
প্রদর্শিত চিত্রে অপ্রকাশ্য চিত্রায়ন ?নাকি দৃষ্টি বিভ্রমে চিত্রিত দৃশ্যের কদর্য রূপের বোঝার ভ্রান্তি? প্রজ্ঞা মননের কড়চা কেবল মৌখিক বক্তৃতার খইমুড়ি! সোজা সপাট আক্রমনাত্মক উক্তি প্রকাশেও রহন সহন উধাও! আজিব সেলুকাস!
এবার একটু সোজা বাংলা ভাষায় কই?
উপরিউক্ত বাক্য বুঝতে অনেকেই দাঁত ভাঙবে নিশ্চিত। অসুবিধা নাই।
যার ভাঙবার, তার ভাঙবেই। আসলে কথা কি!! আমি যদি এখন একটা স্টাটাস দেই – ‘ আমার মন কেমন করে, কে জানে কে জানে কে জানে কাহার তরে…… ।আমি নিশ্চিত ৭০% পার্সেন্ট পাবলিক এবং আমার ফ্রেন্ডলিষ্টে থাকা ৭৯% আত্মীয় স্বজন, অতিপরিচিত কাছের ভাই বোন ব্রাদার সকলের হার্টবিট ধরাস কইরা আত্মারাম খাঁচাছাড়া হইয়া তো ভালো! চক্ষু দুইডা পারলে ৭০ বার রগরাইয়া ৭০ হাজাবার স্টাটাসটা পড়বে আর এ ওর কাছে নয়তো আমার ইনবক্স মেসেঞ্জার, নয়তো সরাসরি কেউ কেউ মোবাইল নাম্বারে কল করার হিড়িক পরে যাবে। শুধু তাইনা! কেউ কেউ চা কিংবা কফির আড্ডায় মুচমুচে গসিপ পেয়ে যাবেন নির্দ্ধিধায় । কেউ কল না করলেও, কেউ ইনবক্স মেসেঞ্জারে না এসেও ১০৪’ডিগ্রী শারীরিক উত্তাপে ভোগা শুরু করে দেবেন নিজ খুশিতে—‘আগেই জানতাম! শ্যাষ পর্যন্ত এরকম কিছু হবেই হবে……ব্লা ব্লা ব্লা….”
আমি নিশ্চিত, জরিপের ৭০% পার্সেন্ট শুভ হিতাকাঙ্খী নামক পাবলিকের জানাই নাই…..এটাও একটা ট্রিকস্! কিসের? চাতুরী’র।
অ-প্রকাশিত চেতনা টাইন্না বাইরে আনার চাতুর্য বলে ইহাকে😊 হ্যাঁ আমি এভাবেই বললাম। নানান ধরনের মুখের ভাষা আমরা প্রচলিত শব্দ তরঙ্গের ব্যাবহার করে থাকি সাধারনত। সেই ব্যাবহারটাই এখানেও ব্যাবহৃত করলাম।
ধান ভানতে শিবের গাজন বলে প্রচলিত বাগধারা দিতে বসিনায় বললেও , গাজন একটু বেশিই হয়েই যাচ্ছে।
কথা হচ্ছিলো স্টাটাসটা নিয়ে। এক বিশ্ব নাটের গুরু নোবেল প্রাইজ নিয়া বিশ্বকবির খেতাবে ভূষিত হয়ে যা রেখে গেছে! সেই ১০০ বছর আগে! তাঁর রেখে যাওয়া সমস্ত বাক্য, শব্দের প্রতিটা অনুপরমাণুতে রেখে যাওয়া আবেগ ,অনুভূতি, রোমান্স, পূজা, শীত,গ্রীষ্ম, আষাঢ়,শ্রাবণ,থেকে শুরু করে এমন কোনো ঋতু নেই, যা নিয়ে প্রকৃতি প্রেম বা মানব মানবির প্রেম ভালবাসা প্রকাশ রাখতে খামতি রেখে গেছেন।
তারপর আরো আছেন আমাদের জাতীয় পর্যায়ের বিদ্রোহী এবং দ্রোহের কবি নজরুল ইসলাম কাজীসাব!
মোদ্দা কথা এই তাবড় তাবড় কবি সাহিত্যিকের বেলায় ও এসেছে সেসব যুগ হতে শব্দার্থের শেকলে শৃঙ্খলিত হবার হাতকড়া। তো এখনকার সময়ে আমি/ তুমি/আপনি/আপনারা/ তুই/তোরা কারা ? ওই সেই প্রবাদ বাক্যের চুনোপুঁটি ছাড়া আর কিইবা?
