নাজিয়া হাসান , অকালে ঝরে যাওয়া একজন গানের পাখী । ৩৫ বছরের জীবনে উপমহাদেশের গানের জগতকে আন্দোলিত করতে পেরেছিলেন ভালো ভাবেই। মাত্র পনের বছর বয়সে পেয়েছেন ভারতের ফিল্ম ফেয়ার এর সেরা মহিলা কন্ঠ শিল্পীর এ্যাওয়ার্ড । ১৯৮০ সনে কুরবানী মুভিতে গাওয়া আপ য্যায়সা কই নেহি গান থেকেই তার উত্থান শুরু। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ১৯৮১ সনে ভাই যোহেব হাসান এর সাথে তাঁর গানের প্রথম এ্যালবাম ডিসকো দিওয়ানী (Disco Deewane ) ১৪ টি দেশে একসাথে রিলিজ হয় এবং সর্বাধিক বিক্রিত Asian pop এ্যালবাম হিসেবে এশিয়ায় রেকর্ড করে। বিক্রির সংখ্যা ৬০ মিলিয়ন কপি।
আজ করন যোহর এর সাম্প্রতিক মুক্তি পাওয়া Student of the year মুভি দেখতে গিয়ে চমকে উঠি। নাজিয়া হাসানের মুল গানের তাঁর কন্ঠের কিছু কিছু অংশ Student of the year এর গানে রাখা হয়েছে।
নিজে যখন শুনলাম , আপনাদেরকেও শুনাতে ইচ্ছে করছে ।
ডিসকো দিওয়ানী নতুন এবং পুরাতন
সবাইকে কুরবানী ঈদের শুভেচ্ছা ।
৯টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
অনেক জনপ্রিয় শিল্পী ছিলেন নাজিয়া হাসান। মনে পরে গেল ৮০ সালের পরের অনেক কথা। ক্যাসেট প্লেয়ারের যুগ । সারাক্ষন বিভিন্ন দোকানে , অনুষ্ঠানে নাজিয়ার গান বাজতো বিরামহীন ভাবে।
দুটো গানই শুনলাম , ভালোই লাগলো নতুন পুরানো শিল্পীদের মিশ্রন ।
ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।
ঈদ মুবারক।
শিশির কনা
আজ মুভি দেখতে গিয়ে হঠাৎ করে প্রিয় শিল্পীর কথা মনে পরে গেল। ওনার গানের কন্ঠ ভিন্ন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ফিল্ম ফেয়ার এ্যাওয়ার্ড পাওয়া , ভাবাই যায়না । আপনাকেও ধন্যবাদ এবং ঈদের শুভেচ্ছা।
ছাইরাছ হেলাল
কত যে শুনেছি – দিনের পর দিন শুনেছি ।
সে সব দিনের কথা মনে করিয়ে দিলেন ।অনেক অনেক স্মৃতি ।
শুনলাম দুটোই , অনেক ভাল লাগল ।
আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা ।
শিশির কনা
ওনার সময়ে তো আমি বেশ ছোট ছিলাম। বড় হবার পরে এখন শুনছি ওনার গান। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ঈদের শুভেচ্ছা ।
জবরুল আলম সুমন
নাজিয়া হাসানের গান তেমন করে শোনা হয়নি… আর এমনিতেই হিন্দী গান বুঝি কম তাই শুনিও কম। তবে গানের ব্যপারে আমার রুচি অন্য রকম। জীবনমুখী গানই আমাকে সবচে বেশী টানে তবে যা শুনতে ভালো লাগে তা বার বার শুনি।
প্রজন্ম ৭১
মাত্র ১৫ বছর বয়সে সেরা মহিলা কন্ঠ শিল্পী , তাও আবার ভারতের মত দেশে !! মাঝে মাঝে শুনি নাজিয়া হাসানের গান।
যাযাবর
আমার প্রিয় শিল্পীদের মাঝে অন্যতম নাজিয়া হাসান। আপনার বদান্যতায় গানটি শুনলাম আবার।
লীলাবতী
নাজিয়া হাসান এর কুরবানী ছবির গান তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। আমি ছোট ছিলাম তখন। সুন্দর গুছানো পোস্ট আপনার। নিকটিও সুন্দর আপনার।
নীলাঞ্জনা নীলা
নাজিয়া হাসানের কন্ঠ , গানের স্টাইল সুন্দর এবং আলাদা ছিল অন্যান্য শিল্পীদের থেকে।