আমার আপন,
ক্যামন আছো জানতে চাইবোনা! কারন আমি জানি তুমি সবসময় আনন্দে থাকার চেষ্টা করো, দুঃখ তোমাকে খুব কম ই ছুঁতে পেরেছে। আমাকে জানতে চাইলে বারবার। নিজের কথা কি বলি বলোতো ?
এই যে আজ বাদে কাল ঈদ হয়তো। কতো আনন্দ চারদিকে, কতো উচ্ছ্বলতা, কতো রঙ। কই কিছুইতো আমাকে স্পর্শ করে না। দীর্ঘশ্বাস জমিয়ে জমিয়ে বুকটাকে পাথর করে রেখেছি। তবুও মুখ ফুটে বলতে পারবো না । তুমি কি কখনো জানবে?-
কত প্রহর অপেক্ষায় কেটেছে একটু হাতের স্পর্শ পাওয়ার...একটু সঙ্গ পাওয়ার...কত ইচ্ছেকে অঙ্কুরেই গলা টিপে মেরেছি...!কখনো মেঘলা দিনে মন বিষণ্ণ করে থেকেছি চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে ভেবেছি ইস ! কেউ যদি এসে পাশে দাঁড়াত কাঁধে হাত রাখতো !বৃষ্টির দিনে দুহাত বাড়িয়ে বৃষ্টিকে ছুঁইয়ে দেখেছি...
রিমঝিম বৃষ্টির শুভ্র নাচ দেখেছি জানালায় দাঁড়িয়ে !মন ভালো করা মুহূর্ত কিংবা খারাপ করা সময়ে একা একা, চুপ করে বসে থেকে ভেবেছি ,,,তার কথা ! তাহার কথা !কতোবার ঝলসে ঝলসে আবার জেগে উঠেছি !ভেবেছি কেউ নদী হয়ে শিতল করবে আমায় !কবিতার পাতাগুলো রেখে দিয়েছি মলাটের ভাজে,ভেবেছি পাশে বসে কবিতা শোনাবো তাকে !!তেপান্তর আর সাত সমুদ্র পেরিয়ে সুখ খুঁজে ফিরেছি ,ভেবেছি এইবার বাঁধবো ঘর ! জানোতো , এমন করেই প্রতিদিন কেবল স্বপ্নের জাল বুনেছি। এক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়েছি ।
কি বলবো আমার কথা ? আমার চোখে আজ জলোচ্ছ্বাস। পাথর গলে গলে কিভাবে এত অশ্রু হয়?- এত অশ্রু কোথায় থাকে বলতে পার? হাত বাড়ালেই আনন্দ। তবু সে আনন্দের খুব কমই আমাকে টানে। কিভাবে টানবে? ভেতরে যে উল্টো স্রোত।
আনন্দের পথে একটু হাঁটলেই কষ্টেরা পাশে এসে দাঁড়ায়; কখন?- আমি বুঝতে পারি না। আমি ওদের এড়াতে পারি না। তাই কষ্টই ফেরি করে বেড়িয়েছি সবসময়; এখনো বেড়াই। চারপাশের আপন মানুষগুলো, কাছের মানুষগুলো, কখনো বোঝে, কখনো বোঝে না; কষ্ট পায়, বিরক্ত হয়, কখনো কখনো হয়তো ঢং মনে করে, দুঃখবিলাসিতা মনে করে। কেউ কেউ বলে মেয়ে অমন করে নিজের কথা বলতে আছে ? আমি হেসে উড়িয়ে দেই !
মাঝে মাঝে অবাক হয়ে ভাবি তুমি কি করে আমাকে এতো ভালোবাসো ? কি করে আমাকে ঘিরে থাকো ? তোমাকে না পেলে হয়তো বুঝাই হতোনা, একজন মানুষ কি করে আরেকজন মানুষের এতো আপন হতে পারে ? আমাকে কিছু চাইতে বলেছো , চাইবো ? দেবে তো ? তোমার ওই বিশ্বস্ত নির্ভরতার হাত দুটো আমায় দিও
৬টি মন্তব্য
মেহেদী হাসান
“আবেগ” জাতিটারে শেষ কইরা দিলরে………।। ;(
তবু সে আনন্দের খুব কমই আমাকে টানে। কিভাবে টানবে? ভেতরে যে উল্টো স্রোত। – অসাধারন। (y)
সুলতানা সোনিয়া
তবুও আবেগ আছে বলেই আমরা মানুষ । ভালো থাকবেন।
জিসান শা ইকরাম
কস্টের মেঘ কেটে গিয়ে
আকাশে আসুক আনন্দের সোনালি রোদ ।
নীলকন্ঠ জয়
যে আপন সে কষ্ট দিবে , মেনে নিতেও হবে। সুসময় আসবেই।
লীলাবতী
এতো আবেগ দিয়ে লেখেন কিভাবে আপু ? (3
খসড়া
ভাল লাগলো। আগের পর্বের লিংকগুলি পরের পর্ব থেকে দিয়ে দিয়েন।