আমি লিখলাম, ‘আমার মন কেমন করে ‘ হগ্গলতে বুইজালাইলো….বুড়া বয়সে মন লইয়া টানাহেঁচড়ায় পড়ছি মনে লয়😳😳!!! সবাইরে এহন আমার ভাঙ্গাইয়া কইতে হইব……”আস্তাগ ফিরুল্লাহ্, নাউজুবিল্লাহ্ মিনজালেক! আসলে এসব কিছুই না, গানটা আজ সারাদিন ধরে শুনছি বলে একখান স্টাটাস মেরে দিলাম আরকি!
এহন লেজুড়বৃত্তি বলে কথা তো আছে! এক কথা থেকে আমরা গোলটেবিলে বলেন আর লম্বা চারকোনা টেবিলই বলেন! কথারা লেজেগোবরে না হলে কি আর গোল টেবিল বৈঠক মানায়? হতেই পারে না! সবকিছুই ফেসবুকে শেয়ার করতে হবে? ফেসবুকটারে পাইছো কি? আচ্ছা এদিকে না যাই।
বলছিলাম, কিছু কথা শব্দের চাতুর্যপনায় লিখে ছেড়ে দিলাম হাওয়া কাগজের বুকে, আমার তৃপ্তি এখানেই যে, আমি চাতুরিটা শিখেছি নিজের মত করে। পাঠক আপনি পড়ছেন! আপনার বোধ ব্যাবহার করছেন আপনার মেধা খরচ করে না বিপরীত মনোভাব নিয়ে! সেটা আপনি মন্তব্যে প্রকাশ করে দিচ্ছেন কিন্তু মন্তব্যের আকারে। সুযোগটাও করে দিচ্ছেন আপনার মনোজগতটাকে চেনাবার।
একজন লেখক লিখছেন তাঁর বোধকে সম্বল করে। পাঠক পড়ছেন তাঁর বোধ থেকে। মন্তব্যে তিনি কি বুঝলেন সেটুকু প্রকাশ না করে করলেন অতি বোধ সম্পন্ন মনোজগতের গতানুগতিক পরিচয় প্রদান! হতেই পারে! এটাও স্বাভাবিক পাঠকের জায়গায়। তাহলে লেখক কি তবে প্রশ্নবিদ্ধ হবার ভয়ে লেখা ছেড়ে দেবে? অথবা তেমনই লিখবে ৭০% পার্সেন্ট পাঠকের মনোজাগতিক ভাবনার মনগড়া ইচ্ছা মাফিক?
অর্থাৎ এখানেও লেখক স্বাধীন নয় লেখায়। তাহলেই লেখককে চরিত্রহীন নোবেল প্রাইজ ধরিয়ে দেয়া হবে খুব সস্তায়।
একটা চারলাইনের লেখা একজন লেখকের -” আমি তো প্রাচীন বট,নগ্ন ছায়া পুষি, কেউ খোঁজে স্বস্তি
কেউ করে দোষী”
এই লেখাটার অর্থ ভাঙতে আমার নিজেরই কয়েকমাস লেগে গেছে। আমার আফসোস হয়, এমন লেখা আমি লিখতে পারিনা।
আমি এমনও লিখতে পারি না—” আমার মনের ঘরে চান্দের আলো চুঁইয়া চুঁইয়া পরে”…..
আমি যা পারি তার দায় আমার। আমি সাধারন বোধ থেকে প্রকাশ করি দ্রোহ, আবেগ, অনুভূতি, রাগ, ক্ষোভ, হতাসা, ঘৃণার মতো কিছু শব্দবন্ধ বাক্য। যে বাক্য পাঠক বুঝতে না পারলে ,তার দায়ও আমার। আমি সহজে ব্যাখ্যা দিতে অপারগ। *তাকে আমি ভালবাসি না, তার সাথে আমার প্রেম,প্রণয় কিছুই নেই- যেটা আছে সেটা আর কারো সাথে নেই*
লেখাটুকু ছোটভাই সিকদার রহমান সাদএর লেখা। এই লেখাটায় “তাকে” শব্দটা বিতর্কিত করেছে লেখককে। এমনও পাঠক আছেন যে অবিবেচকের মতো পরকীয়া বলে মন্তব্যও করে বসলেন। তাতে কি হলো? আমাকে লেখাটুকু ভাবালো। এই “তা’কে ” বলতে কাকে বোঝালো? যখন ভাবতে গেলাম….আমি চমৎকৃত হলাম। আরে আশ্চর্য! এই ‘সে’ টা আছে বলেই তো আমি- আমি হয়ে উঠি নিজের কাছে যখন তখন!
