মারগারেট থ্যাছার , প্রথম মহিলা প্রধান মন্ত্রী

ব্রিটেনে মেয়েদের ভোট দেয়ার অধিকার পাওয়ার পর থেকে অর্থাৎ ১৯১৭ সাল থেকে ক্রমাগত ভাবে মেয়েরা শক্তি সঞ্চয় করতে থাকে এবং তার পর থেকে  নানা রকম আইন প্রণয়ন হতে থাকে ব্রিটিশ মেয়েদের প্রতিরক্ষা দেয়ার জন্য। 

এই আইন গুলো হল ‘Marital Rape’ এর হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে সক্ষম করা, ডিভোর্স দেয়ার অধিকার, যা ভিক্টোরিয়ান আমলে ছিলনা, নারী পুরুষে সমতা, সম্পত্তি পাওয়ার অধিকার, সম্পত্তি করার অধিকার, রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ, শিক্ষার অধিকার, স্পোর্টস বা খেলাধূলতে পুরুষের মতো অংশ গ্রহন। 

কিন্তু দুক্ষের সাথে বলতে হয়, এখনো অনেক দেশে মেয়েরা ভুক্তভোগী। অনেক দেশ আছে যেখানে মেয়েদের সুরক্ষা দেয়ার কোন আইন প্রণয়ন হয়না, মেয়েদের পক্ষ নিয়ে কথা বলার কেউ নাই। 

যার ফলে  মেয়েদের মূল্যায়ন হয়না। তাদের কোন সন্মান নাই। অনেক দেশে আইন ঠিকই আছে কিন্তু তার প্রয়োগ নাই। আর আইন বাস্তবায়ন করার সংস্থা সমূহ নিজেরায় corrupted বা দুর্নীতি পরায়ণ।  

এমন অনেক দেশ আছে যেখানে বিবাহিত জীবনে পুরুষ মানুষটি অত্যাচারী হলেও তার সাথেই জীবন অতিবাহিত করতে হয়। কারন সমাজে বা পরিবারে ডিভোর্স পাওয়া বা করা মেয়েদের খারাপ চোখে দেখা হয়। তাদের স্বামীর অত্যাচার থেকে বের হোয়ে কোন আশ্রয় থাকেনা। সন্তান থাকলে আরও বিপদে পড়ে নারীরা । 

কিন্তু ব্রিটেনে মেয়েরা এই অবস্থা থেকে সরে আসতে  পেরেছে। ডিভোর্স পাওয়া  মেয়েরা একটা  শক্ত অবস্থানে আছে। আঠারো বছরের নিচে সন্তান থাকলে তাদেরকে বাড়ি  দেয়া হয়। সন্তানের পড়াশুনা ফ্রি থাকে । মেয়েদের চাকুরীর ব্যাবস্থা করা হয়। সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ ব্যাপার হল ব্রিটিশ  সমাজে তারা গ্রহন যোগ্য , এবং ‘ ডিভোর্স’   ব্যাপারটিকে একটা  সাধারণ ব্যাপার বলেই গণ্য করা  হয় এবং তারা বুঝতে শিখেছে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে।  

এখনো অনেক দেশ আছে যেখানে বিবাহিত নারী মানেই সেই নারীটি স্বামীর ইচ্ছার কাছে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হবে। তার দ্বারা সে চালিত হবে। যাকে বলা হয় controling। এই অবস্থা থেকে ব্রিটিশ নারী সরে আসতে সক্ষমতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে । ভিক্টোরিয়ান আমলে বিবাহিত নারী,  পুরুষের নিজস্ব সম্পত্তি  বলে পরিগণিত হতো।এই অবস্থান থেকে ব্রিটিশ মেয়েরা  বের হোয়ে এসেছে। একটা  সংসারে নারীপুরুষ কেউ কারোর বস নয়।  

এখনো অনেক দেশ আছে, যেমন সৌদি আরব , সেখানে মেয়েরা ড্রাইভ করতে পারবেনা বা একজন পুরুষ ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে পারবেনা। ব্রিটিশ নারী এই অবস্থা থেকে সরে আসতে পেরেছে আর এটা সক্ষম হয়েছে কারন এখান কার সমাজে নারী সুরক্ষা আইন আছে। নারীর নিরাপত্তার জন্য আইন আছে। ধর্ষণ হওয়ার  ভয় নাই। ধর্ষণ কারীর কঠিন শাস্তির ব্যাবস্থা আছে। 

