প্রিয় বান্ধবী ,
শেষ কবে তোর সাথে দেখা হয়েছিলো ? ঠিক মনে করতে পারছিনা। নেহায়েত ১৫ বছরের কম সময় নয় । এক সময় তুই ছিলি আমার সেরা বন্ধুর তালিকায়। আজো ওই যায়গাটি কাউকে দিতে পারিনি। হুট করে ফেইসবুকে তোকে আবিস্কার করার সেই দিনটি আমার জন্য পরম প্রাপ্তির । তুই মাঝে মাঝেই জানতে চাস আমার কথা ?? ক্যামন করে কাটাচ্ছি সময় ? কাউকে ভালবাসলাম কিনা ? ঘর বাঁধবো কিনা ? আজ সব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে তোকে চিঠি লিখতে বসলাম ।
আমি জেনে গেছি ~ প্রাত্যহিক টানাপড়েন কে ছাপিয়ে একমাত্র ভালোবাসাই পারে মানুষ কে বাঁচিয়ে রাখতে। ভালোবাসার মানুষের বিশ্বস্ত একটি হাত ধরে অনায়াসে পাড়ি দেয়া যায় জীবনের অনেক জটিল কণ্টকময় মুহূর্ত । জীবনের অনেকটা সময় হেঁটেছি একা একা কষ্টে্র হাত ধরে । খুউব নিভ্রতচারি মানুষ বলেই চাওয়া গুলো কে খুব কম সময়েই পেরেছি পাওয়া তে রুপ দিতে । কপটটা শিখিনি , পারিনি দক্ষ অভিনিয়ে কাউকে সুখি করার চেষ্টা করতে , আমি যা ~ আমি তাই ~ এই টুকু বুঝে কেউ যদি ভালোবেসেছে , গ্রহন করেছি।
এই তো ছোটো এক জীবন ~ সামাজিক বন্ধন অথবা কাগজের কোন দলিল কি মানুষের ভালোবাসার সব যায়গা নিতে পারে ? নাকি সামাজিকতা প্রস্রয় দিতে গিয়ে লেবাসের আড়ালে যা থাকে তা পুরোটাই কপটতায় ঢাকা ? হয়তো আমার ভাবনা গুলো ভুলভাল । কারো সাথে নাও মিলতে পারে । জীবন থেকে পালাতে পালাতে বুকে ধারন করা যন্ত্রণা গুলো পুষতে পুষতে মাঝে ঠিক বাম পাশটায় খুব বাথা হয় , জানিনা একে হৃদরোগ বলে কিনা ? বুকের হু হু অনুভুতি আর তোলপাড় করা কিছু কষ্ট চোখ গড়িয়ে পড়ে । কেউ কেউ প্রশ্ন করে এই মেয়ে ! আর কতোকাল একা থাকবে ? বিব্রত হই , কষ্ট পাই ~ মুচকি হেসে বলি এই তো আর ক’ দিন
৭টি মন্তব্য
মর্তুজা হাসান সৈকত
ভালো লাগলো আবেগের নির্ভেজাল প্রকাশ সোনিয়া আপি।
শিশির কনা
সুন্দর প্রকাশ
খসড়া
ভাল লাগলো চিঠি।
নীলকন্ঠ জয়
চিঠি ভালো লাগলো। কিন্তু আপনি কেন হাওয়া হয়ে যান?
সুলতানা সোনিয়া
বরাবর ই আমি এমন ~
সীমান্ত উন্মাদ
আবেগ ভরা চিঠিতে অনেক অনেক ভালোলাগা। শুভ হোক পথচলা।
স্বপ্ন নীলা
চিঠিখানি ভাল লেগেছে