তাকে এগিয়েও দেই কখনো সখনো আবার সামলেও রাখি যখন যেমন চাই!
দৃশ্যত দৃশ্যের পরিকল্পিত প্রেক্ষাপট বড়ই মোহনীয়, যদি বোধের ঘরে জন্ম লয় নবজাতক বোধদয়………
শুভস্য🌹
বন্যা লিপি//
১৬:৭:২০২০
সময়: ৬:৩৩
৩৭টি মন্তব্য
সুরাইয়া পারভীন
অর্ধেক পড়েছি বাইরে বসে
বাকীটা পড়ে পরে মন্তব্য করবো
আগে প্রথম হই
বন্যা লিপি
প্রথম হওয়ার জন্য তোমাকে সবুজ চা দিলাম।তুমিতো ডায়েটিংএ আছোস! তাই চকলেট দিলাম না😊
সুরাইয়া পারভীন
যথার্থ উপহার পাইয়া কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতেছি মহামান্য আপু❤️❤️
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
জটিল লেখা।
বন্যা লিপি
ধন্যবাদ
হালিম নজরুল
আমার তৃপ্তি এখানেই যে, আমি চাতুরিটা শিখেছি নিজের মত করে। পাঠক আপনি পড়ছেন! আপনার বোধ ব্যাবহার করছেন আপনার মেধা খরচ করে না বিপরীত মনোভাব নিয়ে! সেটা আপনি মন্তব্যে প্রকাশ করে দিচ্ছেন কিন্তু মন্তব্যের আকারে। সুযোগটাও করে দিচ্ছেন আপনার মনোজগতটাকে চেনাবার।
————–আপনি ভাল লেখেন জানতাম। কিন্তু এত ভাল লেখেন এটা জানলাম আজ।
বন্যা লিপি
আপনাকেও চাতুরিটা করতে দেখলাম। আপনি অবশ্য সবসময়ই নিরাপদ অবস্থানটাই আঁকড়ে আছেন/থাকেন।
শুভ কামনা
মোঃ মজিবর রহমান
কইটি শব্দয় বা জানি, জআনিনা। এক বিশাল ব্যাখ্যা দিলেন। যার যার মনজগত সে সেইভাবেই ভাবুক। লেখক যে ধাচে লিখেছে লিখুক, পাঠক পড়ে তার মতিই ভাবুক, এবং ভাববেই, এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু নোংরা বা খারাপ চাবাই বেমননের কাজ।
বন্যা লিপি
আপনার টাইপিংএ এত ভুল থাকে যে, প্রকৃত শব্দার্থ উদ্ধার করতে আমার মাথা খাটাইতে মন চায়না। পুরো লেখার মাঝে, আপনার করা মন্তব্যের জবাবও কিন্তু রাখা আছে! ভালো থাকবেন।
ফয়জুল মহী
অনন্যসাধারণ লেখা। অপরিসীম ভালো লাগলো।
বন্যা লিপি
আপনি হলেন তেমন একজন পাঠক, লেখা পড়েন ঠিকই, কি বুঝলেন সেটা না বলে এক টাইপ মন্তব্য দিয়ে সাবধানে পিঠ বাঁচিয়ে চলার নিতীতে, আজ পর্যন্ত কানে তুলো আর পিঠে কুলো বেঁধে সেফ জোনে থেকে যাচ্ছেন। এটাও একধরনের চাতুরি😊 শুভ কামনা আপনার জন্য। ভালো থাকবেন।
নিতাই বাবু
শেষ ভালো যাঁর, সব ভালো তাঁর। মানে আপনার লেখা এবং মনোভাবের প্রশংসা করলাম! আর হ্যাঁ, লেখক লিখবে, পাঠক পড়বে। লেখকের লেখা নিয়ে প্রশংসা করবে, নিন্দা করবে, সমালোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে লেখকের লেখা যেন থেমে না যেয়। যদি তিনি লেখক হয়ে থাকেন।
আপনার জয় হোক। শুভকামনা থাকলো।
বন্যা লিপি
আপনার জন্যও শুভ কামনা দাদা।ভালো থাকবেন।
উর্বশী
অনেক আগেই আমার এই পরিবারে আসা উচিৎ ছিল। এতো ভাল লেখা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। যদিও জানা ও শেখার কোনো শেষ নেই। তবুও ” বোধদয় বা বোধের জগৎ তৈরি করতে হলে এই আপার লেখা গুলো বার বার পড়া দরকার। সোনেলা পরিবারে আমি অনেক গুনীজন পেয়েছি,যাদের লেখা থেকে আমি অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবো। আপা, যতই পড়ছি, ততই ভাল লেগেছে। খুব ভাল লিখেন আপনি। সুস্থ ও ভাল থাকুন,দীর্ঘ জীবি হন।
বন্যা লিপি
সোনেলা পরিবারে আপনাকে সুস্বাগতম ঊর্বশি! আফসোস একটু থাকতেই পারে আপনার, আরো আগে কেন এলেন না এখানে! কারন আমাদের(নারী ব্লগার) দল বড্ড ছোটো। দল ভারী হচ্ছে দেখে আনন্দিত হচ্ছি ভীষণ। নিয়মিত যাতায়াত করুন এ উঠোনে, দেখবেন দিনে দিনে আমরা আমরাই কতকি জানি/শিখি!
