আসব আমি মেঘ হয়ে কোন এক রাতে, অপলক মৌনতার চরে কবিতারা স্বপ্ন মেলবে, নিঝুমের নিঝুম রাতে, এই ভেজা বালিয়াড়িতে; এইইই, নটি সমুদ্র, ছেনাল কান্না কেঁদোনা, ফিরে তো আসি তোমারই অলিন্দে, হাতে নিয়ে বিষের পেয়ালা আসব আবারো। নীরবে গড়ান তোমার দু’ফোটা লোনা জলে জলবৃষ্টি দিয়ে যাব, হারিয়ে যাব আবারো এমন করে, জনস্রোতের এই উৎসবে।
নীল অঞ্জনের সুতীক্ষ্ণ অভিযোগ-অনুযোগ সুখ সুখ দুঃখানন্দ গুঁজে নেই বুকের যমজ পকেটে, শোকের গর্ত খুড়ে কাঁদতে আসিনি, আসিনি নির্মল এই নিসর্গের মধ্যরাতে সঙ্গীহীন শব্দাবলী নিয়ে, আসিনি মর্মহীন ভবিতব্য ভাবনার অন্তহীন অনর্গল ফিরিস্তির বিজ্ঞপ্তি নিয়ে, নেই কোন শাহীনামা; আঁকতে এসেছি ভেজা বালিয়াড়িতে লঘু পায়ের অমসৃণ ছাপশৃঙ্খল, জানি খুঁজে নেবে, খুঁজে পাবে কোন একদিন চোখের গুপ্ত ঠিকানায়।
যতই বলি, না না যেতেই হবে, যাচ্ছি যাচ্ছি করি। আসি, যাওয়ার সন্নিকটে, ওড়াই যাওয়ার ফানুস, আসি ফিরেই নিসর্গ নির্জনতার নীল দিগন্তের ঠিকানায় গড়ান দুপুরে। করছি না শাপ-শাপান্ত অগ্নিচক্ষু ব্রাহ্মণের মত, বলছি না খুঁজে ছিলে কিনা তরতাজা এই জনসমুদ্রে হেমলকের পেয়ালা হাতে, গুটি বসন্তের মরণছোঁয়া ছুঁয়ে দিতে বা অমরত্বের বর নিয়ে,
আবারও আসব ফিরে, না ফেরাকে সাথে নিয়ে,
হে বঁধু,
রৌরবের পোড়ামুখী ইয়াবা সম্রাজ্ঞী,
লহ,শুদ্ধ সহচরের অরোরুদ্যমান রক্তাহুতি;
৩৯টি মন্তব্য
অরুনি মায়া
অনেক সুন্দর লিখেছেন | সমুদ্রকে ভেবে কেউ কখনো এমন করে ভেবেছেন কিনা জানা নেই | আজ দেখলাম সেই একজন প্রেমিককে যে কিনা তার সাগর বধূকে হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা দেবার জন্য বারবার ফিরে আসার বিশুদ্ধ প্রতিস্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন | অন্তহীন প্রেমের এক সমাধি গড়ার বিভোরতায় ভাল থাকুন প্রিয় কবি , ভাল থাকুক সাগর রানী (3
ছাইরাছ হেলাল
উহ, বধূ পেলেন কোথায়!!