অনেক দেশে অসহায় মেয়েদের নিরাপদ আশ্রয় না থাকার জন্য পতিতালয়ে বিক্রি হতে হয়। বা মেয়েদেরকে  ব্যাবহার করে ফায়দা লুটে । 

তবে এটা বলতে হবে এখন মেয়েদের অবস্থান আগের চেয়ে অনেক এগিয়েছে অনেক দেশে। 

গত শতাব্দী থেকে এই শতাব্দীতে ব্রিটিশ মেয়েরা নিজেদের জীবনে যা যা  পরিবর্তন করার সুযোগ পেয়েছেঃ 

প্রথম নারী MP

ব্রিটেনে মেয়েরা সরকারে ( govornment) এ প্রবেশ করতে পেরেছে।

যেহেতু মেয়েরা গভর্নমেন্টে প্রবেশ করেছে তাই তারা নিজেদের অবস্থানকে শক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। নিজেদের সুবিধা আদায় করে নিতে পেরেছে। ১৯১৯ সালে প্রথম মহিলা M P হিসেবে ইলেকসানে জয়লাভ করে।  মহিলা  MP হিসাবে তিনিই প্রথম নারী যিনি কিনা গভর্নমেন্টে প্রবেশ করেন। 

স্কটল্যান্ড এবং ব্রিটেন এর মহিলা মন্ত্রী

ব্রিটেনে দুই জন মহিলা প্রধান মন্ত্রী নির্বাচিত হয় এবং স্কটল্যান্ডে একজন মহিলা মন্ত্রী হয়েছেন।  এবং আগের তুলনায় বর্তমানে মহিলা MP অনেক বেশী । তবুও এখনো ৫০/৫০ হতে পারেনি। যা হওয়া উচিত। বর্তমান কালের  মেয়ে দের জন্য এটা অবশ্যই  ইনকারেজিং । কারন তারা এই দেখে বড়ো হচ্ছে যে মেয়েরাও রাজনীতিতে আছে। 

“৫০/৫০” নামে ব্রিটেনে একটা অরগানাইজেসান আছে এবং ‘Women’s Equality Party’ নামে একটা রাজনৈতিক দল কাজ করে যাচ্ছে । প্রথমটি পার্লামেন্টে নারী পুরুষ সমান সংখ্যক সদস্য এবং পরেরটি ‘ নারী পুরুষে সম অধিকার সব স্থানে’ এটা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। 

এই ব্যাল্যান্স টি ঠিক করার জন্য আইসল্যান্ড ব্রিটেনের চেয়ে অনেক এগিয়ে। । সেখানে পার্লামেন্টে নারী পুরুষ ৫০/৫০ এবং রোয়ানডা তে  পুরুষরাই নারীর চেয়ে কম MP পার্লামেন্টে ।   সেখানে ৬১/৩৯ । 

We have control of our reproductive rights: বাচ্চা নেয়ার ক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছা কার্যকর করার  অধিকারঃ 

১৯৬১ সালে ব্রিটিশ নারী কন্ত্রাসেপটিভ পিলের ব্যাবহারের যুগে প্রবেশ করে। ব্রিটিশ নারী কখন বাচ্চা নিবে, কত দিন গ্যাপ দিবে দুই বাচ্চার মধ্যে,  বাচ্চার সংখ্যা  বা আদৌ বাচ্চা নিবে কিনা তা কন্ত্রাসেপটিভ পিল ব্যাবহারের মাধ্যমে কন্ট্রোলে আনে।  'মর্নিং আফটার পিল’ এবং নানা ধরনের কন্ত্রাসেপটিভ মেথড আবিষ্কারের মাধ্যমে নারীদের জীবনে এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন আসে। গত শতাব্দীতে ষাটের দশকে ব্রিটেনে এবরসান লিগ্যালিটি পায় এবং এর মধ্যে দিয়ে নারীদের চলার ক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন আসে। 

প্রথম নারী  ডাক্তার , এলিজাবেত গ্যারেট  এন্দারসন

We have made it into the workplace: ব্রিটিশ নারীর কর্মক্ষেত্রে প্রবেশঃ 

১৯০০ সালের দিকে ব্রিটিশ নারীদের কাজের পরিধী বা কাজের ক্ষেত্র খুব সীমিত ছিল। বেশীর ভাগ নারী বাসা বাড়িতে কাজ করতো অথবা শিক্ষক,নার্স, কিম্বা পোশাক তৈরি এই ছিল তাদের কাজ। উচ্চ বেতনের ভালো চাকুরী শুধু মাত্র পুরুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। এটাই তখন প্রচলিত প্রথা ছিল এবং ভালো চাকুরী নেয়ার জন্য মেয়েদেরকে উৎসাহিত করা হতনা। এলিজাবেথ গ্যারেট এন্ডারসন হলেন প্রথম মহিলা ডাক্তার কিন্তু তাকে এই পেশায় আসতে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয় । 

