অবমানিত মর্যাদাহীন অবকাশরঞ্জিনী অভিমান মলিন এক মুখ
নির্ভয়ে হেঁটে যায় অবক্রপথে ঈঙ্গুদী বনে,
অন্তহীন অবক্ষয়ে প্রাণ স্থির,
অন্তিম ক্ষণ জীর্ণতম জীবনের জড় দৃষ্টি।
বর্ষা-ঝরা রৌদ্রালোকিত এ বন
মুক্ত বাতায়ন, বাতাসে সুমধুর সুপারি ফুলের ঘ্রাণ,
ভায়োলিনের এলোমেলো সুর
এসব জীবনকণার সুন্দরতম ক্ষ্যাপা ধুমকেতু।
,,,,,রিতু,,,
১৩/০৭/১৮.কুড়িগ্রাম।
শুন্যর লেখা পড়ে যেতে ইচ্ছে হলো নিজের এমন কোনো এক বনে। একার এক ঈঙ্গুদী কাঁটা বন।
১৪টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
বর্ষা-ঝরা রৌদ্রালোকিত বনে কাঁটা থাকতেই পারে না।
ভায়োলিন, সুপারি ফুল-ঘ্রাণ ও জীবন-কণার সুন্দরতম ক্ষ্যাপা ধুমকেতু
অদ্ভুত কম্বিনেশন।
এর মধ্যে জীর্ণতার অন্তিম ক্ষণ চাই না।
মৌনতা রিতু
আপনা থেকে যে জীর্ণতা চলে আসে তাকে সাদরে গ্রহণ করিনা। আবার না করেও পারি না। সে জীর্ণতাকে বুঝিয়ে সুজিয়ে রেখে আসি এমন সব বনে। ভায়োলিনের সুরে তাকে ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা আর কি!
ইঞ্জা
অপূর্ব, যাস্ট অপূর্ব লিখেছেন প্রিয় আপু।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ প্রিয় ভাইজু। ভালো থাকুন সব সময়।
ইঞ্জা
আপনাকেও ধন্যবাদ প্রিয় আপু (3 -{@
জিসান শা ইকরাম
ধমকেতু তো ক্ষনিকের জন্য আসে,
এমন বোধ ক্ষনিকের জন্য আসুক,
স্থায়ী না হোক।
দিন দিন শব্দ বুনন এবং চয়নে দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে হচ্ছে।
কেউ আমার কোনো লেখা নিয়ে কিছু লিখলো না, লেখুমই না আর।
মৌনতা রিতু
আপনি না লিখলে তিব্র আন্দুলন চলপে। তখন! আর আমি যে ঝগড়া করতে পারি তা তো দেখছেনই। আজই পড়মু। যে জোরে হাঁটা দেছেন চায়নার পথ ধরে একটু জিরিয়ে লই।
শুন্য শুন্যালয়
অবকাশরঞ্জিনী শব্দটার অর্থ বলতো। কেন যেন, এখানে অন্যরকম লাগছে পড়তে।
তোমার নিজস্ব বন খুবই সুন্দর। বৃষ্টি-ঝরা, রোদের বন সাথে ভায়োলিনের সুর, সুপারি ফুলের ঘ্রাণ, একা একা হেঁটে যাওয়া, সবটাই চমৎকার। শুধু কাঁটা দেখে পথ চলো।
মৌনতা রিতু
অবকাশ যাপন করতে চাওয়া এমন। কাঁটা দেখে পথ চলি তবু কোথা থেকে চোরা কাঁটা কিছু বেঁধে যায় ঠিকই।
হুম, এ বনটা সত্যিই সুন্দর। ভালো থেকো ননদিনী।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ঈঙ্গুদী বন টা কি আপু?
লেখাটা ভাল লাগল। -{@
মৌনতা রিতু
কাঁটাযুক্ত বন। হয়ত বাবলা গাছকেই বোঝানো হয়েছে।
ধন্যবাদ মনির ভাই। শুভকামনারই।ভাল থাকুন সব সম।
নীলাঞ্জনা নীলা
চলে যাই, যাই করেও যাওয়া হয়ে ওঠেনা
কাঁটাতারের বেড়ায় আটকে যাই।
ঠিক পেরুলেই বেতসবন, নাতিশীতোষ্ণ আদর;
অদম্য ইচ্ছেও পরাজিত হয়ে যায় মাঝেমাঝে
চলে যেতে, যেতেও থেমে যেতে হয়,
কাঁটাতারের বেড়ায় আশ্রয় নেয়া স্বর্ণলতা।—-কী দারুণ লেখো তুমি শান্তসুন্দরী আপু! মন ভরে যায়!
মৌনতা রিতু
নীলাআপু, তোমার লেখার পাশে আমার লেখা কিছুই না।
তোমার এমন উৎসাহে আমার লিখতেই ইচ্ছে করে অ ব ক ঠ যা ইচ্ছে তাই। এতোগুলো ভালবাসা নিও আপু। ভালো থেকো।
নীলাঞ্জনা নীলা
শান্তসুন্দরী আপু তুমি ভালো লিখলে বলি। ভালো না লাগলেও বলি। কারণ আমি জানি, তুমিও জানো বাড়িয়ে বলিনা তোমাকে। ♥