এক আকাশ
ঘুম জমা আছে রাত্রির কাছে,
আঁতিপাঁতি করে খুঁজতে থাকি
না-খোঁজার ভানে;
খুঁজতে না-জানার করণকৌশলে,
ধু ধু রাত্তিরে ভিজে যাওয়া ডানা পুড়িয়ে
ঠায় দাঁড়িয়ে, ঐ উন্মুখ নয়ন ছুঁয়ে;
ঘুম এখন গুয়েতেমালার জঙ্গলে বসে থেকে
হাসে, অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ ভুলে
আচ্ছা-মতো প্যাঙ্গোলিন হাসি!!
উনুনে উনুন জ্বেলে তড়িতাহত হবো
ছাই'য়ে ফিনিক্স ওড়াবো, উড়বো না,
বয়ে যাওয়া জলে পা-ভেজাবো
ভিজে যাব-না,
পীড়িত আজ দখিনা বাতাস
তবুও কিছুতেই শয্যাশায়ী হবো-না,
বহুমুখী ঠোকাঠুকিতে ও-না;
১৮টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
বিমুখতা ঢের দেখতে পাচ্ছি না দেখার ভান করেই। আকাল পেরিয়ে গেলে এমনি হয় বুঝি মিটমিট করে নয় বরং অট্টহাসি হাসে সবাই, ঘুমের মতো করেই।
উনুনে উনুন জ্বেলে তড়িতাহত নাই’বা হলেন অথবা পা না ভেজালেন বয়ে যাওয়া জলে তবুও গায়ে যেন হওয়া না লাগে। এই হওয়াটা বেশ সংক্রামক।
ছাইরাছ হেলাল
হাসি খুব-ই সংক্রামক!!
এত্ত তাড়াতাড়ি বুঝে ফেললে হবে কী করে!!
যদিও পরিত্রাণ পাওয়া খুব কষ্টকর।
প্রহেলিকা
পরিত্রানের দরকারটাই’বা কি! থাকুক না সাথে সাথেই।
বহুমুখী ঠোকাঠুকিতে ভয়-টয় পাচ্ছেন না তার লক্ষণ কিন্তু বেশ ভালো।
ছাইরাছ হেলাল
প্যাঙ্গোলিন কিন্তু খুব কঠিন প্রাণী!!
যদিও ব্যাপারনা টাইপ জানাই আছে,
লেখা কৈ!!
প্রহেলিকা
আপনার এই প্যাঙ্গোলিন শব্দের ধারে কাছেও যেতে চাই না। যেখানে উচ্চারণেই ”উচ্চারণের’ উপর দিয়ে কালবৈশাখী যায় সেখানে প্রাণী কতোটুকু কঠিন তা আঁচ করা যায়।
মাথায় ফুঁ টু দেন।
ছাইরাছ হেলাল
প্রাণীটি কিন্তু খারাপ না, একটু হাসে-টাসে আর-কী!!
ঝাড়-ফুঁকের কিচ্ছু নেই, দিয়ে দিন, দেয়া উচিৎ-ও।
শুন্য শুন্যালয়
মংগোলিয়ান শুনেছি, প্যাংগোলিন কী জিনিস?
প্রথম টুকুতো বুঝলাম না খুঁজতে পেরে বেসামাল অবস্থা,
কিন্তু পিরীতের আবার এলার্জি হইলো ক্যান?
আজকাল তো খেতে আর হাত লাগেই না, কাঁটা চামচেই কাজ সারা যায়। সোজা করে না তাকিয়েও বাঁকা চোখের সিস্টেম ফিস্টেমও আছে। অতএব এক ঠোঁকেই কম্ম সাবার।
দেইখ্যেন আমার ঘুমে যেন ভুলেও চোখ দেবেন না, সেতো শুধু প্যাংগোলিয়ান, বহুমূখি হাসি জানে।
ছাইরাছ হেলাল
যার গরু হারায় সেই শুধু বুঝতে পারে যন্ত্রণা, তখন গুয়েতেমালা হন্ডুরাস সবই একাকার,
জমা জিনিষ না পেলে হাসি আর হাসির মত লাগে না, তখন প্যাঙ্গোলিনের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোন
উপায় থাকে না।
আপনি এলেমদার মানুষ, সবই হাতের মুঠোয়। বাঁকা বা সোজা ব্যাপার না!!
নীহারিকা
ছবির নাম, “ঘুম আসবি কি না বল”।
ইংরেজীতে “The Sleep” 🙂
ছাইরাছ হেলাল
হাতে তজবি নিয়ে জপতে বলছেন!!
মেহেরী তাজ
ভাইয়া ঘুম কে হারায়ে ফেলছে? না না হারায়ে ফেলেন নাই ভাইয়া সে অন্য একজনের দেখানো লোভে পড়ে তার সাথেই মনে হয় চলে গিয়ে আপনাকে ভুলে গেছে।
কিন্তু ঘুম এমন হিব্রু ভাষার নাম ওয়ালা হাসি পাইলো কই? প্যাঙ্গোলিন!
পরের অংশ টা কি আগে কোথাও পড়েছি? ;?
ছাইরাছ হেলাল
হ্যাঁ, পরের অংশটি একটু অন্যরকম ভাবে একটি মন্তব্য দিয়েছিলাম।
আপনার ভাবনাও ফেলে দিতে পারি না। ভাগোয়াট দিতেই পারে, এদের কাজই এমন,
আপনি বুঝে ফেললেন কী করে তাই ভাবছি।
হিব্রু না, এটি একটি প্রাণী!!
নীলাঞ্জনা নীলা
“প্যাঙ্গোলিন” হাসি!!!
তার মানে আপনার যে হাসি সেটা ফোলিডোটার দলের অন্তর্ভূক্ত? তাহলে তো আপনার দাঁতও থাকার কথা নেই! ;?
এমন অবস্থায় শুধু পিঁপড়া খেয়ে ঘুম আসবে কিভাবে? :p
তবে কবিতা আবৃত্তিযোগ্য। আর কিছু বলার দরকার আছে? 😀
ছাইরাছ হেলাল
না, না, আর কিছু কওয়া লাগপে না,
ঘুমের নিকুচি করি।
আমার হাসি আপনি পাইলেন কৈ!!
ঘুম হাসেতো!!
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার হাসি খুঁজলে না পামু। আপনে প্যাঙ্গোলিন হাসির কথা কইছেন, তাইতো কইলাম।
আমার ঘুম ভালোভাবেই হাসি হাসি মুখ করে ঘুমায়। 😀
ছাইরাছ হেলাল
গল্প-কথা শুনতে ভালই লাগে।
মজা নিতে আরও ভাল লাগে,
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আমি না হয় পাঠক হয়েই থাকলাম। -{@
ছাইরাছ হেলাল
এক অর্থে আমরা সবাই-ই পাঠক হতে চাই।