ভালবাসা রইলো আপনার প্রতি🌹🌹
উর্বশী
বন্যা লিপি আপু,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছ। আপনাদের মত গুনীজনের সাথে সামিল হতে পেরে ভালই লাগছে। নিয়মিত যাতায়াত থাকবে অবশ্যই আপু। কিছুটা সময় একটু ঊনিশ — বিশ এরকম ঝামেলায় আছি প্রায় শেষের দিকে, ইন শা আল্লাহ সব সঠিক হয়ে যাবে। সালাম সহ শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এটা একটা বিশাল মনোজাগতিক বিষয় । কার রুচি কেমন , কে কতটুকু ধারণ করতে পারে সেটা সবার সমান হয়না। একটা স্ট্যাটাস দিলেই যে তার সম্পূর্ণ ভাবটা অন্যরা বুঝতে পারবে বা যে দেয় সেও সেটা মনে হয় না আশা করে। যার ন্যুনতম বোধ আছে সে কিছুটা চাতুর্যের আশ্রয় নিয়ে নিজেকে প্রকাশ করে, ধরা দেয় না সহজে। বায়বীয় পাতাটা সবার সাথে সংযুক্ত থাকার জন্য কোন কিছু প্রকাশ করতে গেলেই সেটা একেকজন একেক রকম নিবে সেটাই স্বাভাবিক। তাই বলে থমকে গেলে বা আড়ালে গুটিয়ে নিলে নিজের সত্তাটাকে খুন করা হয়। আপু তো মনোবিজ্ঞানী হয়ে গেলেন। ধন্যবাদ ও অভিনন্দন সুন্দর একটি লেখা দিলেন। জানিনা আপনারটা কতটুকু বুঝেছি তবে আমি আমার মতামত দিলাম এই ছোট্ট মাথায় যা কুলালো । শুভ কামনা রইল
বন্যা লিপি
আরে ছোটদি, আপনি যা যা বললেন, সবই তো আমি বলে দিয়েছি লেখার মাঝে! আমার লেখার মূল উদ্দেশ্য, ভাইরে/ বইনরে! সঠিকটা না বুঝলে মন্তব্যের ঘরে আসারই বা দরকার কি? গতকাল আমাদের সোনেলার একজন ব্লগারের ফেসবুক স্টাটাসের মন্তব্য দেখার পরই আমার এই লেখা লেখার উতপত্তি। অনেকদিন ধরেই এই বিষয়টা নিয়ে কিছু লেখার ইচ্ছে ছিলো, গতকালের ব্যাপারটা আমাকে গতি দিলো লিখতে। আর মনোবিজ্ঞানের কথা বলছেন?
বিজ্ঞান ফিজ্ঞান বুঝিনা মানুষ দেখা এবং মানুষের অন্তরের আলো অন্ধকার দেখা…….