আহা, দিলেন তো মাটি করে,
কল্পনা লাগামে আঁটকে রেখে কী কাজ,
এর থেকে হাজার গুন সুন্দরে সতেজ ভাবনা বহুজন করে গেছেন,
সেখানে এই সামান্য ভাবনা কল্কে পাবে না তা জেনেও চালিয়ে যাচ্ছি বীর দর্পে, অবশ্য আপনারা আছেন বলেই।
অরুনি মায়া
না মানে ঐ যে কারে যেন হে বঁধু বলেছেন আর আমি ভুল করে বধূ ভেবে নিয়েছি |
কে কিভাবে তার ভাবনা প্রকাশ করেছেন জানিনা |তবে প্রিয় মানুষ যখন কোন ভাবনার প্রকাশ করেন তখন তা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ভাবনা , হোক তা যেমনই | আর এ তো অপূর্ব এক ভাবনা | যা আমি অনুভব করছি |
ছাইরাছ হেলাল
আপনি অনুভব করছেন দেখে আনন্দিত বোধ করছি।
আপনি খেয়াল করেন নি তা বুঝতে পারছি, আজকাল বধূ আর বঁধু হয় না।
অরুনি মায়া
সবই ভাগ্যের ব্যাপার। অনেক সময় না হলেও নিজ গুনে বানিয়ে নিতে হয়। যদিও তা প্রায় একপ্রকার অসম্ভব। তবুও বধু বঁধু না হলে জীবন অতিষ্ঠ।
ছাইরাছ হেলাল
খুব ই জ্ঞানী কথা বলেছেন, জীবন অতিষ্ঠ।
শুভ্র রফিক
সমুদ্র নিয়ে সুন্দর লিখেছেন।পড়ে তৃপ্তি পেলাম।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি যতই বলুন ‘সুন্দর’ নিয়ে সন্দিহান প্রচুর,
আর ‘তৃপ্তি’ সে দূর অস্ত!!
ধন্যবাদ।
ব্লগার সজীব
লেখা পড়ে তো মাথায় গিট্টু লেগে গেল। শব্দ ভাণ্ডারের দরজা খুলে দিলেন মনে হচ্ছে। শব্দ গুলো যেনো ঝরনার মত বিরামহীন ভাবে ঝরেই যাচ্ছে -{@
ছাইরাছ হেলাল
এখনই গিট্টু লেগে গেলে তো হবে না। শব্দ কিন্তু আরও আছে। আর সব দরজা খুলিনি,
অপেক্ষা করতেই পারেন।
ব্লগার সজীব
সব শব্দের দরজা খুলে দেন না……… অপেক্ষায় আছি 🙂
ছাইরাছ হেলাল
খুল্ব অবশ্যই খুলব,
সামান্য অপেক্ষা মাত্র।
লীলাবতী
কিইইইইইইইই আমাকে বাদ দিয়ে সমুদ্র ভ্রমন ^:^ মানিনা মানবো না।
ছাইরাছ হেলাল
এ যে ভত্তাবতী, ভাবতেই কিরাম কিরাম জানি লাগল। ডুবাডুবি শেষ হল বুঝি!!
সমুদ্র ভ্রমণ তো শুরুই হল না, আপনাকে ছাড়া তা হতেই পারে না।
লীলাবতী
গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করছি, কি করেন সমুদ্রে গিয়ে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনি না জানিয়ে গিয়ে ঠিক করেন নি,
একত্রে পর্যবেক্ষণ আরও মধুময় হতে পারত, নেক্সট টাইম জানাবেন/ জানাবো।
অনিকেত নন্দিনী
“হে বঁধু,
রৌরবের পোড়ামুখী ইয়াবা সম্রাজ্ঞী,
লহ,শুদ্ধ সহচরের অরোরুদ্যমান রক্তাহুতি;”
ইয়াবা সম্রাজ্ঞী কবির বঁধু! বড়ই চিন্তার বিষয়। ;?
ইয়াবা সম্রাজ্ঞী নিজেই তো অশুদ্ধ। তো সে শুদ্ধ সহচর পেয়েছে সেই তো অনেক বেশি। তায় আবার অরোরুদ্যমান রক্তাহুতি দিতে হবে কেন? 😮
অ.ট. বাপ্রে! কী কঠিন কঠিন ভাষার ব্যবহার। অধিকাংশই মাথার ভিতরে না গিয়ে উপ্রে দিয়া যাইতে চায়, গেছেও। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
সম্রাজ্ঞী সে, তা যার ই হোক না কেন।
দেবীরা রক্তপিপাসু হয়, শুদ্ধ না হলে দেবীর প্রসাদ মেলে না যে,
কঠিন-কোমল বিভেদের বৈভব মাথায় এফোঁড়-ওফোঁড় আনে ভিত্রে দিয়েই।
শুন্য শুন্যালয়
এবার কি সমুদ্রের তীর পাল্টেছেন? লঘু পায়ের ছাপশৃংখল খুঁজে পাবে কিনা চোখের গুপ্ত ঠিকানায়!!!
