আমি ভালো নেই!
কোথায় আছি জানি না। কবে শুভ বুদ্ধির উদয় হবে তাও জানি না না।
শুনেছি অজস্র অমানুষের ভিড়ে মানুষ থাকে।
না এই অজস্র অমানুষ গুলো মেরেই ফেলছে এই মানুষটা কে?
সত্যিই তো তাই।
জানিস
তুবা,
অনেক করুণ স্মৃতি দেখেছি অনেক যন্ত্রণা সহ্য করেছি।
কিন্তু তোর এই করুণ স্মৃতি কিভাবে ভুলে যাই?
হ্যাঁ এই করুণ স্মৃতি সবাই একদিন ভুলে যাবে।
কিন্তু এই করুণ স্মৃতির স্রোতে তোর কতকাল ডুবতে হবে জানি না।
টিভির পর্দায় যখন তোর নিষ্পাপ চেহারাটি দেখেছি আর বলছিলে মা নিচে গেছে আমার জন্য ড্রেস আনতে এই করুণ স্মৃতি আমায় অজস্র বার চোখেরজল ঝরিয়েছে। পারছি না নিজেকে ধরে রাখতে।
অধীর অপেক্ষায় আজও বসে আছিস কখন ফিরবে তোর মা। হয়তো এখনো জানিস না তোবা তোর মা জন্মের মত করে বিদায় নিয়েছে। হয় তো তুই আর মা মা বলে ডাকবে না। পাবে না আর মায়ের আদরযত্ন। তুই কেমন করে বড় হবে।
কেমন করে মায়ের হাত ধরে পাঠশালায় যাবে।
সবি যে আজ নিস্তব্ধ হয়ে আছে।
তুবা তুই এখনো যে তোর মায়ের প্রতিক্ষায় বসে আছিস।
এই প্রতিক্ষার প্রহর কবে শেষ হবে এখনো তা তুই জানিস না তুবা!
মায়ের ছবি নিয়ে যখন অপেক্ষার প্রহর গুনছিলে কবে আসবে তোর মা। এই করুণ স্মৃতি হৃদয়বিদারক ঘটনা কে কেউ একজন অন্তর্বেক্ষণ করে তোর হয়ে বলছিল।
তোমরা যাকে ছেলেধরা মনে করে মেরে ফেলছো সে না আমার মা হয়।
বলি, আমার মাকে তোমরা ফিরিয়ে দিতে পারবে?
আহারে!
তুবা সত্যি নির্বাক আমি !
তোর অনেক স্বপ্ন ছিলো।
তোর মায়ের হাত ধরে পাঠশালায় যাবি।
মায়ের হাতে বড় হয়ে প্রতিষ্ঠিত হবে।
তুই বলছিলে মা নিচে গেছে তোর জন্য ড্রেস আনতে।
বাসায় ফিরিয়ে দিলো কিছু অমানুষের দল তোর মাকে লাশ করে।
জানিস তুবা কিছু বিবেক বর্জিত মানুষ এক হয়ে তোর মা কে মার.. মার বলে মারতেই থাকলো।
একবারও থামলো না জানতে চাইলো না।
অবিকল মানুষের চেহারার মত অমানুষ নিকৃষ্ট প্রজাতির কিছুসংখ্যক মানুষ একপর্যায়ে তোর মাকে মেরেই ফেললো।
যদি তুই পাশে থাকতে হয়তো একবার চিৎকার করে আর আর্তনাদ করে বলতে তোমরা আমার মা কে মেরোনা।
এই নরপশু জারজ প্রকৃতির অমানুষ গুলো একটিবার তোর আর্তনাদ শুনলো না।
শুনলো না তোর মায়ের ক্রন্দনধ্বনি।
শুধু মেরেই গেলো।
জানিস তুবা,
তোর মায়ের পক্ষ নিয়ে কেউ কথা বললো না জানতেও চাইলো না শুধু মেরেই গেলো।
এদের ঘরে তো তোর মত তোবা আছে তোর মত তো মা আছে। একটিবারও এই অমানুষ গুলো তোর মাকে নিয়ে ভাবলো না!
কিছুসংখ্যক অমানুষের জন্য এই পৃথিবী ধংস হয়ে যাচ্ছে।
তোবা তুই মাতৃহীন তাই দুহাত তুলে পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার কাছে অভিশাপ দে এই অমানুষ গুলোকে।
কখনো ক্ষমা করে দিস না তুবা।
এই অমানুষ গুলো কখনো ক্ষমার যোগ্য নয়।
তুবা তোর মাকে শেষবারের মত করে সাজিয়ে বিদায় দে।
আর হাত বুলিয়ে জীবনের শেষবারের মত করে মায়ের গালে আদর করে জড়িয়ে বল মা যেখানে থাকো ভালো থেকো।
এই পৃথিবীর মানুষ আর মানুষ নয়।
অমানুষের হাত থেকে এই পৃথিবীর প্রতিটি মা নিরাপদে থাকুক।
.
এই অবুঝ শিশুর কান্নায় সৃষ্টিকর্তাও কাঁদছেন।
তাকে কি দিয়ে বুঝানো যাবে?
কেউ কি তার মা কে আর ফিরিয়ে দিতে পারবে?
..
ক্ষমা নয় অভিশাপ দে বোন
এই অমানুষের দলকে।
.
ইতি,
তোর এক ভাই।
৮টি মন্তব্য
শিরিন হক
ভালো লিখেছেন তুবার কাছে আপনার চিঠি পৌছোবে কিনা জানিনা তবে তুবার জন্য দোয়া করি তুবা যেনো মানুষের মতো মানষ হয়।মায়ের স্বপ্ন যেনো পুরোন করতে পারে। অপরাধীর বিচার হোক।
রাফি আরাফাত
ক্ষমা নয় অভিশাপ দে বোন
এই অমানুষের দলকে।
তুবাকে দেওয়া চিঠি আদৌ সে পাবে কি না জানি না। তবে যার আকাঙ্খা এতোই বেশি, সে চিঠি মনে মনে অনেক আগেই চলে গেছে।
ভালো লাগছে দাদা।
ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ
আরজু মুক্তা
সব তুবারা ভালো থাক। আমরা বেহিসাবি ট্রেনে চড় বসেছি। থামানোর কেউ নেই।
ইঞ্জা
আসলেই মন থেকে তুবার মার কথা সরাতে পারছিনা, মানুষ আজ পিচাশ সেজেছে, হয়েছে সব আস্ত শয়তান, ক্ষমা নয় অভিশাপ দে তুবা। 😢
মনির হোসেন মমি
আমরা দিন দিন কেমন যেন নিষ্ঠুরতার দিকে এগুচ্ছি। আসলেই তুবাদের কাছে আমরা এক লজ্জিত জাতি হিসাবে গণ্য হলাম।
রেহানা বীথি
মনটা খারাপ হয়ে আছে ভীষণ। বার বার ছোট্ট মেয়েটার অসহায় মুখটা ভেসে উঠছে চোখের সামনে।
জিসান শা ইকরাম
এই হত্যার কথা শুনে আমি মানষিক ভাবে এতই অসুস্থ্য হয়ে পড়েছি যে, কোনো কিছুতে মন দিতে পারছি না।
কত নির্মম একটি হত্যা কান্ড!
অমানুষ হয়ে যাচ্ছে দেশের মানুস।
তৌহিদ
তুবারা ভালো থাকুক। আপনার এই হৃদয়স্পর্শি লেখা যেন তুবার মত সব বোনদের নজরে আসে।
অনেক ভালো লিখেছেন ভাই। শুভকামনা রইলো।