ভালো থাকবেন ছোটদি।
শুভ কামনা
তৌহিদ
লেখার সাথে বাস্তব জীবনকে মেলানো উচিত নয়। অনলাইন স্ট্যাটাস দেখে অনেকেই তা গুলিয়ে ফেলেন এবং নানাবিধ প্রশ্ন করেন এতে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এই অভিজ্ঞতা কমবেশি সবারই হয়েছে, আমারও।
দারুণ লিখলেন কিন্তু আপু। শুভকামনা জানবেন।
বন্যা লিপি
সমস্যা এখানেই ভাই, ক-লিখতে কলিকাতা বোঝাতে কাউয়া, কুত্তা যে কোনো কিছু বোঝা যায়, সহজে কেউ ক-তে কবরি,কাবেরি কামিনী,ক্যামিলিয়া বুঝতেই চাইবে না। তাতে আমার কি? আমি জানি আমি কি লিখছি! অর্থ যেটার বোঝাবার মনে চাইলে বোঝাবো না মনে চাইলে বোঝামু না। যা বুইজ্জা লবার বোঝ গিয়া যাহ্…….
কিন্তু এই বোঝাবুঝির মধ্যে যদি ঘরসংসারে গরম বাতাস বইতে শুরু করে, তখন তাউল্লাডা এমনেই গরম হয়।
ব্যাপারটা এইরকমই কিছুটা হলো গতকাল কারো পোষ্টের কারনে। যে কারনে এই লেখার জন্ম।
শুভ কামনা।
ভালো থাকবেন ভাই।
সুরাইয়া পারভীন
শক্তপোক্ত শব্দের ব্যবহারে পাঠকের নাকানিচুবানি দশা করিয়া, লেখক দূরে বসিয়া তৃপ্তির হাসি হাসিতেছে দেখিয়া পরানখান জুড়িয়া যাইতেছে।
তবে এই হলো ব্যাপার
অযাচিত মন্তব্যের ভুল হজম করতে না পারিয়া
লেখক কথার চাতুর্যতার সহিত বাঁশখান…..
বন্যা লিপি
তবে এই হলো ব্যাপার
অযাচিত মন্তব্যের ভুল হজম করতে না পারিয়া
লেখক কথার চাতুর্যতার সহিত বাঁশখান…..”
এখন পর্যন্ত আমার নিজের কোনো পোষ্ট বা স্টাটাসে এমন মন্তব্যের ভুল হজম করার দুর্ভাগ্য বা সৌভাগ্য হয়নাই। ইহা সার্বজনীনতায় লেখা পোষ্ট আমার। ফেসবুকিয় কায়দাকানুন দেখতেছি তো!
তোমার মন্তব্যে আমি তোমার বোধ উপলব্ধি করিতে পারিলাম ভাবিয়া চিত্ত বিনোদিত হইলো😊 উপরের অংশে যেটুকু বলেছো যথার্থই ধরেছো। পাঠককূলকেই মূলত উদ্দেশ্য আমার এ লেখা।
ভালবাসা জেনো❤❤
ইঞ্জা
ওরে বাবা সত্যি আমার দাঁত ভাঙ্গলো, আপু কি কঠিন এক লেখা দিলেন, যায় আরেকবার পড়ে আসি।
বন্যা লিপি
পড়েন ভাইজান যতখুশি ততবার পড়েন। সারাংশ একেবারেই পানির মতো স্বচ্ছ।
ইঞ্জা
মাথায় ঢুকছেনা, আবার পড়বো সময় নিয়ে।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
ইশ্ সাহসের প্রসংশা না করে পারছি না।একদম ফাটায়ে ফেলছেন আপু।।।॥।
বন্যা লিপি
আমার দুর্ভাগ্য যে আমি আপনার কোনো পোষ্ট এখন পর্যন্ত পড়তে পারিনি। আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
সাহস দেখলেন আপনি? হ…..তাইলে ঠিকই দেখছেন? এটাই দরকার এখন।
ভালো থাকবেন শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
ফেসবুকের স্ট্যাটাস জনিত ভাব কুশলতা নিয়ে গবেষণা পড়লাম !
কিন্তু ফেসবুক বিষয়ে খুব-ই কাঁচা, তাই পুরা বুঝতে কিঞ্চিৎ বেগ পেতে হলো।
তবে এগুলাই পড়তে পড়তে গ্যান/গুণ কিছু হয় কী না দেখি!
