আমাকে যখন 'শান্তি' নামক একটি ম্যাচবাক্সে তৈরি মঞ্চে হত্যা করা হচ্ছিল,আমি খুনীর চোখের দিকে তাকালাম,তাকিয়ে থাকলাম॥
আমার চোখ তাকে জিজ্ঞেস করল, 'মানবতা এবং ধর্ম বলতে তুমি কি বোঝ?'
প্রয়াতঃ মানুষটি যে আমার গলায় চাপাতি ঠেকিয়েছিল,সে ভ্রু কুঁচকোল,'যৌক্তিকতা' মাখানো এক দলা থুতু ফেলে দিল মেঝেতে এবং চিল্লিয়ে উঠল মৃত মানসিক গলায়, "চোপ শালা,কাফের কন্ঠনালী গুলোকে বার বার পোচ দেই,আমার মত ধার্মিকদের আনুপাতিক হার বর্ধিত করি!এইই ধর্ম এবং ধর্মই মানবতা!"
ততক্ষণে চাপাতি ঝিক ঝিক করছে সেলুকাস আলোয়,
তারপর,তারপর,তারপর...
বাম ধমনী-কন্ঠা-ডান ধমনী,
ডান ধমনী-কন্ঠা-বাম ধমনী,
সাথে 'মায়া' 'ভয়' 'আকাঙ্খা'
আরও কতিপয়-
পদসমষ্টি,বাক্যমালা
ধীরে সুস্থে-
কেটে কেটে কেটে-
আমার প্রাণ থেকে মানবদেহ,
মানবদেহ থেকে 'বিধর্মী' প্রাণ,
গলগল ধারায়-লাল রক্তিম দৃশ্যে-
'ধপ' করে আলাদা করে দিল॥
না বুজিয়ে দেওয়া চোখে আমি আকাশ দেখিনি,আমার ছোট্ট ঘরে না বন্ধ করা একটা সিলিং ফ্যান ছিল- আমার সুইচটার কথা বড্ড মনে পড়েছে॥
ছটফট করতে করতে আরেকটা 'মনুষ্যত্ব' জবাই-
দেখতে দেখতে দেখতে,
আমার তথাকথিত মৃত্যু হয়েছে!!
খুব আশ্চর্য আমার কান কোন চিত্কার শুনতে পাচ্ছিল না, ঘুমোনোর পূর্বে একটা গান-
বেজে বেজে উঠছিল শুধু,
"মৃত্যু-ধর্ম-মানবতা,
মানবতা-ধর্ম-মৃত্যু॥"
Thumbnails managed by ThumbPress
৫টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
ধর্মের নামে ‘মনুষ্যত্ব’ জবাই- বন্ধ হোক।
আবু খায়ের আনিছ
খুনির কোন ধর্ম হতে পারে না।
নীলাঞ্জনা নীলা
একটা প্রবাদ আছে, “ধর্মই সকল অধর্মের মূল।” আর সত্যিই তাই হচ্ছে।
ধর্মই মানুষকে বিভক্ত করছে।
মানবতা হেরে গেছে ধর্মের কাছে।
যতোই বলিনা কেন এসব জঙ্গীদের কোনো ধর্ম নেই, কিন্তু এরা তো মানুষের মতোই দেখতে। ওরা জন্মেছে। আমাদের মতো ওদেরও বাবা-মা-ভাই-বোন আছে। শুধু আমরা মানুষ জবাই করিনা, ওরা করে। এখানেই পার্থক্য।
দিন কে দিন প্রতিটি ধর্মের প্রতি একধরণের বিতৃষ্ণা বোধ করছি। মানবতার মৃত্যু আর কতো দেখতে হবে?
মেহেরী তাজ
জবাই নামক ভয়ংকর শব্দ টা মুছে যায়!
মানবতার জয় হোক!
লীলাবতী
আপনি এত ভাল লেখেন অথচ নিয়মিত সোনেলায় না এসে আমাদের বঞ্চিত করছেন।