ভিক্টোরিয়ান আমলে ব্রিটিশ নারী তাদের স্বামীর ইনকামের উপর  অর্থনৈতিক ভাবে নির্ভরশীল ছিল। তাদের এই নির্ভরতা সে সময়কার নারীদের দুর্বল পজিসানে ফেলে দায় এবং  আত্মবিশ্বাস গোড়ে তুলতে বাধা দায়। 

এই শতাব্দীতে আমরা ব্রিটিশ নারীকে দেখি board rooms,combat zone এবং ব্যাবসা বাণিজ্যে। 

ব্রিটিশ নারী কর্ম ক্ষেত্রের অবস্থান কে শেষ হয়েছে ? না , এখনো কোম্পানির ডাইরেক্টর পদে মহিলাদের  সংখ্যা অনেক কম। এটা বৃদ্ধি করতে হবে। 

We have taken control of our relationships: বিবাহিত সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ নারী নিজেদের কে কন্ট্রোলে এনেছেঃ  

নারী পুরুষ সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ নারী নিজেকে কন্ট্রোলের মধ্যে আনতে পেরেছে। গত শতাব্দীতে ব্রিটিশ নারী বিবাহ বিচ্ছেদ ব্যাপার টি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন থেকে মুক্তি পেয়েছে। বিবাহ বিচ্ছেদের পরে যে অবস্থার মধ্যে একজন নারীকে পড়তে হয় তা যেন না হয় তার  জন্য সরকার থেকে আইনের মাধ্যমে তাকে প্রটেকসান দেয়া হয়। 

১৯৭৩ সালে জোরপূর্বক বিবাহ  বন্ধ  এবং stalking  বিরুদ্ধে আইন পাস হয়। 

পারিবারিক সহিংসতা একটা ঘৃণ্য এবং এটা সিরিয়াস ব্যাপার হিসাবে চারিদিকে প্রচারিত হতে থাকে, এই প্রচারের ফলে বিষয়টিকে বন্ধ করার জন্য আইন পাস হতে থাকে। বহুল প্রচার হওয়ার ফলে সমাজ বুঝতে শিখেছে এর খারাপ দিক গুলো সম্বন্ধে। যেমন Child protection আইন যা ১৯৯৫ সালে পাস হয়।  Child Protection  হল বাচ্চারা সংঘাত পূর্ণ পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারেনা। তারা সাইকোলজিক্যালি আঘাত প্রাপ্ত হয় এবং যা তাদের  পরবর্তী জীবনকে ক্ষতি করে। এবং এই child protection আইন দ্বারা সেই সংঘাত পূর্ণ পরিবার থেকে সন্তানকে সমাজ সেবা সংস্থা বাচ্চা সরিয়ে নিতে পারে এবং বাবার বিরুদ্ধে বাবার দায়িত্ব না নিতে পারার জন্য কেস করার অধিকার রাখে   

টিভি, রেডিও,নিউজ পেপার , স্কুল , কলেজ, রেল স্টেশনে, আন্ডার গ্রাউনড স্টেশনে , হসপিটাল, লাইব্রেরী সব যায়গাতে প্রচারিত হওয়ার ফলে এবং নিত্য নুতুন আইন দিয়ে   ব্রিটিশ নারী এবং শিশুরা সুরক্ষা পেয়েছে। 

  

১৯৮৬ সালে Jil Saward যিনি কিনা প্রথম মহিলা তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন এবং এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। ব্যাপার টিকে লুকিয়ে না রেখে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। ধর্ষণ কালচার সমাজ থেকে সরানোর জন্য  আইন পাস হয় ।  

এইভাবে ব্রিটিশ নারী ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে আইন পাস করিয়ে নিয়ে নিজেকে শক্তিশালী করে। অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হয় এবং  পুরুষের ইনকামের উপর নির্ভরশীলতা থেকে নিজেকে সরিয়ে আনে। নিজের জীবনকে চালনার ক্ষেত্রে নিজেই হাল ধরে। 

