,
শরত দেখুন বসন্তচোখের মিষ্টি ছোঁয়ায়, এই তো এলো বলে!
শুধু শিউলিতে থামবেন্না প্লিজ লাগে, রজনীগন্ধ্যা আপনারই অপেক্ষায়।
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিরাজ ভাই এভাবে পঁচিয়ে কি পাচ্ছেন শুনি তো?
আমার রজনীগন্ধার দরকার নাই। অপেক্ষায় থাকলে থাকুক।
“আমি থাকি সেখানে
আপদ নাই যেখানে।”—মামা-ভাগ্নের কবিতার বর্তমান রূপ। 😀
ছাইরাছ হেলাল
পঁচানি যজ্ঞের বিশ মন ঘি ও জোটাতে পারব না, তাই পঁচাতেও পারবনা।
কবিরাজের কাছে হারবাল পরামর্শ আপনি চাইতেই পারেন, পাবেনও।
আপদ আপনাকে দেখে পালিয়ে বাঁচবে।
মৌনতা রিতু
কাঁচগলে অশ্রু ঝরে পড়ে কুয়াশার বেশে,
সেই ধোয়া ধোয়া হিম হিম কাঁচগলে পড়া অশ্রুতে এঁকেছি এক ছবি।
না, এ কোনো ছবি নয়, এ আমারই প্রতিচ্ছবি
শুকনো পাতার মরমর ভেঙে, এসেছে ভিজাতে এ কুয়াশার অশ্রু।
কবির ভাষামতে, যে ভালোবাসায় চেচামেচি থাকে, তাতে ভালবাসা থাকে না। থাকে ঐ মাঝরাতে নিরবতা ভেঙে কর্কশ সুরে যে পাখি ডেকে যায়, তার সুর।
ছাইরাছ হেলাল
কুয়াশায় আঁকা ছবির এক প্রতিচ্ছবি!
কী এমন সাধ্য আমাদের তা দেখার সে ছবি যদি ছবির চোখ আঁকে!
মাঝরাতের নিরবতা ভাঙ্গার সুরেও ভালোবাসার রেশ থেকেই যায়,
ক্রিস্টাল শামীম
আপনার লেখায় সবসময় একটা ভালোলাগা থাকে। খুব হয়েছে লেখাটা।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মিষ্টি জিন
চেচিয়ে তো দুরের ব্যাপার ফিসফিসিয়েও ভালবাসাকে ভালবাসি বলতে পারিনি কখন ও।
কঠিন করে সুন্দর কথা বা সুন্দর করে কঠীন কথা কেমনে লিখে মানুষ ;?
শিখতে মুনচায়। 😀
ছাইরাছ হেলাল
সময়তো পালিয়ে যায়নি, বলে ফেলুন বিসমিল্লাহ বলে,
ব্যাপার না কোন,
কী করে সহজে সুন্দর করে বলা যায় কেউ শিখিয়ে দিল না।
অবশ্য মনোবল হারাই না, লেগে আছি, একদিন শিখেই ফেলব।
মিষ্টি জিন
বলও লাভ নাই..,শ্রবন ক্ষমতা হারিয়ে গেছে। :@
ছাইরাছ হেলাল
চেষ্টা চালিয়ে যান, কামিয়াব হবেন ই, আল্লাহ চাহেত।
মোঃ মজিবর রহমান
প্রেম করনা চেঁচায়ে
প্রেম কর নিরবে
মনের গহীনে
ভালবাসা জমবে।
নিষেধের বেড়াজাল ভেঙ্গে ছুয়ে যায় মন অতীতের ভালবাসায়।
ছাইরাছ হেলাল
আহারে, অতীতে পড়ে থেকে লাভ কী, বর্তমানেই ট্রাই করুন।
মোঃ মজিবর রহমান
বর্তমানে ভ্যাকেন্সি নায়।
সময়ের আবর্তে ঘুরতেছি
ছাইরাছ হেলাল
ব্যাপার না, হয়ে যাবে।
নাসির সারওয়ার
হ্যাঁ, পড়ার পরে কিছু লিখতে হয় বলেই মন্তব্য নামের একটা বাক্স আছে।
তা লেখক সাহেব, আমি কি একটু চিল্লাইয়া লিখতে পারি!
না, আজ থাক।
এমন কথা বার্তা যে কোন ভাষায় বলেন! বুধবার কে মনে হয় বৃহস্পতি।
ছাইরাছ হেলাল
চিল্লাচিল্লি করেন সমস্যা নেই, তবে অন্যবার কে বৃহস্পতি ভাববেন না যেন।
ওহ, আপনি কবি!! তাই এ ভাষা বুঝছেন না!!
নাসির সারওয়ার
যদি বৃহস্পতি বার সরকারি ছুটি হয়, তাহলে বুধবার কে কি বৃহস্পতি ভাবা যায়না !