রৌরবের অর্থ জানিনা। এমন এমন কঠিন কবিতা লিখলে আপনার সাথে সমুদ্রে যাওয়া যাবেনা, মাথা দাঁত সব ভেঙ্গে যাবে।
না ফেরাও কি আপনার সাথে ভেগেছিল, তারে কই পাইলেন যে সাথে করে নিয়ে আসবেন? না ফেরা গেলে আজীবনের জন্যই যায় আর ফেরে না। আপনি এমন কপি পেস্ট ভেজাল কবিতা দিলে কিন্তু হবেনা।
ছাইরাছ হেলাল
সমুদ্র পাল্টায় না আমরা পাল্টাই, ঝুলে যাওয়া ঝুলে থাকা পাল্টায় না।
আপনার তো কষ্ট করে সমুদ্রে যেতে হবে না, সমুদ্রই আপনার কাছে আসবে রণ পায়ে।
ঐ যে, লেখা কোন ব্যাপার না, কঠিন হচ্ছে মন্তব্যের উত্তর আঁকা।
আপনি ধীমান লেখক/পাঠক, পড়ায় অলক্ষ্য আপনি হতেই পারেন না, তবুও বলছি, সমুদ্রলেখা’র তিনটি অংশ একসাথে এখানে,
এক একটি আবার আলাদাও ক্ষাণিকটা। একটি অংশ আগের লেখায় এনেছি, এবারে একসাথে একত্রে দিলাম।
জানিতো আপনি তুমুল! জ্ঞানী, এবারে ভুল করে হলেও প্রিয়তে নেবন্না জেনেও না পুস্টাইয়া পারিলাম না।
রৌরব—অতি পাপীদের জন্য নির্দিষ্ট নরক।
শুন্য শুন্যালয়
জ্বি ঠিকই ধরেছেন, ভুল করেও আর প্রিয় তে নেবোনা, হাসবেন না কাঁদবেন এমন বিপদে ফেলে দেয়া ঠিক হবেনা। তাই বলে পুস্টাবেন না কেন? প্রকাশের বাটন খানা আপনার অপেক্ষাতেই দিন রাত করছে।
পড়ায় অলক্ষ্য নই ভাইয়া, তবে মাথার স্পেস কমে আসতেছে। তিনটি সমুদ্রকে জুড়ে দিয়েছেন ধরতে পারিনি অবশ্য।
প্রথমাংশঃ জ্বালাতেই কি এলেন, এক্কেবারে বিষের পেয়ালা হাতে? জেনেই গিয়েছিলেন ফিরতে হবে।
মধ্যমাঃ হাজার অনুনয় বিনয়েও ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। যেতেই হবে। মিথ্যে স্বান্তনায় কান্নাকে ভালোবাসার রূপ এই প্রলোভনে।
শেষাংশঃ যাবার আগে, পাপীষ্ঠ, তুমি মরো তুমি কচু খাও। এরকমই কি ভাউ?
—————————–ভাউ আপনি সমুদ্র খানা তুলে বাড়ি নিয়ে যান।
ছাইরাছ হেলাল
আমাকে বিপদে ফেলতেই পারেন না, প্রিয় বাটন খানা যত্নশিকায় তুলে রাখুন সংগোপনে।
ও মোর আল্লাহ, আপনি মোর সামান্য ল্যাহা ধরতে পারেন্নাই এ ও মোর হোনা লাগল!!