আর  যাই হোকনা কেন ব্রিটিশ নারীকে চালনা করার জন্য ঘড়ির কাঁটাকে  আর পেছনে সরানো যাবেনা। 

‘We have taken the charts by storm’ গানের দল গড়ার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ মেয়েরাঃ 

ম্যাডনা, এডলে, Beyonee আর Mariah, Spice Girls, Girl Power নামে গানের দল গড়লেন  ব্রিটিশ মেয়েরা। এদের গান গুলো পরবর্তী জেনারসনের মেয়েরা দেখতে লাগলো। তারা বুঝতে শিখল মেয়েরাও পারে। তাদের গান গুলো সুপার হিট হতে লাগলো। মেয়েদের  ক্রিয়েটিভ আর্ট  সেই যে শুরু হল  তার পর থেকে মেয়েরা আরও এগুতে থাকলো। 

প্রথম নারী মহাকাশ যাত্রী

মহাশূন্যে পাড়ি জমানোঃ 

‘হেলেন’ Helen Sharman যিনি প্রথম ব্রিটিশ মহিলা মহাশূন্যে প্রথম নারী হিসেবে পাড়ি জমালেন ১৯৯১ সালে । এবং যার মাধ্যমে ব্রিটিশ নারী বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রবেশ করলেন। 

২০০৭ সালে Peggya Whitson হলেন প্রথম নারী যিনি কিনা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে এর প্রথম মহিলা কমান্ডার। তিনজন আফ্রিকান আমেরিকান নারী নাসার স্পেস রেসে প্রবেশ করে এবং প্রমাণ করে মেয়েরা একযোগে কাজ করলে কোন বাধা থাকবেনা মেয়েদের জয়ের ব্যাপারে। তারা হলেন প্রথম মহিলা এবং তাদের হাত ধরে এখন অন্য মেয়েরাও প্রেরণা পাচ্ছে এবং আরও মেয়ে নাসাতে বিজ্ঞানী হিসাবে কাজ  নিচ্ছে। 

স্পোর্টসে নারীঃ 

Screna William এবং  Jessica Ennis Hill হলেন প্রথম মহিলা ক্রিয়াবিদ যারা কিনা অলিম্পিকে প্রবেশ করে।  তারপর থেকে আর থেমে যায়নি। আরও অনেক মেয়ে অলিম্পিকে আসতে থাকে। তারা হলেন পায়ওনিয়ার । 

নারী পুরুষে সমতাঃ 

১৯২৮ সাল থেকে মেয়েরা প্রথম রাষ্ট্রীয় ভাবে ঘোষণা পায় ‘নারী পুরুষের সমতার’  ব্যাপারটি নিয়ে। নারী পুরুষের মধ্যে কোন বিভেদ থাকবেনা। ১৯২৮ সালের এই আইনের ঘোষণার পর থেকে সমাজে নারীর প্রতি দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন আসে। মেয়েরা ক্রমাগত ভাবে ক্যাম্পেন চালাতে থাকে। নিজেদের অবস্থান কে পাকাপোক্ত করার জন্য।  শুধু তারাই নয়, অন্য দেশের সব মেয়েরাও যাতে শক্তিশালী হয় তার জন্যও পরিকল্পনা করতে থাকে। 

চাকরীর ক্ষেত্রে সুরক্ষাঃ 

আগে চাকরীর ক্ষেত্রে ব্রিটিশ মেয়েদের সুরক্ষার কোন নীতিমালা ছিলনা। তারা  যাতে নিরভিগ্নে কমফোর্টেবল পরিবেশে কাজ চালিয়ে যেতে  পারে তার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। 

 

সব শেষে বলা যেতে পারে গত একশত বছরে মেয়েরা যত কিছু অর্জন করেছে তা লেখে শেষ করার মতো নয়। তবে এতটুকু  বলতে পারা যায় গত শতাব্দীতে মেয়েরা তাদের অধিকার আদায় করার জন্য সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে অনেক যুদ্ধ চালিয়েছে ,প্রতিবাদ করে অধিকার আদায় করে নিয়েছে। তারই ফলস্বরূপ এখনকার মেয়েরা অনেক সুবিধা পাচ্ছে। এখন দেখার বিষয় পরবর্তী একশত বছরে আর কি হতে পারে। 

তথ্য সূত্রঃ How being a woman has changed over 100 years, Rosie Benson. 

লেখক ও গবেষক:  হুসনুন নাহার নার্গিস ,লন্ডন

0 Shares

৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