এ ভাষার অভিধান আমার নাই, রাখতে চাইনা। কারন ঐ অভিধান পড়েও এর মানে বের করার কোনই ক্ষমতা আমার নাই।
ঈশ্বর সবার মঙ্গল করুন।
ছাইরাছ হেলাল
ঈশ্বর সারা সপ্তাহ বৃহস্পতিবার করে দিন।
আমিন,
এই কাকা ভাষা কিন্তু খারাপ না,
উষা কালে চর্চা করে দেখতে পারেন।
ব্লগার সজীব
ভালবাসায় এক হাতে তালিতে হয়না, চেঁচিয়ে কিছু কি হয়?
ভুলে যাওয়া গল্পের কঙ্কাল খুড়ে কি হবে আর? !
জোড়া কবিতা ভাল লেগেছে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
চেঁচিয়ে কিছু হয় না যেমন ঠিক আবার চেঁচান একটু লাগেও।
কঙ্কাল এখন খুব দামী, বিদ্যুৎপৃষ্ট হলে তো সোনায় সোহাগা।
ভাল লাগাই উচিৎ।
শুন্য শুন্যালয়
বুঝতাছিনা, কবিতার মন্তব্য কী আইজকাল কবিতা দিয়া দেওনের নিয়ম? কবিতা পড়তেও তো ডর লাগতাছে, পড়লে না জানি ট্যাক্স দেয়া লাগে!
বেতন বাঁধা হলেও ভালোবাসার জন্য বাঁধা নিয়ম আছে নাকি কোন? থাকলে কুয়া ভরলেই চাঁদ উঁকি দিতো, শুকাইন্যা কুয়ায় উঁকি দিয়া ফায়দা কী?
কিছুই না ছুঁয়ে এমন ছোঁয়াছুঁয়ির লেখা ক্যামতে লেখে কবি, মুই তো বুঝিনা। কথা হইলো, শেষ লাইনের আগের লাইনতো আমার, আপনি বিনা পার্মিশনেই ব্যবহার করলেন কেনু? কী যে দিনকাল আইলো।
পড়ে পড়েই শান্তি, পারতেই হবে নিজের এমন কোন দাসখত নাই।
ছাইরাছ হেলাল
বালাই ষাট!! আপনার জন্য আবার নিয়ম, যেখানে আপনি ই আস্ত-সমস্ত একখানি নিয়ম।
আপনার কাছে ট্যাক্স!! আপনি ছুঁয়েছেন বলেই লেখারা খলবল খলবল করে উঠছে।
উঁকি যখন দেয়ার ইচ্ছে জাগে তখন কুয়ো শুকনো কী ভরা তা দেখার সময় কই!!
ধুর, একটি মাত্র লাইন না!! পুরোটাই আপনার থেকে টুকে নেয়া,
এ যাত্রা এই গোস্তাকি আমলে নিয়েন্না!!
কী যে বলেন!! আপনার পারপারি তো অতি উচ্চমার্গীয় জনাব,
শুন্য শুন্যালয়
আমিই আস্ত-সমস্ত নিয়ম 🙂 দারুন কিন্তু।
ও আমি ছুলেই লেখার এমন আনন্দ! তাহলে তো এবার ট্যাক্স আমারই পাওনা হয়েছে, কী বলেন? 🙂
আমিতো সময়ে আসিনা, অসময়ে আসি। মন্তব্যের লাইনটা কিন্তু আমার বলার আগেই দেখি বেদখল হয়ে গেছে চেঁচানো ভালোবাসাতে। কী আর করার, এই দিনতো দিন না। তবে ওটা বেশি ভালো ছিলো,
“অশ্রুচোখের দু’ফোঁটা কাঁচ গলতে দেখে দূরেই রই”। ভালোবাসা যখন সাধ্যের অতীত হয়, তখনই চ্যাঁচানো বেড়ে যায়, অথচ সাধ্যে থাকলে সবকিছুই আপনার অই না ছোঁয়ার মতো। ছোট দুইটা লেখার সৌন্দর্য্য ব্যাপ্তি বিশাল।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন প্রশংসায় আমি আবার দরাজ দিল, হাড়-কেপ্পন না।
সবই আপনার এখানে, নুতন আর হিসেবের দরকারটা কিসের।
দখল আর বেদখলের কিছু নেই।
ছোঁয়া আর না ছোঁয়ার পার্থক্য ছুঁয়ে ছুঁয়ে না ছোঁয়ার মতই।
আবু খায়ের আনিছ
ভালোবেসে দাস হয় নাকি? চেচিয়েই আর কি হবে, ভালোবাসতে চেচাতে হয় নাকি।
ছাইরাছ হেলাল
ভালবাসতে হলে অনেক কিছুই করতে হয়, করিও ,