অভিজ্ঞতা বলে কথা।
বন্যা লিপি
শুধু ফেসবুকের দোষ দেখেন কেন মহারাজ? ব্লগেও কি কম নাকি? সহজ করে লিখলেও তো ভাবার্থ উল্টা ধরার গ্যানী মানুষের অভাব নাই। আপনার ফেসবুক বিষয়ে যে ভাইরাস আছে তা জানি। লেখাটা খালি ফেসবুকিয় গবেষণার নামটাও আপনিই দিলেন, এবং অনেকেই এখানেও তাই ধরে নিলেন দেখলাম। ওইযে লেখায় লিখলাম! “চাতুরিটা শিখে নিয়েছি নিজেরই মতো করে,” এর সহজ আর কিভাবে কেউ লেখে বুঝিনা আমি।
সুপায়ন বড়ুয়া
আপু আমার রেগে আছেন তা বুঝা যায়
সহজ করে লিখতেন যদি তবে মজা পাই
তবে লিখলেন অনেক ভাল করে
বুঝলাম অনেক কষ্ট করে।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
বন্যা লিপি
ক- লিখলে কলিকাতা না কাউয়া পড়বো? বিষয়টা সেইটা বোঝাতে গাইলাম এত্তখানি শিবের গাজন, তাও বুলেন না দাদা?
তয় আর কি কইতাম?
ভালো থাকবেন।
শুভ কামনা
সাবিনা ইয়াসমিন
যদি কিছু লেখার ব্যাপারে বলো তাহলে বলবো এখানে লেখকেরা প্রায়ই বৈষম্যের শিকার হয়। যখন পুরুষরা কোনো কবিতা/চিঠি/ গল্প লেখে তখন আমরা ( নারীরাও) মোটামুটি ভেবে নিই লেখাটি কাল্পনিক। কিন্তু নারীরা সেইম লেখাটিই যখন লেখে তখন ৯৯% শতাংশ পাঠক আপন জ্ঞান দ্বারা বুঝে নেয় এটি সত্যি, এবং লেখকের নিজের ঘটনা। এই হলো লেখালেখির জগতের অবস্থা। আর ফেসবুক, গানের কলি, প্রেমময় লাইন, দুঃখিত স্ট্যাটাস যাই দেয়া হোক ফ্রেন্ড ফলোয়াররা ভেবে নেয় উক্ত ব্যক্তি/নারী হয় প্রেমে করে নয়তো ছ্যাঁকা খেয়েছে। ফেসবুকে মন্তব্যকারীদের চুলকানি বেশি থাকে। স্কিপ করবে কি, লাইক-কমেন্ট দিয়ে তারপর মন চাইলে স্টাটাস পড়ে নয়তো ক্রল করে আরেক প্রোফাইলে হুমড়ি খেতে চলে যায়।
যেমন আছো তেমনই থাকো। কে কি করলো/ বললো এসব নিয়ে ভাবতে গেলে নিজের ভাবনা ভাবার অবসর মিলবে না ময়না।
ভালো থাকো,
ভালোবাসা ❤❤
বন্যা লিপি
১০০% সহমত তোমার সাথে। এই বৈষম্যের বিষয়গুলোই পুরো লেখার মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। পুরুষ লেখক বলো আর নারী। শ্রেনী বিভেদের কথা ভাবো একটু! মানে, এক শ্রেনীর পুরুষ লেখক বনাম নারী লেখক।এক ধরনের ছকে ফেলে দেখতে চায় এক শ্রেনীর পাঠক। যেমন- আপনার ঘর সংসার আছে, তাই এমন কিছু উল্টাপাল্টা আবেগীয় বিষয়াদী শুধুমাত্র নিজ কেন্দ্রিক হলেই যেন আমরা নিশ্চিন্ত থাকি। একটু বেগতিক দেখলেই তাহাদের মনে ডর দৌড়ায় নয়তো চক্ষু,কান, মন পুলকিত হইতে শুরু করে এখানে রসালো কিছু নিশ্চই আছে, কেউ যখন সন্দেহের বশে মন্তব্য করেই বসেন, তো কোনো কোনো লেখক( নারী/ পুরুষ) নিজ দায়িত্বে পুরো ব্যাখা দিতে তৎপর হয়ে ওঠেন নয়তো কৈফিয়ত দেবার জন্য সেফ জোনে চলে আসেন। আমি তো আর এমন ব্যাখ্যা বা সাফাই দিতাম না। যে যা মনে করার করে করুক গা। দেখাই যাক ভাবনার দৌড় কতদূর?
ভালবাসা ময়না❤❤💕💕
আলমগীর সরকার লিটন
খুব সুন্দর লেখেছেন আপু
বন্যা লিপি
শুকরিয়া লিটন ভাই।
আরজু মুক্তা
আহ্ পাঠক।
ওরা ভাবে ওদের জীবন নিয়ে লিখি
বন্যা লিপি
এরপর এরহম কোনো পাঠকের পাল্লায় খালি একবার পইরা লই! তহন বুঝুম হেরথন! ফু’আম্মা ভালো থাইক্কেন একছের।