আপনার মাথা/মেধা লক্ষ/কুটি মাথার সমাহার। সেখানে স্পেস কোন ব্যাপার না।
সবই ঠিক আছে, তবে গালাগালি শেষে আত্মাহুতি আছে, আপনি যা বলতে চাননি।
আস্ত সমুদ্র খানা বাড়ী তুলে নেয়ার উপায় কৈ!! সে তো মজে আছে জনোৎসবে।
আবারও পুস্টাইলাম, ভাইয়া।
মডারেটররা ইমো তুলে দিয়ে একদম ঠিক কাজ করেছে। বুঝি-ফুজি না,
জিসান শা ইকরাম
প্রথম অংশ সমুদ্রের কাছে যাবার ইচ্ছে/ প্রতিশ্রুতি
দ্বিতীয়া ইচ্ছে/ প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন
তৃতীয়া, আবার ফিরে আসার প্রত্যয় …… তিনটি অংশ কি এমন?
সমুদ্রের সাথে তো দেখছি চরম প্রেম 🙂
ছাইরাছ হেলাল
তৃতীয় অংশটি প্রায় এমন, আত্মাহুতি সহ কিঞ্চিত গালমন্দ সমেত।
অন্য অংশ গুলো ঠিকই ধরেছেন।
খুব ই গলগলে প্রেম সমুদ্রের সাথে।
জিসান শা ইকরাম
গালমন্দ হৃদয়ের একান্তে থাকা প্রিয়জনকেই দেয় মানুষ 🙂 গলগলে চলমান থাকুক।
ছাইরাছ হেলাল
চলবে গলগলে ভাবেই।
তবে এবারে গাল মন্দ ছাড়াই।
ইলিয়াস মাসুদ
রৌরবের পোড়ামুখী ইয়াবা সম্রাজ্ঞী ……. হাহাহা নরকের পেত্নী
দারুণ বলেছেন ভাই..
সেই কথাই তো বলি এক লেখাতে তো সমুদ্র দেখে ফুরাবে না
খুব তৃপ্তি পেলাম
ছাইরাছ হেলাল
কাছে বসে অনেক করে দেখতে হবে,
তাহলেই বোঝা যাবে এর আসল সৌন্দর্য।
আবু খায়ের আনিছ
ভাইয়া, এমনিতেই মন ব্যাকুল সমুদ্রের জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক হয়ে যাবে এ ব্যাকুলতা অচিরেই।
মিথুন
সমুদ্র নিয়ে আপনার অভিব্যক্তি সমুদ্রের মতোই গভীর, তল খুঁজতে যেতাম যদি আমি ডুবুরী হতাম!
যাব আবার ফের ফিরে ফিরে আসবো। আত্মহত্যা আর অমরত্ব একই সাথে পাতার এপিঠ ওপিঠ। ভাবছি এমন লিখতে গেলে কয় পেয়ালা বিষ খেতে হবে? আপনি এত ভাল লেখেন কি করে?
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ডুবুরী অবশ্যই, শুধু পোশাকটি দেখতে দিচ্ছেন না, এমন আর কী।
নির্বিষ বিষ খেলে আপনি আর থেকে হাজার গুন ভালো লেখা লিখতে পারবেন।
আমিও ভাবছি ভাল লেখা কী করে লেখেন আপনারা!
আত্মহত্যা আর অমরত্ব শুনলেও ভয় লাগে, কী সব কঠিন কথা!
মিথুন
নির্বিষ বিষ কোথাও খুঁজে না পেয়ে আবার আপনার শরণাপন্ন হলাম, কিন্তু আপনি দেখছি অসুস্থ্যতার শরনাপন্ন হয়েছেন। ব্যাপারনা লেগে থাকবো, ফিরে আসুন সুস্থ্য হয়ে……………
মারজানা ফেরদৌস রুবা
সমুদ্রকে নিয়ে এতো সুন্দর ভাবনা! অসাধারণ শব্দশৈলী।
সুন্দর!!!!!! (y)
ছাইরাছ হেলাল
শত ব্যস্ততার মধ্যেও যে দেখছেন এটাই অনেক।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
(y)
ছাইরাছ হেলাল
লিখতে হবে পড়েই।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
লিখলে বস্তা পচা টাইপ কিছু হয়।
তাই লেখা বাদ।
পড়ে যাই
ছাইরাছ হেলাল
শুধু ইমো না দিয়ে ও পড়তে পারেন,
বস্তাপচা বলে কিছু নেই।